জয় দেখছে ইংল্যান্ড
সত্যি বলতে সিরিজ হারাটা হবে ভয়াবহ, আমরা চুরমার হয়ে যাব। অ্যাশেজ জয়ের গুরুত্বটা আমরা জানতাম। কারণ, গত ২৪ বছরে দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া হারেনি। আগামী টেস্ট জিতে এই গর্ব ধরে রাখার সম্ভব সব চেষ্টাই আমরা করব। তবে ইংল্যান্ডের কাছ থেকে ছোট্ট ভস্মাধার ফিরিয়ে আনাটাই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, আমরা সেটা পারিনি।’
শঙ্কা, আশাবাদ, হতাশা—সব একাকার হয়ে গেল শেন ওয়াটসনের প্রতিক্রিয়ায়। সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডারের কথাতেই স্পষ্ট ম্যাচ ও সিরিজের অবস্থা। মেলবোর্নের প্রথম দিনটা যে ইঙ্গিত দিয়েছিল, সেটাই প্রায় নিশ্চিত হয়েছে কাল। ইংল্যান্ডকে আবার ব্যাটিংয়ে নামাতেই এখনো প্রয়োজন ২৪৬ রান। তবে স্বাগতিকদের সেই আশা দূরাশা মাত্র, হাতে আছে মাত্রই ৩ উইকেট। উইকেট পড়েছে ৬টি, কিন্তু গোড়ালির চোটে সিরিজ থেকেই ছিটকে পড়া রায়ান হ্যারিসের ব্যাট করার সম্ভাবনা খুবই কম। ভস্মাধার ফিরিয়ে আনা নয়, অস্ট্রেলিয়া এখন দেশের মাটিতে ২৪ বছর অ্যাশেজ না হারার গর্বটা ধরে রাখার শেষ চেষ্টাটাই করতে পারে। মেলবোর্নের পর তাদের নিয়ে এই বাজি ধরার লোকও খুব একটা পাওয়া যাবে না।
দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার সর্বনাশের শুরু ওই ওয়াটসনকে দিয়েই। মাথায় ইনিংসে হারের খাড়া, হাতে অফুরন্ত সময়, হঠাৎ কেন যে ঝুঁকিপূর্ণ সিঙ্গেল নেওয়ার ইচ্ছা হলো ওয়াটসনের! ফলোঅন এড়াতেই প্রয়োজন ৪১৫ রান, ৫২ রানের উদ্বোধনী জুটিতে লড়াইটা ভালোই শুরু করেছিলেন ওয়াটসন ও হিউজ। কিন্তু হিউজের ওই আত্মঘাতী রানআউটে হঠাৎ ছন্দপতন। রিকি পন্টিংয়ের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেট জুটিটাও জমে উঠেছিল। প্রথম ইনিংসের ৯৮ পেরিয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া ওই এক উইকেট হারিয়েই। চা-বিরতির পরপর দ্বিতীয় ওভারে আবার ওয়াটসনের ভুল সিদ্ধান্ত। এবার ব্রেসনানের ইনসুইঙ্গার না খেলে ছেড়ে দিয়ে এলবিডব্লু।
এর পরই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে অজি মিডল অর্ডার। রানের গতি যেমন থমকে দাঁড়ায়, তেমনি পড়তে থাকে উইকেটও। চা-বিরতির আগে ৩০ ওভারে ৯৫ করা অস্ট্রেলিয়া বিরতির পর ২৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৩৯ রান। প্রথম ইনিংসে ধ্বংসযজ্ঞের দুই নায়ক অ্যান্ডারসন-ট্রেমলেট কাল খুব একটা সুবিধে করতে পারেননি। তবে জ্বলে উঠেছিলেন ব্রেসনান ও সোয়ান। চা-বিরতির আগে ৭ ওভার বোলিং করে মাত্র ৫ রান দিলেও কোনো উইকেট পাননি, পরে ৭ ওভারের আরেকটি স্পেলে ৩ উইকেট নিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন মিডল অর্ডার। পার্থে খারাপ করায় সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেট-শিকারি স্টিভেন ফিনকে বাদ দিয়ে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল ব্রেসনানকে। দুই ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে বুঝিয়ে দিলেন সিদ্ধান্তের যথার্থতা। ১ উইকেট পেলেও ২২ ওভারে মাত্র ২৩ রান দিয়েছেন সোয়ান।
সকালে অস্ট্রেলিয়ান বোলাররা কিন্তু খারাপ করেননি। ৫৪ রানে ইংল্যান্ডের শেষ ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন তাঁরা, পিটার সিডল পেয়েছেন সিরিজে দ্বিতীয় ৬ উইকেট। সঙ্গীর অভাবে ডাবল সেঞ্চুরি হয়নি জোনাথন ট্রটের।
শঙ্কা, আশাবাদ, হতাশা—সব একাকার হয়ে গেল শেন ওয়াটসনের প্রতিক্রিয়ায়। সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডারের কথাতেই স্পষ্ট ম্যাচ ও সিরিজের অবস্থা। মেলবোর্নের প্রথম দিনটা যে ইঙ্গিত দিয়েছিল, সেটাই প্রায় নিশ্চিত হয়েছে কাল। ইংল্যান্ডকে আবার ব্যাটিংয়ে নামাতেই এখনো প্রয়োজন ২৪৬ রান। তবে স্বাগতিকদের সেই আশা দূরাশা মাত্র, হাতে আছে মাত্রই ৩ উইকেট। উইকেট পড়েছে ৬টি, কিন্তু গোড়ালির চোটে সিরিজ থেকেই ছিটকে পড়া রায়ান হ্যারিসের ব্যাট করার সম্ভাবনা খুবই কম। ভস্মাধার ফিরিয়ে আনা নয়, অস্ট্রেলিয়া এখন দেশের মাটিতে ২৪ বছর অ্যাশেজ না হারার গর্বটা ধরে রাখার শেষ চেষ্টাটাই করতে পারে। মেলবোর্নের পর তাদের নিয়ে এই বাজি ধরার লোকও খুব একটা পাওয়া যাবে না।
দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার সর্বনাশের শুরু ওই ওয়াটসনকে দিয়েই। মাথায় ইনিংসে হারের খাড়া, হাতে অফুরন্ত সময়, হঠাৎ কেন যে ঝুঁকিপূর্ণ সিঙ্গেল নেওয়ার ইচ্ছা হলো ওয়াটসনের! ফলোঅন এড়াতেই প্রয়োজন ৪১৫ রান, ৫২ রানের উদ্বোধনী জুটিতে লড়াইটা ভালোই শুরু করেছিলেন ওয়াটসন ও হিউজ। কিন্তু হিউজের ওই আত্মঘাতী রানআউটে হঠাৎ ছন্দপতন। রিকি পন্টিংয়ের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেট জুটিটাও জমে উঠেছিল। প্রথম ইনিংসের ৯৮ পেরিয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া ওই এক উইকেট হারিয়েই। চা-বিরতির পরপর দ্বিতীয় ওভারে আবার ওয়াটসনের ভুল সিদ্ধান্ত। এবার ব্রেসনানের ইনসুইঙ্গার না খেলে ছেড়ে দিয়ে এলবিডব্লু।
এর পরই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে অজি মিডল অর্ডার। রানের গতি যেমন থমকে দাঁড়ায়, তেমনি পড়তে থাকে উইকেটও। চা-বিরতির আগে ৩০ ওভারে ৯৫ করা অস্ট্রেলিয়া বিরতির পর ২৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৩৯ রান। প্রথম ইনিংসে ধ্বংসযজ্ঞের দুই নায়ক অ্যান্ডারসন-ট্রেমলেট কাল খুব একটা সুবিধে করতে পারেননি। তবে জ্বলে উঠেছিলেন ব্রেসনান ও সোয়ান। চা-বিরতির আগে ৭ ওভার বোলিং করে মাত্র ৫ রান দিলেও কোনো উইকেট পাননি, পরে ৭ ওভারের আরেকটি স্পেলে ৩ উইকেট নিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন মিডল অর্ডার। পার্থে খারাপ করায় সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেট-শিকারি স্টিভেন ফিনকে বাদ দিয়ে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল ব্রেসনানকে। দুই ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে বুঝিয়ে দিলেন সিদ্ধান্তের যথার্থতা। ১ উইকেট পেলেও ২২ ওভারে মাত্র ২৩ রান দিয়েছেন সোয়ান।
সকালে অস্ট্রেলিয়ান বোলাররা কিন্তু খারাপ করেননি। ৫৪ রানে ইংল্যান্ডের শেষ ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন তাঁরা, পিটার সিডল পেয়েছেন সিরিজে দ্বিতীয় ৬ উইকেট। সঙ্গীর অভাবে ডাবল সেঞ্চুরি হয়নি জোনাথন ট্রটের।
No comments