সরে না দাঁড়ালে বাগবোর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান হতে পারে
আইভরি কোস্টের প্রেসিডেন্ট লঅন্ত বাগবোকে পদত্যাগের সময় বেঁধে দিতে প্রতিবেশী তিনটি দেশের প্রেসিডেন্ট গতকাল মঙ্গলবার দেশটির প্রধান শহর আবিদজানে পৌঁছেছেন। পদত্যাগ করতে না চাইলে আইভরি কোস্টের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানো হতে পারে বলে প্রেসিডেন্ট বাগবোকে বার্তা দেবেন তাঁরা।
এদিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি পাওয়া আইভরি কোস্টের প্রেসিডেন্ট আলাসেন ওয়েতাহার সমর্থকেরা ফ্রান্সে দেশটির দূতাবাস গত সোমবার দখল করে নিয়েছে। আইভরি কোস্টের রাজনৈতিক অচলাবস্থার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আফ্রিকান ইউনিয়ন (এইউ) কেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী রায়লা ওডিঙ্গাকে বিশেষ দূত মনোনীত করা হয়েছে।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর অর্থনৈতিক জোট ইসিওডব্লিউএএসের পক্ষে বার্তা নিয়ে বেনিনের প্রেসিডেন্ট থমাস ইউয়েয়ি বোনি, সিয়েরা লিয়নের প্রেসিডেন্ট আর্নেস্ট বাই করোমা ও কেপ ভার্দের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো ভেরোনা রদ্রিগেজ পিরেস গতকাল আবিদজান পৌঁছান।
গত ২৮ নভেম্বর আইভরি কোস্টের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দেশটির স্বাধীন নির্বাচন কমিশন বিরোধীদলীয় প্রার্থী আলাসেন ওয়েতাহাকে জয়ী ঘোষণা করে। কিন্তু ওই ফল প্রত্যাখ্যান করে সাংবিধানিক পরিষদের সমর্থন নিয়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন লঅন্ত বাগবো। আলাসেন ওয়াতেহাও পৃথকভাবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আলাসেন ওয়াতেহার প্রতি সমর্থন জানিয়ে প্রেসিডেন্ট বাগবোকে পদত্যাগ করতে আহ্বান জানিয়ে আসছে।
সামরিক অভিযানের হুমকি সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট বাগবোর পদত্যাগের সম্ভাবনা খুব কম। বাগবোর দাবি, তিনিই দেশটির বৈধভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। এর আগে ইসিওডব্লিউএএসের সামরিক অভিযানের হুমকির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আইভরি কোস্টের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হলে এ অঞ্চলে গৃহযুদ্ধ শুরু হবে। তবে প্রেসিডেন্ট বাগবোর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসিওডব্লিউএএসের পক্ষে যাঁরা আসছেন, সবাইকে আমরা স্বাগত জানাই। তাঁরা কী বার্তা নিয়ে এসেছেন, আমরা তাও শুনব।’
দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট থাবো এমবেকি ও আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশনের প্রধান জেন পিংয়ের মধ্যস্থতায় আইভরি কোস্টের রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের উদ্যোগ ব্যর্থ হয়। এরপর প্রেসিডেন্ট বাগবোকে পদত্যাগে চাপ সৃষ্টি করতে তিন প্রেসিডেন্ট আইভরি কোস্টে গেলেন।
আলাসেন ওয়াতেহার সমর্থকেরা ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে আইভরি কোস্টের দূতাবাস দখল করে নিয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাগবোর নিযুক্ত আইভরি কোস্টের দূত পিয়ার কিপরে কোনো প্রতিরোধ ছাড়াই দূতাবাস ছেড়ে চলে যান। গতকাল মঙ্গলবার কোনো দূত ছাড়াই দূতাবাস খুলে দেওয়া হয়েছে। দূতাবাসের কর্মীরা আলাসেন ওয়াতেহার নিয়োগ দেওয়া দূতের জন্য অপেক্ষা করছেন।
প্রেসিডেন্ট বাগবো পদত্যাগ না করা পর্যন্ত ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার জন্য সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ওয়াতেহা। গত সোমবার এই ধর্মঘট শুরু করেছে ওয়াতেহার সমর্থকেরা। গতকাল আবিদজান শহরে স্বাভাবিকের চেয়ে কম যানবাহন চলাচল করে। শহরের অধিকাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা ছিল। তবে অনেক জেলা শহরে দোকানপাট বন্ধ ছিল।
ওয়েতাহা দেশটির আবিদজান শহরে একটি হোটেলে কার্যালয় বানিয়ে অবস্থান করছেন। দেশটিতে মোতায়েন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী তাঁর নিরাপত্তা দিচ্ছে। দেশটির সেনাবাহিনীর সমর্থন নিয়ে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে অবস্থান করছেন বাগবো।
এদিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি পাওয়া আইভরি কোস্টের প্রেসিডেন্ট আলাসেন ওয়েতাহার সমর্থকেরা ফ্রান্সে দেশটির দূতাবাস গত সোমবার দখল করে নিয়েছে। আইভরি কোস্টের রাজনৈতিক অচলাবস্থার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আফ্রিকান ইউনিয়ন (এইউ) কেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী রায়লা ওডিঙ্গাকে বিশেষ দূত মনোনীত করা হয়েছে।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর অর্থনৈতিক জোট ইসিওডব্লিউএএসের পক্ষে বার্তা নিয়ে বেনিনের প্রেসিডেন্ট থমাস ইউয়েয়ি বোনি, সিয়েরা লিয়নের প্রেসিডেন্ট আর্নেস্ট বাই করোমা ও কেপ ভার্দের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো ভেরোনা রদ্রিগেজ পিরেস গতকাল আবিদজান পৌঁছান।
গত ২৮ নভেম্বর আইভরি কোস্টের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দেশটির স্বাধীন নির্বাচন কমিশন বিরোধীদলীয় প্রার্থী আলাসেন ওয়েতাহাকে জয়ী ঘোষণা করে। কিন্তু ওই ফল প্রত্যাখ্যান করে সাংবিধানিক পরিষদের সমর্থন নিয়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন লঅন্ত বাগবো। আলাসেন ওয়াতেহাও পৃথকভাবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আলাসেন ওয়াতেহার প্রতি সমর্থন জানিয়ে প্রেসিডেন্ট বাগবোকে পদত্যাগ করতে আহ্বান জানিয়ে আসছে।
সামরিক অভিযানের হুমকি সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট বাগবোর পদত্যাগের সম্ভাবনা খুব কম। বাগবোর দাবি, তিনিই দেশটির বৈধভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। এর আগে ইসিওডব্লিউএএসের সামরিক অভিযানের হুমকির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আইভরি কোস্টের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হলে এ অঞ্চলে গৃহযুদ্ধ শুরু হবে। তবে প্রেসিডেন্ট বাগবোর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসিওডব্লিউএএসের পক্ষে যাঁরা আসছেন, সবাইকে আমরা স্বাগত জানাই। তাঁরা কী বার্তা নিয়ে এসেছেন, আমরা তাও শুনব।’
দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট থাবো এমবেকি ও আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশনের প্রধান জেন পিংয়ের মধ্যস্থতায় আইভরি কোস্টের রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের উদ্যোগ ব্যর্থ হয়। এরপর প্রেসিডেন্ট বাগবোকে পদত্যাগে চাপ সৃষ্টি করতে তিন প্রেসিডেন্ট আইভরি কোস্টে গেলেন।
আলাসেন ওয়াতেহার সমর্থকেরা ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে আইভরি কোস্টের দূতাবাস দখল করে নিয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাগবোর নিযুক্ত আইভরি কোস্টের দূত পিয়ার কিপরে কোনো প্রতিরোধ ছাড়াই দূতাবাস ছেড়ে চলে যান। গতকাল মঙ্গলবার কোনো দূত ছাড়াই দূতাবাস খুলে দেওয়া হয়েছে। দূতাবাসের কর্মীরা আলাসেন ওয়াতেহার নিয়োগ দেওয়া দূতের জন্য অপেক্ষা করছেন।
প্রেসিডেন্ট বাগবো পদত্যাগ না করা পর্যন্ত ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার জন্য সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ওয়াতেহা। গত সোমবার এই ধর্মঘট শুরু করেছে ওয়াতেহার সমর্থকেরা। গতকাল আবিদজান শহরে স্বাভাবিকের চেয়ে কম যানবাহন চলাচল করে। শহরের অধিকাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা ছিল। তবে অনেক জেলা শহরে দোকানপাট বন্ধ ছিল।
ওয়েতাহা দেশটির আবিদজান শহরে একটি হোটেলে কার্যালয় বানিয়ে অবস্থান করছেন। দেশটিতে মোতায়েন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী তাঁর নিরাপত্তা দিচ্ছে। দেশটির সেনাবাহিনীর সমর্থন নিয়ে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে অবস্থান করছেন বাগবো।
No comments