অন্তত জয়ে শুরু মোহামেডানের
মোহামেডানের দুই সাবেক তারকা মাঠের দিকে যাচ্ছিলেন ম্যাচের পর। ইমতিয়াজ সুলতান জনি ও সৈয়দ রুম্মন বিন ওয়ালি সাব্বিরের কাছে মোহামেডানের খেলা সম্পর্কে জানতে চাইলে দুই তারকার অভিন্ন জবাব, ‘খুব বেশি আশাবাদী হতে পারছি না। তবে জয়টা দলের জন্য খুব দরকার ছিল এবং তা পাওয়ায় অন্তত উজ্জীবিত হতে পারবে মোহামেডান।’ আরেক সাবেক ছাইদ হাসান কাননের মুখেও শোনা গেল একই কথা।
চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে ১-০ জয়, ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মোহামেডান এই জয়ে কতই না খুশি! সাবেকরা তো বটেই, বর্তমান খেলোয়াড়-কর্মকর্তা-সমর্থকদের কাছেও এটি স্বস্তির এক জয়।
কারণও আছে, এবার অখ্যাত তরুণদের নিয়ে গড়া দল ফেডারেশন কাপে তিন ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেনি। মোহামেডানের ইতিহাসে এমন দুর্বল দল নাকি কখনো হয়নি। শুধু নামটাই এবার মোহামেডানের সম্বল।
গত তিনটি পেশাদার লিগেই রানার্সআপ হয়েছে মোহামেডান। এবার চ্যাম্পিয়ন হলে সেটি তাই বড় এক ‘অঘটন’ হিসেবেই বিবেচিত হবে। এবারই প্রথম ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে উঠতে ব্যর্থ মোহামেডান—মৌসুমের শুরুতেই সাদা-কালোরা জেনে গেছে তাদের সামর্থ্যের পরিধি।
ড্র দিয়ে বাংলাদেশ লিগ শুরু করতে হচ্ছে কি না, এই শঙ্কায় যখন মোহামেডান টেন্ট ও হাজার খানেক দর্শকের ভিড়ে ভুভুজেলা বাজিয়ে দলকে প্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন কয়েকজন পাঁড় সমর্থক, তখনই মোহামেডানকে উল্লাসে ভাসান এক রুয়ান্ডান মিডফিল্ডার। ৮৭ মিনিটে রিদনের মাইনাস থেকে হাবুমুগিসা ইসমাইলের ঠেলে দেওয়া বল জালে জড়ায় (১-০)।
ঠিক এর ১০ মিনিট আগেই চট্টগ্রাম আবাহনীর এক বিদেশি লাল কার্ড দেখলেন। এই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছে মোহামেডান। চট্টগ্রাম আবাহনীকে জয়ের জন্য মরিয়া দেখা যায়নি। যে দলের স্ট্রাইকার গোলরক্ষককে একা পেয়েও লক্ষ্যভেদের চেষ্টা না করে পাস দেওয়ার জন্য সতীর্থ কাউকে খোঁজেন, সেই দল পয়েন্ট পাবে কী করে?
মোহামেডানের সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় এখন একটা জয়ই দলটির কাছে বিরাট কিছু। সেই জয় যে দলের বিপক্ষেই আসুক না কেন! চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে এবার তো ঢাকা মোহামেডানের কোনো পার্থক্য নেই। দুদলের খেলোয়াড় তালিকাই সেটা বলে দিচ্ছে।
তবে নিজেদের সামর্থ্যটা অনুযায়ী ভালোই খেলেছে মোহামেডান। বড় সমস্যা—দক্ষ গোলদাতার অভাব। দলীয় সমন্বয়েও সমস্যা রয়ে গেছে। আস্তে আস্তে তা হয়তো কাটিয়ে উঠতে পারবে মোহামেডান, কিন্তু বড় দলের সঙ্গেই তাদের বড় পরীক্ষা।
মোহামেডানের সবচেয়ে বড় শক্তি কোচ শফিকুল ইসলাম। বরাবরই দলকে নিয়ে আশাবাদী শফিকুল ম্যাচের পর বললেন, ‘জয়টা আমাদের জন্য বড় উদ্দীপনা। জয় দিয়ে শুরু করতে চেয়েছিলাম, সেটি পেরেছি। সমস্যাগুলো সামনে কাটিয়ে উঠে মোহামেডানের মতোই আমরা সামনে এগোতে চাই।’
মোহামেডান: টিটু, আরাফাত রনি (কবির), রিপন (ইয়াসিন/সোহেল), রমজান, রনি ইসলাম, এমেকা লাকি, আমানি, শরিফ, ইসমাইল, এমেকা, রিদন।
আজকের খেলা: ফেনী সকার-চট্টগ্রাম মোহামেডান (বেলা ২.৩০মি, ফেনী স্টেডিয়াম)
চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে ১-০ জয়, ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মোহামেডান এই জয়ে কতই না খুশি! সাবেকরা তো বটেই, বর্তমান খেলোয়াড়-কর্মকর্তা-সমর্থকদের কাছেও এটি স্বস্তির এক জয়।
কারণও আছে, এবার অখ্যাত তরুণদের নিয়ে গড়া দল ফেডারেশন কাপে তিন ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেনি। মোহামেডানের ইতিহাসে এমন দুর্বল দল নাকি কখনো হয়নি। শুধু নামটাই এবার মোহামেডানের সম্বল।
গত তিনটি পেশাদার লিগেই রানার্সআপ হয়েছে মোহামেডান। এবার চ্যাম্পিয়ন হলে সেটি তাই বড় এক ‘অঘটন’ হিসেবেই বিবেচিত হবে। এবারই প্রথম ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে উঠতে ব্যর্থ মোহামেডান—মৌসুমের শুরুতেই সাদা-কালোরা জেনে গেছে তাদের সামর্থ্যের পরিধি।
ড্র দিয়ে বাংলাদেশ লিগ শুরু করতে হচ্ছে কি না, এই শঙ্কায় যখন মোহামেডান টেন্ট ও হাজার খানেক দর্শকের ভিড়ে ভুভুজেলা বাজিয়ে দলকে প্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন কয়েকজন পাঁড় সমর্থক, তখনই মোহামেডানকে উল্লাসে ভাসান এক রুয়ান্ডান মিডফিল্ডার। ৮৭ মিনিটে রিদনের মাইনাস থেকে হাবুমুগিসা ইসমাইলের ঠেলে দেওয়া বল জালে জড়ায় (১-০)।
ঠিক এর ১০ মিনিট আগেই চট্টগ্রাম আবাহনীর এক বিদেশি লাল কার্ড দেখলেন। এই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছে মোহামেডান। চট্টগ্রাম আবাহনীকে জয়ের জন্য মরিয়া দেখা যায়নি। যে দলের স্ট্রাইকার গোলরক্ষককে একা পেয়েও লক্ষ্যভেদের চেষ্টা না করে পাস দেওয়ার জন্য সতীর্থ কাউকে খোঁজেন, সেই দল পয়েন্ট পাবে কী করে?
মোহামেডানের সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় এখন একটা জয়ই দলটির কাছে বিরাট কিছু। সেই জয় যে দলের বিপক্ষেই আসুক না কেন! চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে এবার তো ঢাকা মোহামেডানের কোনো পার্থক্য নেই। দুদলের খেলোয়াড় তালিকাই সেটা বলে দিচ্ছে।
তবে নিজেদের সামর্থ্যটা অনুযায়ী ভালোই খেলেছে মোহামেডান। বড় সমস্যা—দক্ষ গোলদাতার অভাব। দলীয় সমন্বয়েও সমস্যা রয়ে গেছে। আস্তে আস্তে তা হয়তো কাটিয়ে উঠতে পারবে মোহামেডান, কিন্তু বড় দলের সঙ্গেই তাদের বড় পরীক্ষা।
মোহামেডানের সবচেয়ে বড় শক্তি কোচ শফিকুল ইসলাম। বরাবরই দলকে নিয়ে আশাবাদী শফিকুল ম্যাচের পর বললেন, ‘জয়টা আমাদের জন্য বড় উদ্দীপনা। জয় দিয়ে শুরু করতে চেয়েছিলাম, সেটি পেরেছি। সমস্যাগুলো সামনে কাটিয়ে উঠে মোহামেডানের মতোই আমরা সামনে এগোতে চাই।’
মোহামেডান: টিটু, আরাফাত রনি (কবির), রিপন (ইয়াসিন/সোহেল), রমজান, রনি ইসলাম, এমেকা লাকি, আমানি, শরিফ, ইসমাইল, এমেকা, রিদন।
আজকের খেলা: ফেনী সকার-চট্টগ্রাম মোহামেডান (বেলা ২.৩০মি, ফেনী স্টেডিয়াম)
No comments