লক্ষ্মণ-রেখায় ভারতের আশা
মেঘকালো আকাশের কারণে খেলা আবার স্থগিত রেখে সাজঘরে যখন ফিরছিলেন, মহেন্দ্র সিং ধোনির চোখে-মুখে ছিল উজ্জ্বলতা। ভারতীয় অধিনায়কের কানে নিশ্চয়ই পৌঁছে গেছে রেকর্ডটির কথা। কোন রেকর্ড? চতুর্থ ইনিংসে ৩০০-র বেশি রান তাড়া করে ডারবানে জেতার। মাত্র দুটি উদাহরণ। একটি সেই ১৯৫০ সালের। অন্যটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকা ফেরার পর।
দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য কাজটা কঠিন, কোনো সন্দেহ নেই।
স্মিথ-পিটারসেন অবশ্য দারুণ শুরু করেছিলেন। ১২ ওভারে তুলে ফেলেছিলেন ৬৩। কিন্তু চা-বিরতির আগের ওভারে শ্রীশান্তের বলে ফিরে যান স্মিথ। চা-বিরতির পরের তৃতীয় ও চতুর্থ ওভারে পিটারসেন ও আমলাও ফিরে গেলে ৩ উইকেটে ৮২ রানে পরিণত হয় স্বাগতিকেরা।
২৯ ওভার বাকি থাকতেই দিনের খেলা শেষ হয়ে গেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার ভরসা হয়ে উইকেটে আছেন ক্যালিস ও ডি ভিলিয়ার্স। ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে এই দুজনেরই ব্যাটিং গড় ৪২-এর ওপরে। সেই সুনামটা ধরে রাখতে পারলে হয়। এরই মধ্যে চতুর্থ উইকেটে তাঁদের ২৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিটা ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে গেছে। ডি ভিলিয়ার্স হরভজন সিংকে সপাটে ছক্কা হাঁকিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়ার যন্ত্রণা তাঁকে কতটা পোড়াচ্ছে।
এই দুজনের একজন আউট হলেই উইকেটে আসবেন রানখরায় ভুগতে থাকা অ্যাশওয়েল প্রিন্স (গত ১৮ ইনিংসে দুটি ফিফটি)। মার্ক বাউচারও সেরা সময়ে নেই। সব মিলে পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা এই ম্যাচে সৌভাগ্যের কাঁটা আপাতত ভারতের দিকে।
সিরিজটাকে জমিয়ে তুলতে হলে এই ম্যাচে ভারতের জয় জরুরি। বৃষ্টি-মেঘ বাগড়া দিলেও এ ম্যাচে ফলই দেখা যাবে বলে বাজি ধরা যায়। ম্যাচের যে এখনো দুই দিন বাকি।
৪ উইকেটে ৯৪ রান নিয়ে দিন শুরু করা ভারত ৩০৩ রানের লিড আশা করেছিল বলে মনে হয় না। বিশেষ করে, আগের দিনের সঙ্গে আর এক রান যোগ করতেই যখন আউট হয়ে গেলেন চেতেশ্বর পূজারা। ধোনি লক্ষ্মণের সঙ্গে ৪৮ রানের একটা জুটি গড়েছেন বটে, কিন্তু সাত রানের ব্যবধানে অধিনায়ক ও হরজভজনের বিদায়ের পর ভারতের লিড ছিল মাত্র ২২২। কিন্তু তখনো লক্ষ্মণ ছিলেন।
চাপের মুখে লক্ষ্মণ আরেকটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন। দারুণ জুটি গড়েছেন জহির খানের সঙ্গে। ২০০৬ সালে জোহানেসবার্গ টেস্টে এমনই একটা জুটি গড়েছিলেন লক্ষ্মণ। সেবারের মতো এবারও সেঞ্চুরি শেষ পর্যন্ত পেলেন না। ক্যারিয়ারে মাত্র চতুর্থবারের মতো আউট হলেন নম্বইয়ের ঘরে।
জোহানেসবার্গের ওই টেস্টটা কিন্তু জিতেছিল ভারত!
দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য কাজটা কঠিন, কোনো সন্দেহ নেই।
স্মিথ-পিটারসেন অবশ্য দারুণ শুরু করেছিলেন। ১২ ওভারে তুলে ফেলেছিলেন ৬৩। কিন্তু চা-বিরতির আগের ওভারে শ্রীশান্তের বলে ফিরে যান স্মিথ। চা-বিরতির পরের তৃতীয় ও চতুর্থ ওভারে পিটারসেন ও আমলাও ফিরে গেলে ৩ উইকেটে ৮২ রানে পরিণত হয় স্বাগতিকেরা।
২৯ ওভার বাকি থাকতেই দিনের খেলা শেষ হয়ে গেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার ভরসা হয়ে উইকেটে আছেন ক্যালিস ও ডি ভিলিয়ার্স। ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে এই দুজনেরই ব্যাটিং গড় ৪২-এর ওপরে। সেই সুনামটা ধরে রাখতে পারলে হয়। এরই মধ্যে চতুর্থ উইকেটে তাঁদের ২৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিটা ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে গেছে। ডি ভিলিয়ার্স হরভজন সিংকে সপাটে ছক্কা হাঁকিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়ার যন্ত্রণা তাঁকে কতটা পোড়াচ্ছে।
এই দুজনের একজন আউট হলেই উইকেটে আসবেন রানখরায় ভুগতে থাকা অ্যাশওয়েল প্রিন্স (গত ১৮ ইনিংসে দুটি ফিফটি)। মার্ক বাউচারও সেরা সময়ে নেই। সব মিলে পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা এই ম্যাচে সৌভাগ্যের কাঁটা আপাতত ভারতের দিকে।
সিরিজটাকে জমিয়ে তুলতে হলে এই ম্যাচে ভারতের জয় জরুরি। বৃষ্টি-মেঘ বাগড়া দিলেও এ ম্যাচে ফলই দেখা যাবে বলে বাজি ধরা যায়। ম্যাচের যে এখনো দুই দিন বাকি।
৪ উইকেটে ৯৪ রান নিয়ে দিন শুরু করা ভারত ৩০৩ রানের লিড আশা করেছিল বলে মনে হয় না। বিশেষ করে, আগের দিনের সঙ্গে আর এক রান যোগ করতেই যখন আউট হয়ে গেলেন চেতেশ্বর পূজারা। ধোনি লক্ষ্মণের সঙ্গে ৪৮ রানের একটা জুটি গড়েছেন বটে, কিন্তু সাত রানের ব্যবধানে অধিনায়ক ও হরজভজনের বিদায়ের পর ভারতের লিড ছিল মাত্র ২২২। কিন্তু তখনো লক্ষ্মণ ছিলেন।
চাপের মুখে লক্ষ্মণ আরেকটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন। দারুণ জুটি গড়েছেন জহির খানের সঙ্গে। ২০০৬ সালে জোহানেসবার্গ টেস্টে এমনই একটা জুটি গড়েছিলেন লক্ষ্মণ। সেবারের মতো এবারও সেঞ্চুরি শেষ পর্যন্ত পেলেন না। ক্যারিয়ারে মাত্র চতুর্থবারের মতো আউট হলেন নম্বইয়ের ঘরে।
জোহানেসবার্গের ওই টেস্টটা কিন্তু জিতেছিল ভারত!
No comments