পৌরসভা নির্বাচন
ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম মাসটি নির্বাচনী তৎপরতায় মুখর থাকবে। ২৬২টি পৌরসভায় নির্বাচন ও দুটি আসনে জাতীয় সংসদের উপনির্বাচন হবে। পৌরসভা নির্বাচন স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার অন্যতম পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা চলে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা পৌরসভার উন্নয়নে কাজ করবেন, স্থানীয় জনগণের কাছে তাঁদের জবাবদিহি হবে। গণতন্ত্রের ভিত্তি মজবুত করার জন্য এ নির্বাচনগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়া জরুরি। অন্যদিকে জাতীয় সংসদের দুটি আসনে যে উপনির্বাচন হচ্ছে, সেগুলোও তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এর আগে নির্বাচন হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। এবার হচ্ছে দলীয় সরকারের সময়। তাই এ নির্বাচনগুলো সরকারের প্রভাবমুক্তভাবে সুসম্পন্ন হয় কি না, সেদিকে সবার নজর থাকবে।
সম্প্রতি বিভিন্ন পৌরসভার ৩০ জন মেয়র পদপ্রার্থী নির্বাচন কমিশনে (ইসি) অভিযোগ করেছেন যে তাঁদের এলাকায় সরকারি দলের সমর্থিত প্রার্থীরা প্রশাসনকে প্রভাবিত করছেন। তাঁরা ইসির কাছে প্রতিকার হিসেবে সেনা মোতায়েনের আবেদন জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি। সেনা মোতায়েন মূল কথা নয়। আসল কথা হচ্ছে, সরকারি দল-সমর্থিত প্রার্থীরা যেন প্রশাসনকে ব্যবহার করতে না পারেন, তা নিশ্চিত করা। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন যথেষ্ট সচেতন ও সক্রিয় রয়েছে, তা বলা চলে। তবে সরকারকে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
পরশুরামে সরকারি দল-সমর্থিত প্রার্থীর বাসভবনে বেশির ভাগ নির্বাচনী কর্মকর্তাকে দাওয়াত করে খাওয়ানোর যে অভিযোগ উঠেছে, তা অবিলম্বে তদন্ত করে দেখা দরকার। কোনো প্রার্থীর বাসভবনে যদি নির্বাচনী কর্মকর্তা দাওয়াত খেতে যান, তাহলে নির্বাচন প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই তদন্ত সাপেক্ষে তাঁদের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
নির্বাচনের এ মাসটি সরকারের জন্য এক বিরাট পরীক্ষা। দুই বছর আগে জাতীয় নির্বাচনে জনগণ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এ সরকারকে ক্ষমতায় এনেছিল। কালের আবর্তে সরকারের জনপ্রিয়তার হ্রাস-বৃদ্ধি কতটা হয়েছে, তার একটা পরিমাপ এ নির্বাচনের ফলাফল থেকে পাওয়া যাবে। পৌরসভা নির্বাচনগুলো যদিও দলীয় রাজনৈতিক পরিচয়ে হবে না, তা সত্ত্বেও এসব নির্বাচনের ফলাফলকে সরকার ও বিরোধী দলের সমর্থকদের জয়-পরাজয় হিসেবেই দেখা হয়। তাই উভয় পক্ষই নির্বাচনে জয়লাভের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করবে।
সরকারের মনোভাব এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন কমিশন যদি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, সরকার যদি প্রশাসনের ওপর প্রভাব বিস্তার না করে, তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। মানুষের কাছেও নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকবে না। যদি এটা সম্ভব হয়, তাহলেই কেবল বলা যাবে যে সরকার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। কোন দলের সমর্থিত প্রার্থী কতটি পদে নির্বাচিত হয়েছেন, সে বিষয়টি তখন গৌণ হয়ে পড়বে।
নির্বাচন কমিশন এখন আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। এটা গণতন্ত্রের অগ্রগতিরই সুফল। এখন আর কোনো প্রার্থী আগের মতো লোকলশকর নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যেতে পারেন না। নির্বাচনী ‘শোডাউন’ এখন আর চলে না। আমরা আশা করব, এই ধারাটি অব্যাহত রাখার জন্য সব দল ও প্রার্থী সচেষ্ট থাকবেন। তাহলে আসন্ন নির্বাচনগুলো আমাদের গণতন্ত্রকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেবে।
সম্প্রতি বিভিন্ন পৌরসভার ৩০ জন মেয়র পদপ্রার্থী নির্বাচন কমিশনে (ইসি) অভিযোগ করেছেন যে তাঁদের এলাকায় সরকারি দলের সমর্থিত প্রার্থীরা প্রশাসনকে প্রভাবিত করছেন। তাঁরা ইসির কাছে প্রতিকার হিসেবে সেনা মোতায়েনের আবেদন জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি। সেনা মোতায়েন মূল কথা নয়। আসল কথা হচ্ছে, সরকারি দল-সমর্থিত প্রার্থীরা যেন প্রশাসনকে ব্যবহার করতে না পারেন, তা নিশ্চিত করা। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন যথেষ্ট সচেতন ও সক্রিয় রয়েছে, তা বলা চলে। তবে সরকারকে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
পরশুরামে সরকারি দল-সমর্থিত প্রার্থীর বাসভবনে বেশির ভাগ নির্বাচনী কর্মকর্তাকে দাওয়াত করে খাওয়ানোর যে অভিযোগ উঠেছে, তা অবিলম্বে তদন্ত করে দেখা দরকার। কোনো প্রার্থীর বাসভবনে যদি নির্বাচনী কর্মকর্তা দাওয়াত খেতে যান, তাহলে নির্বাচন প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই তদন্ত সাপেক্ষে তাঁদের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
নির্বাচনের এ মাসটি সরকারের জন্য এক বিরাট পরীক্ষা। দুই বছর আগে জাতীয় নির্বাচনে জনগণ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এ সরকারকে ক্ষমতায় এনেছিল। কালের আবর্তে সরকারের জনপ্রিয়তার হ্রাস-বৃদ্ধি কতটা হয়েছে, তার একটা পরিমাপ এ নির্বাচনের ফলাফল থেকে পাওয়া যাবে। পৌরসভা নির্বাচনগুলো যদিও দলীয় রাজনৈতিক পরিচয়ে হবে না, তা সত্ত্বেও এসব নির্বাচনের ফলাফলকে সরকার ও বিরোধী দলের সমর্থকদের জয়-পরাজয় হিসেবেই দেখা হয়। তাই উভয় পক্ষই নির্বাচনে জয়লাভের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করবে।
সরকারের মনোভাব এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন কমিশন যদি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, সরকার যদি প্রশাসনের ওপর প্রভাব বিস্তার না করে, তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। মানুষের কাছেও নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকবে না। যদি এটা সম্ভব হয়, তাহলেই কেবল বলা যাবে যে সরকার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। কোন দলের সমর্থিত প্রার্থী কতটি পদে নির্বাচিত হয়েছেন, সে বিষয়টি তখন গৌণ হয়ে পড়বে।
নির্বাচন কমিশন এখন আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। এটা গণতন্ত্রের অগ্রগতিরই সুফল। এখন আর কোনো প্রার্থী আগের মতো লোকলশকর নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যেতে পারেন না। নির্বাচনী ‘শোডাউন’ এখন আর চলে না। আমরা আশা করব, এই ধারাটি অব্যাহত রাখার জন্য সব দল ও প্রার্থী সচেষ্ট থাকবেন। তাহলে আসন্ন নির্বাচনগুলো আমাদের গণতন্ত্রকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেবে।
No comments