আফগান যুদ্ধকৌশল বদলাবে না যুক্তরাষ্ট্র: ওবামা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বগৃহীত যুদ্ধকৌশল পাল্টানো দরকার আছে বলে তাঁর সরকার মনে করছে না। ওই দুটি দেশের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র যে কৌশল গ্রহণ করেছে, সেটাই আপাতত বহাল থাকবে। আফগানিস্তান-পাকিস্তান বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি ব্যাখ্যা করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সিনেট এবং প্রতিনিধি পরিষদে পাঠানো এক চিঠিতে ওবামা এ কথা বলেন। গত সোমবার হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে ওই চিঠি গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করা হয়।
চিঠিতে ওবামা বলেন, ‘গত ডিসেম্বরে যে কৌশল নীতি নেওয়া হয়েছিল, আমরা সেটাই অনুসরণ করছি। আমরা মনে করি, আপাতত সে নীতি পরিবর্তন বা পরিবর্ধনের দরকার নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের ব্যাপারে কংগ্রেস যে নীতি অনুসরণ করে এগোচ্ছে, আমি চাই আমাদের দেশের স্বার্থে ওই নীতির সফল বাস্তবায়ন হোক।’
গত ডিসেম্বরে ওবামা প্রশাসন আফগানিস্তানে অতিরিক্ত ৩০ হাজার সেনা পাঠানোর এবং ২০১১ সালের জুলাইয়ে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়। আগামী ডিসেম্বর মাসে হোয়াইট হাউসের ওই যুদ্ধকৌশল-সংক্রান্ত একটি পর্যালোচনা প্রতিবেদন মার্কিন কংগ্রেসে উপস্থাপন করার কথা।
সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে, ওবামার আফগানিস্তান ও পাকিস্তানবিষয়ক যুদ্ধকৌশল নীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী ও সরকারের অভ্যন্তরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্ট-এর সাংবাদিক বব উডওয়ার্ড তাঁর সর্বশেষ বইয়ে দাবি করেছেন, এ নীতি নিয়ে ওবামা প্রশাসন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে।
বারাক ওবামা বলেছেন, ডেভিড পেট্রাউসের নিয়োগের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তান নীতিতে ইতিমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে। মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের সাবেক প্রধান পেট্রাউসকে গত জুলাই মাসে আফগানিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন বাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ করা হয়।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস সম্প্রতি ওবামার নীতি সমর্থন করে বলেছেন, তাঁর বিশ্বাস, আফগানিস্তানবিষয়ক নীতি যথেষ্ট কার্যকর এবং ব্যক্তিগতভাবে এ বিষয়ে তিনি ওবামার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন না। একই সঙ্গে ওই নীতি নিয়ে মার্কিন প্রশাসনে কোনো বিভেদ থাকার কথাও তিনি অস্বীকার করেন।
ওবামার ওই যুদ্ধকৌশলের আওতায় ন্যাটো বাহিনীর আফগানিস্তানের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলীয় শহরগুলো থেকে তালেবান জঙ্গিদের হটিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। একই সঙ্গে আফগান সেনাদের এমনভাবে প্রশিক্ষিত করে তোলার চেষ্টা করা হবে, যাতে ২০১১ সালের জুলাইয়ে সেখান থেকে নির্বিঘ্নে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার সম্ভব হয়।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস ও শীর্ষস্থানীয় কমান্ডাররা বলেছেন, আফগানিস্তানে তাঁরা শান্তিশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম হয়েছেন। সেখানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীতে দেড় লাখ বিদেশি সেনা মোতায়েন রয়েছে।
জাপানি-আমেরিকান সেনাদের সম্মাননা: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানি বংশোদ্ভূত যেসব আমেরিকান সেনা যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে ইউরোপ ও এশিয়ায় লড়াই করেছে, তাদের যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা কংগ্রেশনাল স্বর্ণপদক দেওয়ার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার গতকাল মঙ্গলবার একটি আইনে সই করার কথা। এ আইনের মাধ্যমে ‘নিসেই সেনা’ নামে পরিচিত জাপানি বংশোদ্ভূত আমেরিকান সেনাদের আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। নিসেই সেনাদের নামে যৌথভাবে ওই পদক দেওয়া হবে। পদকটি ওয়াশিংটনের ক্যাটো ইনস্টিটিউটে প্রদর্শনের জন্য রাখা হবে।
চিঠিতে ওবামা বলেন, ‘গত ডিসেম্বরে যে কৌশল নীতি নেওয়া হয়েছিল, আমরা সেটাই অনুসরণ করছি। আমরা মনে করি, আপাতত সে নীতি পরিবর্তন বা পরিবর্ধনের দরকার নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের ব্যাপারে কংগ্রেস যে নীতি অনুসরণ করে এগোচ্ছে, আমি চাই আমাদের দেশের স্বার্থে ওই নীতির সফল বাস্তবায়ন হোক।’
গত ডিসেম্বরে ওবামা প্রশাসন আফগানিস্তানে অতিরিক্ত ৩০ হাজার সেনা পাঠানোর এবং ২০১১ সালের জুলাইয়ে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়। আগামী ডিসেম্বর মাসে হোয়াইট হাউসের ওই যুদ্ধকৌশল-সংক্রান্ত একটি পর্যালোচনা প্রতিবেদন মার্কিন কংগ্রেসে উপস্থাপন করার কথা।
সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে, ওবামার আফগানিস্তান ও পাকিস্তানবিষয়ক যুদ্ধকৌশল নীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী ও সরকারের অভ্যন্তরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্ট-এর সাংবাদিক বব উডওয়ার্ড তাঁর সর্বশেষ বইয়ে দাবি করেছেন, এ নীতি নিয়ে ওবামা প্রশাসন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে।
বারাক ওবামা বলেছেন, ডেভিড পেট্রাউসের নিয়োগের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তান নীতিতে ইতিমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে। মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের সাবেক প্রধান পেট্রাউসকে গত জুলাই মাসে আফগানিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন বাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ করা হয়।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস সম্প্রতি ওবামার নীতি সমর্থন করে বলেছেন, তাঁর বিশ্বাস, আফগানিস্তানবিষয়ক নীতি যথেষ্ট কার্যকর এবং ব্যক্তিগতভাবে এ বিষয়ে তিনি ওবামার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন না। একই সঙ্গে ওই নীতি নিয়ে মার্কিন প্রশাসনে কোনো বিভেদ থাকার কথাও তিনি অস্বীকার করেন।
ওবামার ওই যুদ্ধকৌশলের আওতায় ন্যাটো বাহিনীর আফগানিস্তানের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলীয় শহরগুলো থেকে তালেবান জঙ্গিদের হটিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। একই সঙ্গে আফগান সেনাদের এমনভাবে প্রশিক্ষিত করে তোলার চেষ্টা করা হবে, যাতে ২০১১ সালের জুলাইয়ে সেখান থেকে নির্বিঘ্নে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার সম্ভব হয়।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস ও শীর্ষস্থানীয় কমান্ডাররা বলেছেন, আফগানিস্তানে তাঁরা শান্তিশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম হয়েছেন। সেখানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীতে দেড় লাখ বিদেশি সেনা মোতায়েন রয়েছে।
জাপানি-আমেরিকান সেনাদের সম্মাননা: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানি বংশোদ্ভূত যেসব আমেরিকান সেনা যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে ইউরোপ ও এশিয়ায় লড়াই করেছে, তাদের যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা কংগ্রেশনাল স্বর্ণপদক দেওয়ার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার গতকাল মঙ্গলবার একটি আইনে সই করার কথা। এ আইনের মাধ্যমে ‘নিসেই সেনা’ নামে পরিচিত জাপানি বংশোদ্ভূত আমেরিকান সেনাদের আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। নিসেই সেনাদের নামে যৌথভাবে ওই পদক দেওয়া হবে। পদকটি ওয়াশিংটনের ক্যাটো ইনস্টিটিউটে প্রদর্শনের জন্য রাখা হবে।
No comments