আবার নদী দখল -নিজেদের অস্তিত্বের স্বার্থেই নদী বাঁচাতে হবে
বাংলাদেশের অর্থনীতি, কৃষি ও জীবন-জীবিকার জীবনীশক্তির উৎস নদ-নদী। সেই নদ-নদী দখল আর ভয়াবহ দূষণের শিকার হয়ে আশপাশের এলাকার মানুষের বসবাসযোগ্যতা ও সমৃদ্ধির সম্ভাবনাকে হুমকির মুখে ফেলছে। এতে মারাত্মক হুমকিতে পড়ছে জনজীবন। তাই নদী রক্ষায় অবহেলা অথবা সময়ক্ষেপণের পরিণতি হবে ভয়াবহ।
অথচ আমরা দেখতে পাচ্ছি, শীতলক্ষ্যা নদী দখল ও ভরাট করে তৈরি ১০ একর জায়গা বছর দেড়েক আগে উদ্ধার করা হলেও এখন আবার পুরো দখল হয়ে গেছে। প্রভাবশালীরা বালু ও পাথরব্যবসার জন্য নদী দখল করেছে, অথচ যথাযথ কর্তৃপক্ষের কোনো হদিস নেই। প্রথম আলোর গত মঙ্গলবারের একটি প্রতিবেদন জানাচ্ছে, কাঁচপুর সেতু এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর দখল করা জায়গায় সরকারি দলের থানা পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আবারও এই ব্যবসা শুরু করা হয়েছে। এ ছাড়া কাঁচপুর সেতুর পশ্চিম অংশে দুই পাশে শিমরাইল, আটি, জোকা ও কাঁচপুর মৌজায় নদীর মাঝামাঝি পর্যন্ত অংশ ভরাট করা হয়েছে। সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার হলো, সেতুর শিমরাইল প্রান্তে নদীর জায়গায় বিআইডব্লিউটিএ টার্মিনাল ও জেটি নির্মাণ করছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে নদী রক্ষার ব্যাপারে এটি সচেতন থাকবে, সেটাই প্রত্যাশিত ছিল।
ঢাকা বিশ্বের অন্যতম জনবহুল নগর। প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ বাড়ছে এই নগরে। এই বিপুল জনসংখ্যার খাওয়ার পানি সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ, আগামী দিনগুলোতে তা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। পানির এই চাহিদা মেটাতে আশপাশের নদীগুলোর ওপর নির্ভর না করে উপায় নেই। ঢাকা ও আশপাশের নদীগুলো দখলমুক্ত করার ব্যাপারে হাইকোর্টের নির্দেশ এবং সরকারের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও এভাবে আবার দখল হয়ে যাওয়ার ঘটনা তাই অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
নদী ভরাট বা দখল সারা দেশে যেভাবে ঘটে চলেছে, সে অবস্থা জারি থাকলে অচিরেই নদীগুলোর বড় অংশই দখল হয়ে যাবে। এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে সুপেয় পানি ও কৃষিকাজে সেচের ওপর; মৎস্যসম্পদ বিপন্ন হবে। বর্ষা মৌসুমে বন্যার প্রভাব বৃদ্ধি এবং কোনো কোনো অঞ্চলে শুষ্ক মৌসুমে মরুকরণের আশঙ্কা বেড়ে যাবে বহুগুণে।
নদী রক্ষায় আইন আছে, আইনের ফাঁকফোকরও আছে। আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের অভাবেই আজ নদীগুলোর করুণ দশা। একের পর এক সরকার আইন বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে। নদী রক্ষার দায়িত্ব পুরোপুরিভাবে কাদের ওপর বর্তায়, সে বিষয়টিও পুরোপরি স্পষ্ট নয়। তাই আমরা বহুদিন ধরে একটি নদী কমিশন/কর্তৃপক্ষ গঠন করার দাবি জানিয়ে আসছি, যাদের মূল দায়িত্ব হবে নদী রক্ষায় কাজ করা।
নদী দখলদারদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে অভিযান শুরু করা জরুরি। দখলদার যে-ই হোক, যত প্রভাবশালীই হোক, তাদের উচ্ছেদ করে নিজেদের অস্তিত্বের স্বার্থেই নদীকে বাঁচাতে হবে। এ জন্য আইনের বাস্তবায়ন যেমন জরুরি, তেমনি জরুরি জনগণকে সম্পৃক্ত করা; সরকার, রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী, সুশীল সমাজ—সবাই মিলে একসঙ্গে নদী রক্ষায় এগিয়ে আসা।
অথচ আমরা দেখতে পাচ্ছি, শীতলক্ষ্যা নদী দখল ও ভরাট করে তৈরি ১০ একর জায়গা বছর দেড়েক আগে উদ্ধার করা হলেও এখন আবার পুরো দখল হয়ে গেছে। প্রভাবশালীরা বালু ও পাথরব্যবসার জন্য নদী দখল করেছে, অথচ যথাযথ কর্তৃপক্ষের কোনো হদিস নেই। প্রথম আলোর গত মঙ্গলবারের একটি প্রতিবেদন জানাচ্ছে, কাঁচপুর সেতু এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর দখল করা জায়গায় সরকারি দলের থানা পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আবারও এই ব্যবসা শুরু করা হয়েছে। এ ছাড়া কাঁচপুর সেতুর পশ্চিম অংশে দুই পাশে শিমরাইল, আটি, জোকা ও কাঁচপুর মৌজায় নদীর মাঝামাঝি পর্যন্ত অংশ ভরাট করা হয়েছে। সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার হলো, সেতুর শিমরাইল প্রান্তে নদীর জায়গায় বিআইডব্লিউটিএ টার্মিনাল ও জেটি নির্মাণ করছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে নদী রক্ষার ব্যাপারে এটি সচেতন থাকবে, সেটাই প্রত্যাশিত ছিল।
ঢাকা বিশ্বের অন্যতম জনবহুল নগর। প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ বাড়ছে এই নগরে। এই বিপুল জনসংখ্যার খাওয়ার পানি সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ, আগামী দিনগুলোতে তা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। পানির এই চাহিদা মেটাতে আশপাশের নদীগুলোর ওপর নির্ভর না করে উপায় নেই। ঢাকা ও আশপাশের নদীগুলো দখলমুক্ত করার ব্যাপারে হাইকোর্টের নির্দেশ এবং সরকারের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও এভাবে আবার দখল হয়ে যাওয়ার ঘটনা তাই অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
নদী ভরাট বা দখল সারা দেশে যেভাবে ঘটে চলেছে, সে অবস্থা জারি থাকলে অচিরেই নদীগুলোর বড় অংশই দখল হয়ে যাবে। এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে সুপেয় পানি ও কৃষিকাজে সেচের ওপর; মৎস্যসম্পদ বিপন্ন হবে। বর্ষা মৌসুমে বন্যার প্রভাব বৃদ্ধি এবং কোনো কোনো অঞ্চলে শুষ্ক মৌসুমে মরুকরণের আশঙ্কা বেড়ে যাবে বহুগুণে।
নদী রক্ষায় আইন আছে, আইনের ফাঁকফোকরও আছে। আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের অভাবেই আজ নদীগুলোর করুণ দশা। একের পর এক সরকার আইন বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে। নদী রক্ষার দায়িত্ব পুরোপুরিভাবে কাদের ওপর বর্তায়, সে বিষয়টিও পুরোপরি স্পষ্ট নয়। তাই আমরা বহুদিন ধরে একটি নদী কমিশন/কর্তৃপক্ষ গঠন করার দাবি জানিয়ে আসছি, যাদের মূল দায়িত্ব হবে নদী রক্ষায় কাজ করা।
নদী দখলদারদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে অভিযান শুরু করা জরুরি। দখলদার যে-ই হোক, যত প্রভাবশালীই হোক, তাদের উচ্ছেদ করে নিজেদের অস্তিত্বের স্বার্থেই নদীকে বাঁচাতে হবে। এ জন্য আইনের বাস্তবায়ন যেমন জরুরি, তেমনি জরুরি জনগণকে সম্পৃক্ত করা; সরকার, রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী, সুশীল সমাজ—সবাই মিলে একসঙ্গে নদী রক্ষায় এগিয়ে আসা।
No comments