একটি সিদ্ধান্ত অতঃপর
বড় সংসারই বলা যায়। দুই সন্তান, শ্বশুর-শাশুড়ি আর ননদদের নিয়ে আটজনের পরিবার। স্বামী একটি বিস্কুটের কারখানায় কাজ করতেন। ভালো আয়-রোজগার হতো। সুখেই কাটছিল বেবি চৌধুরীর সংসার। কিন্তু আচমকা এক ঝড়ে সব লন্ডভন্ড হয়ে গেল। নিমেষেই উবে গেল সব সুখ। বেবির সংসারে নেমে আসে কান্না, ক্ষুধা আর যন্ত্রণা।
২০০৮ সালের ঘটনা। মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলা হলো। ওই ঘটনায় গুরুতর আহত হন বেবি চৌধুরীর স্বামী শ্যামসুন্দর। ট্যাক্সিতে করে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় ক্ষত-বিক্ষত হন তিনি। বোমার স্প্লিন্টারে পুরো শরীর বিদ্ধ হয় তাঁর। এমনকি স্মৃতিশক্তিও হারিয়ে ফেলেন। কথা বলতে গিয়ে আসে তোতলামি।
শ্যামসুন্দরের চিকিৎসায় কিছু সরকারি সাহায্য পাওয়া গিয়েছিল। তবে তা এরই মধ্যে ফুরিয়ে গেছে। তাই স্বামীর চিকিৎসা, সন্তানদের পড়াশোনা আর সংসারের খরচের চিন্তায় বেবি চৌধুরীর এখন মাথায় হাত।
বেবি জানান, আহত হওয়ার পর থেকে তাঁর স্বামী অসহনীয় যন্ত্রণায় ভুগছেন। স্বামীর কষ্ট দেখে কান্না ধরে রাখতে পারেন না তিনি। ভাবেন, এত যন্ত্রণা পাওয়ার চেয়ে তাঁর মরে যাওয়াই ভালো। সব ভেবে একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিলেন বেবি—স্বামীকে তীব্র যন্ত্রণার হাত থেকে আজীবনের জন্য মুক্তি দেবেন তিনি। প্রিয় স্বামীকে গভীর চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিলেন। স্বামীর অনুমতি নিয়েই অবশ্য এ সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বেবি বলেন, ‘সারাক্ষণই ও (স্বামী) যন্ত্রণায় কাঁদতে থাকে। সামর্থ্য থাকলে ওকে চিকিৎসা করাতাম।’
অর্থের অভাবে নিজের হাতে স্বামীকে মেরে ফেলার জন্য স্ত্রীর সিদ্ধান্তের এ খবর রাতারাতি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ভারতের পত্রপত্রিকায় খবরটি ফলাও করে ছাপা হয়। পত্রিকায় বেবির অসহায়ত্বের খবর পড়ে অনেকেই এগিয়ে এসেছেন। বেবির স্বামীর চিকিৎসা ও তাঁর সংসারের খরচ দিতে দেশ-বিদেশ থেকে অনেকে এরই মধ্যে যোগাযোগ শুরু করেছেন।
বেবির বিশ্বাস, এখন আর তাঁদের অর্থসংকট থাকবে না। স্বামীর চিকিৎসার খরচ পেয়ে যাবেন তিনি। বেবি বলেন, ‘স্বামীকে রক্ষায় আমি আর কি-ই বা করতে পারতাম? তা ছাড়া দুই সন্তানের লেখাপড়া, ননদদের বিয়ে আর সংসারের খরচই বা কীভাবে জোগাতাম? একটা চাকরির জন্য স্বামীর বিস্কুটের কারখানায় বারবার ধরনা দিয়েছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। আবার এও ভাবি, যদি চাকরি একটা হয়েই যায়, তখন স্বামীর দেখাশোনা করবে কে?’
কৃষ্ণা হেজ নামের বিধানসভার এক সদস্য বেবিকে অর্থ সাহায্য দিয়েছেন। বেবিকে একটি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি। আবার কেউ কেউ বেবির সন্তানদের লেখাপড়ার খরচের দায়িত্ব নিয়েছেন। অনেকে মাধ্যমিক পাস বেবিকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আইনজীবীরা বলেছেন, ভারতে চিকিৎসাতীত রোগীকে মেরে ফেলা অবৈধ। দেশটির আদালত কখনো এ ধরনের পদক্ষেপের অনুমতি দেন না।
২০০৮ সালের ঘটনা। মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলা হলো। ওই ঘটনায় গুরুতর আহত হন বেবি চৌধুরীর স্বামী শ্যামসুন্দর। ট্যাক্সিতে করে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় ক্ষত-বিক্ষত হন তিনি। বোমার স্প্লিন্টারে পুরো শরীর বিদ্ধ হয় তাঁর। এমনকি স্মৃতিশক্তিও হারিয়ে ফেলেন। কথা বলতে গিয়ে আসে তোতলামি।
শ্যামসুন্দরের চিকিৎসায় কিছু সরকারি সাহায্য পাওয়া গিয়েছিল। তবে তা এরই মধ্যে ফুরিয়ে গেছে। তাই স্বামীর চিকিৎসা, সন্তানদের পড়াশোনা আর সংসারের খরচের চিন্তায় বেবি চৌধুরীর এখন মাথায় হাত।
বেবি জানান, আহত হওয়ার পর থেকে তাঁর স্বামী অসহনীয় যন্ত্রণায় ভুগছেন। স্বামীর কষ্ট দেখে কান্না ধরে রাখতে পারেন না তিনি। ভাবেন, এত যন্ত্রণা পাওয়ার চেয়ে তাঁর মরে যাওয়াই ভালো। সব ভেবে একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিলেন বেবি—স্বামীকে তীব্র যন্ত্রণার হাত থেকে আজীবনের জন্য মুক্তি দেবেন তিনি। প্রিয় স্বামীকে গভীর চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিলেন। স্বামীর অনুমতি নিয়েই অবশ্য এ সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বেবি বলেন, ‘সারাক্ষণই ও (স্বামী) যন্ত্রণায় কাঁদতে থাকে। সামর্থ্য থাকলে ওকে চিকিৎসা করাতাম।’
অর্থের অভাবে নিজের হাতে স্বামীকে মেরে ফেলার জন্য স্ত্রীর সিদ্ধান্তের এ খবর রাতারাতি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ভারতের পত্রপত্রিকায় খবরটি ফলাও করে ছাপা হয়। পত্রিকায় বেবির অসহায়ত্বের খবর পড়ে অনেকেই এগিয়ে এসেছেন। বেবির স্বামীর চিকিৎসা ও তাঁর সংসারের খরচ দিতে দেশ-বিদেশ থেকে অনেকে এরই মধ্যে যোগাযোগ শুরু করেছেন।
বেবির বিশ্বাস, এখন আর তাঁদের অর্থসংকট থাকবে না। স্বামীর চিকিৎসার খরচ পেয়ে যাবেন তিনি। বেবি বলেন, ‘স্বামীকে রক্ষায় আমি আর কি-ই বা করতে পারতাম? তা ছাড়া দুই সন্তানের লেখাপড়া, ননদদের বিয়ে আর সংসারের খরচই বা কীভাবে জোগাতাম? একটা চাকরির জন্য স্বামীর বিস্কুটের কারখানায় বারবার ধরনা দিয়েছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। আবার এও ভাবি, যদি চাকরি একটা হয়েই যায়, তখন স্বামীর দেখাশোনা করবে কে?’
কৃষ্ণা হেজ নামের বিধানসভার এক সদস্য বেবিকে অর্থ সাহায্য দিয়েছেন। বেবিকে একটি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি। আবার কেউ কেউ বেবির সন্তানদের লেখাপড়ার খরচের দায়িত্ব নিয়েছেন। অনেকে মাধ্যমিক পাস বেবিকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আইনজীবীরা বলেছেন, ভারতে চিকিৎসাতীত রোগীকে মেরে ফেলা অবৈধ। দেশটির আদালত কখনো এ ধরনের পদক্ষেপের অনুমতি দেন না।
No comments