হাইকোর্ট এসইসির দুটি আদেশ স্থগিত করেছেন
কোম্পানির প্রকৃত সম্পদমূল্য বা এনএভির ভিত্তিতে শেয়ারের বিপরীতে ঋণ বিতরণসংক্রান্ত পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) দুটি আদেশের কার্যকারিতা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে হাইকোর্ট এসইসির আদেশ কেন অবৈধ হবে না এবং ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে বাজার স্থিতিশীল রাখতে দীর্ঘ মেয়াদে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানাতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এসইসি, অর্থ মন্ত্রণালয়, ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি সৈয়দা আফসার জাহান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল সোমবার এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। আদালতে দুই রিট আবেদনকারী মুরশেদুর রহমান ও শাহনেওয়াজ জুয়েলের পক্ষে আইনজীবী শেখ ফজলে নূর তাপস ও আবুল কালাম আজাদ মামলা পরিচালনা করেন। সরকার পক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল রাশেদ জাহাঙ্গীর।
যোগাযোগ করা হলে আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, এসইসি গত ৬ ও ২১ সেপ্টেম্বর এনএভির ভিত্তিতে ঋণ বিতরণের জন্য দুটি পৃথক আদেশ জারি করে। এর একটি আদেশে বলা হয়, যেসব বিনিয়োগকারীর অতিরিক্ত ঋণ রয়েছে তাঁদের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা সমন্বয় করতে হবে। এসইসির এই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত রোববার হাইকোর্টে রিট পিটিশন করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট মার্চেন্ট ব্যাংক বা ব্রোকারেজ হাউসের গ্রাহকদের ঋণ সমন্বয়ের জন্য জোরপূর্বক (ফোর্স সেল) শেয়ার বিক্রিসংক্রান্ত বিধান স্থগিত করেন।
শেয়ারবাজারে অতিরিক্ত তারল্যপ্রবাহ কমাতে এসইসি সম্প্রতি গত ৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬ সালে প্রণীত একটি পুরোনো বিধান নতুনভাবে কার্যকর করার জন্য উদ্যোগী হয়। এই বিধানে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে তাদের গ্রাহকদের ঋণ দিতে গেলে নির্দিষ্ট সূত্র অনুসরণ করার কথা বলা হয়।
মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলো শুরু থেকেই এই নিয়মের বিরোধিতা করে এলেও এসইসি তা আমলেই নেয়নি। উপরন্তু গত ২১ সেপ্টেম্বর অপর একটি আদেশে ঋণ বিতরণের জন্য শেয়ারের মূল্য-আয় অনুপাত (পিই রেশিও) নির্ধারণের সময় সংশ্লিষ্ট কোম্পানির প্রধান ব্যবসা ছাড়া অন্য কোনো খাত থেকে অর্জিত আয়কে বিবেচনায় নেওয়া যাবে না বলে জানায় এসইসি।
একই সঙ্গে বলা হয়, শেয়ারের বিপরীতে প্রাপ্য ঋণের পরিমাণ নির্ধারণে কোম্পানির সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনের (ত্রৈমাসিক/অর্ধবার্ষিক/বার্ষিক) এনএভির তথ্য ব্যবহার করতে হবে। তবে কোনো কোম্পানি সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন করলে অতিরিক্ত সম্পদমূল্য এই হিসাবে আসবে না।
ডিএসইর সিইওকে ভর্ৎসনা: এনএভিভিত্তিকে কোন কোন কোম্পানির শেয়ার ঋণসুবিধার আওতায় থাকবে সেই তালিকা প্রকাশে ভুল করায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সতীপতী মৈত্রকে ভর্ৎসনা করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার তাঁকে এসইসির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে ভুল তালিকা প্রকাশের কারণ জানতে চাইলে তিনি নিজের মতো করে ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু এসইসি তাঁর ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হয়ে দ্রুত ভুল সংশোধনের নির্দেশ দেন।
এসইসি সম্প্রতি ডিএসইকে এনএভির ভিত্তিতে কোন কোন কোম্পানি ঋণ পাবে তার তালিকা তৈরির দায়িত্ব দিয়েছিল। কিন্তু সংস্থাটি একই বিষয়ে গত তিন দিনে তিন রকম তালিকা প্রকাশ করে। প্রথম তালিকায় ঋণ পাওয়ার যোগ্য শেয়ার দেখানো হয় ১৩৯টি, দ্বিতীয় তালিকায় ১১২টি, সর্বশেষ তালিকায় ১৩৬টি।
এনএভি সূত্র অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রথম তালিকাটি কিছুটা সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকলেও গত শনিবার প্রকাশিত সংশোধিত তালিকায় প্রাপ্য ঋণের পরিমাণ দেখানো হয় তারও অর্ধেক। গকতাল সোমবার এ তালিকাটি প্রত্যাহার করে আবার প্রথমটি প্রকাশ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে এসইসির চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খন্দকার বলেন, সর্বশেষ প্রকাশিত তালিকাটি এসইসির নির্দেশনা মেনে করা হয়নি। সেই জন্য ডিএসইর সিইওকে ডেকে তা সংশোধন করতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে হাইকোর্ট এসইসির আদেশ কেন অবৈধ হবে না এবং ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে বাজার স্থিতিশীল রাখতে দীর্ঘ মেয়াদে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানাতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এসইসি, অর্থ মন্ত্রণালয়, ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি সৈয়দা আফসার জাহান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল সোমবার এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। আদালতে দুই রিট আবেদনকারী মুরশেদুর রহমান ও শাহনেওয়াজ জুয়েলের পক্ষে আইনজীবী শেখ ফজলে নূর তাপস ও আবুল কালাম আজাদ মামলা পরিচালনা করেন। সরকার পক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল রাশেদ জাহাঙ্গীর।
যোগাযোগ করা হলে আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, এসইসি গত ৬ ও ২১ সেপ্টেম্বর এনএভির ভিত্তিতে ঋণ বিতরণের জন্য দুটি পৃথক আদেশ জারি করে। এর একটি আদেশে বলা হয়, যেসব বিনিয়োগকারীর অতিরিক্ত ঋণ রয়েছে তাঁদের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা সমন্বয় করতে হবে। এসইসির এই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত রোববার হাইকোর্টে রিট পিটিশন করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট মার্চেন্ট ব্যাংক বা ব্রোকারেজ হাউসের গ্রাহকদের ঋণ সমন্বয়ের জন্য জোরপূর্বক (ফোর্স সেল) শেয়ার বিক্রিসংক্রান্ত বিধান স্থগিত করেন।
শেয়ারবাজারে অতিরিক্ত তারল্যপ্রবাহ কমাতে এসইসি সম্প্রতি গত ৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬ সালে প্রণীত একটি পুরোনো বিধান নতুনভাবে কার্যকর করার জন্য উদ্যোগী হয়। এই বিধানে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে তাদের গ্রাহকদের ঋণ দিতে গেলে নির্দিষ্ট সূত্র অনুসরণ করার কথা বলা হয়।
মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলো শুরু থেকেই এই নিয়মের বিরোধিতা করে এলেও এসইসি তা আমলেই নেয়নি। উপরন্তু গত ২১ সেপ্টেম্বর অপর একটি আদেশে ঋণ বিতরণের জন্য শেয়ারের মূল্য-আয় অনুপাত (পিই রেশিও) নির্ধারণের সময় সংশ্লিষ্ট কোম্পানির প্রধান ব্যবসা ছাড়া অন্য কোনো খাত থেকে অর্জিত আয়কে বিবেচনায় নেওয়া যাবে না বলে জানায় এসইসি।
একই সঙ্গে বলা হয়, শেয়ারের বিপরীতে প্রাপ্য ঋণের পরিমাণ নির্ধারণে কোম্পানির সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনের (ত্রৈমাসিক/অর্ধবার্ষিক/বার্ষিক) এনএভির তথ্য ব্যবহার করতে হবে। তবে কোনো কোম্পানি সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন করলে অতিরিক্ত সম্পদমূল্য এই হিসাবে আসবে না।
ডিএসইর সিইওকে ভর্ৎসনা: এনএভিভিত্তিকে কোন কোন কোম্পানির শেয়ার ঋণসুবিধার আওতায় থাকবে সেই তালিকা প্রকাশে ভুল করায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সতীপতী মৈত্রকে ভর্ৎসনা করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার তাঁকে এসইসির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে ভুল তালিকা প্রকাশের কারণ জানতে চাইলে তিনি নিজের মতো করে ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু এসইসি তাঁর ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হয়ে দ্রুত ভুল সংশোধনের নির্দেশ দেন।
এসইসি সম্প্রতি ডিএসইকে এনএভির ভিত্তিতে কোন কোন কোম্পানি ঋণ পাবে তার তালিকা তৈরির দায়িত্ব দিয়েছিল। কিন্তু সংস্থাটি একই বিষয়ে গত তিন দিনে তিন রকম তালিকা প্রকাশ করে। প্রথম তালিকায় ঋণ পাওয়ার যোগ্য শেয়ার দেখানো হয় ১৩৯টি, দ্বিতীয় তালিকায় ১১২টি, সর্বশেষ তালিকায় ১৩৬টি।
এনএভি সূত্র অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রথম তালিকাটি কিছুটা সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকলেও গত শনিবার প্রকাশিত সংশোধিত তালিকায় প্রাপ্য ঋণের পরিমাণ দেখানো হয় তারও অর্ধেক। গকতাল সোমবার এ তালিকাটি প্রত্যাহার করে আবার প্রথমটি প্রকাশ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে এসইসির চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খন্দকার বলেন, সর্বশেষ প্রকাশিত তালিকাটি এসইসির নির্দেশনা মেনে করা হয়নি। সেই জন্য ডিএসইর সিইওকে ডেকে তা সংশোধন করতে বলা হয়েছে।
No comments