ব্যথা কি ছাড়বে তামিমকে
একটু কি মোটা হয়ে গেলেন?
রসিকতা মেশানো প্রশ্নের উত্তরে পাল্টা রসিকতা তামিম ইকবালের, ‘আগামী কদিন প্রচুর দৌড়াতে হবে। তাই ভালোভাবে খেয়ে নিলাম। দৌড়ালে তো ওজন কমবে...।’
মেলবোর্ন থেকে হাতের অস্ত্রোপচার করিয়ে পরশু রাতে দেশে ফেরা তামিম কাল দুপুরের আগেই হাজির মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। সতীর্থদের সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যের সঙ্গে বিসিবিতে একটা কাজও ছিল। অস্ত্রোপচারের পর অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া বিসিবির চিকিৎসক দেবাশিস চৌধুরী ও জাতীয় দলের ফিজিও মাইক হেনরির সঙ্গে বসে বুঝে নিয়েছেন পুনর্বাসন-প্রক্রিয়া। মনের মধ্যে আশা, সবকিছু ঠিকঠাক চললে অস্ট্রেলিয়ান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের বেঁধে দেওয়া আট সপ্তাহের আগেই হয়তো অনুশীলনে ফিরবেন। অস্ত্রোপচার পুরোপুরি ব্যথামুক্ত হওয়ার নিশ্চয়তা না দিলেও রসিকতা করার মতো নির্ভার তো থাকতেই পারেন তামিম।
হাতের চোটটা তামিমের কাছে ছিল জুতার মধ্যে আটকে থাকা পাথরের টুকরোর মতো। যা নিয়ে জুতা পরে হাঁটা যায়, তবে স্বচ্ছন্দে হাঁটতে হলে একসময় না একসময় পাথরটা বের করতেই হয়। সেই ‘পাথরের টুকরো’ বেরিয়ে যাওয়ায় তামিম এখন অনেকটাই নিশ্চিন্ত, ‘অস্ত্রোপচারের পর থেকে আমি দিনে দিনে অবস্থার উন্নতি দেখছি। আমার বিশ্বাস, খুব তাড়াতাড়িই সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে। সুস্থ হতে দুই মাসের মতো লাগবে বলেছেন ডাক্তার। এরপর সফট বলে অনুশীলন শুরু করব। তবে ব্যাপারটা নির্ভর করছে আমি কত তাড়াতাড়ি সেরে উঠি। যত তাড়াতাড়ি সেরে উঠব, তত তাড়াতাড়ি মাঠে ফিরব।’
বাঁ হাতের মধ্যমার নিচের হাড়ে তামিম প্রথম চোট পান গত জানুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে সিরিজে, চট্টগ্রামে। এর পর থেকে ব্যথা নিয়েই খেলেছেন। তাঁর দুর্ভাগ্য, গত এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে ফিল্ডিং করার সময় আবার চোট পান সেই একই জায়গায়। ইংল্যান্ডে গত টেস্ট সিরিজের সময় ব্যথাটা আরও বেশি মাথা চাড়া দিয়ে উঠলে সেখানেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখিয়েছিলেন। চিকিৎসক বলেছিলেন, অস্ত্রোপচার করলে ভালো, তবে এই ব্যথা নিয়েও খেলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব। কিন্তু হাতের ব্যথার সঙ্গে তামিমের মনেও যে একটা খচখচানি ছিল! এ ধরনের ইনজুরির চিকিৎসা অস্ট্রেলিয়ায় ভালো হয়। অস্ত্রোপচার লাগুক না-লাগুক, একবার সেখানে গিয়ে কাউকে দেখিয়ে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করলে বিসিবি গত ১ সেপ্টেম্বর তামিমকে অস্ট্রেলিয়া পাঠায়। সিডনিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখানোর পর মেলবোর্নে চিকিৎসক গ্রেগ হয়ের শরণাপন্ন হন তিনি। গত ১৩ সেপ্টেম্বর এই গ্রেগ হয়ই অস্ত্রোপচার করে তামিমের হাতের হাড়ের ভাঙা টুকরাটি সরান। শুধু ভাঙা হাড়ই নয়, ওই হাড় যে হাড়ের সঙ্গে গিয়ে মিলেছে সেটারও কিছু অংশ কেটে ফেলতে হওয়ায় অস্ত্রোপচারের জায়গাটা আর কখনো ভরাট হবে না বলে জানা গেল চিকিৎসক দেবাশিসের কাছ থেকে।
এ ধরনের অস্ত্রোপচার বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের জন্য নতুন বলে তামিমের পুনর্বাসন-প্রক্রিয়া বুঝে আসতে বিসিবি অস্ট্রেলিয়া পাঠিয়েছিল দেবাশিসকেও। গ্রেগ হয়ের কাছে সব বুঝে এসে পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হওয়ার মতো সুসংবাদ কিন্তু দিচ্ছেন না তিনি। কাল তামিমের পাশে দাঁড়িয়েই জানালেন, অস্ত্রোপচার করালেও পুরোপুরি ব্যথামুক্ত না-ও হতে পারেন জাতীয় দলের ওপেনার, ‘অস্ত্রোপচারের মূল উদ্দেশ্য ছিল আঘাতের স্থানটিকে জটিলতামুক্ত করা। হাড়ের ভাঙা টুকরাটি না সরালে ভবিষ্যতে আরও বেশি জটিলতার সৃষ্টি হতে পারত।্রব্যথা দূর করার চেয়েও অস্ত্রোপচারটা তাই বেশি জরুরি ছিল জটিলতা মুক্ত করার জন্য।’ তবে আশার কথাও শোনালেন দেবাশিস, ‘আশা করি, কোনো ব্যথা থাকবে না। এমনিতে পেশাদার খেলোয়াড়দের একটু-আধটু ব্যথা থাকতেই পারে। যদি অল্প ব্যথা থাকে, সেটা তামিমের খেলার পথে কোনো সমস্যা সৃষ্টি করবে না।’
গত দুই সপ্তাহে তামিমের অবস্থার ভালোই উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। গ্রেগ হয়ও নাকি খুব আশাবাদী। পুনর্বাসন-প্রক্রিয়া ঠিকঠাকভাবে এগোলে আট সপ্তাহ পরই হালকা অনুশীলনে ফেরার কথা তামিমের। আর এই দুই মাস সময়টাকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলছেন বিসিবির চিকিৎসক। আপাতত অস্ট্রেলিয়ান চিকিৎসকের দেওয়া পুনর্বাসন-প্রক্রিয়াই অনুসরণ করা হবে তামিমের ক্ষেত্রে। তবে পরিস্থিতি
দাবি করলে তা থেকে সরেও আসতে হতে পারে বিসিবির চিকিৎসক-ফিজিওদের।
রসিকতা মেশানো প্রশ্নের উত্তরে পাল্টা রসিকতা তামিম ইকবালের, ‘আগামী কদিন প্রচুর দৌড়াতে হবে। তাই ভালোভাবে খেয়ে নিলাম। দৌড়ালে তো ওজন কমবে...।’
মেলবোর্ন থেকে হাতের অস্ত্রোপচার করিয়ে পরশু রাতে দেশে ফেরা তামিম কাল দুপুরের আগেই হাজির মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। সতীর্থদের সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যের সঙ্গে বিসিবিতে একটা কাজও ছিল। অস্ত্রোপচারের পর অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া বিসিবির চিকিৎসক দেবাশিস চৌধুরী ও জাতীয় দলের ফিজিও মাইক হেনরির সঙ্গে বসে বুঝে নিয়েছেন পুনর্বাসন-প্রক্রিয়া। মনের মধ্যে আশা, সবকিছু ঠিকঠাক চললে অস্ট্রেলিয়ান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের বেঁধে দেওয়া আট সপ্তাহের আগেই হয়তো অনুশীলনে ফিরবেন। অস্ত্রোপচার পুরোপুরি ব্যথামুক্ত হওয়ার নিশ্চয়তা না দিলেও রসিকতা করার মতো নির্ভার তো থাকতেই পারেন তামিম।
হাতের চোটটা তামিমের কাছে ছিল জুতার মধ্যে আটকে থাকা পাথরের টুকরোর মতো। যা নিয়ে জুতা পরে হাঁটা যায়, তবে স্বচ্ছন্দে হাঁটতে হলে একসময় না একসময় পাথরটা বের করতেই হয়। সেই ‘পাথরের টুকরো’ বেরিয়ে যাওয়ায় তামিম এখন অনেকটাই নিশ্চিন্ত, ‘অস্ত্রোপচারের পর থেকে আমি দিনে দিনে অবস্থার উন্নতি দেখছি। আমার বিশ্বাস, খুব তাড়াতাড়িই সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে। সুস্থ হতে দুই মাসের মতো লাগবে বলেছেন ডাক্তার। এরপর সফট বলে অনুশীলন শুরু করব। তবে ব্যাপারটা নির্ভর করছে আমি কত তাড়াতাড়ি সেরে উঠি। যত তাড়াতাড়ি সেরে উঠব, তত তাড়াতাড়ি মাঠে ফিরব।’
বাঁ হাতের মধ্যমার নিচের হাড়ে তামিম প্রথম চোট পান গত জানুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে সিরিজে, চট্টগ্রামে। এর পর থেকে ব্যথা নিয়েই খেলেছেন। তাঁর দুর্ভাগ্য, গত এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে ফিল্ডিং করার সময় আবার চোট পান সেই একই জায়গায়। ইংল্যান্ডে গত টেস্ট সিরিজের সময় ব্যথাটা আরও বেশি মাথা চাড়া দিয়ে উঠলে সেখানেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখিয়েছিলেন। চিকিৎসক বলেছিলেন, অস্ত্রোপচার করলে ভালো, তবে এই ব্যথা নিয়েও খেলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব। কিন্তু হাতের ব্যথার সঙ্গে তামিমের মনেও যে একটা খচখচানি ছিল! এ ধরনের ইনজুরির চিকিৎসা অস্ট্রেলিয়ায় ভালো হয়। অস্ত্রোপচার লাগুক না-লাগুক, একবার সেখানে গিয়ে কাউকে দেখিয়ে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করলে বিসিবি গত ১ সেপ্টেম্বর তামিমকে অস্ট্রেলিয়া পাঠায়। সিডনিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখানোর পর মেলবোর্নে চিকিৎসক গ্রেগ হয়ের শরণাপন্ন হন তিনি। গত ১৩ সেপ্টেম্বর এই গ্রেগ হয়ই অস্ত্রোপচার করে তামিমের হাতের হাড়ের ভাঙা টুকরাটি সরান। শুধু ভাঙা হাড়ই নয়, ওই হাড় যে হাড়ের সঙ্গে গিয়ে মিলেছে সেটারও কিছু অংশ কেটে ফেলতে হওয়ায় অস্ত্রোপচারের জায়গাটা আর কখনো ভরাট হবে না বলে জানা গেল চিকিৎসক দেবাশিসের কাছ থেকে।
এ ধরনের অস্ত্রোপচার বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের জন্য নতুন বলে তামিমের পুনর্বাসন-প্রক্রিয়া বুঝে আসতে বিসিবি অস্ট্রেলিয়া পাঠিয়েছিল দেবাশিসকেও। গ্রেগ হয়ের কাছে সব বুঝে এসে পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হওয়ার মতো সুসংবাদ কিন্তু দিচ্ছেন না তিনি। কাল তামিমের পাশে দাঁড়িয়েই জানালেন, অস্ত্রোপচার করালেও পুরোপুরি ব্যথামুক্ত না-ও হতে পারেন জাতীয় দলের ওপেনার, ‘অস্ত্রোপচারের মূল উদ্দেশ্য ছিল আঘাতের স্থানটিকে জটিলতামুক্ত করা। হাড়ের ভাঙা টুকরাটি না সরালে ভবিষ্যতে আরও বেশি জটিলতার সৃষ্টি হতে পারত।্রব্যথা দূর করার চেয়েও অস্ত্রোপচারটা তাই বেশি জরুরি ছিল জটিলতা মুক্ত করার জন্য।’ তবে আশার কথাও শোনালেন দেবাশিস, ‘আশা করি, কোনো ব্যথা থাকবে না। এমনিতে পেশাদার খেলোয়াড়দের একটু-আধটু ব্যথা থাকতেই পারে। যদি অল্প ব্যথা থাকে, সেটা তামিমের খেলার পথে কোনো সমস্যা সৃষ্টি করবে না।’
গত দুই সপ্তাহে তামিমের অবস্থার ভালোই উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। গ্রেগ হয়ও নাকি খুব আশাবাদী। পুনর্বাসন-প্রক্রিয়া ঠিকঠাকভাবে এগোলে আট সপ্তাহ পরই হালকা অনুশীলনে ফেরার কথা তামিমের। আর এই দুই মাস সময়টাকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলছেন বিসিবির চিকিৎসক। আপাতত অস্ট্রেলিয়ান চিকিৎসকের দেওয়া পুনর্বাসন-প্রক্রিয়াই অনুসরণ করা হবে তামিমের ক্ষেত্রে। তবে পরিস্থিতি
দাবি করলে তা থেকে সরেও আসতে হতে পারে বিসিবির চিকিৎসক-ফিজিওদের।
No comments