শান্তি আলোচনা টিকিয়ে রাখতে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন দূত
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি আলোচনা যাতে ভেঙে না যায়, তা নিয়ে আলোচনার জন্য গতকাল মঙ্গলবার মধ্যপ্রাচ্য সফরে গেছেন মার্কিন দূত জর্জ মিশেল। পশ্চিম তীরে অধিকৃত ভূমিতে ইসরায়েলের বসতি স্থাপন কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় শান্তি আলোচনা নিয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস নিষেধাজ্ঞা নবায়নের দাবি জানিয়েছেন।
মধ্যপ্রাচ্য সফরে জর্জ মিশেল ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এহুদ বারাকের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া নেতানিয়াহু ও আব্বাসের সঙ্গেও তাঁর আলাদা বৈঠক করার কথা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে গত ২ সেপ্টেম্বর ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সরাসরি আলোচনা শুরু হয়। কিন্তু দুই পক্ষই নিজ নিজ অবস্থানে অনড় থাকায় আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি। এদিকে গত রোববার বসতি স্থাপনের ওপর ইসরায়েল সরকারের ১০ মাসের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়েছে।
আব্বাস বলেছেন, এ সপ্তাহে ফিলিস্তিনি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক এবং আগামী ৪ অক্টোবর আরব দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করার আগ পর্যন্ত শান্তি আলোচনা নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করবেন না তিনি। গতকাল একটি ফরাসি বেতারকেন্দ্রকে তিনি বলেন, ‘আলোচনা যত দিন চলবে অন্তত তত দিন পর্যন্ত বসতি স্থাপন কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখতে হবে। কারণ যতক্ষণ পর্যন্ত আলোচনা চলবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আশা থাকবে। আমরা আলোচনা বন্ধ রাখতে চাই না। কিন্তু বসতি স্থাপন অব্যাহত থাকলে আলোচনা থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হব আমরা।’
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ফিলিপ ক্রাউলি বলেন, ‘বসতি স্থাপন বিষয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের টেলিফোনে বিস্তারিত ও সরাসরি আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বুঝতে পেরেছেন আমরা কোন নীতিতে চলছি। আমরাও বুঝতে পেরেছি তাঁকে কী ধরনের রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলা করতে হচ্ছে। আমরা মনে করি, তিনি আসলেই শান্তি-প্রক্রিয়ার ব্যাপারে আগ্রহী।’
বসতি স্থাপনের ওপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ না বাড়ানোর ইসরায়েলি সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এর আগে ফিলিস্তিনিরা আহ্বান জানিয়েছিল, ইসরায়েল যেন নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ অন্তত তিন থেকে চার মাস বাড়ায়। যাতে সীমানা নিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে পারে দুই পক্ষ। কিন্তু নেতানিয়াহু নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন। তবে আব্বাসকে আলোচনা থেকে সরে না দাঁড়ানোরও আহ্বান জানান তিনি।
ইসরায়েলের কট্টরপন্থী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আভিগদোর লিবারম্যান বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা বজায় থাকাকালীন ফিলিস্তিনি আলোচকেরা সময় নষ্ট করেছেন। তবে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া টিকিয়ে রাখার ব্যাপারেও গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি।
আলোচনা ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি থেকে সরে না আসার জন্য আব্বাসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গাজা নিয়ন্ত্রণকারী হামাসের নেতারা। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর বসতি স্থাপন কার্যক্রম আবার শুরু করেছে ইসরায়েলিরা। কিন্তু জাতিসংঘ ইসরায়েলের সব ধরনের বসতিকে অবৈধ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
মধ্যপ্রাচ্য সফরে জর্জ মিশেল ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এহুদ বারাকের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া নেতানিয়াহু ও আব্বাসের সঙ্গেও তাঁর আলাদা বৈঠক করার কথা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে গত ২ সেপ্টেম্বর ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সরাসরি আলোচনা শুরু হয়। কিন্তু দুই পক্ষই নিজ নিজ অবস্থানে অনড় থাকায় আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি। এদিকে গত রোববার বসতি স্থাপনের ওপর ইসরায়েল সরকারের ১০ মাসের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়েছে।
আব্বাস বলেছেন, এ সপ্তাহে ফিলিস্তিনি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক এবং আগামী ৪ অক্টোবর আরব দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করার আগ পর্যন্ত শান্তি আলোচনা নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করবেন না তিনি। গতকাল একটি ফরাসি বেতারকেন্দ্রকে তিনি বলেন, ‘আলোচনা যত দিন চলবে অন্তত তত দিন পর্যন্ত বসতি স্থাপন কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখতে হবে। কারণ যতক্ষণ পর্যন্ত আলোচনা চলবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আশা থাকবে। আমরা আলোচনা বন্ধ রাখতে চাই না। কিন্তু বসতি স্থাপন অব্যাহত থাকলে আলোচনা থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হব আমরা।’
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ফিলিপ ক্রাউলি বলেন, ‘বসতি স্থাপন বিষয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের টেলিফোনে বিস্তারিত ও সরাসরি আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বুঝতে পেরেছেন আমরা কোন নীতিতে চলছি। আমরাও বুঝতে পেরেছি তাঁকে কী ধরনের রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলা করতে হচ্ছে। আমরা মনে করি, তিনি আসলেই শান্তি-প্রক্রিয়ার ব্যাপারে আগ্রহী।’
বসতি স্থাপনের ওপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ না বাড়ানোর ইসরায়েলি সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এর আগে ফিলিস্তিনিরা আহ্বান জানিয়েছিল, ইসরায়েল যেন নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ অন্তত তিন থেকে চার মাস বাড়ায়। যাতে সীমানা নিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে পারে দুই পক্ষ। কিন্তু নেতানিয়াহু নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন। তবে আব্বাসকে আলোচনা থেকে সরে না দাঁড়ানোরও আহ্বান জানান তিনি।
ইসরায়েলের কট্টরপন্থী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আভিগদোর লিবারম্যান বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা বজায় থাকাকালীন ফিলিস্তিনি আলোচকেরা সময় নষ্ট করেছেন। তবে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া টিকিয়ে রাখার ব্যাপারেও গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি।
আলোচনা ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি থেকে সরে না আসার জন্য আব্বাসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গাজা নিয়ন্ত্রণকারী হামাসের নেতারা। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর বসতি স্থাপন কার্যক্রম আবার শুরু করেছে ইসরায়েলিরা। কিন্তু জাতিসংঘ ইসরায়েলের সব ধরনের বসতিকে অবৈধ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
No comments