‘দশ’ পেরোলেন মরিনহো

দুজনের মধ্যে খুনসুটি লেগেই থাকত। তবে মুখে যা-ই বলুন, মরিনহো অন্তরে কিন্তু বর্ষীয়ান অ্যালেক্স ফার্গুসনকে শ্রদ্ধাই করেন। খানিকটা হয়তো অনুকরণও করেন। ডাগআউটে বসে নীরবে-নিশ্চুপে চুইংগাম চিবোনো ফার্গুসনীয় ট্রেডমার্ক। ইদানীং লক্ষ করা যাচ্ছে, রিয়াল মাদ্রিদের ডাগআউটে একইভাবে মুখ নড়ছে স্পেশাল ওয়ানেরও!
ফার্গুসন এখনো ম্যানইউতেই আছেন। মরিনহো সেই ২০০৭-এ চেলসি ছেড়ে ইন্টার মিলান হয়ে এখন রিয়ালে। দুজনের তাই যোজন দূরত্বে বাস। ভিন্ন দুটি দেশে ভিন্ন দুটি লিগের দুই কোচের ডাগআউটের দৃশ্য একবিন্দুতে মেলানো কঠিন। সমস্যা নেই। এবার মরিনহো নিজেই নিজেকে মেলালেন ফার্গুসনের সঙ্গে। পরশু পেশাদার কোচ হিসেবে ১০ বছর পূর্তি হলো এই পর্তুগিজের। আর এই শুভক্ষণে নিজের ভবিষ্যৎ চাওয়া হিসেবে মরিনহো জানালেন, তিনি হতে চান ‘ফার্গুসন’। কোচ হিসেবে ফার্গির মতোই লম্বা আয়ু চান, ‘আমার ধারণা, আমি হয়তো ফার্গুসন হতেই পছন্দ করব। বয়স যখন ৭০ বছর হবে, কোচিংয়ের প্রতি অনুরাগটা থাকবে একই রকম।’
স্যার ফার্গুসন ম্যানইউতেই আছেন ২৫ বছর ধরে। এই ২৫ বছরে জিতেছেন ৩০টিরও বেশি ট্রফি। দুবার জিতেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ। তবে মরিনহো ফার্গুসনের লম্বা ক্যারিয়ারটাই শুধু অনুসরণ করতে চান, সাফল্যে ছাপিয়ে যেতে চান তাঁকেও। ৪৭ বছর বয়সী মরিনহো এই ১০ বছরেই ভিন্ন তিনটি ক্লাবের হয়ে জিতেছেন ছয়টি লিগ ও দুটি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা! পোর্তো ও ইন্টার মিলানকে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতিয়ে এখন এসেছেন রিয়াল মাদ্রিদে। ইতিহাসের প্রথম কোচ হিসেবে ভিন্ন তিনটি ক্লাবের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের কীর্তি গড়ার সুযোগ তাঁর সামনে।
নিজের এই এক দশকের দিকে তাকিয়ে মরিনহো বলেছেন, ‘এই ১০টি বছর খুব দ্রুতই কেটে গেল। ১০ বছর আগে কোচিংয়ের প্রতি যেমন অনুরাগ ছিল, আমি মনে করি, সামনের ১০ বছরও সেই একই রকম আগ্রহ থাকবে।’ রিয়াল সম্পর্কে বলেছেন, ‘এই দুনিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ক্লাব এটা। এরা শীর্ষ থেকে শীর্ষে পৌঁছে যাচ্ছে। কিন্তু আমি এখানে এখনো কিছু জিতিনি। দেখা যাক, গল্পের শেষটা কেমন হয়। এটা এমন একটা গল্প, যেটা আমিও নির্মাণ করতে চাই।

No comments

Powered by Blogger.