মঙ্গলের চাঁদের সৃষ্টি বড় বিস্ফোরণ থেকে
মঙ্গল গ্রহের চাঁদ ফোবোস |
নতুন তথ্য-প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়ে একদল বিজ্ঞানী বলেছেন, মঙ্গল গ্রহের সবচেয়ে বড় চাঁদ ফোবোসের জন্ম হয়েছে বড় ধরনের বিস্ফোরণ থেকে। এ ব্যাপারে তাঁরা নির্ভরযোগ্য প্রমাণ পেয়েছেন। ইতালির রোমে সম্প্রতি একটি সম্মেলনে এ ব্যাপারে তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হয়। মঙ্গল গ্রহের চাঁদ ফোবোস ও ডিমোসের সৃষ্টির কারণ নিয়ে বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরেই ধন্দে রয়েছেন।
বিজ্ঞানীরা জানান, আগে ধারণা করা হতো, মঙ্গলের দুটি উপগ্রহই আগে গ্রহাণু ছিল এবং অন্যান্য গ্রহাণুর সঙ্গে মহাকাশে বিচরণ করত। মঙ্গলের কাছাকাছি আসার পর এর অভিকর্ষশক্তি ওই গ্রহাণু দুটিকে আটকে ফেলে এবং এরা মঙ্গলের উপগ্রহ হিসেবে রয়ে যায়। কিন্তু নতুন তথ্যপ্রমাণ থেকে জানা গেছে, মঙ্গলের পৃষ্ঠে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ইএসএ) মার্স এক্সপ্রেস নভোযানের পাঠানো তথ্যপ্রমাণ পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্তে এসেছেন বিজ্ঞানীরা। এ ব্যাপারে প্রকাশিত গবেষণাপত্রের সহলেখক ইতালির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর অ্যাস্ট্রোফিজিকসের গবেষক মার্কো গিউরানা বলেন, ‘ফোবোসের পৃষ্ঠে আমরা প্রথমবারের মতো ফাইলোসিলিকাটেস নামের এক ধরনের খনিজ পদার্থের সন্ধান পেয়েছি। এ ধরনের খনিজ মঙ্গলের পৃষ্ঠেও পাওয়া গেছে। ধারণা করা হয়, পানি সহযোগে এই খনিজ গঠিত হয়।’
বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন, ফোবোসে অন্য যেসব খনিজের সন্ধান পাওয়া গেছে, তার সঙ্গে মঙ্গলে পাওয়া খনিজের মিল বেশি। সুতরাং ফোবোস মঙ্গলের উপাদান দিয়ে গঠিত, এমন সিদ্ধান্তে আসাই যুক্তিযুক্ত বলে মত দিয়েছেন তাঁরা।
বিজ্ঞানীরা জানান, আগে ধারণা করা হতো, মঙ্গলের দুটি উপগ্রহই আগে গ্রহাণু ছিল এবং অন্যান্য গ্রহাণুর সঙ্গে মহাকাশে বিচরণ করত। মঙ্গলের কাছাকাছি আসার পর এর অভিকর্ষশক্তি ওই গ্রহাণু দুটিকে আটকে ফেলে এবং এরা মঙ্গলের উপগ্রহ হিসেবে রয়ে যায়। কিন্তু নতুন তথ্যপ্রমাণ থেকে জানা গেছে, মঙ্গলের পৃষ্ঠে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ইএসএ) মার্স এক্সপ্রেস নভোযানের পাঠানো তথ্যপ্রমাণ পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্তে এসেছেন বিজ্ঞানীরা। এ ব্যাপারে প্রকাশিত গবেষণাপত্রের সহলেখক ইতালির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর অ্যাস্ট্রোফিজিকসের গবেষক মার্কো গিউরানা বলেন, ‘ফোবোসের পৃষ্ঠে আমরা প্রথমবারের মতো ফাইলোসিলিকাটেস নামের এক ধরনের খনিজ পদার্থের সন্ধান পেয়েছি। এ ধরনের খনিজ মঙ্গলের পৃষ্ঠেও পাওয়া গেছে। ধারণা করা হয়, পানি সহযোগে এই খনিজ গঠিত হয়।’
বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন, ফোবোসে অন্য যেসব খনিজের সন্ধান পাওয়া গেছে, তার সঙ্গে মঙ্গলে পাওয়া খনিজের মিল বেশি। সুতরাং ফোবোস মঙ্গলের উপাদান দিয়ে গঠিত, এমন সিদ্ধান্তে আসাই যুক্তিযুক্ত বলে মত দিয়েছেন তাঁরা।
মহাকাশের কোনো বড় আকারের পাথরখণ্ড আছড়ে পড়ে বিস্ফোরণ ঘটায় এবং এ থেকেই ফোবোসের সৃষ্টি হয় অথবা ফোবোস সম্ভবত মঙ্গলের আগের কোনো উপগ্রহের ধ্বংসাবশেষ থেকে সৃষ্টি হয়েছে। আগের ওই উপগ্রহটি সম্ভবত অভিকর্ষশক্তির প্রভাবে মঙ্গলের পৃষ্ঠে আছড়ে পড়ে ধ্বংস হয়। যেটাই ঘটুক, ফোবোসের সৃষ্টি মঙ্গলের পৃষ্ঠের উপাদান দিয়েই।
No comments