দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কাশ্মীরে আন্দোলন চলবে
দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন ভারতশাসিত কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা। গতকাল মঙ্গলবার শীর্ষস্থানীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন হুরিয়াত কনফারেন্সের কট্টরপন্থী অংশের নেতা সৈয়দ আলী শাহ গিলানি বলেন, তাঁদের দাবির মধ্যে রয়েছে কাশ্মীরকে একটি আন্তর্জাতিক বিরোধপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা, ওই অঞ্চল থেকে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী প্রত্যাহার ও জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার। এগুলো বাস্তবায়িত না হলে আন্দোলন বন্ধ করা হবে না।
চলমান সংকটের সমাধান নিয়ে আলোচনার জন্য ওই অঞ্চলে সফররত ভারতের সর্বদলীয় প্রতিনিধিদলের সদস্যরা গতকাল সেখানকার শীর্ষস্থানীয় তিন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের তিনজন নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন। গিলানি তাঁদের অন্যতম।
প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের (জেকেএলএফ) নেতা ইয়াসিন মালিক এবং হুরিয়াত কনফারেন্সের তুলনামূলক মধ্যমপন্থী অংশের নেতা মিরওয়াইজ ওমর ফারুকের সঙ্গেও বৈঠক করেন। প্রতিনিধিরা ওই তিন নেতাকেই বলেছেন, কাশ্মীর ভারতের অংশ। কাজেই এ প্রশ্নে কোনো ছাড় নয়। তবে অন্য সব বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
কাশ্মীরে জুন থেকে শুরু হওয়া সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ও সহিংসতায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। বর্তমানে সেখানে কারফিউ বলবৎ রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় লোকজন কারফিউ উপেক্ষা করেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনীও নিয়মিতভাবে স্থানীয় জনতার প্রতি গুলি ছুড়ছে। গত সোমবার সোপোর শহরের বাইরে সেনাসদস্যদের সঙ্গে সর্বশেষ সহিংসতায় পাঁচজন আহত হয়।
সংকট সমাধানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের নেতৃত্বে গত সোমবার কাশ্মীরে একটি সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল পাঠায় সরকার। প্রধান বিরোধী দল বিজেপিসহ বিভিন্ন দলের ৩৭ জন আইনপ্রণেতা আছেন এই দলে। প্রথম দিন এই দলের সঙ্গে বৈঠকে বসতে অস্বীকৃতি জানান গিলানি, ইয়াসিন মালিক ও মিরওয়াইজ ওমর ফারুক।
গতকাল প্রতিনিধিদলের পাঁচ সদস্যের একটি দল গৃহবন্দী গিলানির বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠক শেষে গিলানি জানান, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। তিনি চান ভারত সরকার কাশ্মীরকে একটি আন্তর্জাতিক বিরোধপূর্ণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করুক। একই সঙ্গে সেখান থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার, জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার এবং রাজবন্দীদের মুক্তির দাবিও জানান তিনি।
এদিকে প্রতিনিধিদলের কয়েকজন সদস্য গতকাল শ্রীনগরের প্রধান হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন। রোগীদের আত্মীয়স্বজন ও হাসপাতালের কর্মীরা এ সময় ভারতবিরোধী স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করলে তাঁরা তড়িঘড়ি সেখান থেকে চলে যেতে বাধ্য হন। বিক্ষোভে আহত ব্যক্তিদের দেখতে তাঁরা ওই হাসপাতালে গিয়েছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি জানান, হাসপাতালের ভেতরের লোকজন দিল্লির শাসনবিরোধী স্লোগান দিতে শুরু করে। ফলে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা মাত্র ১০ মিনিট হাসপাতালে থেকে চলে যান।
প্রতিনিধিদলের প্রধান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চিদাম্বরম হাসপাতালে যাননি। তিনি তাংমার্গ শহর পরিদর্শন করেন। গত সপ্তাহে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে সেখানে বিক্ষোভকারীদের পাঁচজন নিহত হয়।
চলমান সংকটের সমাধান নিয়ে আলোচনার জন্য ওই অঞ্চলে সফররত ভারতের সর্বদলীয় প্রতিনিধিদলের সদস্যরা গতকাল সেখানকার শীর্ষস্থানীয় তিন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের তিনজন নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন। গিলানি তাঁদের অন্যতম।
প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের (জেকেএলএফ) নেতা ইয়াসিন মালিক এবং হুরিয়াত কনফারেন্সের তুলনামূলক মধ্যমপন্থী অংশের নেতা মিরওয়াইজ ওমর ফারুকের সঙ্গেও বৈঠক করেন। প্রতিনিধিরা ওই তিন নেতাকেই বলেছেন, কাশ্মীর ভারতের অংশ। কাজেই এ প্রশ্নে কোনো ছাড় নয়। তবে অন্য সব বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
কাশ্মীরে জুন থেকে শুরু হওয়া সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ও সহিংসতায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। বর্তমানে সেখানে কারফিউ বলবৎ রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় লোকজন কারফিউ উপেক্ষা করেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনীও নিয়মিতভাবে স্থানীয় জনতার প্রতি গুলি ছুড়ছে। গত সোমবার সোপোর শহরের বাইরে সেনাসদস্যদের সঙ্গে সর্বশেষ সহিংসতায় পাঁচজন আহত হয়।
সংকট সমাধানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের নেতৃত্বে গত সোমবার কাশ্মীরে একটি সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল পাঠায় সরকার। প্রধান বিরোধী দল বিজেপিসহ বিভিন্ন দলের ৩৭ জন আইনপ্রণেতা আছেন এই দলে। প্রথম দিন এই দলের সঙ্গে বৈঠকে বসতে অস্বীকৃতি জানান গিলানি, ইয়াসিন মালিক ও মিরওয়াইজ ওমর ফারুক।
গতকাল প্রতিনিধিদলের পাঁচ সদস্যের একটি দল গৃহবন্দী গিলানির বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠক শেষে গিলানি জানান, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। তিনি চান ভারত সরকার কাশ্মীরকে একটি আন্তর্জাতিক বিরোধপূর্ণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করুক। একই সঙ্গে সেখান থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার, জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার এবং রাজবন্দীদের মুক্তির দাবিও জানান তিনি।
এদিকে প্রতিনিধিদলের কয়েকজন সদস্য গতকাল শ্রীনগরের প্রধান হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন। রোগীদের আত্মীয়স্বজন ও হাসপাতালের কর্মীরা এ সময় ভারতবিরোধী স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করলে তাঁরা তড়িঘড়ি সেখান থেকে চলে যেতে বাধ্য হন। বিক্ষোভে আহত ব্যক্তিদের দেখতে তাঁরা ওই হাসপাতালে গিয়েছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি জানান, হাসপাতালের ভেতরের লোকজন দিল্লির শাসনবিরোধী স্লোগান দিতে শুরু করে। ফলে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা মাত্র ১০ মিনিট হাসপাতালে থেকে চলে যান।
প্রতিনিধিদলের প্রধান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চিদাম্বরম হাসপাতালে যাননি। তিনি তাংমার্গ শহর পরিদর্শন করেন। গত সপ্তাহে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে সেখানে বিক্ষোভকারীদের পাঁচজন নিহত হয়।
No comments