অনিয়মের অভিযোগ তিন হাজারেরও বেশি
আফগানিস্তানে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের নির্বাচনে তিন হাজারেরও বেশি অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার দেশটির নির্বাচনী অভিযোগকেন্দ্র (ইইসি) এ তথ্য জানিয়েছে। এসব অভিযোগের মধ্যে এক হাজার ৩৮৮টি অভিযোগ সুনির্দিষ্টভাবে করা হয়েছে।
পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ওলেসি জিরগার ২৪৯টি আসনের বিপরীতে আড়াই হাজারেরও বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। গত শনিবার এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দেশটির মোট ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে বেশির ভাগ প্রদেশের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। আজ বুধবার প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণা করা হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে ফল প্রকাশের পর পরাজিত প্রার্থীদের অনেকেই নতুন করে অভিযোগ তুলবেন বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকেরা। এদিকে এরই মধ্যে জমা পড়া অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখাই ইইসির পক্ষে কঠিন হয়ে পড়বে বলেও আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
আফগান বিশ্লেষক ও কাবুলের একটি আসনের প্রার্থী হারুন মীর জানান, তিনি নিজেও ইইসিতে অনেক অভিযোগ তুলতে পারেন। বিশেষ করে ভোট গণনা নিয়ে সমস্যার বিষয়টি তুলে ধরার কথা উল্লেখ করেন তিনি। তবে হারুন মীর এও বলেন, ইইসিতে যে পরিমাণ অভিযোগ জমা পড়েছে, তা খতিয়ে দেখা কঠিন।
আফগানিস্তানের প্রধান নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন ফাউন্ডেশন (এফইএফএ) জানায়, জাল ভোট, কম বয়সীদের ভোট দেওয়া, নির্বাচনকর্মীদের পক্ষপাতিত্বসহ হাজার হাজার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া অমোচনীয় কালি নিয়ে সমস্যা, দেরি করে ভোটকেন্দ্র খোলাসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা গেছে। অনেক স্থানে তাদের পর্যবেক্ষকদেরও বাধা দেওয়া হয়েছে।
ইইসির কমিশনার ও মুখপাত্র আহমাদ জিয়া রাফাত জানান, নির্বাচনের দিনের বিভিন্ন অনিয়ম সুনির্দিষ্টভাবে তুলে ধরে এক হাজার ৩৮৮টি অভিযোগ তাঁদের কাছে জমা পড়েছে। আরও প্রায় এক হাজার ৭০০ অভিযোগ করা হয়েছে ভোট গ্রহণ শুরুর আগের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে।
তালেবানের শক্ত অবস্থান রয়েছে এমন প্রদেশগুলোতে এক ব্যক্তির একাধিক ভোট দেওয়ার ঘটনা বেশি ঘটেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। ইইসির কর্মকর্তারা জানান, কান্দাহার, হেলমান্দ, উরুজগান ও জাবুলে এমন ঘটনা ঘটেছে সবচেয়ে বেশি।
আফগানিস্তানের জাতিসংঘের মিশন থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচন প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের দায়িত্ব পরিপূর্ণভাবে পালন করা নিয়ে সংকটজনক পরিস্থিতিতে রয়েছে। নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে এসব প্রতিষ্ঠানের স্বাধীন থাকা জরুরি।
ইইসি সূত্র জানায়, ২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন অভিযানের পর পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের দ্বিতীয় নির্বাচনে ৪০ লাখেরও বেশি ভোটার ভোট দেন।
পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ওলেসি জিরগার ২৪৯টি আসনের বিপরীতে আড়াই হাজারেরও বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। গত শনিবার এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দেশটির মোট ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে বেশির ভাগ প্রদেশের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। আজ বুধবার প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণা করা হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে ফল প্রকাশের পর পরাজিত প্রার্থীদের অনেকেই নতুন করে অভিযোগ তুলবেন বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকেরা। এদিকে এরই মধ্যে জমা পড়া অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখাই ইইসির পক্ষে কঠিন হয়ে পড়বে বলেও আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
আফগান বিশ্লেষক ও কাবুলের একটি আসনের প্রার্থী হারুন মীর জানান, তিনি নিজেও ইইসিতে অনেক অভিযোগ তুলতে পারেন। বিশেষ করে ভোট গণনা নিয়ে সমস্যার বিষয়টি তুলে ধরার কথা উল্লেখ করেন তিনি। তবে হারুন মীর এও বলেন, ইইসিতে যে পরিমাণ অভিযোগ জমা পড়েছে, তা খতিয়ে দেখা কঠিন।
আফগানিস্তানের প্রধান নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন ফাউন্ডেশন (এফইএফএ) জানায়, জাল ভোট, কম বয়সীদের ভোট দেওয়া, নির্বাচনকর্মীদের পক্ষপাতিত্বসহ হাজার হাজার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া অমোচনীয় কালি নিয়ে সমস্যা, দেরি করে ভোটকেন্দ্র খোলাসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা গেছে। অনেক স্থানে তাদের পর্যবেক্ষকদেরও বাধা দেওয়া হয়েছে।
ইইসির কমিশনার ও মুখপাত্র আহমাদ জিয়া রাফাত জানান, নির্বাচনের দিনের বিভিন্ন অনিয়ম সুনির্দিষ্টভাবে তুলে ধরে এক হাজার ৩৮৮টি অভিযোগ তাঁদের কাছে জমা পড়েছে। আরও প্রায় এক হাজার ৭০০ অভিযোগ করা হয়েছে ভোট গ্রহণ শুরুর আগের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে।
তালেবানের শক্ত অবস্থান রয়েছে এমন প্রদেশগুলোতে এক ব্যক্তির একাধিক ভোট দেওয়ার ঘটনা বেশি ঘটেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। ইইসির কর্মকর্তারা জানান, কান্দাহার, হেলমান্দ, উরুজগান ও জাবুলে এমন ঘটনা ঘটেছে সবচেয়ে বেশি।
আফগানিস্তানের জাতিসংঘের মিশন থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচন প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের দায়িত্ব পরিপূর্ণভাবে পালন করা নিয়ে সংকটজনক পরিস্থিতিতে রয়েছে। নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে এসব প্রতিষ্ঠানের স্বাধীন থাকা জরুরি।
ইইসি সূত্র জানায়, ২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন অভিযানের পর পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের দ্বিতীয় নির্বাচনে ৪০ লাখেরও বেশি ভোটার ভোট দেন।
No comments