নতুন নিলামে ক্ষুব্ধ টেন্ডুলকার

সনাৎ জয়াসুরিয়া মুম্বাইয়ের খেলোয়াড়, মাইক হাসি চেন্নাইয়ের, শেন ওয়ার্ন ও গ্রায়েম স্মিথ রাজস্থানের। এখন আর সমর্থকদের খোঁজখবর নিতে হয় না। তিন মৌসুম ধরে এসব দলে খেলায় বিদেশি খেলোয়াড়দের আইপিএল ঠিকানাও নির্দিষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু এবার ব্যতিক্রম। অনেকের ঠিকানাই নাকি বদলে যেতে পারে টুর্নামেন্টটির চতুর্থ আসরে।
এবার বিদেশি খেলোয়াড়দের সবার নামই নিলামে নতুন করে উঠবে। নিলামের আগে প্রতিটি দল তাদের চারজন পুরোনো খেলোয়াড়কে ধরে রাখতে পারবে, তার মধ্যে তিনজন ভারতীয় হতে হবে। মানে, একটি দল একজন মাত্র পুরোনো বিদেশি খেলোয়াড়কে ধরে রাখতে পারবে। বাকি সবাই উন্মুক্ত নিলামে উঠবেন। সেখানে যে দল যাঁকে কিনতে পারে।
নতুন ধরনের নিলামের খবরে খুব চটেছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের অধিনায়ক শচীন টেন্ডুলকার। তিনি বলছেন, তিন বছর ধরে যে দলীয় একতা তাঁরা গড়ে তুলেছেন, এই ধাক্কায় সেটি ধসে যাবে, ‘আমরা এই দলটা গড়ে তুলতে, একত্রিত হতে অনেক কষ্ট করেছি। গত মৌসুমে আমরা দুবার ক্যাম্প করেছি। যেখানে ক্রিকেট-বিষয়ক কোনোকিছুই ছিল না, শুধু পুনর্মিলনী হয়েছে। এসব কিছুই করেছি আমরা দলীয় চেতনা বাড়াতে। আমাদের ম্যানেজমেন্ট ও মালিকেরাও খেলোয়াড়দের একত্র করতে কষ্ট করেছেন। কিন্তু এখন আমরা জানতে পারছি, দলটা বদলাতে হবে। এটা মেনে নেওয়া কঠিন।’
অবশ্য সবাই টেন্ডুলকারের মতো করে চিন্তা করছেন, তা নয়। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান ব্যাটসম্যান রাহুল দ্রাবিড় বলছেন, নিয়মটা উপকারী। কারণ, নতুন দুটি দল আইপিএলে আসায় নতুন করে নিলাম না হলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কমে যাবে, ‘আমরা প্রিমিয়ার লিগের (ইংলিশ) মতো একটা পরিস্থিতিতে পৌঁছাতে চাই না, যেখানে তিন থেকে চারটি দলই শিরোপার জন্য লড়াই করবে। এখানে লড়াইটা সমানে সমানে হওয়া উচিত। সবার ভালো করার এই সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার চিন্তার সঙ্গে আমি একমত।’

No comments

Powered by Blogger.