রুবচিচেও মুগ্ধ ফুটবলাররা
আমি সৃজনশীল কিছু করতে ভালোবাসি’, ঢাকায় এসে নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন বরার্ট রুবচিচ।
কোচ শুধু পরিকল্পনাই করতে পারেন, মাঠে খেলবেন ফুটবলাররা। বাংলাদেশের ফুটবলাররা কোচের পরিকল্পনা মাঠে কতটা বাস্তবায়ন করতে পারেন, সেটা সময়ই বলবে। অতীতে অনেক ভালো কোচ এসেছেন। কিন্তু মাঠে ফুটবলাররা ৯০ মিনিট খেলতে না পারলে কোচ আর কী করবেন!
কোচ আসেন, কোচ যান। সব কোচেই মুগ্ধ থাকেন খেলোয়াড়েরা। অন্তত শুরুতে ‘এই কোচের মতো ভালো অনুশীলন আর কেউ করায়নি’ জাতীয় কথা অনেক শোনা যায় ফুটবলারদের মুখে। নিকট অতীতে ক্রুসিয়ানি, জর্জেভিচ, ডিডো কাজ করে গেছেন বাংলাদেশে। তাঁদের উত্তরসূরি হয়ে আসা রুবচিচ কেমন কোচ? ক্রোয়েশিয়ান এই কোচকে দিন সাতেক দেখার পর কী মনে হচ্ছে বিকেএসপির ক্যাম্পে থাকা বাংলাদেশের ফুটবলারদের?
স্ট্রাইকার জাহিদ হাসান এমিলি বললেন, ‘রুবচিচের অনুশীলন অনেকটা জর্জেভিচের মতো। ইউরোপিয়ান ধাঁচ আছে। অনুশীলনে কোনো একঘেঁয়েমি নেই। ডিডো যেমন কক্সবাজার নিয়ে গিয়ে অনেক দিন শুধু রানিং করিয়েছেন, এই কোচ ওসবে বেশি জোর না দিয়ে সবকিছুই বলের ওপর করান। ছোট ছোট পাস তাঁর পছন্দ, সঙ্গে পাওয়ার। আমরা যেন ৯০ মিনিট খেলতে পারি, এটাই তিনি নিশ্চিত করতে চান। আর মিটিং-টিটিং বেশি করেন না। কথা বলেন খুব কম। ঠান্ডা মেজাজের মানুষ। খেলোয়াড়দের সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চান সব সময়।’
মাত্র সাত দিনে পূর্ববর্তী কোচদের সঙ্গে এই কোচের পার্থক্য খুঁজে নিতে রাজি নন এনামুল। তবে নতুন কোচ কী চান, সেটা ভালো করেই ধরতে পেরেছেন এই স্ট্রাইকার, ‘রুবচিচ ওয়ান টাচের ওপরই বেশি জোর দিচ্ছেন। অনুশীলনে মূলত এটাই দেখাচ্ছেন। তাঁর মূল কথা, অহেতুক বল পায়ে রাখা যাবে না। দ্রুত বল ছাড়তে হবে। সেটা ওয়ান টাচ হলেই সবচেয়ে ভালো।’
রুবচিচ এখন দল তৈরি করছেন নভেম্বরের এশিয়ান গেমসের জন্য। এটি অবশ্য অনূর্ধ্ব-২৩ দল। যেখানে গোলরক্ষক আমিনুলসহ সিনিয়র খেলোয়াড় আছেন চারজন। অনেক দিন পর জাতীয় ক্যাম্পে যোগ দেওয়া ডিফেন্ডার সুজন চূড়ান্ত দলে থাকবেন কি থাকবেন না, সেটা আপাতত মাথায় না এনে অনুশীলন করে যাচ্ছেন একাগ্রতায়, ‘আমরা সবাই মন দিয়ে অনুশীলন করছি। কী অনুশীলন করছি, সেটা এখন বুঝতেই পারছি না। শেষ হলে বুঝব, শরীর কী অবস্থায় আছে। তবে এখন সবকিছু ভালো লাগছে। নতুন কোচের গেম প্ল্যান ভালো। একটা টিমকে কীভাবে খেলাতে হয়, সেটা তিনি ভালো করে জানেন মনে হচ্ছে।’
ঘরোয়া ফুটবলের জন্য খেলোয়াড়দের আপাতত ছেড়ে দিতে হচ্ছে ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। ক্লাবে যাওয়ার আগে রুবচিচের ক্লাস থেকে কী শিখে যাচ্ছেন খেলোয়াড়েরা?
তরুণ ডিফেন্ডার ফয়সাল কাল ফোনে বললেন, ‘এখন শুধু গেম সিচুয়েশন দেখাচ্ছেন কোচ। খুব ভালো লাগছে আমাদের। ক্লাবে গেলে এটা কাজে লাগবে অনেক। আমরা খুবই উপভোগ করছি নতুন কোচের অনুশীলন। খুবই সিরিয়াস তিনি। মনে হচ্ছে, খুব ভালো একজন মানুষ পেয়েছি আমরা। তাঁর আচার-ব্যবহারও আমাদের মুগ্ধ করছে।’
দায়িত্ব নেওয়ার আগেই ক্রোয়েশিয়ান কোচ একরকম ঘোষণার সুরে বলেছেন, ‘এক বছর পর ফিফা র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশকে ৩০ ধাপ এগিয়ে নিতে চাই।’ গত সপ্তাহে র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ ৭ ধাপ এগিয়ে গিয়েছে (১৪৫)। তবে রুবচিচের বড় চ্যালেঞ্জটা মাঠে নামার পরই।
ঠিক এ কথাটাই মনে করিয়ে দিলেন রুবচিচের সহকারী হিসেবে থাকা স্থানীয় কোচ সাইফুল বারী (টিটু)। ‘উয়েফা প্রো লাইসেন্সধারী কোচ যেমন হওয়ার কথা, তেমনই রুবচিচ। যখন মাঠে দল নামবে, তখনই তাঁর আসল পরীক্ষা। তবে তাঁর প্রধান গুণ হচ্ছে, খেলোয়াড়দের কার কী সমস্যা, সেটা ভালো করে বুঝতে পারেন। কথা কম বলেন আর খেলোয়াড়দের পর্যবেক্ষণ করেন বেশি’, বললেন সাইফুল বারী।
বিকেএসপির অনুশীলন-মাঠ পছন্দ রুবচিচের। তাঁর পছন্দ অনুযায়ী গুলশানে ফ্ল্যাট দেওয়া হয়েছে। কাল বাফুফে ভবনে এসে মুখে হাসি ছড়িয়ে বলে গেলেন, ‘এখন পর্যন্ত সবই ভালো লাগছে, শুধু রাস্তার ট্র্যাফিক ছাড়া।’
হাসিটা শেষ পর্যন্ত থাকবে তো?
কোচ শুধু পরিকল্পনাই করতে পারেন, মাঠে খেলবেন ফুটবলাররা। বাংলাদেশের ফুটবলাররা কোচের পরিকল্পনা মাঠে কতটা বাস্তবায়ন করতে পারেন, সেটা সময়ই বলবে। অতীতে অনেক ভালো কোচ এসেছেন। কিন্তু মাঠে ফুটবলাররা ৯০ মিনিট খেলতে না পারলে কোচ আর কী করবেন!
কোচ আসেন, কোচ যান। সব কোচেই মুগ্ধ থাকেন খেলোয়াড়েরা। অন্তত শুরুতে ‘এই কোচের মতো ভালো অনুশীলন আর কেউ করায়নি’ জাতীয় কথা অনেক শোনা যায় ফুটবলারদের মুখে। নিকট অতীতে ক্রুসিয়ানি, জর্জেভিচ, ডিডো কাজ করে গেছেন বাংলাদেশে। তাঁদের উত্তরসূরি হয়ে আসা রুবচিচ কেমন কোচ? ক্রোয়েশিয়ান এই কোচকে দিন সাতেক দেখার পর কী মনে হচ্ছে বিকেএসপির ক্যাম্পে থাকা বাংলাদেশের ফুটবলারদের?
স্ট্রাইকার জাহিদ হাসান এমিলি বললেন, ‘রুবচিচের অনুশীলন অনেকটা জর্জেভিচের মতো। ইউরোপিয়ান ধাঁচ আছে। অনুশীলনে কোনো একঘেঁয়েমি নেই। ডিডো যেমন কক্সবাজার নিয়ে গিয়ে অনেক দিন শুধু রানিং করিয়েছেন, এই কোচ ওসবে বেশি জোর না দিয়ে সবকিছুই বলের ওপর করান। ছোট ছোট পাস তাঁর পছন্দ, সঙ্গে পাওয়ার। আমরা যেন ৯০ মিনিট খেলতে পারি, এটাই তিনি নিশ্চিত করতে চান। আর মিটিং-টিটিং বেশি করেন না। কথা বলেন খুব কম। ঠান্ডা মেজাজের মানুষ। খেলোয়াড়দের সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চান সব সময়।’
মাত্র সাত দিনে পূর্ববর্তী কোচদের সঙ্গে এই কোচের পার্থক্য খুঁজে নিতে রাজি নন এনামুল। তবে নতুন কোচ কী চান, সেটা ভালো করেই ধরতে পেরেছেন এই স্ট্রাইকার, ‘রুবচিচ ওয়ান টাচের ওপরই বেশি জোর দিচ্ছেন। অনুশীলনে মূলত এটাই দেখাচ্ছেন। তাঁর মূল কথা, অহেতুক বল পায়ে রাখা যাবে না। দ্রুত বল ছাড়তে হবে। সেটা ওয়ান টাচ হলেই সবচেয়ে ভালো।’
রুবচিচ এখন দল তৈরি করছেন নভেম্বরের এশিয়ান গেমসের জন্য। এটি অবশ্য অনূর্ধ্ব-২৩ দল। যেখানে গোলরক্ষক আমিনুলসহ সিনিয়র খেলোয়াড় আছেন চারজন। অনেক দিন পর জাতীয় ক্যাম্পে যোগ দেওয়া ডিফেন্ডার সুজন চূড়ান্ত দলে থাকবেন কি থাকবেন না, সেটা আপাতত মাথায় না এনে অনুশীলন করে যাচ্ছেন একাগ্রতায়, ‘আমরা সবাই মন দিয়ে অনুশীলন করছি। কী অনুশীলন করছি, সেটা এখন বুঝতেই পারছি না। শেষ হলে বুঝব, শরীর কী অবস্থায় আছে। তবে এখন সবকিছু ভালো লাগছে। নতুন কোচের গেম প্ল্যান ভালো। একটা টিমকে কীভাবে খেলাতে হয়, সেটা তিনি ভালো করে জানেন মনে হচ্ছে।’
ঘরোয়া ফুটবলের জন্য খেলোয়াড়দের আপাতত ছেড়ে দিতে হচ্ছে ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। ক্লাবে যাওয়ার আগে রুবচিচের ক্লাস থেকে কী শিখে যাচ্ছেন খেলোয়াড়েরা?
তরুণ ডিফেন্ডার ফয়সাল কাল ফোনে বললেন, ‘এখন শুধু গেম সিচুয়েশন দেখাচ্ছেন কোচ। খুব ভালো লাগছে আমাদের। ক্লাবে গেলে এটা কাজে লাগবে অনেক। আমরা খুবই উপভোগ করছি নতুন কোচের অনুশীলন। খুবই সিরিয়াস তিনি। মনে হচ্ছে, খুব ভালো একজন মানুষ পেয়েছি আমরা। তাঁর আচার-ব্যবহারও আমাদের মুগ্ধ করছে।’
দায়িত্ব নেওয়ার আগেই ক্রোয়েশিয়ান কোচ একরকম ঘোষণার সুরে বলেছেন, ‘এক বছর পর ফিফা র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশকে ৩০ ধাপ এগিয়ে নিতে চাই।’ গত সপ্তাহে র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ ৭ ধাপ এগিয়ে গিয়েছে (১৪৫)। তবে রুবচিচের বড় চ্যালেঞ্জটা মাঠে নামার পরই।
ঠিক এ কথাটাই মনে করিয়ে দিলেন রুবচিচের সহকারী হিসেবে থাকা স্থানীয় কোচ সাইফুল বারী (টিটু)। ‘উয়েফা প্রো লাইসেন্সধারী কোচ যেমন হওয়ার কথা, তেমনই রুবচিচ। যখন মাঠে দল নামবে, তখনই তাঁর আসল পরীক্ষা। তবে তাঁর প্রধান গুণ হচ্ছে, খেলোয়াড়দের কার কী সমস্যা, সেটা ভালো করে বুঝতে পারেন। কথা কম বলেন আর খেলোয়াড়দের পর্যবেক্ষণ করেন বেশি’, বললেন সাইফুল বারী।
বিকেএসপির অনুশীলন-মাঠ পছন্দ রুবচিচের। তাঁর পছন্দ অনুযায়ী গুলশানে ফ্ল্যাট দেওয়া হয়েছে। কাল বাফুফে ভবনে এসে মুখে হাসি ছড়িয়ে বলে গেলেন, ‘এখন পর্যন্ত সবই ভালো লাগছে, শুধু রাস্তার ট্র্যাফিক ছাড়া।’
হাসিটা শেষ পর্যন্ত থাকবে তো?
No comments