বার্সাতেই প্রেরণা খুঁজছেন মারউইক
রাইনাস মিশেলসের হল্যান্ড দলে একজন ইয়োহান ক্রুইফ ছিলেন, ছিলেন একজন ইয়োহান নিসকেন্স। ক্রুইফ-নিসকেন্সের আলোয় ফুটবল-বিশ্ব আলোকিত করে ১৯৭৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছে হল্যান্ড। পরের বিশ্বকাপে ক্রুইফ না থাকলেও হল্যান্ড ছিল ফাইনালে।
বার্ট ফন মারউইকের হল্যান্ড দলে একজন ক্রুইফ বা একজন নিসকেন্স নেই। আছেন একজন আরিয়েন রোবেন, আছেন ওয়েসলি স্নাইডার। তবে পুরো ফুটবল-বিশ্ব এটা মেনে নেবে—ক্রুইফের দীপ্তিকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো এঁরা কেউ নন। তবু মারউইকের হল্যান্ড খেলছে এই বিশ্বকাপের ফাইনালে। আর এই ফাইনালে ওঠার পথে ব্রাজিলের মতো দলের বিশ্বকাপ-স্বপ্ন শেষ আটেই শেষ করে দিয়ে এসেছেন রোবেন-স্নাইডাররা। ডাচদের এমন সাফল্যের রহস্য কী?
কোচ মারউইক বললেন—১৯৭৪ আর ’৭৮-এর হল্যান্ড দলে একটা জিনিসের অভাব ছিল, সেটা আবিষ্কার করে এই হল্যান্ড দলকে পূর্ণতা দিয়েছেন তিনি। এই আবিষ্কার এবং বার্সেলোনা-প্রেরণাই হল্যান্ডের এই এগিয়ে চলার রহস্য। ’৭৪ আর ’৭৮-এ হল্যান্ডকে ফাইনালে তুলেছিল ‘টোটাল ফুটবল’। এর পরও ’৭৪ আর ’৭৮-এর হল্যান্ড দলে কিসের অভাব ছিল? অভাব ছিল হারিয়ে ফেলা বল কেড়ে নেওয়ার মনোভাবের! এই হল্যান্ড দলকে তিনি এভাবেই অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছেন বলে দাবি কোচ মারউইকের। আর রোবেন-স্নাইডারদের এভাবে গড়ে তুলতে তিনি আদর্শ হিসেবে নিয়েছিলেন বার্সেলোনার খেলাকে।
‘দুই বছর ধরে আমি বার্সেলোনার খেলা অনুসরণ করেছি। সব সময় আমি আমার দলের খেলাকে বার্সেলোনার সঙ্গেই তুলনা করেছি। আমি সুন্দর ফুটবল পছন্দ করি। বার্সাও সেই ধরনের ফুটবলই খেলে। বল হারালে লিওনেল মেসি, জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ, ইনিয়েস্তা আর জাভিরা প্রতিপক্ষকে চাপ দিয়ে আবার তা দখল করে নেয়!’—বলেছেন মারউইক।
হল্যান্ডের সমস্যাটা কী ছিল এবং দলে এখনকার মনোভাব কী, মারউইক বললেন সে কথাও, ‘আমরা ভালো ফুটবল খেলি, সুন্দর ফুটবল খেলি। কিন্তু জিততে শুরু করলেই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসে ভুগি। আর দ্রুত বাড়ি ফিরে যাই। আমি খেলোয়াড়দের বারবার মনে করিয়ে দিই, সব সময়ই খেয়াল রাখতে হবে যে আরও ম্যাচ আছে। আমি আক্রমণাত্মক ফুটবল ভালোবাসি। তবে রক্ষণের কাজটাও তো করতে হবে।’
মারউইক হল্যান্ড দলে আরও একটা জিনিস উপহার দিয়েছেন। হল্যান্ড দলের চিরায়ত একটি অভাব ছিল—ঐক্যের অভাব। এই হল্যান্ডে সেই অভাবটা চোখে পড়ছে না। নিজেদের মধ্যে কলহ হল্যান্ড দলে বরাবরই ছিল। এই বিশ্বকাপেও রবিন ফন পার্সি আর স্নাইডারের মধ্যে কলহ নিয়ে কথা হয়েছে। হল্যান্ড দলের অনুশীলনে নাকি নিয়মিত একটি বচসার উপাদান—ফ্রি-কিক কে নেবেন, স্নাইডার না পার্সি? এ দুজন নাকি দুই বছর ধরে একে অন্যের সঙ্গে কথাও বলেন না। তবে মাঠে এর কোনো প্রতিফলন নেই। কমলা জার্সিটা গায়ে উঠলেই তাঁরা হয়ে যান অন্যরকম। মন-কষাকষি রেখে নিজেদের এক সুতোয় গেঁথে নেন সবাই। হল্যান্ডের জয়—অভিন্ন লক্ষ্য সবার। হল্যান্ডের যৌথ গোল-উদ্যাপন আর জয়োৎসবই এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ। আর রোবেন-পার্সি-স্নাইডারদের সবাইকে এভাবে একসূত্রে গাঁথতে পারাই মারউইকের বড় অবদান।
বার্ট ফন মারউইকের হল্যান্ড দলে একজন ক্রুইফ বা একজন নিসকেন্স নেই। আছেন একজন আরিয়েন রোবেন, আছেন ওয়েসলি স্নাইডার। তবে পুরো ফুটবল-বিশ্ব এটা মেনে নেবে—ক্রুইফের দীপ্তিকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো এঁরা কেউ নন। তবু মারউইকের হল্যান্ড খেলছে এই বিশ্বকাপের ফাইনালে। আর এই ফাইনালে ওঠার পথে ব্রাজিলের মতো দলের বিশ্বকাপ-স্বপ্ন শেষ আটেই শেষ করে দিয়ে এসেছেন রোবেন-স্নাইডাররা। ডাচদের এমন সাফল্যের রহস্য কী?
কোচ মারউইক বললেন—১৯৭৪ আর ’৭৮-এর হল্যান্ড দলে একটা জিনিসের অভাব ছিল, সেটা আবিষ্কার করে এই হল্যান্ড দলকে পূর্ণতা দিয়েছেন তিনি। এই আবিষ্কার এবং বার্সেলোনা-প্রেরণাই হল্যান্ডের এই এগিয়ে চলার রহস্য। ’৭৪ আর ’৭৮-এ হল্যান্ডকে ফাইনালে তুলেছিল ‘টোটাল ফুটবল’। এর পরও ’৭৪ আর ’৭৮-এর হল্যান্ড দলে কিসের অভাব ছিল? অভাব ছিল হারিয়ে ফেলা বল কেড়ে নেওয়ার মনোভাবের! এই হল্যান্ড দলকে তিনি এভাবেই অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছেন বলে দাবি কোচ মারউইকের। আর রোবেন-স্নাইডারদের এভাবে গড়ে তুলতে তিনি আদর্শ হিসেবে নিয়েছিলেন বার্সেলোনার খেলাকে।
‘দুই বছর ধরে আমি বার্সেলোনার খেলা অনুসরণ করেছি। সব সময় আমি আমার দলের খেলাকে বার্সেলোনার সঙ্গেই তুলনা করেছি। আমি সুন্দর ফুটবল পছন্দ করি। বার্সাও সেই ধরনের ফুটবলই খেলে। বল হারালে লিওনেল মেসি, জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ, ইনিয়েস্তা আর জাভিরা প্রতিপক্ষকে চাপ দিয়ে আবার তা দখল করে নেয়!’—বলেছেন মারউইক।
হল্যান্ডের সমস্যাটা কী ছিল এবং দলে এখনকার মনোভাব কী, মারউইক বললেন সে কথাও, ‘আমরা ভালো ফুটবল খেলি, সুন্দর ফুটবল খেলি। কিন্তু জিততে শুরু করলেই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসে ভুগি। আর দ্রুত বাড়ি ফিরে যাই। আমি খেলোয়াড়দের বারবার মনে করিয়ে দিই, সব সময়ই খেয়াল রাখতে হবে যে আরও ম্যাচ আছে। আমি আক্রমণাত্মক ফুটবল ভালোবাসি। তবে রক্ষণের কাজটাও তো করতে হবে।’
মারউইক হল্যান্ড দলে আরও একটা জিনিস উপহার দিয়েছেন। হল্যান্ড দলের চিরায়ত একটি অভাব ছিল—ঐক্যের অভাব। এই হল্যান্ডে সেই অভাবটা চোখে পড়ছে না। নিজেদের মধ্যে কলহ হল্যান্ড দলে বরাবরই ছিল। এই বিশ্বকাপেও রবিন ফন পার্সি আর স্নাইডারের মধ্যে কলহ নিয়ে কথা হয়েছে। হল্যান্ড দলের অনুশীলনে নাকি নিয়মিত একটি বচসার উপাদান—ফ্রি-কিক কে নেবেন, স্নাইডার না পার্সি? এ দুজন নাকি দুই বছর ধরে একে অন্যের সঙ্গে কথাও বলেন না। তবে মাঠে এর কোনো প্রতিফলন নেই। কমলা জার্সিটা গায়ে উঠলেই তাঁরা হয়ে যান অন্যরকম। মন-কষাকষি রেখে নিজেদের এক সুতোয় গেঁথে নেন সবাই। হল্যান্ডের জয়—অভিন্ন লক্ষ্য সবার। হল্যান্ডের যৌথ গোল-উদ্যাপন আর জয়োৎসবই এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ। আর রোবেন-পার্সি-স্নাইডারদের সবাইকে এভাবে একসূত্রে গাঁথতে পারাই মারউইকের বড় অবদান।
No comments