রাষ্ট্রায়ত্ত লোকসানি প্রতিষ্ঠান বেসরকারীকরণের দাবি
অর্থনীতির স্বার্থে রাষ্ট্রায়ত্ত লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে দেশের শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)।
এফবিসিসিআই জানিয়েছে, দুই বছর আগেও এসব প্রতিষ্ঠানের লোকসানের পরিমাণ ছিল ৫০০ কোটি টাকা। বর্তমানে তা হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। সরকারকে অহেতুক লোকসানের বোঝা বইতে হচ্ছে এবং দিন দিন তা বাড়ছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিতে বেসরকারিকরণ কমিশনকে আরও জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মনে করে এফবিসিসিআই।
গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে এফবিসিসিআইয়ের নবনির্বাচিত নেতাদের একটি প্রতিনিধিদলের সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব দাবি জানানো হয়।
এফবিসিসিআইয়ের নবনির্বাচিত সভাপতি এ কে আজাদের নেতৃত্বে দলে অন্যদের মধ্যে প্রথম সহসভাপতি জসিম উদ্দিন, সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী, পরিচালক আবদুল হক, হারুন উর রশিদ, গোলাম মোস্তফা তালুকদার, আবদুর রাজ্জাক, নিজাম উদ্দিন আহমেদ, হেলাল উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলোর বেসরকারীকরণের জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে একটি সমীক্ষা চালাচ্ছে বেসরকারীকরণ কমিশন। সামনে ভালো কিছু হতে পারে।
বৈঠকে সদ্য পাস হওয়া বাজেটের কয়েকটি খাতের মূল্য সংযোজন কর (মূসক), আমদানি শুল্ক ও আয়কর পুনর্বিবেচনার সুপারিশ করে এফবিসিসিআই।
প্লাস্টিক খাতের কাঁচামাল আমদানিতে ব্যাংক গ্যারান্টি এবং পণ্যের গায়ে ‘বন্ডের আওতায় আমদানি, বিক্রয়ের জন্য নয়’ প্রত্যাহার এবং অগ্রিম আয়কর (এআইটি) পাঁচ শতাংশ থেকে কমিয়ে আগের তিন শতাংশই বহাল রাখা দরকার বলে এফবিসিসিআই মনে করে।
সংগঠনটি আরও বলেছে, দেশীয় যন্ত্রপাতি দিয়ে তৈরি পিভিসি পাইপের ওপর থেকে টার্নওভার ট্যাক্স প্রত্যাহার করে মূসকের আওতায় নিয়ে আসাটা উচিত হয়নি।
নেতারা এফবিসিসিআইয়ের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ, শিল্প পুলিশ গঠন, ব্যাংকের সুদের হার এক অঙ্কের ঘরে নামিয়ে আনা, ২৭০টি রুগ্ণ পোশাক কারখানার পুনর্বাসনে টাস্কফোর্সের সুপারিশ বাস্তবায়নসহ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিস্থিতির উন্নয়নে সরকারের সহযোগিতা দাবি করেন।
পুলিশের সঙ্গে কিছুটা মতপার্থক্য থাকলেও শিল্প পুলিশ গঠনে এখন আর কোনো বাধা নেই বলে জানান অর্থমন্ত্রী। এটি প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার উল্লেখ করে তিনি জানান, শিগগির শিল্প পুলিশ গঠন করা হবে।
৩০ কোটি টাকা প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ একে ভালো চোখে দেখবে না। বলবে, এফবিসিসিআইয়ে যাঁরা আছেন, তাঁরা সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তি। তাঁদের টাকা দেওয়া কেন?’
গ্যাস সরবরাহের ব্যাপারেও কোনো অঙ্গীকার করবেন না বলে জানান অর্থমন্ত্রী। তাঁর মতে, ‘গ্যাসের বিষয়টি একেবারেই অনিশ্চিত।’
সরকার ঘোষিত মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার ‘রূপকল্প’ বাস্তবায়নে বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকা, শিল্প এলাকা ও শিল্প উন্নয়নের জন্য নীতি-সহায়তার দাবি জানান এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি এ কে আজাদ।
এ কে আজাদ জানান, চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরের জন্য রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ১৯ শতাংশ বাড়িয়ে যে ৭২ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা করা হয়েছে, জাতীয় সংসদ কার্যকর ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকলেই তা অর্জিত হওয়া সম্ভব।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আরও জানান, সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনলে ব্যাংক থেকে যে পরিমাণ রাজস্ব সংগ্রহ হচ্ছে, তার চেয়ে ১০ গুণ রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হবে।
এ কে আজাদ বলেন, ঢাকা যানজটের এক নগরে পরিণত হয়েছে। এর এক পাশ থেকে আরেক পাশে যেতে আড়াই ঘণ্টা সময় লেগে যায়। হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছানোর আগেই রোগীর মৃত্যু ঘটে। সুতরাং ঢাকায় আর কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান নয়। যেগুলো আছে সেগুলোকেও বরং বাইরে পাঠাতে হবে।
এফবিসিসিআই জানিয়েছে, দুই বছর আগেও এসব প্রতিষ্ঠানের লোকসানের পরিমাণ ছিল ৫০০ কোটি টাকা। বর্তমানে তা হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। সরকারকে অহেতুক লোকসানের বোঝা বইতে হচ্ছে এবং দিন দিন তা বাড়ছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিতে বেসরকারিকরণ কমিশনকে আরও জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মনে করে এফবিসিসিআই।
গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে এফবিসিসিআইয়ের নবনির্বাচিত নেতাদের একটি প্রতিনিধিদলের সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব দাবি জানানো হয়।
এফবিসিসিআইয়ের নবনির্বাচিত সভাপতি এ কে আজাদের নেতৃত্বে দলে অন্যদের মধ্যে প্রথম সহসভাপতি জসিম উদ্দিন, সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী, পরিচালক আবদুল হক, হারুন উর রশিদ, গোলাম মোস্তফা তালুকদার, আবদুর রাজ্জাক, নিজাম উদ্দিন আহমেদ, হেলাল উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলোর বেসরকারীকরণের জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে একটি সমীক্ষা চালাচ্ছে বেসরকারীকরণ কমিশন। সামনে ভালো কিছু হতে পারে।
বৈঠকে সদ্য পাস হওয়া বাজেটের কয়েকটি খাতের মূল্য সংযোজন কর (মূসক), আমদানি শুল্ক ও আয়কর পুনর্বিবেচনার সুপারিশ করে এফবিসিসিআই।
প্লাস্টিক খাতের কাঁচামাল আমদানিতে ব্যাংক গ্যারান্টি এবং পণ্যের গায়ে ‘বন্ডের আওতায় আমদানি, বিক্রয়ের জন্য নয়’ প্রত্যাহার এবং অগ্রিম আয়কর (এআইটি) পাঁচ শতাংশ থেকে কমিয়ে আগের তিন শতাংশই বহাল রাখা দরকার বলে এফবিসিসিআই মনে করে।
সংগঠনটি আরও বলেছে, দেশীয় যন্ত্রপাতি দিয়ে তৈরি পিভিসি পাইপের ওপর থেকে টার্নওভার ট্যাক্স প্রত্যাহার করে মূসকের আওতায় নিয়ে আসাটা উচিত হয়নি।
নেতারা এফবিসিসিআইয়ের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ, শিল্প পুলিশ গঠন, ব্যাংকের সুদের হার এক অঙ্কের ঘরে নামিয়ে আনা, ২৭০টি রুগ্ণ পোশাক কারখানার পুনর্বাসনে টাস্কফোর্সের সুপারিশ বাস্তবায়নসহ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিস্থিতির উন্নয়নে সরকারের সহযোগিতা দাবি করেন।
পুলিশের সঙ্গে কিছুটা মতপার্থক্য থাকলেও শিল্প পুলিশ গঠনে এখন আর কোনো বাধা নেই বলে জানান অর্থমন্ত্রী। এটি প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার উল্লেখ করে তিনি জানান, শিগগির শিল্প পুলিশ গঠন করা হবে।
৩০ কোটি টাকা প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ একে ভালো চোখে দেখবে না। বলবে, এফবিসিসিআইয়ে যাঁরা আছেন, তাঁরা সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তি। তাঁদের টাকা দেওয়া কেন?’
গ্যাস সরবরাহের ব্যাপারেও কোনো অঙ্গীকার করবেন না বলে জানান অর্থমন্ত্রী। তাঁর মতে, ‘গ্যাসের বিষয়টি একেবারেই অনিশ্চিত।’
সরকার ঘোষিত মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার ‘রূপকল্প’ বাস্তবায়নে বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকা, শিল্প এলাকা ও শিল্প উন্নয়নের জন্য নীতি-সহায়তার দাবি জানান এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি এ কে আজাদ।
এ কে আজাদ জানান, চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরের জন্য রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ১৯ শতাংশ বাড়িয়ে যে ৭২ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা করা হয়েছে, জাতীয় সংসদ কার্যকর ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকলেই তা অর্জিত হওয়া সম্ভব।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আরও জানান, সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনলে ব্যাংক থেকে যে পরিমাণ রাজস্ব সংগ্রহ হচ্ছে, তার চেয়ে ১০ গুণ রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হবে।
এ কে আজাদ বলেন, ঢাকা যানজটের এক নগরে পরিণত হয়েছে। এর এক পাশ থেকে আরেক পাশে যেতে আড়াই ঘণ্টা সময় লেগে যায়। হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছানোর আগেই রোগীর মৃত্যু ঘটে। সুতরাং ঢাকায় আর কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান নয়। যেগুলো আছে সেগুলোকেও বরং বাইরে পাঠাতে হবে।
No comments