বিএনপির মানববন্ধন
বুধবার বিরোধী দল আহূত দেশব্যাপী এক ঘণ্টার মানববন্ধন কর্মসূচিটি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হতে পারত, যদি না পুলিশ বাধা দিত। একটি শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে এ ধরনের বাধাদান যেমন অযৌক্তিক, তেমনি উসকানিমূলকও। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সরকারের পক্ষ থেকে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধের দাবিতে বিরোধী দল মানববন্ধন কর্মসূচি আহ্বান করেনি, করেছিল হরতালের সময়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে। এর বিকল্প হিসেবে তারা কী-ই বা করতে পারত?
এর আগে বিরোধী দলের ডাকা হরতালের আমরা বিরোধিতা করেছিলাম এই যুক্তিতে যে এ ধরনের হিংসাত্মক কর্মসূচি জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তোলে, অর্থনীতির গতি থামিয়ে দেয়। অন্যবারের মতো গত ২৭ জুনের হরতালটিও শান্তিপূর্ণ হয়নি। আগের রাতে পিকেটারদের আগুনে পুড়ে একজন ট্যাক্সিচালককে জীবন দিতে হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।
কিন্তু এক ঘণ্টার মানববন্ধন কর্মসূচিতে সে আশঙ্কা ছিল না। সরকার বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকেও বিধিনিষেধ জারি করা হয়নি। সে ক্ষেত্রে আইন ভাঙারও প্রশ্ন ছিল না। তার পরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কেন কঠোর অবস্থানে গেল, কেন বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের রাস্তায় দাঁড়াতে দেয়নি, তা রহস্যজনক। বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিলে তারা বিকল্প পথই খুঁজে নেবে। সেটি কারও জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না।
বুধবারের কর্মসূচিতে শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীই খড়্গহস্ত ছিল না, কয়েকটি স্থানে সরকার-সমর্থক সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও হামলা চালিয়েছেন। এ ধরনের হামলা নিন্দনীয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব জনজীবনের নিরাপত্তা দেওয়া, কোনো দলের কর্মসূচি পণ্ড করা নয়। তাঁরা দলীয় কর্মীদের মতো আচরণ করবেন কেন?
সরকারের নীতিনির্ধারকেরা বিরোধী দলের কর্মসূচিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার কথা বললেও বাস্তবে তার প্রতিফলন নেই। শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বিরোধী দলকে দমন করা কিংবা দলীয় কাজে রাষ্ট্রের কোনো বাহিনী বা সংস্থাকে ব্যবহার করার পরিণাম কখনো ভালো হয় না। যে পুলিশ আজ বিরোধী দলকে ঠেঙাচ্ছে, সেই পুলিশই জোট আমলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালাত।
অতএব, শক্তি প্রয়োগ না করে সরকারের উচিত সহনশীলতা প্রদর্শন করা ও যেকোনো রাজনৈতিক বিরোধের ক্ষেত্রে আলাপ-আলোচনা ও সমঝোতার পথ বেছে নেওয়া। একই সঙ্গে বিরোধী দলেরও কর্তব্য হবে রাজপথে সমাধান না খুঁজে সংসদে তাদের দাবিদাওয়া তুলে ধরা। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সংসদই হবে রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে ন্যূনতম সমঝোতা প্রতিষ্ঠিত হওয়াও বাঞ্ছনীয়। উভয় পক্ষকে দল ও গোষ্ঠীস্বার্থের চেয়ে দেশ ও জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। দেশবাসী সংঘাত চায় না, চায় শান্তি ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি।
এর আগে বিরোধী দলের ডাকা হরতালের আমরা বিরোধিতা করেছিলাম এই যুক্তিতে যে এ ধরনের হিংসাত্মক কর্মসূচি জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তোলে, অর্থনীতির গতি থামিয়ে দেয়। অন্যবারের মতো গত ২৭ জুনের হরতালটিও শান্তিপূর্ণ হয়নি। আগের রাতে পিকেটারদের আগুনে পুড়ে একজন ট্যাক্সিচালককে জীবন দিতে হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।
কিন্তু এক ঘণ্টার মানববন্ধন কর্মসূচিতে সে আশঙ্কা ছিল না। সরকার বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকেও বিধিনিষেধ জারি করা হয়নি। সে ক্ষেত্রে আইন ভাঙারও প্রশ্ন ছিল না। তার পরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কেন কঠোর অবস্থানে গেল, কেন বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের রাস্তায় দাঁড়াতে দেয়নি, তা রহস্যজনক। বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিলে তারা বিকল্প পথই খুঁজে নেবে। সেটি কারও জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না।
বুধবারের কর্মসূচিতে শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীই খড়্গহস্ত ছিল না, কয়েকটি স্থানে সরকার-সমর্থক সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও হামলা চালিয়েছেন। এ ধরনের হামলা নিন্দনীয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব জনজীবনের নিরাপত্তা দেওয়া, কোনো দলের কর্মসূচি পণ্ড করা নয়। তাঁরা দলীয় কর্মীদের মতো আচরণ করবেন কেন?
সরকারের নীতিনির্ধারকেরা বিরোধী দলের কর্মসূচিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার কথা বললেও বাস্তবে তার প্রতিফলন নেই। শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বিরোধী দলকে দমন করা কিংবা দলীয় কাজে রাষ্ট্রের কোনো বাহিনী বা সংস্থাকে ব্যবহার করার পরিণাম কখনো ভালো হয় না। যে পুলিশ আজ বিরোধী দলকে ঠেঙাচ্ছে, সেই পুলিশই জোট আমলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালাত।
অতএব, শক্তি প্রয়োগ না করে সরকারের উচিত সহনশীলতা প্রদর্শন করা ও যেকোনো রাজনৈতিক বিরোধের ক্ষেত্রে আলাপ-আলোচনা ও সমঝোতার পথ বেছে নেওয়া। একই সঙ্গে বিরোধী দলেরও কর্তব্য হবে রাজপথে সমাধান না খুঁজে সংসদে তাদের দাবিদাওয়া তুলে ধরা। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সংসদই হবে রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে ন্যূনতম সমঝোতা প্রতিষ্ঠিত হওয়াও বাঞ্ছনীয়। উভয় পক্ষকে দল ও গোষ্ঠীস্বার্থের চেয়ে দেশ ও জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। দেশবাসী সংঘাত চায় না, চায় শান্তি ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি।
No comments