‘পুয়োল দ্য শার্ক’
ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন গোলরক্ষক হিসেবে। বার্সেলোনায় এসেছিলেন স্ট্রাইকার হিসেবে। অথচ মানুষ তাঁকে চেনে দুনিয়ার অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার হিসেবে। কাল পরিচয়টা একটু সময়ের জন্য বদলে ফেলতে ইচ্ছে হলো।
অনেক দিন পর ‘স্ট্রাইকার’ হয়ে উঠে জার্মানিকে আঘাত করলেন। আর এক আঘাতেই জার্মানিকে কুপোকাত করে দিলেন ‘দ্য শার্ক’—কার্লোস পুয়োল।
ডেভিড ভিয়া, ফার্নান্দো তোরেস, পেদ্রো রদ্রিগেজ এমনকি জাভি, ইনিয়েস্তারাও পারলেন না। প্রবল প্রতাপে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করতে থাকা স্পেনের হয়ে একমাত্র গোলটা করলেন ডিফেন্ডার পুয়োল। পুয়োলের এই কীর্তিতে রীতিমতো গর্জন করছেন সদ্যই পুয়োলের বার্সেলোনায় যোগ দেওয়া ভিয়া, ‘দ্য শার্ক পুয়োলই আমাদের ফাইনালে নিয়ে গেছে।’
শুধু ভিয়া না, পুয়োলকে নিয়ে হইচই করতে কম যাচ্ছেন না রিয়াল মাদ্রিদের জাবি আলোনসোও। স্প্যানিশ মিডফিল্ডারটি ব্যাখ্যা করেছেন পুয়োলের কৃতিত্ব, ‘মিনিট দশেক ধরে আমরা ওদের পেনাল্টি এলাকার ঠিক বাইরে একেবারে শিবির গেড়ে বসেছিলাম। কিন্তু স্কোর করতে পারছিলাম না। তখনই পুয়োল বুনো শুয়োরের মতো তেড়ে এসে গোল করে ফেলল।’
পুয়োলের গোলে মুগ্ধ হয়ে গেছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী হোসে লুই রদ্রিগেজ জাপাতেরো। বার্সেলোনার অন্ধ ভক্ত জাপাতেরো স্প্যানিশ এক রেডিওকে বলেছেন, ‘কী একটা লাফ! কী একটা হেড করল পুয়োল! ও তো স্রেফ অসাধারণ।’
অসাধারণ পারফরম্যান্স পুয়োল এক দশক ধরেই করছেন। কিন্তু ফুটবলের ট্র্যাজেডি—লোকজন গোলদাতাদের নাম মনে রাখে, ডিফেন্ডারদের নয়। তা না হলে পুয়োলের নাম মেসি, রোনালদোদের চেয়ে কম উচ্চারিত হওয়ার কথা নয়।
প্রায় এক দশক ধরে বার্সেলোনার প্রতীকে পরিণত হয়ে আছেন কার্লোস পুয়োল। ২০০৪ সালে লুইস এনরিকে অবসর নেওয়ার পর পুয়োলের হাতেই তুলে দেওয়া হয় বার্সেলোনার নেতৃত্ব। তাঁর অধিনায়কত্বে বার্সেলোনা চারবার স্প্যানিশ লিগ, দুবার চ্যাম্পিয়নস লিগ, একবার ক্লাব বিশ্বকাপ, একবার স্প্যানিশ কাপ, তিনবার স্প্যানিশ সুপার কাপ ও একবার উয়েফা সুপার কাপ জিতেছে।
বার্সেলোনার হয়ে ৩৩১ ম্যাচ খেলেছে, গোল ৬টি। এই সময়ে পুয়োলের ব্যক্তিগত অর্জনও নিতান্ত কম নয়। ২০০২ সালে ইউরোপের সেরা রাইটব্যাক হয়েছেন। ২০০৫, ২০০৬ ও ২০০৮ সালে ইউরোপের সেরা সেন্টারব্যাক হয়েছেন। ২০০৬ সালে পেয়েছেন ইউরোপ-সেরা ডিফেন্ডারের পুরস্কার।
বার্সেলোনার মতো স্পেন দলে তিনি অবশ্য অধিনায়ক নন। ‘আর্মব্যান্ড’টা ছেড়ে দিতে হয় তাঁকে ইকার ক্যাসিয়াসের জন্য। কিন্তু স্পেন দলেও তাঁর আধিপত্য কম দিনের নয়। ২০০০ সালে অভিষেকের পর থেকে স্প্যানিশ দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন, খেলা হয়ে গেছে ৮৯ ম্যাচ। গত ইউরো জয়ের পথে পুয়োলদের ডিফেন্স গলে মাত্র দুটি বল জালে জড়াতে পেরেছিল প্রতিপক্ষ। পুরস্কার হিসেবে টুর্নামেন্টের সেরা একাদশে জায়গা পেয়েছিলেন।
এই নিয়ে টানা তিনটি বিশ্বকাপ খেলতে এলেন। প্রতিবারই পুয়োলদের নিয়ে স্বপ্ন থাকে, ভঙ্গ হয়। এবার ‘দ্য শার্ক’ নিজেই গোল করে দলকে স্বপ্নের দুয়ারে পৌঁছে দিলেন। বাকিটুকু পারবেন তো?
অনেক দিন পর ‘স্ট্রাইকার’ হয়ে উঠে জার্মানিকে আঘাত করলেন। আর এক আঘাতেই জার্মানিকে কুপোকাত করে দিলেন ‘দ্য শার্ক’—কার্লোস পুয়োল।
ডেভিড ভিয়া, ফার্নান্দো তোরেস, পেদ্রো রদ্রিগেজ এমনকি জাভি, ইনিয়েস্তারাও পারলেন না। প্রবল প্রতাপে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করতে থাকা স্পেনের হয়ে একমাত্র গোলটা করলেন ডিফেন্ডার পুয়োল। পুয়োলের এই কীর্তিতে রীতিমতো গর্জন করছেন সদ্যই পুয়োলের বার্সেলোনায় যোগ দেওয়া ভিয়া, ‘দ্য শার্ক পুয়োলই আমাদের ফাইনালে নিয়ে গেছে।’
শুধু ভিয়া না, পুয়োলকে নিয়ে হইচই করতে কম যাচ্ছেন না রিয়াল মাদ্রিদের জাবি আলোনসোও। স্প্যানিশ মিডফিল্ডারটি ব্যাখ্যা করেছেন পুয়োলের কৃতিত্ব, ‘মিনিট দশেক ধরে আমরা ওদের পেনাল্টি এলাকার ঠিক বাইরে একেবারে শিবির গেড়ে বসেছিলাম। কিন্তু স্কোর করতে পারছিলাম না। তখনই পুয়োল বুনো শুয়োরের মতো তেড়ে এসে গোল করে ফেলল।’
পুয়োলের গোলে মুগ্ধ হয়ে গেছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী হোসে লুই রদ্রিগেজ জাপাতেরো। বার্সেলোনার অন্ধ ভক্ত জাপাতেরো স্প্যানিশ এক রেডিওকে বলেছেন, ‘কী একটা লাফ! কী একটা হেড করল পুয়োল! ও তো স্রেফ অসাধারণ।’
অসাধারণ পারফরম্যান্স পুয়োল এক দশক ধরেই করছেন। কিন্তু ফুটবলের ট্র্যাজেডি—লোকজন গোলদাতাদের নাম মনে রাখে, ডিফেন্ডারদের নয়। তা না হলে পুয়োলের নাম মেসি, রোনালদোদের চেয়ে কম উচ্চারিত হওয়ার কথা নয়।
প্রায় এক দশক ধরে বার্সেলোনার প্রতীকে পরিণত হয়ে আছেন কার্লোস পুয়োল। ২০০৪ সালে লুইস এনরিকে অবসর নেওয়ার পর পুয়োলের হাতেই তুলে দেওয়া হয় বার্সেলোনার নেতৃত্ব। তাঁর অধিনায়কত্বে বার্সেলোনা চারবার স্প্যানিশ লিগ, দুবার চ্যাম্পিয়নস লিগ, একবার ক্লাব বিশ্বকাপ, একবার স্প্যানিশ কাপ, তিনবার স্প্যানিশ সুপার কাপ ও একবার উয়েফা সুপার কাপ জিতেছে।
বার্সেলোনার হয়ে ৩৩১ ম্যাচ খেলেছে, গোল ৬টি। এই সময়ে পুয়োলের ব্যক্তিগত অর্জনও নিতান্ত কম নয়। ২০০২ সালে ইউরোপের সেরা রাইটব্যাক হয়েছেন। ২০০৫, ২০০৬ ও ২০০৮ সালে ইউরোপের সেরা সেন্টারব্যাক হয়েছেন। ২০০৬ সালে পেয়েছেন ইউরোপ-সেরা ডিফেন্ডারের পুরস্কার।
বার্সেলোনার মতো স্পেন দলে তিনি অবশ্য অধিনায়ক নন। ‘আর্মব্যান্ড’টা ছেড়ে দিতে হয় তাঁকে ইকার ক্যাসিয়াসের জন্য। কিন্তু স্পেন দলেও তাঁর আধিপত্য কম দিনের নয়। ২০০০ সালে অভিষেকের পর থেকে স্প্যানিশ দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন, খেলা হয়ে গেছে ৮৯ ম্যাচ। গত ইউরো জয়ের পথে পুয়োলদের ডিফেন্স গলে মাত্র দুটি বল জালে জড়াতে পেরেছিল প্রতিপক্ষ। পুরস্কার হিসেবে টুর্নামেন্টের সেরা একাদশে জায়গা পেয়েছিলেন।
এই নিয়ে টানা তিনটি বিশ্বকাপ খেলতে এলেন। প্রতিবারই পুয়োলদের নিয়ে স্বপ্ন থাকে, ভঙ্গ হয়। এবার ‘দ্য শার্ক’ নিজেই গোল করে দলকে স্বপ্নের দুয়ারে পৌঁছে দিলেন। বাকিটুকু পারবেন তো?
No comments