আরেক ধাপ পেরোলেই স্বপ্ন পূরণ
অবশেষে শেষ হয়ে গেল জার্মানির স্বপ্ন। উরুগুয়েরও। রোববারের ফাইনালে মুখোমুখি হবে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন স্পেন আর একাধিকবার শিরোপার কাছে গিয়ে খালি হাতে ফেরা হল্যান্ড। দুদলের কেউই এর আগে শিরোপা জেতেনি। ফলে এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়, রোববারের ফাইনালে যে খেলোয়াড়েরা শিরোপা জিতবে, ইতিহাসে অমরত্ব পাবে তারাই। সারাটা জীবন তাদের দেশের জাতীয় বীরের মর্যাদা পাবে। যারা এই সোনালি ট্রফিটা হাতে তুলে নেয়, তাদের গৌরব-আনন্দ-উচ্ছ্বাস যেমন ভাষায় প্রকাশ করা যায় না, তেমনি এত কাছে থেকে শূন্য হাতে ফেরার হতাশা বর্ণনা করার সাধ্যও কারও নেই।
জার্মানির স্বপ্নের হূৎপিণ্ড স্পেন এফোঁড়ওফোঁড় করে দিয়েছে আসলে একটা মাত্র ছুরিকাঘাতে। না, ভিয়া নয় এমনকি তোরেসও নয়; শেষ পর্যন্ত জার্মানির হন্তারকের নাম পুয়োল, যে কিনা আদতে একজন ডিফেন্ডার। ৭৩ মিনিটে অরক্ষিত পুয়োল যেন মাটি ফুঁড়ে কোত্থেকে হাজির হলো। জোরালো হেডে বল পাঠিয়ে দিল জালে। আগের ম্যাচগুলোতে স্পেন থেমে থেমে জ্বলে উঠেছে। কিন্তু এভাবে ঝলসে ওঠেনি কখনোই।
জার্মানির বিপক্ষে তাদের মূল অস্ত্র ছিল বলের দখল রাখা। ওদের পাসিং আর মুভমেন্ট ছিল অসাধারণ। তা ছাড়া জার্মানির বেশির ভাগ পাল্টা আক্রমণই ওরা ঠেকিয়ে দিয়েছে। নতুন এক উচ্চতায় উঠে গেছে তারা, শীর্ষবিন্দুটার একদম কাছাকাছি। কিন্তু ফাইনালে ওদের প্রতিপক্ষ হল্যান্ড বলেই বলছি, আরও উন্নতি করতে হবে স্পেনকে। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে পেদ্রো যদি ঠিকমতো বলটা ঠেলে দিত তোরেসের দিকে, ম্যাচটা তখনই সে শেষ করে দিতে পারত। তোরেস খুঁজে পেতে পারত তাঁর ফর্মটাও।
স্পেন মাঝে মাঝেই জার্মানিকে ছিন্নভিন্ন করে ফেলার হুমকি দিচ্ছিল, কিন্তু সম্মিলিত এই ভালো প্রচেষ্টা শেষ পর্যন্ত মুখ থুবড়ে পড়ছিল জার্মানির ডিফেন্সে। বলের দখল আর জায়গা খুঁজে পেতে হাঁসফাঁস করেছে জার্মানি। মাঠের পুরোটা জায়গাজুড়ে স্পেন জার্মানির পথ বন্ধ করে রেখেছিল। যে দুর্দান্ত গতিতে উঠে এসে আর্জেন্টিনা আর ইংল্যান্ডকে ধ্বংস করে দিয়েছিল জার্মানি, সেটি এ ম্যাচে খুঁজে পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত যোগ্য দল হিসেবেই ফাইনালে উঠে গেল স্পেন।
হল্যান্ডও উরুগুয়ের বিপক্ষে প্রাপ্য জয়টা নিয়ে ফাইনালে উঠেছে। ঠান্ডা মাথায় নিজেদের কাজটা করেছে ওরা। ফোরলান সমতা ফেরানোর ওই মুহূর্তটা বাদে ম্যাচের পুরোটা সময় নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতেই ছিল। অধিনায়ক জিওভানি ফন ব্রঙ্কহর্স্টের সেই ডিফেন্স ভেদ করে ঢুকে পড়া মিসাইল ম্যাচের শুরুতেই বড় ধাক্কা দিয়েছিল উরুগুয়েকে। রোববারের ফাইনালের স্বপ্নে বিভোর হয়ে ডাচরা যখন প্রথমার্ধের শেষ দিকে এগোচ্ছিল, ঠিক সেই সময় ফোরলান এক ধাক্কায় ওদের নামিয়ে এনেছিল বাস্তবতার মাটিতে।
দক্ষিণ আমেরিকার এই দলটি সহজে বশ মানে না। আর তাই আবারও লিড নিতে হল্যান্ডকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল দ্বিতীয়ার্ধের ২৫ মিনিট। স্নাইডারের ওই গোলের তিন মিনিট পর ফাইনাল নিশ্চিত করে দেয় রোবেনের গোল। কিন্তু উরুগুয়ে যে শেষ না হওয়া পর্যন্ত শেষ মানে না। আর তাই পেরেইরার আগুনঝরা শট নিশ্চিত করল, শেষ কয়েক মিনিটে হল্যান্ডের স্নায়ুর চরম পরীক্ষাই নেবে উরুগুয়ে।
ফাইনালে উঠে আসার এই পথে ডাচরা ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাসের পারদ উঁচুতে নিয়ে গেছে। প্রতি ম্যাচেই আগের চেয়ে ভালো খেলেছে। রোবেনের ফেরাটাও ওদের জন্য খুবই সহায়ক হয়েছে। টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট ব্রাজিলকে হারিয়েছে ওরা। এটা যোগ করেছে বাড়তি আত্মবিশ্বাস। এখন আর একটা মাত্র চ্যালেঞ্জ, একটা শেষ প্রতিপক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে আছে ওরা। যেটি পেরোলেই আরাধ্য সেই শিরোপা।
স্পেনের জন্যও তা-ই। বিশ্ব ফুটবলের সেরা দল এখন ওরাই। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নের মুকুটের সঙ্গে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের গৌরবটাও যোগ করার স্বপ্ন দেখছে ওরা। আর একটা মাত্র দিন, একটি মাত্র প্রতিপক্ষ, একটা মাত্র ম্যাচ এবং অবশ্যই একমাত্র সুযোগও!
জার্মানির স্বপ্নের হূৎপিণ্ড স্পেন এফোঁড়ওফোঁড় করে দিয়েছে আসলে একটা মাত্র ছুরিকাঘাতে। না, ভিয়া নয় এমনকি তোরেসও নয়; শেষ পর্যন্ত জার্মানির হন্তারকের নাম পুয়োল, যে কিনা আদতে একজন ডিফেন্ডার। ৭৩ মিনিটে অরক্ষিত পুয়োল যেন মাটি ফুঁড়ে কোত্থেকে হাজির হলো। জোরালো হেডে বল পাঠিয়ে দিল জালে। আগের ম্যাচগুলোতে স্পেন থেমে থেমে জ্বলে উঠেছে। কিন্তু এভাবে ঝলসে ওঠেনি কখনোই।
জার্মানির বিপক্ষে তাদের মূল অস্ত্র ছিল বলের দখল রাখা। ওদের পাসিং আর মুভমেন্ট ছিল অসাধারণ। তা ছাড়া জার্মানির বেশির ভাগ পাল্টা আক্রমণই ওরা ঠেকিয়ে দিয়েছে। নতুন এক উচ্চতায় উঠে গেছে তারা, শীর্ষবিন্দুটার একদম কাছাকাছি। কিন্তু ফাইনালে ওদের প্রতিপক্ষ হল্যান্ড বলেই বলছি, আরও উন্নতি করতে হবে স্পেনকে। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে পেদ্রো যদি ঠিকমতো বলটা ঠেলে দিত তোরেসের দিকে, ম্যাচটা তখনই সে শেষ করে দিতে পারত। তোরেস খুঁজে পেতে পারত তাঁর ফর্মটাও।
স্পেন মাঝে মাঝেই জার্মানিকে ছিন্নভিন্ন করে ফেলার হুমকি দিচ্ছিল, কিন্তু সম্মিলিত এই ভালো প্রচেষ্টা শেষ পর্যন্ত মুখ থুবড়ে পড়ছিল জার্মানির ডিফেন্সে। বলের দখল আর জায়গা খুঁজে পেতে হাঁসফাঁস করেছে জার্মানি। মাঠের পুরোটা জায়গাজুড়ে স্পেন জার্মানির পথ বন্ধ করে রেখেছিল। যে দুর্দান্ত গতিতে উঠে এসে আর্জেন্টিনা আর ইংল্যান্ডকে ধ্বংস করে দিয়েছিল জার্মানি, সেটি এ ম্যাচে খুঁজে পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত যোগ্য দল হিসেবেই ফাইনালে উঠে গেল স্পেন।
হল্যান্ডও উরুগুয়ের বিপক্ষে প্রাপ্য জয়টা নিয়ে ফাইনালে উঠেছে। ঠান্ডা মাথায় নিজেদের কাজটা করেছে ওরা। ফোরলান সমতা ফেরানোর ওই মুহূর্তটা বাদে ম্যাচের পুরোটা সময় নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতেই ছিল। অধিনায়ক জিওভানি ফন ব্রঙ্কহর্স্টের সেই ডিফেন্স ভেদ করে ঢুকে পড়া মিসাইল ম্যাচের শুরুতেই বড় ধাক্কা দিয়েছিল উরুগুয়েকে। রোববারের ফাইনালের স্বপ্নে বিভোর হয়ে ডাচরা যখন প্রথমার্ধের শেষ দিকে এগোচ্ছিল, ঠিক সেই সময় ফোরলান এক ধাক্কায় ওদের নামিয়ে এনেছিল বাস্তবতার মাটিতে।
দক্ষিণ আমেরিকার এই দলটি সহজে বশ মানে না। আর তাই আবারও লিড নিতে হল্যান্ডকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল দ্বিতীয়ার্ধের ২৫ মিনিট। স্নাইডারের ওই গোলের তিন মিনিট পর ফাইনাল নিশ্চিত করে দেয় রোবেনের গোল। কিন্তু উরুগুয়ে যে শেষ না হওয়া পর্যন্ত শেষ মানে না। আর তাই পেরেইরার আগুনঝরা শট নিশ্চিত করল, শেষ কয়েক মিনিটে হল্যান্ডের স্নায়ুর চরম পরীক্ষাই নেবে উরুগুয়ে।
ফাইনালে উঠে আসার এই পথে ডাচরা ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাসের পারদ উঁচুতে নিয়ে গেছে। প্রতি ম্যাচেই আগের চেয়ে ভালো খেলেছে। রোবেনের ফেরাটাও ওদের জন্য খুবই সহায়ক হয়েছে। টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট ব্রাজিলকে হারিয়েছে ওরা। এটা যোগ করেছে বাড়তি আত্মবিশ্বাস। এখন আর একটা মাত্র চ্যালেঞ্জ, একটা শেষ প্রতিপক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে আছে ওরা। যেটি পেরোলেই আরাধ্য সেই শিরোপা।
স্পেনের জন্যও তা-ই। বিশ্ব ফুটবলের সেরা দল এখন ওরাই। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নের মুকুটের সঙ্গে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের গৌরবটাও যোগ করার স্বপ্ন দেখছে ওরা। আর একটা মাত্র দিন, একটি মাত্র প্রতিপক্ষ, একটা মাত্র ম্যাচ এবং অবশ্যই একমাত্র সুযোগও!
No comments