স্বপ্ন এখন আরও বড়
ভিসেন্তে দেল বস্ক তো বটেই, নিজের শিষ্যদের নিয়ে এমন স্তুতি খুব কম কোচের কণ্ঠেই এর আগে দেখা গেছে। সেমিফাইনালে উঠেই ইতিহাস গড়েছিল স্পেন, ইতিহাসের পরিধি বাড়িয়ে দিল ফাইনালে উঠে। কিন্তু দলের খেলায় স্পেন কোচ এতটাই মুগ্ধ যে ইতিহাস নয়, তাঁর কণ্ঠে শুধুই শিষ্যদের নিয়ে উচ্ছ্বাস। যে জার্মানিকে থামানো মনে হচ্ছিল অসম্ভব, সেই জার্মানিকেই এভাবে নাস্তানাবুদ করল স্পেন! দেল বস্কের কিন্তু একটুও অবাক লাগছে না, ‘আমার ছেলেরা সবাই অসাধারণ, দুর্দান্ত ফুটবলার। এটাই সবকিছুকে সহজ করে দেয়। আমি একদল তরুণকে পরিচালনা করছি, যারা আবার দারুণ অভিজ্ঞও!’
টুর্নামেন্টের আগেও তারা ফেবারিট ছিল। কিন্তু প্রথম ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের কাছে হারার পর শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠাটাই। সেই দলই এখন ফাইনালে। দেল বস্ক জানাচ্ছেন, ওই হারটাই দলকে আরও অনুপ্রাণিত করেছে, ‘আমার ছেলেরা জানে ফুটবলটা কী। সুইজারল্যান্ডের কাছে হারটা আমাদের জন্য ছিল বড় একটা আঘাত, ওই হার আমাদের প্রাপ্য ছিল না। সেই থেকে আমরা নিজেদের আরও গুছিয়ে নিয়েছি। এটাই আমাদের ফাইনালে তুলেছে।’
নিজে খুব বেশি কিছু করতে পারেননি, কিন্তু পরশু দলের খেলায় মুগ্ধ ডেভিড ভিয়াও, ‘এই বিশ্বকাপে আমাদের সবচেয়ে পরিপূর্ণ ম্যাচ এটাই।’ পাঁচ গোল করা স্ট্রাইকার এখন তাকিয়ে আছেন আরও বড় সাফল্যের দিকে, ‘সেমিফাইনালে উঠেই আমরা ইতিহাস গড়েছিলাম, তবে এটা হলো (ফাইনাল) সত্যিকারের ইতিহাস, অবিশ্বাস্য। তবে স্পেনের এটা প্রাপ্য। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে আমরা অনেক কষ্ট করেছি। এখন আমরা হতে চাই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।’ অধিনায়ক ইকার ক্যাসিয়াসও মানছেন পরশুর স্পেন ছিল অনন্য, ‘আমরা খুবই খুশি। এই ম্যাচটাতেই আমরা সবচেয়ে সুন্দর ফুটবল খেলেছি। নিজেদের খেলাটা আমরা খেলতে পেরেছি বলেই ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। দুদলের মধ্যে ব্যবধান গড়ে দিয়েছে এটাই।’
স্পেন অধিনায়কের কথাটাই আসলে পরশুর ম্যাচের সারমর্ম। স্পেন নিজেদের পরিচিত খেলাটা খেলতে পেরেছে, কিন্তু জার্মানি পারেনি নিজেদের মতো খেলতে। অন্যভাবে বললে স্পেন নিজেদের সেরাটা খেলেছে বলেই জার্মানি পারেনি বা জার্মানিকে খেলতে দেয়নি স্পেন। জাভি-ইনিয়েস্তা-আলোনসো-বুসকেটসদের পাসিং ফুটবল অসহায় দর্শক বানিয়ে ফেলেছিল জার্মানদের।
পুরো টুর্নামেন্টেই দুর্দান্ত খেলেছেন সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকে। পরশুও এর ব্যতিক্রম হয়নি। প্রথম কোনো বড় টুর্নামেন্টে খেলতে এসেই ফাইনাল, এই তরুণ ভেসে যাচ্ছেন উচ্ছ্বাসে, ‘আমি অনেক খুশি, আমরা সবাই খুশি। মিনিট দশেক সময় বাদ দিয়ে ম্যাচের প্রায় পুরোটাই আমরা নিয়ন্ত্রণ করেছি। আগামীকাল থেকে আমরা হল্যান্ড নিয়ে ভাবব, তবে আজ শুধুই আনন্দ করব, সাফল্য উপভোগ করব।’ মাঝমাঠের শিল্পীদের একজন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তাও চান সময়টা শুধুই উপভোগ করতে। তবে শুধু ফাইনালে ওঠার উৎসবই নয়, ইনিয়েস্তা উৎসব করতে চান ফাইনাল শেষেও, ‘আমরা যেভাবে খেলে আসছি, এর পুরস্কার এই ফাইনাল। আমরা আজ উপভোগ করব। আশা করি, উপভোগ করব ফাইনাল শেষেও।’
টুর্নামেন্টের আগেও তারা ফেবারিট ছিল। কিন্তু প্রথম ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের কাছে হারার পর শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠাটাই। সেই দলই এখন ফাইনালে। দেল বস্ক জানাচ্ছেন, ওই হারটাই দলকে আরও অনুপ্রাণিত করেছে, ‘আমার ছেলেরা জানে ফুটবলটা কী। সুইজারল্যান্ডের কাছে হারটা আমাদের জন্য ছিল বড় একটা আঘাত, ওই হার আমাদের প্রাপ্য ছিল না। সেই থেকে আমরা নিজেদের আরও গুছিয়ে নিয়েছি। এটাই আমাদের ফাইনালে তুলেছে।’
নিজে খুব বেশি কিছু করতে পারেননি, কিন্তু পরশু দলের খেলায় মুগ্ধ ডেভিড ভিয়াও, ‘এই বিশ্বকাপে আমাদের সবচেয়ে পরিপূর্ণ ম্যাচ এটাই।’ পাঁচ গোল করা স্ট্রাইকার এখন তাকিয়ে আছেন আরও বড় সাফল্যের দিকে, ‘সেমিফাইনালে উঠেই আমরা ইতিহাস গড়েছিলাম, তবে এটা হলো (ফাইনাল) সত্যিকারের ইতিহাস, অবিশ্বাস্য। তবে স্পেনের এটা প্রাপ্য। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে আমরা অনেক কষ্ট করেছি। এখন আমরা হতে চাই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।’ অধিনায়ক ইকার ক্যাসিয়াসও মানছেন পরশুর স্পেন ছিল অনন্য, ‘আমরা খুবই খুশি। এই ম্যাচটাতেই আমরা সবচেয়ে সুন্দর ফুটবল খেলেছি। নিজেদের খেলাটা আমরা খেলতে পেরেছি বলেই ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। দুদলের মধ্যে ব্যবধান গড়ে দিয়েছে এটাই।’
স্পেন অধিনায়কের কথাটাই আসলে পরশুর ম্যাচের সারমর্ম। স্পেন নিজেদের পরিচিত খেলাটা খেলতে পেরেছে, কিন্তু জার্মানি পারেনি নিজেদের মতো খেলতে। অন্যভাবে বললে স্পেন নিজেদের সেরাটা খেলেছে বলেই জার্মানি পারেনি বা জার্মানিকে খেলতে দেয়নি স্পেন। জাভি-ইনিয়েস্তা-আলোনসো-বুসকেটসদের পাসিং ফুটবল অসহায় দর্শক বানিয়ে ফেলেছিল জার্মানদের।
পুরো টুর্নামেন্টেই দুর্দান্ত খেলেছেন সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকে। পরশুও এর ব্যতিক্রম হয়নি। প্রথম কোনো বড় টুর্নামেন্টে খেলতে এসেই ফাইনাল, এই তরুণ ভেসে যাচ্ছেন উচ্ছ্বাসে, ‘আমি অনেক খুশি, আমরা সবাই খুশি। মিনিট দশেক সময় বাদ দিয়ে ম্যাচের প্রায় পুরোটাই আমরা নিয়ন্ত্রণ করেছি। আগামীকাল থেকে আমরা হল্যান্ড নিয়ে ভাবব, তবে আজ শুধুই আনন্দ করব, সাফল্য উপভোগ করব।’ মাঝমাঠের শিল্পীদের একজন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তাও চান সময়টা শুধুই উপভোগ করতে। তবে শুধু ফাইনালে ওঠার উৎসবই নয়, ইনিয়েস্তা উৎসব করতে চান ফাইনাল শেষেও, ‘আমরা যেভাবে খেলে আসছি, এর পুরস্কার এই ফাইনাল। আমরা আজ উপভোগ করব। আশা করি, উপভোগ করব ফাইনাল শেষেও।’
No comments