পেদ্রো তবু নায়কই
৮১ মিনিটে মাঠ ছাড়লেন মাথা নাড়তে নাড়তে। টিভির ভাষ্যকার বললেন, হয়তো শাস্তিস্বরূপ তুলে নেওয়া হলো তাঁকে। একটু আগে যা করেছেন, তাতে পেদ্রো রদ্রিগেজের ওপর যথেষ্টই ক্ষিপ্ত হওয়ার কথা কোচের। ফাঁকায় দাঁড়ানো ফার্নান্দো তোরেসকে পাসটা দিলেই ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়ে নিশ্চিন্ত হতে পারত স্পেন। কিন্তু স্পেনের জার্সি গায়ে প্রথম একাদশে প্রথমবার নামাটা পেদ্রো হয়তো স্মরণীয় করে রাখতে চাইলেন গোল করে। তোরেসকে পাস না দিয়ে নিজেই গোল করতে চাইলেন, কিন্তু পারলেন না।
মাঠেই হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়েছিলেন সতীর্থদের কাছে। ভুলটা স্বীকার করলেন ম্যাচ শেষেও, ‘আমি একা ছিলাম, পাশে ছিল তোরেস। হয়তো একটু বেশিই আত্মবিশ্বাসী হয়ে পড়েছিলাম।’ এর আগ পর্যন্ত খেলেছেন অবশ্য আত্মবিশ্বাসী হওয়ার মতোই। গোল না পাওয়া কিংবা ওই পাস না দেওয়ার ঘটনার পরও শুরুর একাদশে অভিষেকটা স্মরণীয়ই হয়ে থাকবে ২২ বছর বয়সী এই তরুণের। পরশু ফার্নান্দো তোরেসের জায়গায় সুযোগ পেয়ে খেললেন দুর্দান্ত। ৬ মিনিটে জার্মান ডিফেন্স চিরে ডেভিড ভিয়াকে যে পাসটি দিয়েছিলেন, সেটিকে রাখতে হবে এই বিশ্বকাপের সেরা পাসগুলোর মধ্যে। নিজেও গোলের কাছাকাছি গিয়েছেন কয়েকবার। গতি আর স্কিল দিয়ে বারবার আতঙ্ক ছড়িয়েছেন জার্মান ডিফেন্সে।
অথচ এই ম্যাচে তাঁর খেলাটাই ছিল একটা বিস্ময়। সেরা একাদশ ঘোষণার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত কেউ ভাবতে পারেননি দলে থাকবেন পেদ্রো। অফ ফর্ম থাকা তোরেসের সেরা একাদশে না থাকাটা অবাক করেনি, আলোচনা চলছিল কদিন থেকেই। তবে তাঁর জায়গায় আরেক ‘তোরেস’, ফার্নান্দো লরেন্তে তোরেস আর সেস ফ্যাব্রিগাসের একজনকে খেলানোর কথাই শোনা যাচ্ছিল। সবাইকে অবাক করে দিয়ে ভিসেন্তে দেল বস্ক নামালেন পেদ্রোকে, জুয়াটা কাজেও লেগে গেল দারুণভাবে। সেরা একাদশে থাকাটা অবাক করেছিল স্বয়ং পেদ্রোকেও, ‘সত্যি বলতে আমি একটু অবাকই হয়েছিলাম। ম্যাচে অবদান রাখতে পেরে ভালো লাগছে। আমরা যেভাবে খেলেছি, তাতে আমি খুবই খুশি।’
বার্সেলোনায় পেদ্রোকে দেখে থাকলে অবশ্য পরশুর পারফরম্যান্সে অবাক হওয়ার কিছু নেই। স্পেনের এই দলের জেরার্ড পিকে, সার্জিও বুসকেটস, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, জাভি হার্নান্দেজদের মতো তিনিও বার্সার বিখ্যাত যুব প্রকল্প থেকে উঠে এসেছেন। বার্সেলোনায় অভিষেক হয়েছে বছর দুয়েক আগে। একাদশে এখনো নিয়মিত হতে পারেননি, তবে যখনই সুযোগ পেয়েছেন প্রতিভার ঝলক দেখিয়েছেন। ২০০৮-’০৯ মৌসুমে বার্সার হয়ে ছয়টি ভিন্ন প্রতিযোগিতায় গোল করে গড়েছেন অবিস্মরণীয় একটি রেকর্ড। বিশ্বকাপ দলে তো আর এমনি এমনি সুযোগ পাননি! জার্মানির বিপক্ষে যা খেললেন, তাতে নিশ্চিত হয়ে গেছে, দারুণ একটা ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে পেদ্রোর জন্য।
মাঠেই হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়েছিলেন সতীর্থদের কাছে। ভুলটা স্বীকার করলেন ম্যাচ শেষেও, ‘আমি একা ছিলাম, পাশে ছিল তোরেস। হয়তো একটু বেশিই আত্মবিশ্বাসী হয়ে পড়েছিলাম।’ এর আগ পর্যন্ত খেলেছেন অবশ্য আত্মবিশ্বাসী হওয়ার মতোই। গোল না পাওয়া কিংবা ওই পাস না দেওয়ার ঘটনার পরও শুরুর একাদশে অভিষেকটা স্মরণীয়ই হয়ে থাকবে ২২ বছর বয়সী এই তরুণের। পরশু ফার্নান্দো তোরেসের জায়গায় সুযোগ পেয়ে খেললেন দুর্দান্ত। ৬ মিনিটে জার্মান ডিফেন্স চিরে ডেভিড ভিয়াকে যে পাসটি দিয়েছিলেন, সেটিকে রাখতে হবে এই বিশ্বকাপের সেরা পাসগুলোর মধ্যে। নিজেও গোলের কাছাকাছি গিয়েছেন কয়েকবার। গতি আর স্কিল দিয়ে বারবার আতঙ্ক ছড়িয়েছেন জার্মান ডিফেন্সে।
অথচ এই ম্যাচে তাঁর খেলাটাই ছিল একটা বিস্ময়। সেরা একাদশ ঘোষণার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত কেউ ভাবতে পারেননি দলে থাকবেন পেদ্রো। অফ ফর্ম থাকা তোরেসের সেরা একাদশে না থাকাটা অবাক করেনি, আলোচনা চলছিল কদিন থেকেই। তবে তাঁর জায়গায় আরেক ‘তোরেস’, ফার্নান্দো লরেন্তে তোরেস আর সেস ফ্যাব্রিগাসের একজনকে খেলানোর কথাই শোনা যাচ্ছিল। সবাইকে অবাক করে দিয়ে ভিসেন্তে দেল বস্ক নামালেন পেদ্রোকে, জুয়াটা কাজেও লেগে গেল দারুণভাবে। সেরা একাদশে থাকাটা অবাক করেছিল স্বয়ং পেদ্রোকেও, ‘সত্যি বলতে আমি একটু অবাকই হয়েছিলাম। ম্যাচে অবদান রাখতে পেরে ভালো লাগছে। আমরা যেভাবে খেলেছি, তাতে আমি খুবই খুশি।’
বার্সেলোনায় পেদ্রোকে দেখে থাকলে অবশ্য পরশুর পারফরম্যান্সে অবাক হওয়ার কিছু নেই। স্পেনের এই দলের জেরার্ড পিকে, সার্জিও বুসকেটস, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, জাভি হার্নান্দেজদের মতো তিনিও বার্সার বিখ্যাত যুব প্রকল্প থেকে উঠে এসেছেন। বার্সেলোনায় অভিষেক হয়েছে বছর দুয়েক আগে। একাদশে এখনো নিয়মিত হতে পারেননি, তবে যখনই সুযোগ পেয়েছেন প্রতিভার ঝলক দেখিয়েছেন। ২০০৮-’০৯ মৌসুমে বার্সার হয়ে ছয়টি ভিন্ন প্রতিযোগিতায় গোল করে গড়েছেন অবিস্মরণীয় একটি রেকর্ড। বিশ্বকাপ দলে তো আর এমনি এমনি সুযোগ পাননি! জার্মানির বিপক্ষে যা খেললেন, তাতে নিশ্চিত হয়ে গেছে, দারুণ একটা ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে পেদ্রোর জন্য।
No comments