নরিয়েগাকে আরও সাত বছরের সাজা দিল ফরাসি আদালত
পানামার সাবেক স্বৈরশাসক ম্যানুয়েল নরিয়েগাকে সাত বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। আশির দশকে কলম্বিয়ার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাদক বিক্রির অর্থ পাচারের দায়ে তাঁকে এ সাজা দেওয়া হলো। আদালত তাঁর পাচার করা ২৮ লাখ মার্কিন ডলার জব্দ করারও নির্দেশ দিয়েছেন।
প্যারিসের একটি আদালতে গত বুধবার এ রায় ঘোষণা করা হয়। এ সময় ৭৬ বছরের নরিয়েগা কাঠগড়ায় কুঁজো হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। রায় শোনার পর তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। স্প্যানিশ ভাষায় দেওয়া এ রায় একজন দোভাষী নরিয়েগাকে পড়িয়ে শোনান। তাঁর আইনজীবী এ রায়কে ‘মারাত্মক ত্রুটিপূর্ণ’ বলে অভিহিত করেছেন।
আদালতের রায় ঘোষণার পর নরিয়েগার আইনজীবী ইভস লেবারকুয়ার বলেছেন, রায় শুনে তাঁর মক্কেল বিস্মিত হয়েছেন। তিনি ভেঙ্গে পড়েছেন।
এর আগে ১৯৯৯ সালে ফ্রান্সের আদালতে তাঁর অনুপস্থিতে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রে ২০ বছর কারাভোগ করার পর গত এপ্রিলে নরিয়েগাকে ফ্রান্সের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নরিয়েগার বিরুদ্ধে আনা অর্থ পাচারের মামলার শুনানি গত সপ্তাহে একই আদালতে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় নরিয়েগা তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আশির দশকে তাঁর একসময়কার মিত্ররাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্রের শিকার তিনি।
অনেক বছর ধরে পানামার সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান থাকার পর নরিয়েগা ১৯৮২ সালে সে দেশের ক্ষমতাধর ন্যাশনাল গার্ডের কমান্ডার হন। এরপর থেকে তিনি কার্যত দেশের শাসক হয়ে যান। ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত পানামা শাসন করেন তিনি।
অর্থ পাচারের অভিযোগের ব্যাপারে নরিয়েগা জবানবন্দিতে বলেছেন, আশির দশকে মিত্ররাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন তিনি। মধ্য আমেরিকায় বামপন্থীদের উত্থান দমনে যুক্তরাষ্ট্র পানামা ভূখণ্ড ব্যবহার করতে চেয়েছিল। কিন্তু তিনি এ প্রস্তাবে রাজি হননি। তাই যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।
যুক্তরাষ্ট্রে ১৭ বছর কারাভোগ শেষে ২০০৭ সালে নিজেকে পানামায় পাঠানোর জন্য মার্কিন সরকারের কাছে আবেদন করেছিলেন নরিয়েগা। তবে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট গত ফেব্রুয়ারিতে এ আবেদন খারিজ করে দেন।
পানামা সরকার জানায়, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি তারা সম্মান জানায়। তবে তারা নরিয়েগাকে দেশে ফিরিয়ে নিতেও চেষ্টা করবে। কেননা পানামাতেও তিনি সাজাপ্রাপ্ত।
ষাটের দশকের শেষের দিক নরিয়েগা সিআইয়ের এজেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত তিনি সিআইএকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেন। কিন্তু ১৯৮৮ সালে তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ আনে যুক্তরাষ্ট্র
প্যারিসের একটি আদালতে গত বুধবার এ রায় ঘোষণা করা হয়। এ সময় ৭৬ বছরের নরিয়েগা কাঠগড়ায় কুঁজো হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। রায় শোনার পর তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। স্প্যানিশ ভাষায় দেওয়া এ রায় একজন দোভাষী নরিয়েগাকে পড়িয়ে শোনান। তাঁর আইনজীবী এ রায়কে ‘মারাত্মক ত্রুটিপূর্ণ’ বলে অভিহিত করেছেন।
আদালতের রায় ঘোষণার পর নরিয়েগার আইনজীবী ইভস লেবারকুয়ার বলেছেন, রায় শুনে তাঁর মক্কেল বিস্মিত হয়েছেন। তিনি ভেঙ্গে পড়েছেন।
এর আগে ১৯৯৯ সালে ফ্রান্সের আদালতে তাঁর অনুপস্থিতে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রে ২০ বছর কারাভোগ করার পর গত এপ্রিলে নরিয়েগাকে ফ্রান্সের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নরিয়েগার বিরুদ্ধে আনা অর্থ পাচারের মামলার শুনানি গত সপ্তাহে একই আদালতে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় নরিয়েগা তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আশির দশকে তাঁর একসময়কার মিত্ররাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্রের শিকার তিনি।
অনেক বছর ধরে পানামার সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান থাকার পর নরিয়েগা ১৯৮২ সালে সে দেশের ক্ষমতাধর ন্যাশনাল গার্ডের কমান্ডার হন। এরপর থেকে তিনি কার্যত দেশের শাসক হয়ে যান। ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত পানামা শাসন করেন তিনি।
অর্থ পাচারের অভিযোগের ব্যাপারে নরিয়েগা জবানবন্দিতে বলেছেন, আশির দশকে মিত্ররাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন তিনি। মধ্য আমেরিকায় বামপন্থীদের উত্থান দমনে যুক্তরাষ্ট্র পানামা ভূখণ্ড ব্যবহার করতে চেয়েছিল। কিন্তু তিনি এ প্রস্তাবে রাজি হননি। তাই যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।
যুক্তরাষ্ট্রে ১৭ বছর কারাভোগ শেষে ২০০৭ সালে নিজেকে পানামায় পাঠানোর জন্য মার্কিন সরকারের কাছে আবেদন করেছিলেন নরিয়েগা। তবে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট গত ফেব্রুয়ারিতে এ আবেদন খারিজ করে দেন।
পানামা সরকার জানায়, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি তারা সম্মান জানায়। তবে তারা নরিয়েগাকে দেশে ফিরিয়ে নিতেও চেষ্টা করবে। কেননা পানামাতেও তিনি সাজাপ্রাপ্ত।
ষাটের দশকের শেষের দিক নরিয়েগা সিআইয়ের এজেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত তিনি সিআইএকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেন। কিন্তু ১৯৮৮ সালে তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ আনে যুক্তরাষ্ট্র
No comments