৫ রাজ্যে মাওবাদীদের হামলা
মাওবাদীদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার ভারত বনেধর প্রথম দিনে ভারতের মাওবাদী অধ্যুষিত রাজ্য ছত্তিশগড়, ওড়িশা, আসাম, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খন্ড ও পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক হামলা, সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার থেকে শুরু হয়েছে এই বন্ধ্। শেষ হবে আজ শুক্রবার। অন্ধ্র প্রদেশের শীর্ষ মাওবাদী নেতা চেরিপুরি রাজকুমার ওরফে আজাদকে ‘হত্যা’ করার প্রতিবাদে এই বনেধর ডাক দেয় মাওবাদীরা। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পুলিশের সঙ্গে এক সংঘর্ষে নিহত হন মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় নেতা আজাদ। মাওবাদীরা অবশ্য ওই সংঘর্ষের কাহিনিকে পুলিশের মিথ্যা রটনা বলে দাবি করেছে।
বনেধর প্রথম দিনেই মাওবাদীরা ওড়িশার কেওনঝাড় জেলার দৈতারি থানায় হামলা চালায়। ৮০ জন মাওবাদীর একটি স্কোয়াড থানাটির ওপর আক্রমণ চালিয়ে উমেশ চন্দ্র মারান্ডি নামের এক পুলিশ কর্মকর্তাকে অপহরণ করে। মাওবাদীদের স্কোয়াডটি কাছের বন বিভাগের একটি অফিসেও হামলা চালায় এবং অফিসটি জ্বালিয়ে দেয়।
মহারাষ্ট্রের গাদচিরোলি জেলার ডংগারগাঁও গ্রামে মাওবাদীরা টহলরত একদল পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় পুলিশের গুলিতে এক মাওবাদী নারী নিহত হন।
পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির কলমীমাতা গ্রামে মাওবাদীরা সাতজন সিপিএম নেতার বাড়িতে হামলা চালায়। বুধবার রাতে ছত্তিশগড়ের কুয়াকোন্ডা থানার নকুলনর গ্রামের কংগ্রেস নেতা অধ্যেশ গৌতমের বাড়ির ওপর মাওবাদীদের একটি দল হামলা চালায়। এ হামলায় অধ্যেশ গৌতমের দুই সহযোগী নিহত এবং তাঁর ছেলে ও এক নিরাপত্তা রক্ষী আহত হন। মাওবাদীরা কুয়াকোন্ডা থানাতেও হামলা চালায়। এ হামলার সময় ছয়জন মাওবাদী নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এ ছাড়া এদিন ছত্তিশগড়ের তিনটি জেলায় সিআরপিএফের তিনটি ক্যাম্পে হামলা চালায় মাওবাদীরা। রাত সাড়ে নয়টার দিকে নারায়ণপুরের এরকা গ্রাম, দান্তেওয়ারার পোলামপল্লি এবং বিজাপুর জেলার বসাগুড়ায় তিনটি সিআরপিএফ ক্যাম্পে একই সময়ে হামলা চালায় মাওবাদীরা। ঝাড়খণ্ডের লাতেহার জেলার একটি রেলস্টেশন ও রেললাইনের একটি অংশ উড়িয়ে দিয়েছে মাওবাদীরা। ঝাড়খন্ডের ধানবাদেও ব্যাপক নাশকতা চালিয়েছে মাওবাদীরা।
আসামের রাজধানী গুয়াহাটি থেকে কলকাতা আসার পথে গরিবরথ এক্সপ্রেস ট্রেনটি আসামের গোসাঁইগাঁও স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনায় পড়ে। অনুমান করা হচ্ছে, বোমা বিস্ফোরণের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ট্রেনটির ইঞ্জিনসহ তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ দুর্ঘটনায় একজন নিহত ও ১১ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাত আড়াইটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশের সন্দেহ, মাওবাদীরা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
পশ্চিমবঙ্গের মাওবাদী অধ্যুষিত পুরুলিয়া, বাকুরা এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জঙ্গল মহলে এ বন্ধ্ কর্মসূচি বেশ জনসমর্থন পেয়েছে। এ অঞ্চলে রাতের বেলায় সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে মাওবাদী সমস্যার সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ১৪ জুলাই রাজধানী দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম মাওবাদী অধ্যুষিত সাতটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের এক বৈঠক ডেকেছেন। এ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও উপস্থিত থাকবেন।
বনেধর প্রথম দিনেই মাওবাদীরা ওড়িশার কেওনঝাড় জেলার দৈতারি থানায় হামলা চালায়। ৮০ জন মাওবাদীর একটি স্কোয়াড থানাটির ওপর আক্রমণ চালিয়ে উমেশ চন্দ্র মারান্ডি নামের এক পুলিশ কর্মকর্তাকে অপহরণ করে। মাওবাদীদের স্কোয়াডটি কাছের বন বিভাগের একটি অফিসেও হামলা চালায় এবং অফিসটি জ্বালিয়ে দেয়।
মহারাষ্ট্রের গাদচিরোলি জেলার ডংগারগাঁও গ্রামে মাওবাদীরা টহলরত একদল পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় পুলিশের গুলিতে এক মাওবাদী নারী নিহত হন।
পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির কলমীমাতা গ্রামে মাওবাদীরা সাতজন সিপিএম নেতার বাড়িতে হামলা চালায়। বুধবার রাতে ছত্তিশগড়ের কুয়াকোন্ডা থানার নকুলনর গ্রামের কংগ্রেস নেতা অধ্যেশ গৌতমের বাড়ির ওপর মাওবাদীদের একটি দল হামলা চালায়। এ হামলায় অধ্যেশ গৌতমের দুই সহযোগী নিহত এবং তাঁর ছেলে ও এক নিরাপত্তা রক্ষী আহত হন। মাওবাদীরা কুয়াকোন্ডা থানাতেও হামলা চালায়। এ হামলার সময় ছয়জন মাওবাদী নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এ ছাড়া এদিন ছত্তিশগড়ের তিনটি জেলায় সিআরপিএফের তিনটি ক্যাম্পে হামলা চালায় মাওবাদীরা। রাত সাড়ে নয়টার দিকে নারায়ণপুরের এরকা গ্রাম, দান্তেওয়ারার পোলামপল্লি এবং বিজাপুর জেলার বসাগুড়ায় তিনটি সিআরপিএফ ক্যাম্পে একই সময়ে হামলা চালায় মাওবাদীরা। ঝাড়খণ্ডের লাতেহার জেলার একটি রেলস্টেশন ও রেললাইনের একটি অংশ উড়িয়ে দিয়েছে মাওবাদীরা। ঝাড়খন্ডের ধানবাদেও ব্যাপক নাশকতা চালিয়েছে মাওবাদীরা।
আসামের রাজধানী গুয়াহাটি থেকে কলকাতা আসার পথে গরিবরথ এক্সপ্রেস ট্রেনটি আসামের গোসাঁইগাঁও স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনায় পড়ে। অনুমান করা হচ্ছে, বোমা বিস্ফোরণের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ট্রেনটির ইঞ্জিনসহ তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ দুর্ঘটনায় একজন নিহত ও ১১ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাত আড়াইটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশের সন্দেহ, মাওবাদীরা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
পশ্চিমবঙ্গের মাওবাদী অধ্যুষিত পুরুলিয়া, বাকুরা এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জঙ্গল মহলে এ বন্ধ্ কর্মসূচি বেশ জনসমর্থন পেয়েছে। এ অঞ্চলে রাতের বেলায় সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে মাওবাদী সমস্যার সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ১৪ জুলাই রাজধানী দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম মাওবাদী অধ্যুষিত সাতটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের এক বৈঠক ডেকেছেন। এ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও উপস্থিত থাকবেন।
No comments