আল-কায়েদার নেতাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
২০০৯ সালে নিউইয়র্কের ব্যস্ততম পাতালরেলে আত্মঘাতী হামলার চেষ্টা মামলায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আল-কায়েদার এক নেতাসহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন মার্কিন বিচার বিভাগের কৌঁসুলিরা। তাঁরা বলেছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা যুক্তরাজ্যেও হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিলেন। পাকিস্তানে থাকা আল-কায়েদার নেতারা ওই দুটি হামলার নির্দেশদাতা হিসেবে কাজ করেছেন। তবে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই তাঁদের সে চেষ্টা নস্যাৎ করে দেয়। গত বুধবার নিউইয়র্কের ব্রুকলিনের ফেডারেল আদালতে দাখিল করা অভিযোগনামায় কৌঁসুলিরা এ কথা জানান।
অভিযোগে বলা হয়, পাকিস্তানভিত্তিক আল-কায়েদার নেতারা তাঁদের পশ্চিমা সহযোগীদের মাধ্যমে যে নাশকতামূলক চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে, তার সঙ্গে পাতালরেলে হামলার পরিকল্পনা সরাসরি সম্পর্কযুক্ত। অভিযোগে বলা হয়, গত বছর ৯/১১ ঘটনার অষ্টম বছর পূরণ হওয়ার দিনে আল-কায়েদা চক্র নিউইয়র্কের ব্যস্ততম পাতালরেলে আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গোয়েন্দারা সে চেষ্টা নস্যাৎ করে দেয়। কর্মকর্তারা বলেছেন, তাঁদের ওই পরিকল্পনা যদি সফল হতো, তাহলে সেটা হতো ৯/১১ ট্র্যাজেডির পর যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় নাশকতামূলক ঘটনা।
এ মামলায় আফগান বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক নাজিবুল্লাহ জাজিকে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে দেখানো হয়েছে। আটক হওয়া জাজি গত ফেব্রুয়ারিতে আদালতে হামলার পরিকল্পনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। জাজি বলেছেন, পাকিস্তানের ওয়াজিরিস্তানে আল-কায়েদার ঘাঁটিতে বোমা বানানোর প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসেন এবং তিনি নিজেই নিউইয়র্কে আত্মঘাতী হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেন।
মামলার আরেক অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে কৌঁসুলিরা সৌদি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আদনান আল শুকরিজুমাহর নাম উল্লেখ করেছেন। সাত বছর ধরে তিনি পলাতক। তাঁকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণাও করেছে। অভিযোগনামায় বলা হয়, শুকরিজুমাহ পাকিস্তানভিত্তিক আল-কায়েদার নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তাদের নির্দেশমতো কাজ করতেন। আল-কায়েদার নেতাদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগে মধ্যস্থতা করতেন পাকিস্তানের পেশোয়ারের আহমাদ নামের এক ব্যক্তি। এই আহমাদই যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত নাজিবুল্লাহ জাজি এবং যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে অবস্থানরত আবিদ নাসির নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে ই-মেইলে যোগাযোগ করতেন। তিনি শুকরিজুমাহর পক্ষ থেকে জাজি ও নাসিরকে হামলার বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন। কৌঁসুলিরা জাজি, শুকরিজুমাহ, নাসির ছাড়া আরও যে দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। তাঁরা হলেন বসনীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আদিস মেদুনজানিন ওরফে মোহাম্মাদ ও পাকিস্তানি নাগরিক তারিক উর রহমান। মোহাম্মাদ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে আটক রয়েছেন এবং তারিক পাকিস্তানে পালিয়ে আছেন বলে ধারণা করা হয়। এঁদের সবার বিরুদ্ধে গণবিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহারের চেষ্টাসহ মোট ১০টি অভিযোগ আনা হয়েছে। দোষী প্রমাণিত হলে এঁদের সবারই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অভিযোগে বলা হয়, পাকিস্তানভিত্তিক আল-কায়েদার নেতারা তাঁদের পশ্চিমা সহযোগীদের মাধ্যমে যে নাশকতামূলক চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে, তার সঙ্গে পাতালরেলে হামলার পরিকল্পনা সরাসরি সম্পর্কযুক্ত। অভিযোগে বলা হয়, গত বছর ৯/১১ ঘটনার অষ্টম বছর পূরণ হওয়ার দিনে আল-কায়েদা চক্র নিউইয়র্কের ব্যস্ততম পাতালরেলে আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গোয়েন্দারা সে চেষ্টা নস্যাৎ করে দেয়। কর্মকর্তারা বলেছেন, তাঁদের ওই পরিকল্পনা যদি সফল হতো, তাহলে সেটা হতো ৯/১১ ট্র্যাজেডির পর যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় নাশকতামূলক ঘটনা।
এ মামলায় আফগান বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক নাজিবুল্লাহ জাজিকে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে দেখানো হয়েছে। আটক হওয়া জাজি গত ফেব্রুয়ারিতে আদালতে হামলার পরিকল্পনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। জাজি বলেছেন, পাকিস্তানের ওয়াজিরিস্তানে আল-কায়েদার ঘাঁটিতে বোমা বানানোর প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসেন এবং তিনি নিজেই নিউইয়র্কে আত্মঘাতী হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেন।
মামলার আরেক অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে কৌঁসুলিরা সৌদি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আদনান আল শুকরিজুমাহর নাম উল্লেখ করেছেন। সাত বছর ধরে তিনি পলাতক। তাঁকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণাও করেছে। অভিযোগনামায় বলা হয়, শুকরিজুমাহ পাকিস্তানভিত্তিক আল-কায়েদার নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তাদের নির্দেশমতো কাজ করতেন। আল-কায়েদার নেতাদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগে মধ্যস্থতা করতেন পাকিস্তানের পেশোয়ারের আহমাদ নামের এক ব্যক্তি। এই আহমাদই যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত নাজিবুল্লাহ জাজি এবং যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে অবস্থানরত আবিদ নাসির নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে ই-মেইলে যোগাযোগ করতেন। তিনি শুকরিজুমাহর পক্ষ থেকে জাজি ও নাসিরকে হামলার বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন। কৌঁসুলিরা জাজি, শুকরিজুমাহ, নাসির ছাড়া আরও যে দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। তাঁরা হলেন বসনীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আদিস মেদুনজানিন ওরফে মোহাম্মাদ ও পাকিস্তানি নাগরিক তারিক উর রহমান। মোহাম্মাদ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে আটক রয়েছেন এবং তারিক পাকিস্তানে পালিয়ে আছেন বলে ধারণা করা হয়। এঁদের সবার বিরুদ্ধে গণবিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহারের চেষ্টাসহ মোট ১০টি অভিযোগ আনা হয়েছে। দোষী প্রমাণিত হলে এঁদের সবারই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
No comments