লুইজিয়ানার সৈকতে তেল স্থানীয় জনগণ ক্ষুব্ধ
মেক্সিকো উপসাগর থেকে ভেসে আসা তেল যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যে জলাভূমি ও সৈকত এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। এতে স্থানীয় লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে। এদিকে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত তেলক্ষেত্রের ছিদ্রযুক্ত পাইপ মেরামতের কাজ পিছিয়ে পড়েছে।
তেলক্ষেত্রটির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ামের (বিপি) গতকাল রোববার থেকে সেটি মেরামতের কাজ শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু সমুদ্রপৃষ্ঠের পাঁচ হাজার ফুট নিচে ওই মেরামতের কাজ আগামী মঙ্গলবার সকালে শুরু করার কথা জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। গত শনিবার কর্মীরা দূরনিয়ন্ত্রিত ডুবোজাহাজ দিয়ে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সাগরতলে নিয়ে গেছেন।
বিপির মুখপাত্র জন কারি বলেন, ‘অনেকগুলো প্রস্তুতিমূলক কাজ করতে হবে সমুদ্রপৃষ্ঠে ও সমুদ্রপৃষ্ঠের নিচে। ‘টপ কিল’ নামের পদ্ধতি ব্যবহার করে ক্ষতিগ্রস্ত পাইপের ছিদ্র বন্ধ করার জন্য কাদা ও অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করা হবে।’
এদিকে তেলক্ষেত্র থেকে বেরিয়ে আসা বিপুল পরিমাণ তেল উপকূলীয় এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। মার্কিন নৌবাহিনী, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও বিপি এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো তেল ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সব ধরনের উদ্যোগ নিলেও তেল উপকূলের দিকে ছড়িয়ে পড়ছে। তেল লুইজিয়ানার উপকূল স্পর্শ করেছে এবং ফ্লোরিডা উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। লুইজিয়ানার গ্র্যান্ড আইল সৈকতে তেলের প্রলেপ পড়ায় স্থানীয় লোকজন ক্ষোভ জানিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সুসান ভিলিয়ার্স (৫২) বলেন, ‘সবাই ক্ষেপে আছে। কারণ তারা দ্রুত পদক্ষেপ দেখতে চাচ্ছে। তারা দেখছে, নৌযানগুলো তেল ঠেকাতে বাধা তৈরি করছে কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।’ স্বেচ্ছাসেবকেরা সৈকত এলাকা থেকে তেল পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছেন। স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে আসা এরিক থমসন বলেন, ‘শনিবার সকাল ছয়টায় সৈকত খুবই নোংরা দেখাচ্ছিল। আমরা পরিষ্কার করি। দুপুরে ফিরে এসে দেখি পরিস্থিতি আগের মতোই।’
এদিকে শনিবারের সাপ্তাহিক বেতার ভাষণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তিনি বলেন, ‘আমি জানতে চাই, এ ধরনের তেল ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধের ব্যাপারে আমাদের কোনো আইন নেই, নাকি সেগুলোর প্রয়োগ হচ্ছে না? আমি আরও জানতে চাই, এই বিপর্যয় ঠেকাতে কোন পদ্ধতি কাজ করছে, কোনটি করছে না?’
গত মাসের শেষ দিকে মেক্সিকো উপসাগরে তেলক্ষেত্রে বিস্ফোরণের কারণে বিপুল পরিমাণ তেল সাগরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে সাগরের জীববৈচিত্র্য ও উপকূলীয় এলাকার পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে। তেল উপচেপড়া নিয়ন্ত্রণে এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটি অন্যতম বড় তেল ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা।
তেলক্ষেত্রটির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ামের (বিপি) গতকাল রোববার থেকে সেটি মেরামতের কাজ শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু সমুদ্রপৃষ্ঠের পাঁচ হাজার ফুট নিচে ওই মেরামতের কাজ আগামী মঙ্গলবার সকালে শুরু করার কথা জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। গত শনিবার কর্মীরা দূরনিয়ন্ত্রিত ডুবোজাহাজ দিয়ে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সাগরতলে নিয়ে গেছেন।
বিপির মুখপাত্র জন কারি বলেন, ‘অনেকগুলো প্রস্তুতিমূলক কাজ করতে হবে সমুদ্রপৃষ্ঠে ও সমুদ্রপৃষ্ঠের নিচে। ‘টপ কিল’ নামের পদ্ধতি ব্যবহার করে ক্ষতিগ্রস্ত পাইপের ছিদ্র বন্ধ করার জন্য কাদা ও অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করা হবে।’
এদিকে তেলক্ষেত্র থেকে বেরিয়ে আসা বিপুল পরিমাণ তেল উপকূলীয় এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। মার্কিন নৌবাহিনী, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও বিপি এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো তেল ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সব ধরনের উদ্যোগ নিলেও তেল উপকূলের দিকে ছড়িয়ে পড়ছে। তেল লুইজিয়ানার উপকূল স্পর্শ করেছে এবং ফ্লোরিডা উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। লুইজিয়ানার গ্র্যান্ড আইল সৈকতে তেলের প্রলেপ পড়ায় স্থানীয় লোকজন ক্ষোভ জানিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সুসান ভিলিয়ার্স (৫২) বলেন, ‘সবাই ক্ষেপে আছে। কারণ তারা দ্রুত পদক্ষেপ দেখতে চাচ্ছে। তারা দেখছে, নৌযানগুলো তেল ঠেকাতে বাধা তৈরি করছে কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।’ স্বেচ্ছাসেবকেরা সৈকত এলাকা থেকে তেল পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছেন। স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে আসা এরিক থমসন বলেন, ‘শনিবার সকাল ছয়টায় সৈকত খুবই নোংরা দেখাচ্ছিল। আমরা পরিষ্কার করি। দুপুরে ফিরে এসে দেখি পরিস্থিতি আগের মতোই।’
এদিকে শনিবারের সাপ্তাহিক বেতার ভাষণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তিনি বলেন, ‘আমি জানতে চাই, এ ধরনের তেল ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধের ব্যাপারে আমাদের কোনো আইন নেই, নাকি সেগুলোর প্রয়োগ হচ্ছে না? আমি আরও জানতে চাই, এই বিপর্যয় ঠেকাতে কোন পদ্ধতি কাজ করছে, কোনটি করছে না?’
গত মাসের শেষ দিকে মেক্সিকো উপসাগরে তেলক্ষেত্রে বিস্ফোরণের কারণে বিপুল পরিমাণ তেল সাগরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে সাগরের জীববৈচিত্র্য ও উপকূলীয় এলাকার পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে। তেল উপচেপড়া নিয়ন্ত্রণে এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটি অন্যতম বড় তেল ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা।
No comments