আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে -আবারও প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি
অপরাধবৃত্তির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের প্রতি আবারও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার রাজধানীতে আয়োজিত এক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘কোনো অন্যায়-অবিচার হলে আমরা ব্যবস্থা নেব। অন্যায় করলে আমি নিজ দলের লোকদেরও ছাড়ব না।’
প্রধানমন্ত্রীর নিজের দলের লোকদের প্রতি এই সতর্কতাই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে এই ইঙ্গিত রয়েছে যে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন নানা রকমের অন্যায়-অপরাধে লিপ্ত হচ্ছেন; নইলে প্রধানমন্ত্রীর নিজ দলের লোকদের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করার প্রয়োজন দেখা দিত না। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে বাস্তব অবস্থার স্বীকৃতি রয়েছে: দেশজুড়ে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, হত্যা, সন্ত্রাস, নানা ধরনের দখলবাজি, জবরদস্তির যেসব খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে, সেগুলোর সঙ্গে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও তার অনুসারী ছাত্র-যুব সংগঠনগুলোর একশ্রেণীর নেতা-কর্মীর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। কোথাও কোথাও সরকারি দলের লোকজন অন্যায়-অপরাধ করে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলে তার মুক্তির জন্য মিছিল, এমনকি থানায় হামলা চালানোর খবরও বের হচ্ছে। কিন্তু এসব বিষয়ে কঠোর কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার খবর তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে এ ধরনের ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না; বরং প্রায়ই এমন অন্যায়-অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে, যা সরকারের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি আরও বাড়িয়ে তুলছে।
লক্ষণীয় বিষয়, সরকারের কর্তাব্যক্তিরা সরকারি দল ও তার অনুসারী সংগঠনগুলোর একশ্রেণীর নেতা-কর্মীর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়টি অস্বীকার করছেন না; বরং স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীসহ একাধিক মন্ত্রী ও অন্য নেতারা বারবার এসব সম্পর্কে সতর্কবাণী উচ্চারণ করে চলেছেন, অত্যন্ত কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও ইতিপূর্বে একাধিকবার শোনা গেছে। পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অপরাধীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার। কিন্তু তার ফলে অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি, ক্ষমতাসীন দল ও তার অনুসারী সংগঠনগুলোর দুর্বৃত্ত-স্বভাবের লোকজনের মধ্যে দুর্বৃত্তপনা পরিত্যাগের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ফলে জনমনে এমন ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে যে প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের কর্তাব্যক্তিদের এসব হুঁশিয়ারিতে আন্তরিকতার অভাব রয়েছে। তাঁরা মুখে বলছেন অন্যায়-অপরাধ যারা করবে, তারা যদি সরকারি দলের লোকজনও হয়, তবু তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। কিন্তু বাস্তবে তারা ছাড় পেয়ে যাচ্ছে। তাদের ক্ষেত্রে আইনের প্রয়োগ কমই ঘটছে, থানা-পুলিশ, আইন-আদালত তাদের ক্ষেত্রে যেন বা অকার্যকর হয়ে গেছে।
এই পরিস্থিতি গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী বারবার সতর্ক করেই যাবেন, আর অন্যায়-অপরাধকারীরা নিজেদের কর্মকাণ্ড চালিয়েই যাবে—এই বৈপরীত্য মেনে নেওয়া যায় না। এর অর্থ দাঁড়ায়, আইনের শাসন অকার্যকর হয়ে যাওয়া, সুশাসনের বদলে অপশাসনের ভিত্তি দৃঢ়তর হওয়া। সরকারের হাতে আইন আছে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও দুর্বল নয়। এখন মুখে মুখে সতর্কবাণী উচ্চারণ করা নয়, আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। সেই সিদ্ধান্তটি সরকারের কর্তাব্যক্তিদের নিতে হবে আন্তরিকভাবে। জনগণ কথা শুনতে চায় না, কাজ দেখতে চায়।
প্রধানমন্ত্রীর নিজের দলের লোকদের প্রতি এই সতর্কতাই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে এই ইঙ্গিত রয়েছে যে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন নানা রকমের অন্যায়-অপরাধে লিপ্ত হচ্ছেন; নইলে প্রধানমন্ত্রীর নিজ দলের লোকদের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করার প্রয়োজন দেখা দিত না। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে বাস্তব অবস্থার স্বীকৃতি রয়েছে: দেশজুড়ে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, হত্যা, সন্ত্রাস, নানা ধরনের দখলবাজি, জবরদস্তির যেসব খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে, সেগুলোর সঙ্গে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও তার অনুসারী ছাত্র-যুব সংগঠনগুলোর একশ্রেণীর নেতা-কর্মীর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। কোথাও কোথাও সরকারি দলের লোকজন অন্যায়-অপরাধ করে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলে তার মুক্তির জন্য মিছিল, এমনকি থানায় হামলা চালানোর খবরও বের হচ্ছে। কিন্তু এসব বিষয়ে কঠোর কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার খবর তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে এ ধরনের ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না; বরং প্রায়ই এমন অন্যায়-অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে, যা সরকারের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি আরও বাড়িয়ে তুলছে।
লক্ষণীয় বিষয়, সরকারের কর্তাব্যক্তিরা সরকারি দল ও তার অনুসারী সংগঠনগুলোর একশ্রেণীর নেতা-কর্মীর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়টি অস্বীকার করছেন না; বরং স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীসহ একাধিক মন্ত্রী ও অন্য নেতারা বারবার এসব সম্পর্কে সতর্কবাণী উচ্চারণ করে চলেছেন, অত্যন্ত কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও ইতিপূর্বে একাধিকবার শোনা গেছে। পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অপরাধীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার। কিন্তু তার ফলে অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি, ক্ষমতাসীন দল ও তার অনুসারী সংগঠনগুলোর দুর্বৃত্ত-স্বভাবের লোকজনের মধ্যে দুর্বৃত্তপনা পরিত্যাগের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ফলে জনমনে এমন ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে যে প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের কর্তাব্যক্তিদের এসব হুঁশিয়ারিতে আন্তরিকতার অভাব রয়েছে। তাঁরা মুখে বলছেন অন্যায়-অপরাধ যারা করবে, তারা যদি সরকারি দলের লোকজনও হয়, তবু তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। কিন্তু বাস্তবে তারা ছাড় পেয়ে যাচ্ছে। তাদের ক্ষেত্রে আইনের প্রয়োগ কমই ঘটছে, থানা-পুলিশ, আইন-আদালত তাদের ক্ষেত্রে যেন বা অকার্যকর হয়ে গেছে।
এই পরিস্থিতি গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী বারবার সতর্ক করেই যাবেন, আর অন্যায়-অপরাধকারীরা নিজেদের কর্মকাণ্ড চালিয়েই যাবে—এই বৈপরীত্য মেনে নেওয়া যায় না। এর অর্থ দাঁড়ায়, আইনের শাসন অকার্যকর হয়ে যাওয়া, সুশাসনের বদলে অপশাসনের ভিত্তি দৃঢ়তর হওয়া। সরকারের হাতে আইন আছে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও দুর্বল নয়। এখন মুখে মুখে সতর্কবাণী উচ্চারণ করা নয়, আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। সেই সিদ্ধান্তটি সরকারের কর্তাব্যক্তিদের নিতে হবে আন্তরিকভাবে। জনগণ কথা শুনতে চায় না, কাজ দেখতে চায়।
No comments