লড়াই-ই করতে চান মিলিতো
বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি আছেন দলে। এই মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে ৫৩ ম্যাচে ৪৭ গোল করা মেসির পাশে আছেন রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ৩৯ ম্যাচে ২৯ গোল করা গঞ্জালো হিগুয়েইন। আছেন ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ৪০ ম্যাচে ২৯ গোল করা কার্লোস তেভেজ।
দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এই তিন ফরোয়ার্ডের সঙ্গে আছেন কোচ ডিয়েগো ম্যারাডোনার দুই প্রিয়পাত্র—‘জামাতা’ সার্জিও আগুয়েরো ও ‘বুড়ো’ মার্টিন পালের্মো। এর মধ্যে ডিয়েগো মিলিতোর জায়গা কোথায়!
জায়গা কেউ করে দেয় না, বানিয়ে নিতে হয়। মাদ্রিদে গত পরশু রাতে আরেক জোড়া গোল করে ম্যারাডোনাকে নিজের জায়গার জন্য একটা বার্তা পাঠিয়ে দিলেন। তবে এই বার্তার চেয়ে আপাতত সবচেয়ে বড় কাজটা করলেন, এক জোড়া গোলে ইন্টার মিলানকে ৪৫ বছর পর পরালেন ইউরোপ-শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট।
এই মৌসুমে ইন্টারের জয়ে মিলিতোর এমন ‘একক’ অবদান এই প্রথম নয়। কয়েক মৌসুম ধরে তিনি আলো ছড়াচ্ছিলেন ইতালিয়ান ও স্প্যানিশ লিগের ছোট দলের হয়ে। জেনোয়া থেকে তাঁকে নিয়ে আসে ইন্টার মিলান। ইন্টারে এসে কাজটা সোজা ছিল না। পায়ে গলাতে হয়েছে জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের ছেড়ে যাওয়া বুট। তবে দায়িত্বটা এর চেয়ে ভালোভাবে বোধ হয় শেষ করা যেত না। স্যামুয়েল ইতোর সঙ্গে জুটি বেঁধে দারুণ সফল একটা মৌসুম শেষ করলেন মিলিতো।
আক্ষরিক অর্থেই ইন্টারকে তিনটি শিরোপা এনে দিয়েছেন। তাঁর গোলেই ইন্টার ইতালিয়ান কাপের ফাইনাল জিতেছে। তাঁর গোলেই মরিনহোর দল জিতেছে সিরি ‘আ’র শেষ ম্যাচ, যেটি আবার শিরোপা-নির্ধারক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ইন্টারকে ‘ট্রেবল’ এনে দিলেন তিনি পরশু রাতে।
‘আমি খুব খুশি, এমন অভিজ্ঞতা আগে হয়নি’ বলে নিজের উচ্ছ্বাসটা প্রকাশ করলেন। কিন্তু এমন অসাধারণ একটা মৌসুম কাটানোর পরও ইন্টারে ‘প্রিন্স’ খ্যাতি পেয়ে যাওয়া মিলিতো স্বভাবসুলভ বিনয়ী। এই অসামান্য জয়যাত্রার ষোলোআনা কৃতিত্ব তিনি দিচ্ছেন কোচ মরিনহোকে, ‘মরিনহোই বেশির ভাগ কৃতিত্বের দাবিদার। উনি একজন গ্রেট কোচ এবং এবারের সাফল্যের কৃতিত্ব তাঁরই পাওয়া উচিত।’
মরিনহোকে কৃতিত্ব মিলিতো দিতেই পারেন, তাঁর ওপর যে কোচ আস্থা রেখেছেন। এমন আর্জেন্টিনার হয়ে পাবেন তো? ম্যারাডোনা কি তাঁকে জায়গা দেবেন? ম্যারাডোনার আস্থাশীল না হতে পেরে প্রাথমিক দলেই জায়গা পাননি ডিয়েগোর ভাই, বার্সা ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল মিলিতো।
এসব আস্থা-অনাস্থায় ডিয়েগো মিলিতোর কিছু যায়-আসে বলে মনে হলো না। এই ৩০ বছর বয়সেও তিনি দলে জায়গা পাওয়ার জন্য লড়াই করতে রাজি আছেন। লড়াইটাই তাঁর কাছে ফুটবলের প্রতিশব্দ, ‘আমি সারা জীবন লড়াই করে এসেছি। সর্বোচ্চ উজাড় করে দেওয়ার জন্য লড়াই করেছি, কিছু শেখার জন্য লড়াই করেছি। এই ৩০ বছর বয়সে এসেও আমি সেটা করছি।’
এমন লড়াকুকে মাঠের বাইরে রাখলে ম্যারাডোনা বোধ হয় ভুলই করবেন।
দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এই তিন ফরোয়ার্ডের সঙ্গে আছেন কোচ ডিয়েগো ম্যারাডোনার দুই প্রিয়পাত্র—‘জামাতা’ সার্জিও আগুয়েরো ও ‘বুড়ো’ মার্টিন পালের্মো। এর মধ্যে ডিয়েগো মিলিতোর জায়গা কোথায়!
জায়গা কেউ করে দেয় না, বানিয়ে নিতে হয়। মাদ্রিদে গত পরশু রাতে আরেক জোড়া গোল করে ম্যারাডোনাকে নিজের জায়গার জন্য একটা বার্তা পাঠিয়ে দিলেন। তবে এই বার্তার চেয়ে আপাতত সবচেয়ে বড় কাজটা করলেন, এক জোড়া গোলে ইন্টার মিলানকে ৪৫ বছর পর পরালেন ইউরোপ-শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট।
এই মৌসুমে ইন্টারের জয়ে মিলিতোর এমন ‘একক’ অবদান এই প্রথম নয়। কয়েক মৌসুম ধরে তিনি আলো ছড়াচ্ছিলেন ইতালিয়ান ও স্প্যানিশ লিগের ছোট দলের হয়ে। জেনোয়া থেকে তাঁকে নিয়ে আসে ইন্টার মিলান। ইন্টারে এসে কাজটা সোজা ছিল না। পায়ে গলাতে হয়েছে জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের ছেড়ে যাওয়া বুট। তবে দায়িত্বটা এর চেয়ে ভালোভাবে বোধ হয় শেষ করা যেত না। স্যামুয়েল ইতোর সঙ্গে জুটি বেঁধে দারুণ সফল একটা মৌসুম শেষ করলেন মিলিতো।
আক্ষরিক অর্থেই ইন্টারকে তিনটি শিরোপা এনে দিয়েছেন। তাঁর গোলেই ইন্টার ইতালিয়ান কাপের ফাইনাল জিতেছে। তাঁর গোলেই মরিনহোর দল জিতেছে সিরি ‘আ’র শেষ ম্যাচ, যেটি আবার শিরোপা-নির্ধারক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ইন্টারকে ‘ট্রেবল’ এনে দিলেন তিনি পরশু রাতে।
‘আমি খুব খুশি, এমন অভিজ্ঞতা আগে হয়নি’ বলে নিজের উচ্ছ্বাসটা প্রকাশ করলেন। কিন্তু এমন অসাধারণ একটা মৌসুম কাটানোর পরও ইন্টারে ‘প্রিন্স’ খ্যাতি পেয়ে যাওয়া মিলিতো স্বভাবসুলভ বিনয়ী। এই অসামান্য জয়যাত্রার ষোলোআনা কৃতিত্ব তিনি দিচ্ছেন কোচ মরিনহোকে, ‘মরিনহোই বেশির ভাগ কৃতিত্বের দাবিদার। উনি একজন গ্রেট কোচ এবং এবারের সাফল্যের কৃতিত্ব তাঁরই পাওয়া উচিত।’
মরিনহোকে কৃতিত্ব মিলিতো দিতেই পারেন, তাঁর ওপর যে কোচ আস্থা রেখেছেন। এমন আর্জেন্টিনার হয়ে পাবেন তো? ম্যারাডোনা কি তাঁকে জায়গা দেবেন? ম্যারাডোনার আস্থাশীল না হতে পেরে প্রাথমিক দলেই জায়গা পাননি ডিয়েগোর ভাই, বার্সা ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল মিলিতো।
এসব আস্থা-অনাস্থায় ডিয়েগো মিলিতোর কিছু যায়-আসে বলে মনে হলো না। এই ৩০ বছর বয়সেও তিনি দলে জায়গা পাওয়ার জন্য লড়াই করতে রাজি আছেন। লড়াইটাই তাঁর কাছে ফুটবলের প্রতিশব্দ, ‘আমি সারা জীবন লড়াই করে এসেছি। সর্বোচ্চ উজাড় করে দেওয়ার জন্য লড়াই করেছি, কিছু শেখার জন্য লড়াই করেছি। এই ৩০ বছর বয়সে এসেও আমি সেটা করছি।’
এমন লড়াকুকে মাঠের বাইরে রাখলে ম্যারাডোনা বোধ হয় ভুলই করবেন।
No comments