মুসলমানদের জন্য আসন সংরক্ষণের জন্য সময় বেঁধে দিলেন সোনিয়া
ভারতের ক্ষমতাসীন জোট সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চার (ইউপিএ) চেয়ারপারসন ও কংগ্রেসপ্রধান সোনিয়া গান্ধী সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য আসন সংরক্ষণ-প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার বিষয়ে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। তিনি আশ্বস্ত করেছেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য আসন সংরক্ষণ-প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হবে। সম্প্রতি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
২০০৯ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য আসন সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তারা বলেছিল, সরকারি চাকরি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৫ শতাংশ আসন সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষণ করা হবে। মুসলিম সম্প্রদায় নির্বাচনে কংগ্রেসকে সমর্থন করেছিল। বিজয়ের পর ক্ষমতাসীন দল এই প্রথম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সময়সীমা ঘোষণা করল।
সোনিয়া গান্ধীর বক্তব্যে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা। সোনিয়ার আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা চলমান ‘সত্যাগ্রহ’ ও ‘জেলে ভরো’ আন্দোলন ছয় মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছেন। রঙ্গনাথ মিশ্র কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবিতে জমিয়ত ও অন্যান্য মুসলিম সংগঠন দেশব্যাপী এ আন্দালন করে আসছিল।
সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করা প্রতিনিধিদলের মধ্যে জমিয়ত-উলামা-ই-হিন্দ, জামায়াত-ই-ইসলামি, অল ইন্ডিয়া মুসলিম পারসোনাল ল বোর্ড (এআইএমপিএলবি) এবং মহেশ ভাট ও স্বামী অগ্নিবেশের মতো ধর্মনিরপেক্ষ ব্যক্তিরা ছিলেন। প্রতিনিধিদলটি একই দাবিতে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করে।
সংখ্যালঘুদের জন্য আসন সংরক্ষণের বিষয়ে গবেষণা ও সুপারিশ চেয়ে রঙ্গনাথ মিশ্র কমিশন গঠন করা হয়েছিল। কমিটি ২০০৭ সালে তাদের প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দেয়। এতে সরকারি চাকরি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের জন্য ১৫ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করার সুপারিশ করা হয়।
রঙ্গনাথ মিশ্র কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী কোনো আশ্বাস না দিলেও তিনি বলেছেন, তাঁর সরকার সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের অগ্রগতির জন্য সংরক্ষণ-নীতির সঙ্গে একমত।
শীর্ষ দুই নেতার সঙ্গে বৈঠকের পর জমিয়তের নেতা ও রাজ্যসভার সদস্য মাহমুদ মাদানি বলেছেন, ‘সোনিয়া গান্ধী আমাদের বলেছেন, সরকার সংরক্ষণ-নীতি বাস্তবায়নের বিষয়ে কাজ করছে। আমরা এ ব্যাপারে সময়সীমা দাবি করলে তিনি জানান, ছয় মাসের মধ্যে এটি সম্পন্ন করা হবে। আমরা তাঁর কথা মেনে নিয়েছি। তাঁর আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে চলমান আন্দোলন ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।’
দিল্লি সংখ্যালঘু কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও এআইএমপিএলবির জ্যেষ্ঠ সদস্য কামাল ফারুকিও একই মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘সোনিয়া গান্ধী বলেছেন, কংগ্রেস সংরক্ষণ-নীতিবিরোধী নয়। তবে এ নিয়ে কোনো সমস্যা সৃষ্টি করা উচিত নয়। পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের জন্য আসন সংরক্ষণ করতে গিয়ে যেন কোনো সমস্যার সৃষ্টি না হয়, এখন সেই বিষয়ে কাজ চলছে।’
২০০৯ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য আসন সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তারা বলেছিল, সরকারি চাকরি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৫ শতাংশ আসন সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষণ করা হবে। মুসলিম সম্প্রদায় নির্বাচনে কংগ্রেসকে সমর্থন করেছিল। বিজয়ের পর ক্ষমতাসীন দল এই প্রথম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সময়সীমা ঘোষণা করল।
সোনিয়া গান্ধীর বক্তব্যে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা। সোনিয়ার আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা চলমান ‘সত্যাগ্রহ’ ও ‘জেলে ভরো’ আন্দোলন ছয় মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছেন। রঙ্গনাথ মিশ্র কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবিতে জমিয়ত ও অন্যান্য মুসলিম সংগঠন দেশব্যাপী এ আন্দালন করে আসছিল।
সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করা প্রতিনিধিদলের মধ্যে জমিয়ত-উলামা-ই-হিন্দ, জামায়াত-ই-ইসলামি, অল ইন্ডিয়া মুসলিম পারসোনাল ল বোর্ড (এআইএমপিএলবি) এবং মহেশ ভাট ও স্বামী অগ্নিবেশের মতো ধর্মনিরপেক্ষ ব্যক্তিরা ছিলেন। প্রতিনিধিদলটি একই দাবিতে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করে।
সংখ্যালঘুদের জন্য আসন সংরক্ষণের বিষয়ে গবেষণা ও সুপারিশ চেয়ে রঙ্গনাথ মিশ্র কমিশন গঠন করা হয়েছিল। কমিটি ২০০৭ সালে তাদের প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দেয়। এতে সরকারি চাকরি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের জন্য ১৫ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করার সুপারিশ করা হয়।
রঙ্গনাথ মিশ্র কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী কোনো আশ্বাস না দিলেও তিনি বলেছেন, তাঁর সরকার সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের অগ্রগতির জন্য সংরক্ষণ-নীতির সঙ্গে একমত।
শীর্ষ দুই নেতার সঙ্গে বৈঠকের পর জমিয়তের নেতা ও রাজ্যসভার সদস্য মাহমুদ মাদানি বলেছেন, ‘সোনিয়া গান্ধী আমাদের বলেছেন, সরকার সংরক্ষণ-নীতি বাস্তবায়নের বিষয়ে কাজ করছে। আমরা এ ব্যাপারে সময়সীমা দাবি করলে তিনি জানান, ছয় মাসের মধ্যে এটি সম্পন্ন করা হবে। আমরা তাঁর কথা মেনে নিয়েছি। তাঁর আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে চলমান আন্দোলন ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।’
দিল্লি সংখ্যালঘু কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও এআইএমপিএলবির জ্যেষ্ঠ সদস্য কামাল ফারুকিও একই মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘সোনিয়া গান্ধী বলেছেন, কংগ্রেস সংরক্ষণ-নীতিবিরোধী নয়। তবে এ নিয়ে কোনো সমস্যা সৃষ্টি করা উচিত নয়। পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের জন্য আসন সংরক্ষণ করতে গিয়ে যেন কোনো সমস্যার সৃষ্টি না হয়, এখন সেই বিষয়ে কাজ চলছে।’
No comments