ভিওআইপির অবৈধ ব্যবহার -নিরীহ গ্রাহকেরা যেন হয়রানির শিকার না হন
সরকার একদিকে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলছে, আর অন্যদিকে ভিওআইপির অবৈধ ব্যবহার রোধে এমন এক অবিবেচনাপ্রসূত পদক্ষেপ নিয়েছে, যার ফলে কয়েক লাখ গ্রাহকের ইন্টারনেট ও টেলিফোন সংযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। আধুনিক যুগে এটা কল্পনাতীত। কারণ যদি অপরাধ করে থাকে, তাহলে সেটা করেছে সেই সব কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান, যারা গোপনে অবৈধ কাজে লিপ্ত ছিল। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এতে কেউ দ্বিমত করবে না। কিন্তু সাধারণ গ্রাহকেরা তো কোনো অপরাধ করেনি। তারা বিটিআরসির অনুমোদনপ্রাপ্ত বৈধ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সংযোগ নিয়ে ইন্টারনেট ও বেসরকারি ল্যান্ডফোন (পিএসটিএন) ব্যবহার করছে। এই গ্রাহকদের বঞ্চিত করার অর্থ হলো একের দোষে অপরকে শাস্তি দেওয়া।
ইন্টারনেটে টেলিফোনের মতো কথা বলা যায়। এ জন্য ভিওআইপি (ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল) প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হয়। সহজে ও কম খরচে কথা বলা যায় বলে সবাই ভিওআইপি ব্যবহার করতে চায়। সরকারও চায় এই প্রযুক্তি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করতে। এ জন্য রয়েছে বিটিসিএলের ০১২ কোডের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে বিদেশে ফোন করার ব্যবস্থা। কিন্তু সমস্যা হলো, এ ব্যবস্থায় বিশ্বের সব দেশে ফোন করা যায় না। তাই বিটিসিএলের পাশাপাশি দেশের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে প্রকাশ্য নিলামের মাধ্যমে নির্দিষ্ট লাইসেন্স ফির বিনিময়ে ভিওআইপি পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কারও অবৈধভাবে ভিওআইপি ব্যবহার করার সুযোগ নেই।
কিন্তু দেখা গেছে, বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান লুকিয়ে ভিওআইপি ব্যবসা চালিয়ে আসছে। বিটিআরসি তাদের বিরুদ্ধে আগেও কয়েকবার ব্যবস্থা নিয়েছে। সেগুলো মূলত জরিমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এবার আরও কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে ২১টি ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ও চারটি বেসরকারি টেলিফোন কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ায় ভিওআইপির অবৈধ ব্যবহার রোধ হওয়ার পাশাপাশি কয়েক লাখ গ্রাহকের ইন্টারনেট ও টেলিফোন সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। টেলিফোন- ইন্টারনেটের মতো সেবা খাতের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এমন সিদ্ধান্ত কাম্য নয়।
এটা একটা বিরাট সমস্যা। অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করতে হবে ঠিকই, কিন্তু এর এ জন্য যদি নিরীহ গ্রাহকদের যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতে হয়, তাহলে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। ইন্টারনেট ও টেলিফোন সেবাদান কার্যক্রম যেন অব্যাহত থাকে, সেটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
ভিওআইপি প্রযুক্তি আজকাল এত সহজলভ্য ও সহজে পরিচালনযোগ্য যে তা শুধু আইন করে বন্ধ রাখা কঠিন। খুব ছোট যন্ত্রপাতি নিয়ে ছোট একটি ঘরে বসে এই ব্যবসা চালানো যায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে এ ধরনের গোপন তৎপরতা বন্ধ করার চেষ্টা সব সময় ফলপ্রসূ হয় না। ব্যবস্থা নেওয়া হলেও পরে আবার ধীরে ধীরে সেই অবৈধ তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। এ জন্যই বিভিন্ন দেশে একটি ন্যূনতম লাইসেন্স ফির বিনিময়ে সবার জন্য ভিওআইপি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এতে দুটি লাভ—একদিকে সরকার আয় থেকে বঞ্চিত হয় না, অন্যদিকে কাউকে অবৈধ কার্যক্রমে জড়াতে হয় না। আধুনিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সনাতন দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে।
বিশেষত, তথ্যপ্রযুক্তিসমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার ব্যাপক কর্মযজ্ঞের সূচনায় পাইকারি হারে ইন্টারনেট সংযোগ ছিন্ন করা একটি অপরিণামদর্শী কাজ। এ রকম পদক্ষেপ গ্রহণ না করাই ভালো।
ইন্টারনেটে টেলিফোনের মতো কথা বলা যায়। এ জন্য ভিওআইপি (ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল) প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হয়। সহজে ও কম খরচে কথা বলা যায় বলে সবাই ভিওআইপি ব্যবহার করতে চায়। সরকারও চায় এই প্রযুক্তি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করতে। এ জন্য রয়েছে বিটিসিএলের ০১২ কোডের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে বিদেশে ফোন করার ব্যবস্থা। কিন্তু সমস্যা হলো, এ ব্যবস্থায় বিশ্বের সব দেশে ফোন করা যায় না। তাই বিটিসিএলের পাশাপাশি দেশের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে প্রকাশ্য নিলামের মাধ্যমে নির্দিষ্ট লাইসেন্স ফির বিনিময়ে ভিওআইপি পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কারও অবৈধভাবে ভিওআইপি ব্যবহার করার সুযোগ নেই।
কিন্তু দেখা গেছে, বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান লুকিয়ে ভিওআইপি ব্যবসা চালিয়ে আসছে। বিটিআরসি তাদের বিরুদ্ধে আগেও কয়েকবার ব্যবস্থা নিয়েছে। সেগুলো মূলত জরিমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এবার আরও কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে ২১টি ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ও চারটি বেসরকারি টেলিফোন কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ায় ভিওআইপির অবৈধ ব্যবহার রোধ হওয়ার পাশাপাশি কয়েক লাখ গ্রাহকের ইন্টারনেট ও টেলিফোন সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। টেলিফোন- ইন্টারনেটের মতো সেবা খাতের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এমন সিদ্ধান্ত কাম্য নয়।
এটা একটা বিরাট সমস্যা। অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করতে হবে ঠিকই, কিন্তু এর এ জন্য যদি নিরীহ গ্রাহকদের যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতে হয়, তাহলে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। ইন্টারনেট ও টেলিফোন সেবাদান কার্যক্রম যেন অব্যাহত থাকে, সেটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
ভিওআইপি প্রযুক্তি আজকাল এত সহজলভ্য ও সহজে পরিচালনযোগ্য যে তা শুধু আইন করে বন্ধ রাখা কঠিন। খুব ছোট যন্ত্রপাতি নিয়ে ছোট একটি ঘরে বসে এই ব্যবসা চালানো যায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে এ ধরনের গোপন তৎপরতা বন্ধ করার চেষ্টা সব সময় ফলপ্রসূ হয় না। ব্যবস্থা নেওয়া হলেও পরে আবার ধীরে ধীরে সেই অবৈধ তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। এ জন্যই বিভিন্ন দেশে একটি ন্যূনতম লাইসেন্স ফির বিনিময়ে সবার জন্য ভিওআইপি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এতে দুটি লাভ—একদিকে সরকার আয় থেকে বঞ্চিত হয় না, অন্যদিকে কাউকে অবৈধ কার্যক্রমে জড়াতে হয় না। আধুনিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সনাতন দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে।
বিশেষত, তথ্যপ্রযুক্তিসমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার ব্যাপক কর্মযজ্ঞের সূচনায় পাইকারি হারে ইন্টারনেট সংযোগ ছিন্ন করা একটি অপরিণামদর্শী কাজ। এ রকম পদক্ষেপ গ্রহণ না করাই ভালো।
No comments