সিলেটে কলেজশিক্ষক খুন -মানুষের নিরাপত্তা কোথায়
দিনদুপুরে কলেজশিক্ষক খুন হওয়ার ঘটনা প্রমাণ করে, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কতখানি নাজুক হয়ে পড়েছে। গত রোববার সিলেটে সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক হারুনুর রশীদ কলেজ থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে গৌড়গোবিন্দ টিলা এলাকায় দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন। মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা প্রথমে তাঁর মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাতে করে তাঁকে মাটিতে ফেলে দেয়; এরপর তারা উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পুলিশের মতে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
কলেজের ছাত্রীরা জানিয়েছেন, হারুনুর রশীদ ছিলেন তাঁদের প্রিয় শিক্ষক। মানিকগঞ্জে স্ত্রী-সন্তানদের রেখে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন শিক্ষকতা করতে, আর ফিরে এলেন লাশ হয়ে। পুলিশ যখন হত্যার মোটিভ বুঝতে পেরেছে, তখন এই শিক্ষকের হত্যাকারীদেরও তারা খুঁজে বের করতে পারবে। তবে সে জন্য সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হবে। প্রশ্ন হলো, সে কাজটি তারা করতে প্রস্তুত কি না।
এর আগে এক সপ্তাহের মধ্যে ঢাকায় সন্ত্রাসীরা খুন করেছে এক আইনজীবী ও এক সরকারি কর্মকর্তাকে। খিলগাঁওয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক তরুণী। খুলনায় খুন হয়েছেন বিদ্যুৎকেন্দ্রের নৈশপ্রহরী ও তাঁর স্ত্রী। এত সব গুরুতর অপরাধ সংঘটনের পরও সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কথা স্বীকার করতে চাইছে না। এই অস্বীকৃতিই যে আইনশৃঙ্খলার অবনতির অন্যতম কারণ, তাও তারা বুঝতে পারছে না।
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জাতীয় সংসদে সন্ত্রাসীদের যে তালিকা দিয়েছেন, তাতে বহু দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী বাদ পড়লেও মৃত ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এর কী ব্যাখ্যা দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়? প্রতিটি ক্ষেত্রে তারা এ রকম ব্যর্থতা ও দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে। অনেক সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। এতে অপরাধীরা আরও আশকারা পেয়ে যায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কতিপয় সদস্যের সঙ্গে অপরাধীদের যোগসাজশ থাকার অভিযোগও অসত্য নয়।
অপরাধীরা ধরা না পড়ায় জনজীবনে শঙ্কা ও উত্কণ্ঠা বাড়ছে, যদিও এসব নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না। তারা তোতা পাখির মতো কোন আমলে কতটি মামলা হয়েছে, তার তুলনামূলক হিসাব তুলে দিয়ে আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তুলছে। এভাবে অপরাধ দমন কিংবা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো যাবে না। সিলেটে সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে পাকড়াও করে আইনের হাতে সোপর্দ করতে হবে। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিই পারে অপরাধের মাত্রা ও অপরাধীদের দৌরাত্ম্য কমাতে।
কলেজের ছাত্রীরা জানিয়েছেন, হারুনুর রশীদ ছিলেন তাঁদের প্রিয় শিক্ষক। মানিকগঞ্জে স্ত্রী-সন্তানদের রেখে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন শিক্ষকতা করতে, আর ফিরে এলেন লাশ হয়ে। পুলিশ যখন হত্যার মোটিভ বুঝতে পেরেছে, তখন এই শিক্ষকের হত্যাকারীদেরও তারা খুঁজে বের করতে পারবে। তবে সে জন্য সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হবে। প্রশ্ন হলো, সে কাজটি তারা করতে প্রস্তুত কি না।
এর আগে এক সপ্তাহের মধ্যে ঢাকায় সন্ত্রাসীরা খুন করেছে এক আইনজীবী ও এক সরকারি কর্মকর্তাকে। খিলগাঁওয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক তরুণী। খুলনায় খুন হয়েছেন বিদ্যুৎকেন্দ্রের নৈশপ্রহরী ও তাঁর স্ত্রী। এত সব গুরুতর অপরাধ সংঘটনের পরও সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কথা স্বীকার করতে চাইছে না। এই অস্বীকৃতিই যে আইনশৃঙ্খলার অবনতির অন্যতম কারণ, তাও তারা বুঝতে পারছে না।
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জাতীয় সংসদে সন্ত্রাসীদের যে তালিকা দিয়েছেন, তাতে বহু দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী বাদ পড়লেও মৃত ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এর কী ব্যাখ্যা দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়? প্রতিটি ক্ষেত্রে তারা এ রকম ব্যর্থতা ও দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে। অনেক সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। এতে অপরাধীরা আরও আশকারা পেয়ে যায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কতিপয় সদস্যের সঙ্গে অপরাধীদের যোগসাজশ থাকার অভিযোগও অসত্য নয়।
অপরাধীরা ধরা না পড়ায় জনজীবনে শঙ্কা ও উত্কণ্ঠা বাড়ছে, যদিও এসব নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না। তারা তোতা পাখির মতো কোন আমলে কতটি মামলা হয়েছে, তার তুলনামূলক হিসাব তুলে দিয়ে আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তুলছে। এভাবে অপরাধ দমন কিংবা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো যাবে না। সিলেটে সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে পাকড়াও করে আইনের হাতে সোপর্দ করতে হবে। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিই পারে অপরাধের মাত্রা ও অপরাধীদের দৌরাত্ম্য কমাতে।
No comments