এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে
দেশের শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) দুই বছর মেয়াদি পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের তফসিল গতকাল সোমবার ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার নির্বাচনী বোর্ড নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। তফসিল অনুসারে আগামী ১৭ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৫ এপ্রিল প্রাথমিক এবং ৫ মে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। ১০ মে পরিচালক পদে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্বাচনী বোর্ড ২৭ মে চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করবে। সাধারণ ভোটাররা ১৭ জুন ভোটের মাধ্যমে পরিচালক নির্বাচন করবেন। এ ছাড়া ১৯ জুন পরিচালকদের ভোটে সভাপতি ও সহসভাপতি নির্বাচিত হবেন। পরিচালক পদে মনোনয়ন ফি বাবদ ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে এ ফি ছিল ২০ হাজার টাকা।
সংঘবিধি অনুযায়ী এফবিসিসিআইয়ের ৪৪ সদস্যবিশিষ্ট পরিচালনা পর্ষদে চেম্বার গ্রুপ থেকে ১৪ এবং অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে ১৪সহ মোট ২৮ জন পরিচালক পদে সরাসরি নির্বাচিত হবেন। এ ছাড়া পরিচালনা পর্ষদে দেশের গুরুত্বপূর্ণ আটটি শীর্ষ চেম্বার ও আটটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যাসোসিয়েশন থেকে একজন করে মোট ১৬ জন পরিচালকের সরাসরি মনোনয়নের বিধান রয়েছে।
সব মিলিয়ে ৪৪ জন পরিচালকের ভোটে একজন সভাপতি, একজন প্রথম সহসভাপতি ও একজন সহসভাপতি নির্বাচত হবেন। এবার চেম্বার গ্রুপ থেকে সভাপতি ও সহসভাপতি নির্বাচিত করা হবে। আর অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে সহসভাপতি নির্বাচিত করা হবে।
এই আট শীর্ষ চেম্বার হলো মেট্রোপলিটন চেম্বার, ঢাকা চেম্বার, চট্টগ্রাম চেম্বার, রাজশাহী চেম্বার, খুলনা চেম্বার, সিলেট চেম্বার, বরিশাল চেম্বার ও বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ। আট শীর্ষ সমিতি হলো বাংলাদেশ ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএবি), বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ), বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ওষুধশিল্প সমিতি, বাংলাদেশ হিমায়িত খাদ্য, বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ নিট পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ)।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রংপুরকে বিভাগ ঘোষণা করার পর ওই চেম্বারের পক্ষ থেকে এফবিসিসিআইয়ের মনোনীত পরিচালক করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দুবার আবেদন করা হয়। কিন্তু মন্ত্রণালয় দুবার আবেদন নাকচ করে দিয়েছে। এ অবস্থায় কতিপয় ব্যবসায়ী নেতা ওই চেম্বারকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
তবে কয়েকজন ব্যবসায়ী নেতা প্রথম আলোকে জানান, ২০০২ সালের সংশোধিত সংঘবিধি অনুযায়ী বিভাগীয় চেম্বার থেকে মনোনীত পরিচালক করার বিধান ছিল। কিন্তু গত ১২ জানুয়ারি জারি করা প্রজ্ঞাপনে মনোনীত পরিচালক করার জন্য সুনির্দিষ্ট চেম্বারের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাই রংপুর চেম্বারকে বিভাগীয় চেম্বার হিসেবে মনোনীত পরিচালক করার বিষয়টি এখন আইনগত বাধ্যবাধকতা নয়।
এফবিসিসিআই সূত্র জানায়, বর্তমানে সংগঠনের অধিভুক্ত ৭০টি চেম্বার ও ২৭৫টি সমিতি রয়েছে। আগের নির্বাচনের সময় সংগঠনের অধিভুক্ত ৬৮টি চেম্বার ও সমিতির সংখ্যা ছিল ২৫৬।
ব্যবসায়ী নেতারা জানিয়েছেন, এবারের নির্বাচনে ভুয়া ভোটার অনেক কমে যাবে। কারণ, সরকার বাণিজ্য সংগঠনের সংঘবিধিতে কিছু সংস্কার এনেছে। ফলে এফবিসিসিআই ব্যতীত অন্য যেকোনো বাণিজ্য সংগঠনের সদস্য হওয়ার জন্য আবেদনকারীকে চেম্বারের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ভৌগোলিক এলাকার এবং সমিতির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট খাতের ট্রেড লাইসেন্সধারী হতে হবে।
পরবর্তী সময়ে প্রতিবছর সংশ্লিষ্ট সংগঠন কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ওই ট্রেড লাইসেন্স ও আয়কর বিবরণীর হালনাগাদ অনুলিপি দাখিল করতে হবে, তা না হলে সদস্যপদ বাতিল হয়ে যাবে।
তা ছাড়া ঋণখেলাপি, করখেলাপি, দুর্নীতিবাজ ও ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিরা এবারও এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। তবে ঋণ ও করখেলাপি, ফৌজদারি বা দুর্নীতি মামলায় অথবা নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে দণ্ডিত হলে এবং মুক্তি পাওয়ার পর পাঁচ বছর সময় অতিবাহিত হলে এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচনে অংশ নিতে বা পদে অধিষ্ঠিত হতে পারবেন।
গতকাল সোমবার নির্বাচনী বোর্ড নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। তফসিল অনুসারে আগামী ১৭ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৫ এপ্রিল প্রাথমিক এবং ৫ মে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। ১০ মে পরিচালক পদে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্বাচনী বোর্ড ২৭ মে চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করবে। সাধারণ ভোটাররা ১৭ জুন ভোটের মাধ্যমে পরিচালক নির্বাচন করবেন। এ ছাড়া ১৯ জুন পরিচালকদের ভোটে সভাপতি ও সহসভাপতি নির্বাচিত হবেন। পরিচালক পদে মনোনয়ন ফি বাবদ ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে এ ফি ছিল ২০ হাজার টাকা।
সংঘবিধি অনুযায়ী এফবিসিসিআইয়ের ৪৪ সদস্যবিশিষ্ট পরিচালনা পর্ষদে চেম্বার গ্রুপ থেকে ১৪ এবং অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে ১৪সহ মোট ২৮ জন পরিচালক পদে সরাসরি নির্বাচিত হবেন। এ ছাড়া পরিচালনা পর্ষদে দেশের গুরুত্বপূর্ণ আটটি শীর্ষ চেম্বার ও আটটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যাসোসিয়েশন থেকে একজন করে মোট ১৬ জন পরিচালকের সরাসরি মনোনয়নের বিধান রয়েছে।
সব মিলিয়ে ৪৪ জন পরিচালকের ভোটে একজন সভাপতি, একজন প্রথম সহসভাপতি ও একজন সহসভাপতি নির্বাচত হবেন। এবার চেম্বার গ্রুপ থেকে সভাপতি ও সহসভাপতি নির্বাচিত করা হবে। আর অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে সহসভাপতি নির্বাচিত করা হবে।
এই আট শীর্ষ চেম্বার হলো মেট্রোপলিটন চেম্বার, ঢাকা চেম্বার, চট্টগ্রাম চেম্বার, রাজশাহী চেম্বার, খুলনা চেম্বার, সিলেট চেম্বার, বরিশাল চেম্বার ও বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ। আট শীর্ষ সমিতি হলো বাংলাদেশ ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএবি), বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ), বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ওষুধশিল্প সমিতি, বাংলাদেশ হিমায়িত খাদ্য, বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ নিট পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ)।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রংপুরকে বিভাগ ঘোষণা করার পর ওই চেম্বারের পক্ষ থেকে এফবিসিসিআইয়ের মনোনীত পরিচালক করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দুবার আবেদন করা হয়। কিন্তু মন্ত্রণালয় দুবার আবেদন নাকচ করে দিয়েছে। এ অবস্থায় কতিপয় ব্যবসায়ী নেতা ওই চেম্বারকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
তবে কয়েকজন ব্যবসায়ী নেতা প্রথম আলোকে জানান, ২০০২ সালের সংশোধিত সংঘবিধি অনুযায়ী বিভাগীয় চেম্বার থেকে মনোনীত পরিচালক করার বিধান ছিল। কিন্তু গত ১২ জানুয়ারি জারি করা প্রজ্ঞাপনে মনোনীত পরিচালক করার জন্য সুনির্দিষ্ট চেম্বারের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাই রংপুর চেম্বারকে বিভাগীয় চেম্বার হিসেবে মনোনীত পরিচালক করার বিষয়টি এখন আইনগত বাধ্যবাধকতা নয়।
এফবিসিসিআই সূত্র জানায়, বর্তমানে সংগঠনের অধিভুক্ত ৭০টি চেম্বার ও ২৭৫টি সমিতি রয়েছে। আগের নির্বাচনের সময় সংগঠনের অধিভুক্ত ৬৮টি চেম্বার ও সমিতির সংখ্যা ছিল ২৫৬।
ব্যবসায়ী নেতারা জানিয়েছেন, এবারের নির্বাচনে ভুয়া ভোটার অনেক কমে যাবে। কারণ, সরকার বাণিজ্য সংগঠনের সংঘবিধিতে কিছু সংস্কার এনেছে। ফলে এফবিসিসিআই ব্যতীত অন্য যেকোনো বাণিজ্য সংগঠনের সদস্য হওয়ার জন্য আবেদনকারীকে চেম্বারের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ভৌগোলিক এলাকার এবং সমিতির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট খাতের ট্রেড লাইসেন্সধারী হতে হবে।
পরবর্তী সময়ে প্রতিবছর সংশ্লিষ্ট সংগঠন কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ওই ট্রেড লাইসেন্স ও আয়কর বিবরণীর হালনাগাদ অনুলিপি দাখিল করতে হবে, তা না হলে সদস্যপদ বাতিল হয়ে যাবে।
তা ছাড়া ঋণখেলাপি, করখেলাপি, দুর্নীতিবাজ ও ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিরা এবারও এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। তবে ঋণ ও করখেলাপি, ফৌজদারি বা দুর্নীতি মামলায় অথবা নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে দণ্ডিত হলে এবং মুক্তি পাওয়ার পর পাঁচ বছর সময় অতিবাহিত হলে এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচনে অংশ নিতে বা পদে অধিষ্ঠিত হতে পারবেন।
No comments