টেস্টে ভারতের শততম জয়
শ্রীলঙ্কার চোখে আঁকা ছিল ভারতের মাটিতে প্রথম টেস্ট জয়ের স্বপ্ন। সেই স্বপ্নপূরণের সম্ভাবনা এখনই শেষ বলে দেওয়া যাচ্ছে না। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্ট এখনো বাকি। তবে গত শুক্রবার চার দিনে শেষ হয়ে যাওয়া কানপুর টেস্টে যা হলো, তাতে তৃতীয় টেস্টে শ্রীলঙ্কা জিততে পারলে সেটি হবে ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল প্রত্যাবর্তনের একটি।
কী হয়েছে কানপুরে? শ্রীলঙ্কাকে ইনিংস ও ১৪৪ রানের ব্যবধানে পরাজয়ের গ্লানিতে ডুবিয়েছে ভারত। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩১ টেস্টে এটি ভারতের সবচেয়ে বড় জয় (আগের বড়: ১ ইনিংস ও ১১৯ রান, লক্ষ্নৌ, ১৯৯৪)। সব মিলিয়েও যা ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম জয়। ভারতের উত্সবের রং আরও রঙিন হয়েছে এই জয়টা আর দশটা জয়ের মতো নয় বলে। টেস্ট ক্রিকেটে এটি যে ভারতের শততম জয়!
অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তানের পর ষষ্ঠ দল হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে জয়ের সেঞ্চুরি পেল ভারত। এই এক শ জয় এল ৪৩২ ম্যাচে—দেশের মাটিতে ২২১ ম্যাচে ৬৮টি জয়, দেশের বাইরে ২১১ ম্যাচে ৩২টি।
৪১৩ রানে পিছিয়ে থেকে ফলোঅন করতে নেমেই পরাজয়ের প্রহর গুনতে শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কা। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ৫৭। পরদিন ৭৯ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর স্কোরটা ২৬৯ রানে নিয়ে যাওয়ার মূল কৃতিত্ব থিলান সামারাবীরার। বাকিদের ব্যর্থতার মধ্যে ২১৫ মিনিটে ১২৩ বল খেলে ৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। সবচেয়ে বড় জুটিটি হয়েছে অজন্তা মেন্ডিসের সঙ্গে নবম উইকেটে, ৭৩ রানের।
ভারতের একমাত্র ইনিংসে প্রথম তিন ব্যাটসম্যানেরই সেঞ্চুরি ছিল। তবে ম্যান অব দ্য ম্যাচ তাঁদের কেউই নন। সেই স্বীকৃতি শান্তাকুমারন শ্রীশান্তের, দেড় বছরেরও বেশি সময় পর যাঁকে টেস্ট ক্রিকেটে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন নির্বাচকেরা। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য উইকেট পেয়েছেন একটিই। তবে প্রথম ইনিংসে শ্রীশান্তের ৫ উইকেটই তো ঠিক করে দিয়েছে ম্যাচের গতিপথ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত: ৬৪২ (গম্ভীর ১৬৭, দ্রাবিড় ১৪৪, শেবাগ ১৩১, যুবরাজ ৬৭, লক্ষ্মণ ৬৩; হেরাথ ৫/১২১, মেন্ডিস ২/১৬২, মুরালিধরন ২/১৭৫)। শ্রীলঙ্কা: ২২৯ (জয়াবর্ধনে ৪৭, সাঙ্গাকারা ৪৪; শ্রীশান্ত ৫/৭৫, ওঝা ২/৩৭, হরভজন ২/৫৪) ও ২৬৯ (সামারাবীরা ৭৮*; হরভজন ৩/৯৮, ওঝা ২/৩৬)। ফল: ভারত ইনিংস ও ১৪৪ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: শান্তাকুমারন শ্রীশান্ত।
কী হয়েছে কানপুরে? শ্রীলঙ্কাকে ইনিংস ও ১৪৪ রানের ব্যবধানে পরাজয়ের গ্লানিতে ডুবিয়েছে ভারত। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩১ টেস্টে এটি ভারতের সবচেয়ে বড় জয় (আগের বড়: ১ ইনিংস ও ১১৯ রান, লক্ষ্নৌ, ১৯৯৪)। সব মিলিয়েও যা ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম জয়। ভারতের উত্সবের রং আরও রঙিন হয়েছে এই জয়টা আর দশটা জয়ের মতো নয় বলে। টেস্ট ক্রিকেটে এটি যে ভারতের শততম জয়!
অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তানের পর ষষ্ঠ দল হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে জয়ের সেঞ্চুরি পেল ভারত। এই এক শ জয় এল ৪৩২ ম্যাচে—দেশের মাটিতে ২২১ ম্যাচে ৬৮টি জয়, দেশের বাইরে ২১১ ম্যাচে ৩২টি।
৪১৩ রানে পিছিয়ে থেকে ফলোঅন করতে নেমেই পরাজয়ের প্রহর গুনতে শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কা। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ৫৭। পরদিন ৭৯ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর স্কোরটা ২৬৯ রানে নিয়ে যাওয়ার মূল কৃতিত্ব থিলান সামারাবীরার। বাকিদের ব্যর্থতার মধ্যে ২১৫ মিনিটে ১২৩ বল খেলে ৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। সবচেয়ে বড় জুটিটি হয়েছে অজন্তা মেন্ডিসের সঙ্গে নবম উইকেটে, ৭৩ রানের।
ভারতের একমাত্র ইনিংসে প্রথম তিন ব্যাটসম্যানেরই সেঞ্চুরি ছিল। তবে ম্যান অব দ্য ম্যাচ তাঁদের কেউই নন। সেই স্বীকৃতি শান্তাকুমারন শ্রীশান্তের, দেড় বছরেরও বেশি সময় পর যাঁকে টেস্ট ক্রিকেটে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন নির্বাচকেরা। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য উইকেট পেয়েছেন একটিই। তবে প্রথম ইনিংসে শ্রীশান্তের ৫ উইকেটই তো ঠিক করে দিয়েছে ম্যাচের গতিপথ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত: ৬৪২ (গম্ভীর ১৬৭, দ্রাবিড় ১৪৪, শেবাগ ১৩১, যুবরাজ ৬৭, লক্ষ্মণ ৬৩; হেরাথ ৫/১২১, মেন্ডিস ২/১৬২, মুরালিধরন ২/১৭৫)। শ্রীলঙ্কা: ২২৯ (জয়াবর্ধনে ৪৭, সাঙ্গাকারা ৪৪; শ্রীশান্ত ৫/৭৫, ওঝা ২/৩৭, হরভজন ২/৫৪) ও ২৬৯ (সামারাবীরা ৭৮*; হরভজন ৩/৯৮, ওঝা ২/৩৬)। ফল: ভারত ইনিংস ও ১৪৪ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: শান্তাকুমারন শ্রীশান্ত।
No comments