ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় আমাদের আহবান -দক্ষিণ এশীয় নারী দিবস by সুলতানা কামাল, খুশী কবির ফওজিয়া খোন্দকার
গত ৩০ নভেম্বর ছিল শান্তি, ন্যায়, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রবিষয়ক দক্ষিণ এশীয় নারী দিবস। ‘দি সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অব জেন্ডার একটিভিস্ট ও ট্রেনারস (সাংগাত, SANGAT) দক্ষিণ এশিয়ার জনগণের, বিশেষ করে নারীদের জন্য একটি ন্যায়ভিত্তিক ও শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই এই দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ২০০৫ সালে ভারতের ‘পুরী’ শহরে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় এই দিনটি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর পর থেকে সাংগাত-এর উদ্যোগে প্রতি বছরই ৩০ নভেম্বর পালিত হয়ে আসছে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে রয়েছে সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্য। সম্ভাবনাময় এই দেশগুলোর সেই ঐতিহ্য আজ বিলীনের পথে। দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ, অর্থনৈতিক মন্দা, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, নারী নির্যাতন, শ্রেণী ও বর্ণগত অসমতা এবং লিঙ্গীয় বৈষম্য প্রকট হয়ে উঠছে। এর ফলে এই দেশগুলোর সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ আজ দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করছে। আর দরিদ্রের মধ্যেও দরিদ্রতম অংশ নারী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। নারীর ওপর নির্যাতন যেন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ ধারণ করেছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আয়মূলক কাজ, রাজনীতি ও অর্থনীতিসহ সব ক্ষেত্রেই নারী পিছিয়ে। ‘নারীর দরিদ্রকরণ’ নারীকে মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য করেছে।
এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দক্ষিণ এশিয়ায় প্রায় ৭৪ মিলিয়ন নারী আজ নিখোঁজ। প্রতি দুজন নারীর একজন পারিবারিক সহিংসতার শিকার। দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে নারী ও শিশুভ্রূণ হত্যা অত্যন্ত প্রকট। নারী ও শিশু পাচার, পর্নো ছবিতে নারীকে ব্যবহার, নারী হত্যা ও ধর্ষণ ক্রমশ বাড়ছে। এই উপমহাদেশের প্রায় সব দেশেই সংখ্যালঘু নারীদের ওপর নির্যাতনও আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। শ্রীলঙ্কার জাতিগত সহিংসতায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নারী। নিজ বাসভূমিতেও নারী তার শিশুসন্তানসহ পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আর এ ধরনের সহিংসতা নারীর ওপর দৈহিক ও মানসিক নির্যাতন ছাড়াও মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য করছে। শ্রীলঙ্কায় যেখানে নারীদের আয়ুষ্কাল, সাক্ষরতা ইত্যাদির পরিসংখ্যান সন্তোষজনক ছিল, সেখানেও বিগত ১০-১৫ বছরে নারীদের অবস্থার যথেষ্ট অবনতি ঘটেছে। পাকিস্তানে অনার কিলিংয়ের নামে চলছে নারীর ওপর বহুমুখী নির্যাতন। একই সঙ্গে উত্থান ঘটছে ধর্মীয় মৌলবাদের। ধর্মীয় মৌলবাদী গোষ্ঠীর প্রধান ও অন্যতম টার্গেট হচ্ছে নারী।
দক্ষিণ এশিয়ার অধিকাংশ দেশেই একদিকে মেয়েদের অনেক সুযোগ-সুবিধার কথা বলা হচ্ছে, নতুন নতুন আইন পাস হচ্ছে, জেন্ডার ইস্যুতে ইতিবাচক কথা বলা হচ্ছে। অথচ একই সঙ্গে পুরুষতান্ত্রিকতার পুনরুত্থানও ঘটছে।
সব ধরনের ধর্মীয় উগ্রবাদ নারীর ওপর ক্রমাধিকভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করছে। উদাহরণস্বরূপ, পাকিস্তানে প্রগতিশীল পারিবারিক আইনের পরিবর্তে নারীবিরোধী আইনের আবির্ভাব হয়েছে। বাংলাদেশে মৌলবাদীরা প্রগতিশীল নারী সংস্থা ও বেসরকারি সংস্থার ওপর আক্রমণ করছে। ভারতে দক্ষিণপন্থী হিন্দু দলগুলো পুরুষতান্ত্রিকতার ভূমিকা আবার চালু করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে।
ব্যবসায়ী মৌলবাদীরা নারীদের কুরুচিপূর্ণ ছবি এবং নারীদের কদর্য ভাবমূর্তি প্রচার করে চলছে।
দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশের মধ্যে চারটি দেশেই রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে বিভিন্ন সময়ে নারী থাকা সত্ত্বেও নারীদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ খুবই হতাশাব্যঞ্জক। দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশেই (নেপালে কিছু ভিন্ন চিত্র ছাড়া) আশাব্যঞ্জক সংখ্যক নারী সংসদ সদস্য দেখা যায়নি।
অন্যদিকে বর্তমানে প্রচলিত উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন ব্যবস্থা আমাদের দেশের নারীদের প্রকৃত সম্মান এবং অবস্থার উন্নতি সাধন না করে আরও পিছিয়ে দিচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার দরিদ্র ও নারীদের জন্য যে উন্নয়ন প্রক্রিয়া তা আসলে বেশির ভাগই ‘অপ উন্নয়ন’। ১৯৯৫ সালের ইউএনডিপির মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন অনুসারে, নারীদের সব কাজের মোট মূল্য এসে দাঁড়ায় ১১ ট্রিলিয়ন আমেরিকান ডলার। অথচ নারীর কাজের অর্থনৈতিক মূল্যায়ন তো নেই-ই, সামাজিক স্বীকৃতিও নেই।
এসবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য দক্ষিণ এশিয়ার নারীবাদীরা আজ ঐক্যবদ্ধ। ‘সাংগাত’ নিরলসভাবে কাজ করছে, দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের নারীদের অবস্থা ও অবস্থান পরিবর্তনের লক্ষ্যে। আর সে উদ্দেশ্যেই ২০০৫ সাল থেকে এ দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কেননা নারীর ওপর এই বহুমুখী নির্যাতনের ফলে নারীর শান্তি, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। নারীর ন্যায্যতা বিঘ্নিত হয়।
নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আসুন আমরা সবাই এ দিবসটিতে সমবেতভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করি। আমরা সবাই দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি, ন্যায়, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি। আর এ জন্য প্রয়োজন অঙ্গীকারের। প্রয়োজন নারীর পাশে দাঁড়ানোর। আমাদের সবার প্রচেষ্টায় ছোট ছোট উদ্যোগের মাধ্যমে নারীর জীবনের কালো অধ্যায়গুলো মুছে যাক। দক্ষিণ এশিয়ার সরকারগুলোকে বাধ্য করি, নারীর ওপর সব ধরনের বৈষম্য বিলোপের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করতে।
০ নারীর ওপর সব ধরনের নির্যাতন বন্ধে সম্মিলিতভাবে কাজ করব।
০ নারী ও শিশুভ্রূণ হত্যা বন্ধ করতে উদ্যোগ নেব
০ নারীকে মানুষের মর্যাদা দেব।
০ নারী পাচার বন্ধে কঠোর অবস্থা নেব।
০ নারীর আয়, কর্মসংস্থান, সম্পদ বৃদ্ধিতে দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্রগুলোতে অ্যাডভোকেসি করে নারীর অবস্থান সুদৃঢ় করব।
০ পারিবারিক নির্যাতন বিলোপ করব।
০ রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে কাজ করব।
০ দক্ষিণ এশিয়ার সংখ্যালঘু নারীদের ওপর নির্যাতন বন্ধে কাজ করব।
০ লিঙ্গীয় বৈষম্য বিলোপে সিডও সনদের পূর্ণ বাস্তবায়নে কাজ করব।
০ নারীর মর্যাদা ও সমতা বৃদ্ধিতে সব ধরনের আঞ্চলিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষরে আমরা রাষ্ট্রকে বাধ্য করতে কাজ করব।
আসুন, আমরা কথা এবং কাজের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি, ন্যায়, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে শামিল হয়ে একসঙ্গে আওয়াজ তুলি।
কোর গ্রুপ বাংলাদেশ সাংগাত এর পক্ষে
সুলতানা কামাল, খুশী কবির ফওজিয়া খোন্দকার: লেখকগণ মানবাধিকার ও নারী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে রয়েছে সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্য। সম্ভাবনাময় এই দেশগুলোর সেই ঐতিহ্য আজ বিলীনের পথে। দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ, অর্থনৈতিক মন্দা, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, নারী নির্যাতন, শ্রেণী ও বর্ণগত অসমতা এবং লিঙ্গীয় বৈষম্য প্রকট হয়ে উঠছে। এর ফলে এই দেশগুলোর সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ আজ দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করছে। আর দরিদ্রের মধ্যেও দরিদ্রতম অংশ নারী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। নারীর ওপর নির্যাতন যেন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ ধারণ করেছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আয়মূলক কাজ, রাজনীতি ও অর্থনীতিসহ সব ক্ষেত্রেই নারী পিছিয়ে। ‘নারীর দরিদ্রকরণ’ নারীকে মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য করেছে।
এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দক্ষিণ এশিয়ায় প্রায় ৭৪ মিলিয়ন নারী আজ নিখোঁজ। প্রতি দুজন নারীর একজন পারিবারিক সহিংসতার শিকার। দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে নারী ও শিশুভ্রূণ হত্যা অত্যন্ত প্রকট। নারী ও শিশু পাচার, পর্নো ছবিতে নারীকে ব্যবহার, নারী হত্যা ও ধর্ষণ ক্রমশ বাড়ছে। এই উপমহাদেশের প্রায় সব দেশেই সংখ্যালঘু নারীদের ওপর নির্যাতনও আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। শ্রীলঙ্কার জাতিগত সহিংসতায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নারী। নিজ বাসভূমিতেও নারী তার শিশুসন্তানসহ পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আর এ ধরনের সহিংসতা নারীর ওপর দৈহিক ও মানসিক নির্যাতন ছাড়াও মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য করছে। শ্রীলঙ্কায় যেখানে নারীদের আয়ুষ্কাল, সাক্ষরতা ইত্যাদির পরিসংখ্যান সন্তোষজনক ছিল, সেখানেও বিগত ১০-১৫ বছরে নারীদের অবস্থার যথেষ্ট অবনতি ঘটেছে। পাকিস্তানে অনার কিলিংয়ের নামে চলছে নারীর ওপর বহুমুখী নির্যাতন। একই সঙ্গে উত্থান ঘটছে ধর্মীয় মৌলবাদের। ধর্মীয় মৌলবাদী গোষ্ঠীর প্রধান ও অন্যতম টার্গেট হচ্ছে নারী।
দক্ষিণ এশিয়ার অধিকাংশ দেশেই একদিকে মেয়েদের অনেক সুযোগ-সুবিধার কথা বলা হচ্ছে, নতুন নতুন আইন পাস হচ্ছে, জেন্ডার ইস্যুতে ইতিবাচক কথা বলা হচ্ছে। অথচ একই সঙ্গে পুরুষতান্ত্রিকতার পুনরুত্থানও ঘটছে।
সব ধরনের ধর্মীয় উগ্রবাদ নারীর ওপর ক্রমাধিকভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করছে। উদাহরণস্বরূপ, পাকিস্তানে প্রগতিশীল পারিবারিক আইনের পরিবর্তে নারীবিরোধী আইনের আবির্ভাব হয়েছে। বাংলাদেশে মৌলবাদীরা প্রগতিশীল নারী সংস্থা ও বেসরকারি সংস্থার ওপর আক্রমণ করছে। ভারতে দক্ষিণপন্থী হিন্দু দলগুলো পুরুষতান্ত্রিকতার ভূমিকা আবার চালু করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে।
ব্যবসায়ী মৌলবাদীরা নারীদের কুরুচিপূর্ণ ছবি এবং নারীদের কদর্য ভাবমূর্তি প্রচার করে চলছে।
দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশের মধ্যে চারটি দেশেই রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে বিভিন্ন সময়ে নারী থাকা সত্ত্বেও নারীদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ খুবই হতাশাব্যঞ্জক। দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশেই (নেপালে কিছু ভিন্ন চিত্র ছাড়া) আশাব্যঞ্জক সংখ্যক নারী সংসদ সদস্য দেখা যায়নি।
অন্যদিকে বর্তমানে প্রচলিত উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন ব্যবস্থা আমাদের দেশের নারীদের প্রকৃত সম্মান এবং অবস্থার উন্নতি সাধন না করে আরও পিছিয়ে দিচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার দরিদ্র ও নারীদের জন্য যে উন্নয়ন প্রক্রিয়া তা আসলে বেশির ভাগই ‘অপ উন্নয়ন’। ১৯৯৫ সালের ইউএনডিপির মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন অনুসারে, নারীদের সব কাজের মোট মূল্য এসে দাঁড়ায় ১১ ট্রিলিয়ন আমেরিকান ডলার। অথচ নারীর কাজের অর্থনৈতিক মূল্যায়ন তো নেই-ই, সামাজিক স্বীকৃতিও নেই।
এসবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য দক্ষিণ এশিয়ার নারীবাদীরা আজ ঐক্যবদ্ধ। ‘সাংগাত’ নিরলসভাবে কাজ করছে, দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের নারীদের অবস্থা ও অবস্থান পরিবর্তনের লক্ষ্যে। আর সে উদ্দেশ্যেই ২০০৫ সাল থেকে এ দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কেননা নারীর ওপর এই বহুমুখী নির্যাতনের ফলে নারীর শান্তি, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। নারীর ন্যায্যতা বিঘ্নিত হয়।
নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আসুন আমরা সবাই এ দিবসটিতে সমবেতভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করি। আমরা সবাই দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি, ন্যায়, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি। আর এ জন্য প্রয়োজন অঙ্গীকারের। প্রয়োজন নারীর পাশে দাঁড়ানোর। আমাদের সবার প্রচেষ্টায় ছোট ছোট উদ্যোগের মাধ্যমে নারীর জীবনের কালো অধ্যায়গুলো মুছে যাক। দক্ষিণ এশিয়ার সরকারগুলোকে বাধ্য করি, নারীর ওপর সব ধরনের বৈষম্য বিলোপের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করতে।
০ নারীর ওপর সব ধরনের নির্যাতন বন্ধে সম্মিলিতভাবে কাজ করব।
০ নারী ও শিশুভ্রূণ হত্যা বন্ধ করতে উদ্যোগ নেব
০ নারীকে মানুষের মর্যাদা দেব।
০ নারী পাচার বন্ধে কঠোর অবস্থা নেব।
০ নারীর আয়, কর্মসংস্থান, সম্পদ বৃদ্ধিতে দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্রগুলোতে অ্যাডভোকেসি করে নারীর অবস্থান সুদৃঢ় করব।
০ পারিবারিক নির্যাতন বিলোপ করব।
০ রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে কাজ করব।
০ দক্ষিণ এশিয়ার সংখ্যালঘু নারীদের ওপর নির্যাতন বন্ধে কাজ করব।
০ লিঙ্গীয় বৈষম্য বিলোপে সিডও সনদের পূর্ণ বাস্তবায়নে কাজ করব।
০ নারীর মর্যাদা ও সমতা বৃদ্ধিতে সব ধরনের আঞ্চলিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষরে আমরা রাষ্ট্রকে বাধ্য করতে কাজ করব।
আসুন, আমরা কথা এবং কাজের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি, ন্যায়, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে শামিল হয়ে একসঙ্গে আওয়াজ তুলি।
কোর গ্রুপ বাংলাদেশ সাংগাত এর পক্ষে
সুলতানা কামাল, খুশী কবির ফওজিয়া খোন্দকার: লেখকগণ মানবাধিকার ও নারী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত।
No comments