বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষদের জন্য মর্যাদাপূর্ণ সমাজ গড়বো -মতবিনিময়ে তারেক রহমান
গতকাল রাজধানীর ঢাকার আগারগাঁও এলজিইডি-আরডিইসি ভবন মিলনায়তনে প্রতিবন্ধী নাগরিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা অন্তত দেড় শতাধিক প্রতিবন্ধী নাগরিক এই মতবিনিময় অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে যে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলবো সেটি হবে সবার জন্য ফেয়ার, সবার জন্য ইনক্লুসিভ, সবার জন্য বাসযোগ্য এবং সবার জন্য উপভোগ্য। আসুন আমরা সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলি, যার ভিত্তি হবে বৈষম্যহীন, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং উদারতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণ। আপনাদের কল্যাণ এবং সাফল্য আমাদের অগ্রাধিকার।
দেশে কিছু প্রাইভেট অর্গানাইজেশন শারীরিক প্রতিবন্ধীদের নানা ধরনের ট্রেনিং দেয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ট্রেনিং শেষে চাকরির ব্যবস্থা করতে গিয়ে তারা হিমশিম খায়। এ সমস্যার সমাধানে আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করবো, যাতে দেশের বড় ব্যবসাগুলো একটি নির্দিষ্ট শতাংশ শারীরিকভাবে চ্যালেঞ্জ ব্যক্তিদের নিয়োগ করতে উৎসাহিত হয়। উদাহরণস্বরূপ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়োগ করলে আমরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কিছু ট্যাক্স সুবিধা বা কমপ্লায়েন্স সার্টিফিকেট প্রদান করার চিন্তা করতে পারি। সুবর্ণ নাগরিক কার্ড নামক যে তথাকথিত কার্ড রয়েছে, সেটিকে গতিশীল করে আমরা এর আওতায় স্বাস্থ্য বীমা, শিক্ষা বৃত্তি, পরিবহন ডিসকাউন্টসহ অন্যান্য সামাজিক সুবিধা প্রদান করতে চাই। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিরা যাতে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেন, আমরা তাদের জন্য বাস্তবসম্মত ভোকেশনাল ও টেকনিক্যাল ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করবো।
তারেক রহমান বলেন, বিশেষত আউটসোর্সিং, ডাটা প্রসেসিং এবং ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন কিন্তু মেধাবী তরুণদের জন্য সুনির্দিষ্ট কারিগরি ও কাঠামোগত সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি, ট্যাক্স ওয়েভার এবং ওয়ার্ক স্টেশন সৃষ্টির সুযোগ কার্যকরভাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। অন্যান্য ক্ষেত্রেও, উদ্যমী ও সফল প্রতিবন্ধীদের জন্য সহজ শর্তে বিশেষ ঋণ সুবিধা প্রদান করে উদ্যোক্তা সৃষ্টির প্রচেষ্টা চালানো যাবে। আমরা গণপরিবহন ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনাকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য উপযোগী করে তোলার লক্ষ্যে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে চাই। পাশাপাশি সরকারি চাকরিতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য আমরা একটি নির্দিষ্ট অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিতে চাই।
তিনি বলেন, আপনাদের সেই সাহস, সংকল্প ও শক্তি আমাদের জন্য প্রেরণার উৎস। এটি আমাদের উদ্বুুদ্ধ করে একটি সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক সুবিচারের ভিত্তিতে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যেতে। আজ আমি আপনাদের এমন চারজন মানুষের জীবনের গল্প শোনাবো, সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় যাদের অর্জিত সাফল্য আমাদের প্রেরণা জোগায়। প্রথম গল্পটি পটুয়াখালীর একজন ৬৮ বছর বয়সের মানুষের, যিনি বাকপ্রতিবন্ধী হলেও, ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ে গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ করছেন। তরুণদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিদেশি ক্লায়েন্ট থেকে ডলার উপার্জন করে পরিবারের অর্থনৈতিক দায়িত্ব পালন করা এই মানুষটির সাফল্য প্রমাণ করে, বয়স বা প্রতিবন্ধকতা কখনো জীবনের গতিপথ বদলাতে পারে না। দ্বিতীয় গল্পটি এক তরুণের, যার কোমর থেকে পা পর্যন্ত অবশ। শারীরিক সীমাবদ্ধতা তাকে শিখিয়েছিল, ‘আমার পা নেই তো কী হয়েছে? আমার হাত তো আছে।’ তিনি নিজের পছন্দের শখের কাজ, কাঠের শিল্পকলা তৈরির মধ্যে নিজের প্রতিভা প্রকাশ করতে শুরু করেন। পা না থাকলেও হাতের নিপুণ কাজে তিনি অসাধারণ কাঠের পণ্য তৈরি করেন, যা স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয় এবং তার হাতের কাজ আজ দেশজুড়ে জনপ্রিয়।
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, তৃতীয় গল্পটি মৌলভীবাজারের এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী তরুণের, যিনি চা-বাগানের এক শ্রমিকের সন্তান। চোখে আলো নেই, কিন্তু মনের আলোর শক্তিতে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জন করেছেন। তার সংগ্রামী মনোবল আমাদের শিখিয়েছে, ইচ্ছাশক্তি আর মেধা কখনো শারীরিক সীমাবদ্ধতার কাছে হার মানে না। চতুর্থ গল্পটি এমন একজন মানুষের, যার চলার শক্তি নেই একমাত্র ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল নড়াতে পারেন। সেই আঙুল দিয়েই তিনি কম্পিউটারে কাজ করেন। কুমিল্লার এক ছোট ঘরে বসে তিনি বেলজিয়ামের প্রতিষ্ঠানের জন্য পণ্যের ক্যাটালগ ডিজাইন করেন, একক প্রচেষ্টায় নিশ্চিত করে চলছেন অর্থনৈতিক মুক্তি ও সামাজিক অগ্রযাত্রা। এই চারজন ব্যক্তি আমাদের দেখিয়েছেন যে, প্রকৃত সক্ষমতা শরীর দিয়ে নয়, মনের জোর, ইচ্ছাশক্তি আর কঠোর পরিশ্রম দিয়ে মাপা হয়।
তিনি বলেন, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই যেখানে প্রতিটি মানুষ তার সীমাবদ্ধতাকে জয় করে নিজের স্বপ্ন পূরণের সুযোগ পাবে। শারীরিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেও যারা নিজ উদ্যোগে অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন, তাদের বিজয়ের গল্প আমাদের আলোর পথ দেখায়। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আগামীর বাংলাদেশে শারীরিক সীমাবদ্ধতা যেন কাউকে বৈষম্যের শিকার না করে, পিছিয়ে না রাখে, সেই বহুমুখী উদ্যোগ নিয়ে জীবনযুদ্ধে বিজয়ের অজস্র প্রেরণাদায়ী গল্প সৃষ্টি করা হবে। একসঙ্গে কাজ করে আমরা এমন একটি সমাজ গড়ে তুলবো, যেখানে প্রতিটি মানুষ তার পূর্ণ সম্ভাবনায় পৌঁছাতে পারবে, ইনশাআল্লাহ।
তারেক রহমান বলেন, গত ১৬ বছর ধরে আমরা এমন একটি বাংলাদেশে বসবাস করেছি, যেখানে আমাদের প্রাপ্য নাগরিক অধিকার ও স্বাধীনতা একে একে কেড়ে নেয়া হয়েছে। সমাজের প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষ রাষ্ট্রীয় সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয়েছে এবং আপনারাও তার ব্যতিক্রম নন। ফলে আপনাদের জীবনের মান উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি, যা ব্যক্তিগতভাবে আমিও অনুভব করেছি। আমি আপনাদের জানাতে চাই, আমি এবং আমার দল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি জনগণের ভোটে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করলে আমাদের প্রতিজ্ঞা থাকবে আমরা সবসময় আপনাদের পাশে থাকবো। আমি বিশ্বাস করি, আপনারা কেউ প্রতিবন্ধী নন। বরং আপনারা সকলে বিশেষভাবে সক্ষম নাগরিক। আপনাদের প্রত্যেকের রয়েছে অসীম সক্ষমতা।
তিনি বলেন, নির্বাচিত বিএনপি সরকার নিশ্চিত করবে যে, দেশের অন্যান্য সকল নাগরিকের মতো আপনাদেরও নাগরিক অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা সঠিকভাবে এবং সমানভাবে পৌঁছে দেয়ার জন্য সর্বোচ্চ আন্তরিকতা থাকবে। আপনাদের সুচিকিৎসা, শিক্ষার সুযোগ, চাকরির ক্ষেত্রে সমান সুযোগ এবং দেশের প্রতিটি স্থাপনা ও যাতায়াত ব্যবস্থাকে আপনাদের জন্য এক্সিসেবল করে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। আজ আপনাদের বক্তব্য থেকে আমি উপলব্ধি করছি যে, আপনাদের হয়তো মনে হয় বাংলাদেশের অনেক কিছুই এখনো আপনাদের জন্য ফেয়ার নয়। অনেক জায়গায় আপনাদের একসেস দেয়া হয় না, প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয় এবং হয়তো উপেক্ষিত করা হয়। আপনাদের এই অনুভূতিগুলোকে আমি গভীরভাবে শ্রদ্ধা করি এবং এগুলো সমাধানে অঙ্গীকারবদ্ধ।
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, নতুন আইন প্রণয়ন, বিদ্যমান আইনের সঠিক বাস্তবায়ন, বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি, কিংবা সেই অর্থের সুষ্ঠু বণ্টন যেভাবেই হোক, আমরা চেষ্টা করবো আপনাদের অধিকার ও সুযোগ নিশ্চিত করতে। আমাদের লক্ষ্য এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তোলা, যেখানে প্রত্যেকের জন্য সমান ন্যায্যতা ও একটি ফেয়ার শেয়ার নিশ্চিত থাকবে। সেই লক্ষ্যেই কিন্তু আপনাদের সঙ্গ আমাদের আজকের এই মতবিনিময় অনুষ্ঠান। আমাদের প্রতিশ্রুতি হলো- বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জীবনের মানোন্নয়নে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যার ভিত্তি হবে অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা, সামাজিক ক্ষমতায়ন এবং মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করা। আমরা একটি স্বতন্ত্র অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নেবো, যা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কার্যক্রম সমন্বয় করবে।
তিনি বলেন, আপনারা অনেকেই জানেন, ২০০১ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকার বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিবন্ধীদের ভাতা প্রদান শুরু করলেও, আওয়ামী লীগ সেই ভাতাকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে সামঞ্জস্য না রেখে নিজেদের নেতাকর্মীদের মাঝে লুটে নিয়েছে। অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমরা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ভাতার পরিমাণ বাড়িয়ে তা ন্যায্যভাবে পুনর্নির্ধারণ করতে চাই। নিবন্ধন প্রক্রিয়াকে সহজ ও স্বচ্ছ করার লক্ষ্যে আমরা সমাজকল্যাণ, স্বাস্থ্য এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করবো, যাতে একজন প্রতিবন্ধীও সামাজিক সুবিধা থেকে বাদ না পড়ে।
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমরা প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনার বিষয়টি বিবেচনা করবো এবং তাদের স্বাস্থ্যসেবা বিদ্যমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কাজ করতে চাই। তাদের জন্য ফাস্ট-ট্র্যাক সেবা প্রদান, প্রায়োরিটি সল্যুশন এবং বিভিন্ন এডমিশনে নির্দিষ্ট অংশ সংরক্ষণের পরিকল্পনা রয়েছে। বিচারিক প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় সংস্কার এনে প্রতিবন্ধীসহ প্রান্তিক জনগণের ন্যায্য বিচার পাওয়ার সুযোগ আরও সুগম করার উদ্যোগ নিতে চাই। বিএনপি সরকার গঠন করলে জেলা পর্যায়ে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষায়িত স্কুল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা থাকবে, যেখানে সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ, ব্রেইলসহ ইনক্লুসিভ এডুকেশনের আধুনিক পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করা হবে। পাশাপাশি কারিগরি ও পেশাগত শিক্ষার মাধ্যমে কর্মজীবনে প্রবেশের সুযোগ তৈরি এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ ও প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ সরবরাহের ব্যবস্থা বিবেচনা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের অন্যতম লক্ষ্য থাকবে- বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ নিশ্চিত করা। ড্রয়িং, আর্ট, মিউজিক, স্পোর্টস এই সমস্ত ক্রিয়েটিভ ও ইনোভেটিভ এক্টিভিটিতে তাদের জন্মগত দক্ষতা ও শেখার আগ্রহ অনুযায়ী প্রশিক্ষণ ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রদান করা হবে। প্রান্তিক থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায় পর্যন্ত আমরা তাদের খেলাধুলার সিস্টেম্যাটিক ডেভেলপমেন্ট এবং টুর্নামেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে প্যারাঅলিম্পিকে ভালো ফল অর্জনে সহায়তা করবো। স্পোর্টস, ডিবেট, সায়েন্স ফেয়ারসহ বহুবিধ সহশিক্ষা কার্যক্রমে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি প্রাইভেট স্পন্সরশিপের সুযোগও তৈরি করা হবে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রতিবন্ধী নাগরিক সংগঠন পরিষদের (পিএনএসপি) সাধারণ সম্পাদক সালমা মাহবুব ও আরেকজন সঞ্চালক ইফতেখার মাহবুব। মতবিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন। এ ছাড়া বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহাদী আমিন, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য ডা. মোস্তফা আজিজ সুমন, ফারজানা শারমিন পুতুল, জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্থায়ী সদস্য সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম রনি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক এম সাঈদ খান, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ফারহান আরিফ উপস্থিত ছিলেন।
No comments