বিলুপ্তির ঝুঁকিতে ৪০ শতাংশ প্রবাল
আইইউসিএন ২০০৮ সালে ৮৯২টি উষ্ণ পানির রিফ-বিল্ডিং প্রবাল প্রজাতির অবস্থা বর্ণনা করে। তখন প্রায় এক-তৃতীয়াংশ প্রজাতি বিলুপ্তির ঝুঁকিতে ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে এই ঝুঁকির হার বেড়েছে। উষ্ণায়নের ঘটনা ও ব্লিচিংয়ের কারণে ঝুঁকি বাড়ছে। আইইউসিএন দুটি প্রবালের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে। স্ট্যাগহর্ন প্রবাল ও এলখর্ন প্রবাল ক্যারিবীয় অঞ্চলের দুটি বিপন্ন প্রজাতির প্রবাল। উষ্ণতা বৃদ্ধি, দূষণ, ঘূর্ণিঝড় ও প্রবাল রোগের কারণে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
এ বছরের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নোয়া) বিশ্বের চতুর্থ বৈশ্বিক প্রবাল ব্লিচিংয়ের ঘটনার কথা প্রকাশ করে। আগামী কয়েক মাসে আরও কয়েকটি প্রবাল ব্লিচিংয়ের ঘটনা দেখা যাবে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন। রাসায়নিক বা প্রাকৃতিক কারণে প্রবাল তার রঙের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলে, এ বিষয়টিকে ব্লিচিং বলা হয়।
প্রবাল রক্ষা করা না গেলে উপকূলীয় অনেক মাছ ও প্রাণী হারিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রবাল প্রাচীর উপকূলরেখা ও উপকূলীয় আবাসস্থলকে স্থিতিশীল রাখছে। এসব প্রাচীর ধ্বংস হলে সমুদ্রতীরবর্তী এলাকার বাস্তুতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করেন বিজ্ঞানীরা। গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসে বড় ভূমিকা রাখতে পারে প্রবাল প্রাচীর। সেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে বিভিন্ন দেশের প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন বিজ্ঞানীরা।
সূত্র: এবিসি নিউজ
অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের প্রবালও উজ্জ্বলতা হারাচ্ছে। ছবি: অস্ট্রেলিয়ান ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস/রয়টার্স |
No comments