গল্প- সাহানা by বুলবন ওসমান
ইউ কে।
সাহানা।
নামার্থ?
রাগ।
রাগিণী!
যথার্থ।
অনুপান ধরন অনেক। বজ্রপান?
ইন্দ্রজাল।
বড়চাচা, মেসেঞ্জার থেকে স্কাইপে আসুন। সুমিত। ভ্রাতুষ্পুত্র। মেলবোর্ন।
অসমর্থ।
অপেক্ষা করুন।
মেসেঞ্জারে স্কাইপ।
প্রতিকৃতি স্পষ্ট। চুশমি-মুখে অরস্ত্ত। পৌত্র।
বড়চাচা, প্যাডটা সামান্য নামিয়ে। ভেবেছিলাম, আপনি ওটা টাচও করবেন না। অনেক অগ্রগতি।
অরস্ত্তর মুখে চুশমি?
মা হাসপাতালে। ওকে স্থির রাখতে।
কিছু কথা বলে?
ভাষা ওর নিজস্ব।
অনেক দীর্ঘ।
তালপাতার সেপাই।
না। ঢ্যাঙ্গা।
আমাদের দিকে যায়নি।
সমত্মানং মাতুললং।
স্কাইপ অনুশীলন করুন।
জিতুল ভরসা।
ফেসবুকে গগোই… গায়ত্রী। অঢেল আলোকচিত্র। বন্ধুদের দুষ্টুমি। কখনো শোভনতা ছাড়িয়ে।
হাই সুদর্শনা। লিমিট ছাড়িয়ো না। অনেস্টি ইজ দ্য বেস্ট পলিসি। অবশ্য বয়স-ধর্ম। মাফ।
গায়ত্রী মডেল জেসমিন সুলতানার সঙ্গে যোগাযোগ?
চেন। বাক্যালাপহীন।
প্রতিযোগী?
সুন্দরীদের ধর্ম।
মুকুট চাই।
অনেক সম্মান। অর্থ। প্রতিপত্তি।
গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়।
গুয়াহাটি গার্লস।
গুয়াহাটি কল গার্লস?
চমক।
স্বাভাবিক।
আদি ধর্ম।
মন্দিরবালা।
গায়ত্রী, মতামত।
কমার্স।
আর্টসে ছাত্র কম।
কম… এ বেশি।
ডায়লেকটিক।
হেগেল-মার্কস অমর রহে।
জাহিদ মোস্তফা, নির্দেশ।
তিনদিনের মধ্যে রচনা।
বিষয় আমি।
দেশ-প্রসঙ্গ পত্রিকা।
মরমে মরি।
সাযযাদ কাদিরকে পোস্ট।
যন্ত্র মনে করিয়ে দেয়, নেই…
সে নেই… কবি নেই…
কদিন পূর্বে সাযযাদের কথন,
বুলবনভাই, দেখতে দেখতে বুড়ো।
পরদিন সস্ত্রীক ছবি পোস্ট।
কমেন্ট : লেডি ইজ বিউটিফুল, বাট দ্য
জেনটেলম্যান ইজ টু ওল্ড…
দুদিন যায়নি।
দ্য ওল্ডম্যান অ্যান্ড দ্য ইউনিভার্স।
এমন কমেন্ট কেন করলাম!
তওবা তওবা… আর যদি কাউকে করি…
কাকতালীয়। তবু…
সাযযাদের পরিবারের জন্যে সমবেদনা।
মর্মপীড়া।
হারালাম।
সুহৃদ হারালাম।
শিক্ষকতা, সাংবাদিকতা, সাহিত্য… টাঙ্গাইলবাসীর গর্ব।
মন উচাটন।
কোথায় পাব তারে…
ইউটিউব।
মরীচিকা ধরিতে চাই, এ-মরু প্রান্তরে…
সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে…
শোন শোন পিতা…
কহ কানে কানে শুনাও প্রাণে প্রাণে
মঙ্গল বারতা…
যা কিছু পাই হারায়ে যায়
না মানে সান্তবনা…
ফুরায় বেলা ফুরায় খেলা
সন্ধ্যা হয়ে আসে,
কাঁদে তখন আকুল মন,
কাঁপে তরাসে…
ফেসবুক।
আকেমি তানো।
সরি, আই কান্ট স্পিক ইংলিশ…
ডাইমোবুদেশ – নো প্রবেস্নম… ইউ
স্টে ইন ফেসবুক – টেক সাম ওয়ান ফর
ট্রান্সলেশন… কুমিমা সেন, সরি ফর দিস
ট্রাবল। দোমো আরিম্বাতো গোজাইমাস, থ্যাংক
ইউ।
ব্রেকিং নিউজ… সান্তনু কায়সার পরলোকে।
চমকে উঠি। এ কী হলো! এই তো কয়েক বছর আগে বোলপুর স্টেশনে নেমে রিকশা স্ট্যান্ডে যাওয়ার আগেই দেখা।
আরে সান্তনু!
বুলবনভাই!
কেমন নাটক দেখ, ঢাকায় দেখা হয় না। অথচ বিদেশবিভুঁইয়ে…অবশ্য
যদি বিদেশ ধরি। তুমি কি থাকার জায়গা
ঠিক করেছ?
না। আমি তো এখানের কিছুই চিনি
না।
চলো, পূর্বপলস্নীতে ট্রাই করি। ওখানে
থাকাটা সস্তা। বিশ্বভারতীর বিশ্রামাগার।
রিকশা এগিয়ে চলে। প্রথম শান্তিনিকেতনে আসা সান্তনু দুচোখ দিয়ে গিলছে।
ইংলিশ লিটারেচারের অধ্যাপক… বাংলায়
সাহিত্য। ঠাকুরের অঞ্চলে নিশ্চয় সে শত শত
প্রণতি জানিয়ে চলেছে।
পূর্বপলস্নীতে কামরা পাওয়া গেল। তবে একতলাটা বড় অন্ধকার। কেমন একটা বহু যুগের ওপার থেকে আসা ঘ্রাণ, মাথা ঝিমঝিম করে ওঠে।
সান্তনুকে অনুভূতিটা প্রকাশ করি। সেও ভেতরে ভুগছে।
বললে, সত্যি, আমারও ভালো লাগছে না।
চলো, বিকেলে বেরিয়ে পড়ি নতুন আশ্রয়ের খোঁজে। হেথা নয় হোথা নয়, অন্য কোথা, অন্য কোনোখানে…
বিকেলে বেরিয়ে পড়ি।
পার্ক হোটেলের পরিবেশটা বড় আকর্ষণীয়। আমরা গড়ানে।
যুবক কর্মাধ্যক্ষ।
অতিথি বাংলাদেশি শুনে চক্ষুদ্বয় চকচক করে ওঠে।
তার মাতুলালয় নাটোর।
দোতলায় সবচেয়ে সুন্দর কক্ষটি বরাদ্দ। ভাড়াও অর্ধেক।
দ্বৈতস্বরে ধ্বনি দিই : জয় বাংলা।
পূর্বপলস্নী প্রত্যাবর্তন।
একদিনের ভাড়া।
পরিত্যাগ।
রাতে পার্ক হোটেল।
খাবার ব্যবস্থার ঠাকুর নিয়োজিত।
রবিঠাকুরের বংশধর না হয়েও অনেক বাঙালি ও উড়িয়া ঠাকুর মজুদ।
পরদিন সান্তনুর সঙ্গে, পথপ্রদর্শক ভাস্কর জনক ঝংকার নার্জারি। অধ্যাপক শিল্পকলার ইতিহাস। রতনপলস্নীতে ভবন। লোকমুখে জাহাজবাড়ি।
উত্তরায়ণে প্রবেশ।
সুহৃদ ঝংকার আলোকচিত্রীও।
কালোর বাড়ির সামনেও আমি আর সান্তনু। চিত্রধারক ভাস্কর।
পড়ন্ত হেমন্ত। শান্তিনিকেতনে শীতের আভাসে। সান্তনুর সাদা ফুলশার্টের ওপর হাতকাটা ঘিয়ে সোয়েটার। কালো প্যান্ট। বয়সের ছাপহীন অবয়ব।
ঢাকা ফিরে সে তার প্রাপ্তির খতিয়ান নিয়ে একটি রচনা ছাপায়। রতনপলস্নীতে কালোর দোকানে গিয়ে তার কবি-দর্শনের তথ্য তুলে ধরে। কবি নাকি শেষ জীবনে কিছুটা ন্যুব্জ হয়ে গিয়েছিলেন। প্রচ- প্রাণশক্তি প্রকটভাবে খরচ করেছেন, কিছুই অবশিষ্ট রাখেননি। আগেই শরীর ভাঙতে শুরু করে। শোনা যায়, শ্রবণশক্তিও কমে গিয়েছিল। সান্তনুর রচনার শিরোনাম ছিল, ‘আকাশে দুই হাতে প্রেম বিলায়’।
রচনায় আমার উপস্থিতি উলেস্নখ করতে ভোলেনি।
বাংলা একাডেমি শওকত ওসমান জীবনচরিত রচনার ভার দেয় সান্তনুকে। অনেক ফোন। অনেক তথ্য প্রদান। ঠাকুরদার নাম ইয়াহিয়া নয়, শেখ মোহম্মদ এহিয়া। ঠাম্মা, গুলেজান বেগম। বড়দাদা শেখ ইরশাদ আলী, এরশাদ নয়। শওকত ওসমান পূর্ব ও পশ্চিমবাংলার মুসলিম নামায়ণের একটা নিবন্ধন করেছিলেন। পুবে রাজ্জাক, পশ্চিমে রেজাক। তাছাড়া আহমদ আর আহমেদের দ্বৈধতা তো আছেই। মদ এবং মেদ দু-ই শরীরে অউপকারী। এসব ব্যবচ্ছেদ খুব প্রচ- পার্থক্য নির্ণয় করে না। তবে বাংলা ধরা পড়ে চাঁদ মিয়া, সুরুয মিয়া, কালা মিয়া, ধলা মিয়ায়। মানিক মিয়া তো জ্বলজ্বল করছে। অথচ প্রশান্ত মানিক ঠিকই নিজ সম্প্রদায়ে থেকেও ইহলৌকিক। মানিক প–ত কোনো সম্প্রদায়েরই প্রতিনিধিত্ব করে না। প–ত যে-কেউ হতে পারে। যেমন বিশ্বাস, মলিস্নক, মজুমদার ওগায়রাহ। এমন কি খান সাহেব হিন্দু-মুসলিম-ইহুদি সর্বগ্রাসী। তালুকদার, প্রামাণিক সংক্ষেপে প্রাং, মনে পড়ে ভিন ভাষার কথা। ফেসবুকে প্রায় নির্দেশ, যান্ত্রিক ভাষা রপ্ত করুন। ফুল স্টপের পর ক্যাপিটাল লেটার এমনি আসবে, আপনাকে বাটন টিপতে হবে না। অর্থাৎ সংক্ষিপ্ত করো। আমরা অত লোড নিতে পারব না। করে দেবে কন… যা আসলে না-কন।
চন্দ্রপুরী হুমায়ুন কবীর ঢালির নিউইয়র্ক থেকে পোস্ট : বাংলাদেশ থেকে এসেও বাঙালির হাত থেকে রেহাই পেলাম না।
বাধ্য হয়ে পোস্ট করতে হয় : বাঙালি হলো ঢেঁকি জাতি। সর্বত্র ধান ভানছে। সত্যি তো, বাঙালি ছাড়া তো দুনিয়া অন্ধকার! থেকে থেকে রব ওঠে : হিং টিং ছট… এখন নবদ্বীপ ও গোপালগঞ্জবাসী থেকে থেকে হেঁকে ওঠে : জয় বাংলা।
খানাকুলের মানিক প–তের চিত্র প্রেরণ, গ্রীষ্ম তাড়াতে ভুটানে। আবার নদীতীরে। স্নিগ্ধ চিত্র। চিত্ত স্নিগ্ধতা আনে।
ইউটিউব : হাত বাঁধিবি, পা বাঁধিবি… মন বাঁধিবি কেমনে… লোকগীতিতে এর উত্তর আছে, ইচ্ছা করে মনটারে গামছা দিয়া বাঁধি।
আমি কিছু বাঁধিব না।
আশালতা আশ্রয় : বাঁধনবিহীন সেই যে বাঁধন… অকারণ…
মোর স্টোরিস দেখে থামতে হলো।
কী স্টোরি।
মণিজিঞ্জির স্যান্যাল গল্প পাঠিয়েছে পঠন করেছি কিনা…
আমার আবার নব নামায়ণ : মহারাজ।
যাক উত্তরণ ঘটল। শূদ্র থেকে সর্বোচ্চ পদ। গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতায় যে একজন মহারাজ আছে, ভ্রাতুষ্পুত্র… মণিজিঞ্জির কি বিস্মরিত! যাক অবশ্য ওর যুক্তি আছে… ঢাকার নবাব হতে পারি। মহারাজ আর নবাব সমগোত্রীয়। রাজপুতরা জাত্যভিমান বিস্মরিত হয়ে মোগলদের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার। ক্ষমতার ভাগাভাগি। রাজনৈতিক ও সামাজিক বিবাহবন্ধন। মাতুল মানসিংহের সহায়তায় মহামতি আকবরের মোগল সাম্রাজ্য সুদৃঢ়। বাংলার বারোভূঁইয়া পরাজিত।
কথাসাহিত্যিক মণিজিঞ্জিরের সঙ্গে পূর্বে নামায়ণ কথোপকথন। জিঞ্জির লৌহ শেকল নহে, চক্ষু দ্বারা বন্ধন। শিলিগুড়ি থেকে কামাখ্যা আর কদ্দূর। চক্ষুবন্ধন সহগ।
মাঝে মাঝে কলকাতা। সাহিত্য-আসরের ডাক। সামনে মেয়ের পরীক্ষা। পরীক্ষা তো মায়েরও। আসল জিঞ্জির।
সার্চ। গুগল। সাহানা।
ইন্ডিয়ান বাংলাদেশি। ইন্ডিয়ান বাংলাদেশি! তাহলে তো ঘরের লোক। হাওড়ায় মামাবাড়ি, ঝামটিয়া হলে বলত, ঘরের নোক। যাক একটা ভালো ক্লু পাওয়া গেল। সাহানাকে দেওয়ার।
মুইও ইন্ডিয়ান বাংলাদেশি।
এসেছি ছোটবেলায়।
তুমি ভরবেলায়।
তফাৎ এই।
ফেসবুক।
সাহানা, ইন্ডিয়ান বাংলাদেশি?
হাউ কাম?
অপেক্ষা।
দিন যায়।
যায়।
প্রায় ভুলে যাবার মতো…
হঠাৎ বিদ্যুৎ চমক।
এক মুসলিম নামসহ সাহানা।
নামটা খুব চেনা মনে হলো না।
নামে কী বা আসে যায়।
যাক, দেশি যখন পা পড়বে।
দিন যায়।
নানা দেশের মিলনক্ষেত্র ফেসবুক।
ভ্রাতুষ্পুত্র, আসমার, সুপুত্র… স্কাইপ
শিখিয়ে দেবে?
চলে আসুন, আগামী শুক্রবার।
কথা ধরে কাজ।
আর এক ভ্রাতুষ্পুত্র মেলবোর্নবাসী।
তার সঙ্গে চিত্রালাপ।
সে উৎফুলস্ন।
ট্যাবটি তার উপহার।
বোলপুর। শান্তিনিকেতন। চারুকলার
শিক্ষার্থী বন্দনা।
চিত্র বাইসাইকেল চালিয়ে গমন।
শান্তিনিকেতনে মেয়েদের স্বাধীনতা।
শাড়ি ও সাইকেল।
মেসেঞ্জার।
সুশান্ত। রাজশাহী থেকে ঢাকা আগমন।
সপরিবার।
স্নিগ্ধা শান্তিনিকেতন ফেরত।
রবীন্দ্রসংগীত শোনা যাবে।
আহবান।
শর্তহীন।
স্নিগ্ধার কাছ থেকে তথ্য পাওয়া যাবে
অন্য শিল্পীদের।
মেসেঞ্জার।
অমিত। ভাগ্না।
টরন্টো।
চিত্র। কন্যার।
নামায়ণ লায়লা।
ঠাকুরমা বা দাদির মতো সুশ্রী।
দাদি প্রয়াত। তার নামে নাম।
পৌত্রী দাদির মতো দীর্ঘাঙ্গী হবে। উজ্জ্বলতায় হার মানাতে পারে।
পুতুল। না পুতলি।
চেনো কি এদের?
অনেক থাই সুন্দরী।
ভাষা থাই। মালে বাহাসা হতে পারে।
স্থানীয়।
চিহ্ন করা দুরূহ।
অবয়ব স্মরণ।
মালা থেকে ফুল পৃথক কঠিন।
স্ট্যাটাস দেবো, পিস্নজ ইংরেজি ব্যালাটিন বা ফরাসি বা স্প্যানিশ বা ডয়েস… এমনকি আরবি চলতে পারে। থাইল্যান্ড, ভালোবাসার দেশ, সুন্দরীদের মেলা। মেলামেশা অবাধ। পাতায়া চিত্রময় সৈকত। ভাষা বাধা হওয়া অমানান। পর্যটন পৃথিবীর নাম্বার ওয়ান দেশ। এমন কি ভারতবর্ষও অনেক পেছনে। এহেন দেশে এ-আচার? তাই থাই সুন্দরী ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট থেকে বঞ্চিত।
মন চায়, মসিত্মষ্ক অমায়ক। বন্ধুত্ব মেঙ্গে রফিকা খলিফার চিত্র।
চেহারা গাঢ় শ্যাম। আফ্রিকীয় বা মার্কিনি হতে পারে।
পোস্ট, এত বাঙালি মুসলিম মেয়ের মতো রফিকা, কিন্তু খলিফা? অভিজাত, না দর্জি?
নেপালি দর্জি আবার যা তা নয়। প্রশ্নের জবাব নেই। শুধু ঘোষণা, একটা কথা বলব।
কী কথা?
ব্যাঙের মাথা নয় তো!
না হয় কৃষ্ণসুন্দরীর এত কেন আগ্রহ। উত্তর আপাতত জরুরি মনে হলো না। তবু কৌতূহল জীয়ন্ত।
কটা দিন ট্যাব শায়িত।
ব্যাটারি ব্যাটা ক্ষয় হচ্ছে আপন নিয়ম রক্ষার্থে।
বাহুতে ধারণ।
চক্ষু চড়ক।
সাহানা।
পোস্ট : ইউ আর দ্য বেস্ট। এক দুই তিন বারবার পাঠ। অবিশ্বাস্য।
আমি বেস্ট হতে যাব কেন!
সাধারণ।
অতিসাধারণ একজন সৃষ্টি।
হ্যাঁ, গান ভালোবাসি।
রাধাগান বিশেষ।
আমি বহু বাসনায় প্রাণপণে চাই,
বঞ্চিত করে বাঁচালে মোরে… প্রিয় গান।
কিন্তু এত উলটোপুরাণ।
সাহানা, অতিসংক্ষেপে ব্যাখ্যাটা পোস্ট করবে কি?
সাহানা।
নামার্থ?
রাগ।
রাগিণী!
যথার্থ।
অনুপান ধরন অনেক। বজ্রপান?
ইন্দ্রজাল।
বড়চাচা, মেসেঞ্জার থেকে স্কাইপে আসুন। সুমিত। ভ্রাতুষ্পুত্র। মেলবোর্ন।
অসমর্থ।
অপেক্ষা করুন।
মেসেঞ্জারে স্কাইপ।
প্রতিকৃতি স্পষ্ট। চুশমি-মুখে অরস্ত্ত। পৌত্র।
বড়চাচা, প্যাডটা সামান্য নামিয়ে। ভেবেছিলাম, আপনি ওটা টাচও করবেন না। অনেক অগ্রগতি।
অরস্ত্তর মুখে চুশমি?
মা হাসপাতালে। ওকে স্থির রাখতে।
কিছু কথা বলে?
ভাষা ওর নিজস্ব।
অনেক দীর্ঘ।
তালপাতার সেপাই।
না। ঢ্যাঙ্গা।
আমাদের দিকে যায়নি।
সমত্মানং মাতুললং।
স্কাইপ অনুশীলন করুন।
জিতুল ভরসা।
ফেসবুকে গগোই… গায়ত্রী। অঢেল আলোকচিত্র। বন্ধুদের দুষ্টুমি। কখনো শোভনতা ছাড়িয়ে।
হাই সুদর্শনা। লিমিট ছাড়িয়ো না। অনেস্টি ইজ দ্য বেস্ট পলিসি। অবশ্য বয়স-ধর্ম। মাফ।
গায়ত্রী মডেল জেসমিন সুলতানার সঙ্গে যোগাযোগ?
চেন। বাক্যালাপহীন।
প্রতিযোগী?
সুন্দরীদের ধর্ম।
মুকুট চাই।
অনেক সম্মান। অর্থ। প্রতিপত্তি।
গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়।
গুয়াহাটি গার্লস।
গুয়াহাটি কল গার্লস?
চমক।
স্বাভাবিক।
আদি ধর্ম।
মন্দিরবালা।
গায়ত্রী, মতামত।
কমার্স।
আর্টসে ছাত্র কম।
কম… এ বেশি।
ডায়লেকটিক।
হেগেল-মার্কস অমর রহে।
জাহিদ মোস্তফা, নির্দেশ।
তিনদিনের মধ্যে রচনা।
বিষয় আমি।
দেশ-প্রসঙ্গ পত্রিকা।
মরমে মরি।
সাযযাদ কাদিরকে পোস্ট।
যন্ত্র মনে করিয়ে দেয়, নেই…
সে নেই… কবি নেই…
কদিন পূর্বে সাযযাদের কথন,
বুলবনভাই, দেখতে দেখতে বুড়ো।
পরদিন সস্ত্রীক ছবি পোস্ট।
কমেন্ট : লেডি ইজ বিউটিফুল, বাট দ্য
জেনটেলম্যান ইজ টু ওল্ড…
দুদিন যায়নি।
দ্য ওল্ডম্যান অ্যান্ড দ্য ইউনিভার্স।
এমন কমেন্ট কেন করলাম!
তওবা তওবা… আর যদি কাউকে করি…
কাকতালীয়। তবু…
সাযযাদের পরিবারের জন্যে সমবেদনা।
মর্মপীড়া।
হারালাম।
সুহৃদ হারালাম।
শিক্ষকতা, সাংবাদিকতা, সাহিত্য… টাঙ্গাইলবাসীর গর্ব।
মন উচাটন।
কোথায় পাব তারে…
ইউটিউব।
মরীচিকা ধরিতে চাই, এ-মরু প্রান্তরে…
সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে…
শোন শোন পিতা…
কহ কানে কানে শুনাও প্রাণে প্রাণে
মঙ্গল বারতা…
যা কিছু পাই হারায়ে যায়
না মানে সান্তবনা…
ফুরায় বেলা ফুরায় খেলা
সন্ধ্যা হয়ে আসে,
কাঁদে তখন আকুল মন,
কাঁপে তরাসে…
ফেসবুক।
আকেমি তানো।
সরি, আই কান্ট স্পিক ইংলিশ…
ডাইমোবুদেশ – নো প্রবেস্নম… ইউ
স্টে ইন ফেসবুক – টেক সাম ওয়ান ফর
ট্রান্সলেশন… কুমিমা সেন, সরি ফর দিস
ট্রাবল। দোমো আরিম্বাতো গোজাইমাস, থ্যাংক
ইউ।
ব্রেকিং নিউজ… সান্তনু কায়সার পরলোকে।
চমকে উঠি। এ কী হলো! এই তো কয়েক বছর আগে বোলপুর স্টেশনে নেমে রিকশা স্ট্যান্ডে যাওয়ার আগেই দেখা।
আরে সান্তনু!
বুলবনভাই!
কেমন নাটক দেখ, ঢাকায় দেখা হয় না। অথচ বিদেশবিভুঁইয়ে…অবশ্য
যদি বিদেশ ধরি। তুমি কি থাকার জায়গা
ঠিক করেছ?
না। আমি তো এখানের কিছুই চিনি
না।
চলো, পূর্বপলস্নীতে ট্রাই করি। ওখানে
থাকাটা সস্তা। বিশ্বভারতীর বিশ্রামাগার।
রিকশা এগিয়ে চলে। প্রথম শান্তিনিকেতনে আসা সান্তনু দুচোখ দিয়ে গিলছে।
ইংলিশ লিটারেচারের অধ্যাপক… বাংলায়
সাহিত্য। ঠাকুরের অঞ্চলে নিশ্চয় সে শত শত
প্রণতি জানিয়ে চলেছে।
পূর্বপলস্নীতে কামরা পাওয়া গেল। তবে একতলাটা বড় অন্ধকার। কেমন একটা বহু যুগের ওপার থেকে আসা ঘ্রাণ, মাথা ঝিমঝিম করে ওঠে।
সান্তনুকে অনুভূতিটা প্রকাশ করি। সেও ভেতরে ভুগছে।
বললে, সত্যি, আমারও ভালো লাগছে না।
চলো, বিকেলে বেরিয়ে পড়ি নতুন আশ্রয়ের খোঁজে। হেথা নয় হোথা নয়, অন্য কোথা, অন্য কোনোখানে…
বিকেলে বেরিয়ে পড়ি।
পার্ক হোটেলের পরিবেশটা বড় আকর্ষণীয়। আমরা গড়ানে।
যুবক কর্মাধ্যক্ষ।
অতিথি বাংলাদেশি শুনে চক্ষুদ্বয় চকচক করে ওঠে।
তার মাতুলালয় নাটোর।
দোতলায় সবচেয়ে সুন্দর কক্ষটি বরাদ্দ। ভাড়াও অর্ধেক।
দ্বৈতস্বরে ধ্বনি দিই : জয় বাংলা।
পূর্বপলস্নী প্রত্যাবর্তন।
একদিনের ভাড়া।
পরিত্যাগ।
রাতে পার্ক হোটেল।
খাবার ব্যবস্থার ঠাকুর নিয়োজিত।
রবিঠাকুরের বংশধর না হয়েও অনেক বাঙালি ও উড়িয়া ঠাকুর মজুদ।
পরদিন সান্তনুর সঙ্গে, পথপ্রদর্শক ভাস্কর জনক ঝংকার নার্জারি। অধ্যাপক শিল্পকলার ইতিহাস। রতনপলস্নীতে ভবন। লোকমুখে জাহাজবাড়ি।
উত্তরায়ণে প্রবেশ।
সুহৃদ ঝংকার আলোকচিত্রীও।
কালোর বাড়ির সামনেও আমি আর সান্তনু। চিত্রধারক ভাস্কর।
পড়ন্ত হেমন্ত। শান্তিনিকেতনে শীতের আভাসে। সান্তনুর সাদা ফুলশার্টের ওপর হাতকাটা ঘিয়ে সোয়েটার। কালো প্যান্ট। বয়সের ছাপহীন অবয়ব।
ঢাকা ফিরে সে তার প্রাপ্তির খতিয়ান নিয়ে একটি রচনা ছাপায়। রতনপলস্নীতে কালোর দোকানে গিয়ে তার কবি-দর্শনের তথ্য তুলে ধরে। কবি নাকি শেষ জীবনে কিছুটা ন্যুব্জ হয়ে গিয়েছিলেন। প্রচ- প্রাণশক্তি প্রকটভাবে খরচ করেছেন, কিছুই অবশিষ্ট রাখেননি। আগেই শরীর ভাঙতে শুরু করে। শোনা যায়, শ্রবণশক্তিও কমে গিয়েছিল। সান্তনুর রচনার শিরোনাম ছিল, ‘আকাশে দুই হাতে প্রেম বিলায়’।
রচনায় আমার উপস্থিতি উলেস্নখ করতে ভোলেনি।
বাংলা একাডেমি শওকত ওসমান জীবনচরিত রচনার ভার দেয় সান্তনুকে। অনেক ফোন। অনেক তথ্য প্রদান। ঠাকুরদার নাম ইয়াহিয়া নয়, শেখ মোহম্মদ এহিয়া। ঠাম্মা, গুলেজান বেগম। বড়দাদা শেখ ইরশাদ আলী, এরশাদ নয়। শওকত ওসমান পূর্ব ও পশ্চিমবাংলার মুসলিম নামায়ণের একটা নিবন্ধন করেছিলেন। পুবে রাজ্জাক, পশ্চিমে রেজাক। তাছাড়া আহমদ আর আহমেদের দ্বৈধতা তো আছেই। মদ এবং মেদ দু-ই শরীরে অউপকারী। এসব ব্যবচ্ছেদ খুব প্রচ- পার্থক্য নির্ণয় করে না। তবে বাংলা ধরা পড়ে চাঁদ মিয়া, সুরুয মিয়া, কালা মিয়া, ধলা মিয়ায়। মানিক মিয়া তো জ্বলজ্বল করছে। অথচ প্রশান্ত মানিক ঠিকই নিজ সম্প্রদায়ে থেকেও ইহলৌকিক। মানিক প–ত কোনো সম্প্রদায়েরই প্রতিনিধিত্ব করে না। প–ত যে-কেউ হতে পারে। যেমন বিশ্বাস, মলিস্নক, মজুমদার ওগায়রাহ। এমন কি খান সাহেব হিন্দু-মুসলিম-ইহুদি সর্বগ্রাসী। তালুকদার, প্রামাণিক সংক্ষেপে প্রাং, মনে পড়ে ভিন ভাষার কথা। ফেসবুকে প্রায় নির্দেশ, যান্ত্রিক ভাষা রপ্ত করুন। ফুল স্টপের পর ক্যাপিটাল লেটার এমনি আসবে, আপনাকে বাটন টিপতে হবে না। অর্থাৎ সংক্ষিপ্ত করো। আমরা অত লোড নিতে পারব না। করে দেবে কন… যা আসলে না-কন।
চন্দ্রপুরী হুমায়ুন কবীর ঢালির নিউইয়র্ক থেকে পোস্ট : বাংলাদেশ থেকে এসেও বাঙালির হাত থেকে রেহাই পেলাম না।
বাধ্য হয়ে পোস্ট করতে হয় : বাঙালি হলো ঢেঁকি জাতি। সর্বত্র ধান ভানছে। সত্যি তো, বাঙালি ছাড়া তো দুনিয়া অন্ধকার! থেকে থেকে রব ওঠে : হিং টিং ছট… এখন নবদ্বীপ ও গোপালগঞ্জবাসী থেকে থেকে হেঁকে ওঠে : জয় বাংলা।
খানাকুলের মানিক প–তের চিত্র প্রেরণ, গ্রীষ্ম তাড়াতে ভুটানে। আবার নদীতীরে। স্নিগ্ধ চিত্র। চিত্ত স্নিগ্ধতা আনে।
ইউটিউব : হাত বাঁধিবি, পা বাঁধিবি… মন বাঁধিবি কেমনে… লোকগীতিতে এর উত্তর আছে, ইচ্ছা করে মনটারে গামছা দিয়া বাঁধি।
আমি কিছু বাঁধিব না।
আশালতা আশ্রয় : বাঁধনবিহীন সেই যে বাঁধন… অকারণ…
মোর স্টোরিস দেখে থামতে হলো।
কী স্টোরি।
মণিজিঞ্জির স্যান্যাল গল্প পাঠিয়েছে পঠন করেছি কিনা…
আমার আবার নব নামায়ণ : মহারাজ।
যাক উত্তরণ ঘটল। শূদ্র থেকে সর্বোচ্চ পদ। গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতায় যে একজন মহারাজ আছে, ভ্রাতুষ্পুত্র… মণিজিঞ্জির কি বিস্মরিত! যাক অবশ্য ওর যুক্তি আছে… ঢাকার নবাব হতে পারি। মহারাজ আর নবাব সমগোত্রীয়। রাজপুতরা জাত্যভিমান বিস্মরিত হয়ে মোগলদের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার। ক্ষমতার ভাগাভাগি। রাজনৈতিক ও সামাজিক বিবাহবন্ধন। মাতুল মানসিংহের সহায়তায় মহামতি আকবরের মোগল সাম্রাজ্য সুদৃঢ়। বাংলার বারোভূঁইয়া পরাজিত।
কথাসাহিত্যিক মণিজিঞ্জিরের সঙ্গে পূর্বে নামায়ণ কথোপকথন। জিঞ্জির লৌহ শেকল নহে, চক্ষু দ্বারা বন্ধন। শিলিগুড়ি থেকে কামাখ্যা আর কদ্দূর। চক্ষুবন্ধন সহগ।
মাঝে মাঝে কলকাতা। সাহিত্য-আসরের ডাক। সামনে মেয়ের পরীক্ষা। পরীক্ষা তো মায়েরও। আসল জিঞ্জির।
সার্চ। গুগল। সাহানা।
ইন্ডিয়ান বাংলাদেশি। ইন্ডিয়ান বাংলাদেশি! তাহলে তো ঘরের লোক। হাওড়ায় মামাবাড়ি, ঝামটিয়া হলে বলত, ঘরের নোক। যাক একটা ভালো ক্লু পাওয়া গেল। সাহানাকে দেওয়ার।
মুইও ইন্ডিয়ান বাংলাদেশি।
এসেছি ছোটবেলায়।
তুমি ভরবেলায়।
তফাৎ এই।
ফেসবুক।
সাহানা, ইন্ডিয়ান বাংলাদেশি?
হাউ কাম?
অপেক্ষা।
দিন যায়।
যায়।
প্রায় ভুলে যাবার মতো…
হঠাৎ বিদ্যুৎ চমক।
এক মুসলিম নামসহ সাহানা।
নামটা খুব চেনা মনে হলো না।
নামে কী বা আসে যায়।
যাক, দেশি যখন পা পড়বে।
দিন যায়।
নানা দেশের মিলনক্ষেত্র ফেসবুক।
ভ্রাতুষ্পুত্র, আসমার, সুপুত্র… স্কাইপ
শিখিয়ে দেবে?
চলে আসুন, আগামী শুক্রবার।
কথা ধরে কাজ।
আর এক ভ্রাতুষ্পুত্র মেলবোর্নবাসী।
তার সঙ্গে চিত্রালাপ।
সে উৎফুলস্ন।
ট্যাবটি তার উপহার।
বোলপুর। শান্তিনিকেতন। চারুকলার
শিক্ষার্থী বন্দনা।
চিত্র বাইসাইকেল চালিয়ে গমন।
শান্তিনিকেতনে মেয়েদের স্বাধীনতা।
শাড়ি ও সাইকেল।
মেসেঞ্জার।
সুশান্ত। রাজশাহী থেকে ঢাকা আগমন।
সপরিবার।
স্নিগ্ধা শান্তিনিকেতন ফেরত।
রবীন্দ্রসংগীত শোনা যাবে।
আহবান।
শর্তহীন।
স্নিগ্ধার কাছ থেকে তথ্য পাওয়া যাবে
অন্য শিল্পীদের।
মেসেঞ্জার।
অমিত। ভাগ্না।
টরন্টো।
চিত্র। কন্যার।
নামায়ণ লায়লা।
ঠাকুরমা বা দাদির মতো সুশ্রী।
দাদি প্রয়াত। তার নামে নাম।
পৌত্রী দাদির মতো দীর্ঘাঙ্গী হবে। উজ্জ্বলতায় হার মানাতে পারে।
পুতুল। না পুতলি।
চেনো কি এদের?
অনেক থাই সুন্দরী।
ভাষা থাই। মালে বাহাসা হতে পারে।
স্থানীয়।
চিহ্ন করা দুরূহ।
অবয়ব স্মরণ।
মালা থেকে ফুল পৃথক কঠিন।
স্ট্যাটাস দেবো, পিস্নজ ইংরেজি ব্যালাটিন বা ফরাসি বা স্প্যানিশ বা ডয়েস… এমনকি আরবি চলতে পারে। থাইল্যান্ড, ভালোবাসার দেশ, সুন্দরীদের মেলা। মেলামেশা অবাধ। পাতায়া চিত্রময় সৈকত। ভাষা বাধা হওয়া অমানান। পর্যটন পৃথিবীর নাম্বার ওয়ান দেশ। এমন কি ভারতবর্ষও অনেক পেছনে। এহেন দেশে এ-আচার? তাই থাই সুন্দরী ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট থেকে বঞ্চিত।
মন চায়, মসিত্মষ্ক অমায়ক। বন্ধুত্ব মেঙ্গে রফিকা খলিফার চিত্র।
চেহারা গাঢ় শ্যাম। আফ্রিকীয় বা মার্কিনি হতে পারে।
পোস্ট, এত বাঙালি মুসলিম মেয়ের মতো রফিকা, কিন্তু খলিফা? অভিজাত, না দর্জি?
নেপালি দর্জি আবার যা তা নয়। প্রশ্নের জবাব নেই। শুধু ঘোষণা, একটা কথা বলব।
কী কথা?
ব্যাঙের মাথা নয় তো!
না হয় কৃষ্ণসুন্দরীর এত কেন আগ্রহ। উত্তর আপাতত জরুরি মনে হলো না। তবু কৌতূহল জীয়ন্ত।
কটা দিন ট্যাব শায়িত।
ব্যাটারি ব্যাটা ক্ষয় হচ্ছে আপন নিয়ম রক্ষার্থে।
বাহুতে ধারণ।
চক্ষু চড়ক।
সাহানা।
পোস্ট : ইউ আর দ্য বেস্ট। এক দুই তিন বারবার পাঠ। অবিশ্বাস্য।
আমি বেস্ট হতে যাব কেন!
সাধারণ।
অতিসাধারণ একজন সৃষ্টি।
হ্যাঁ, গান ভালোবাসি।
রাধাগান বিশেষ।
আমি বহু বাসনায় প্রাণপণে চাই,
বঞ্চিত করে বাঁচালে মোরে… প্রিয় গান।
কিন্তু এত উলটোপুরাণ।
সাহানা, অতিসংক্ষেপে ব্যাখ্যাটা পোস্ট করবে কি?
No comments