কাশ্মীর: মোদির ‘চূড়ান্ত সমাধান’ এবং হিন্দুত্ব আধিপত্যের যুগ by সালমান রাফি শেখ
দক্ষিণ
এশিয়ায় আত্মপরিচয়ের সংগ্রামের যে প্রাধান্য চলে আসছে, সেটা নিয়ে কখনও কোন
সন্দেহ ছিল না। এই নানান সংগ্রামের মধ্যে কাশ্মীরীদের স্বাধিকারের
আন্দোলনটি অনন্য হয়ে আছে। গত ৭২ বছরের ইতিহাসে ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে
(আইএইচকে) অনেক উত্থান পতন দেখা গেছে কিন্তু বর্তমান ভারত সরকার
কাশ্মীরীদের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয়ার যে পদক্ষেপ নিল কাশ্মীর ইস্যুর
‘চূড়ান্ত সমাধানের’ জন্য, সেটাই মোদি সরকারের পন্থা। এর মাধ্যমে আগুনে
অপ্রত্যাশিক মাত্রায় ঘি ঢালা হলো। মোদি সরকারের এই রাজনৈতিক যুদ্ধ
স্বাধীনতা আন্দোলনকে দমন না করে বরং এটাকে আরও উসকে দেবে।
এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ১৯৭২ সালের শিমলা চুক্তি ভঙ্গ করা হয়েছে, যেখানে কাশ্মীরের পরিস্থিতিকে একতরফাভাবে বদলের ক্ষেত্রে পাকিস্তান ও ভারতের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের (ইউএনএসসি) প্রস্তাবনা লঙ্ঘন করা হয়েছে যেখানে কাশ্মীরের জনগণের গণভোটের কথা বলা হয়েছে। জেনেভা কনভেনশনও এখানে লঙ্ঘিত হয়েছে, যেখানে নিজেদের জনগণকে কোন দখলকৃত অঞ্চলে স্থানান্তরের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সব মিলিয়ে ৩৫-এ থেকে অনেক কিছু বোঝা সম্ভব যে মোদি সরকারের মধ্যে একগুঁয়েমি কোন মাত্রায় গিয়ে পৌঁছেছে।
এই সঙ্কটকে ঘিরে ষড়যন্ত্র তত্ত্বের কথা বাদ দিলেও কাশ্মীর সঙ্কটের কারণ মূলত বিজেপি যে হিন্দুত্ববাদী ধারণা পোষণ করে সেটা, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের (এবং ভারত) মধ্যে যে বোঝাপড়া হয়েছে, সেটা নয়। এই সঙ্কটের মূল রয়েছে বিজেপি যে ধরনের রাজনৈতিক সংস্কৃতি লালন করে, তার গভীরে, কাশ্মীরকে ঘিরে চলমান ভূ-রাজনীতির মধ্যে নয়। কারণ কাশ্মীরের সাংবিধানিক স্ট্যাটাস যদি বদলেও যায়, এ অঞ্চলে ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব দক্ষিণ এশিয়ায় একই থাকবে। সে কারণে এখানে গুরুত্বপূর্ণ হলো বিজেপির ‘হিন্দুত্ববাদী প্রকল্প’।
২০১৯ সালের নির্বাচনে যাওয়ার সময় বিজেপির ইশতেহারে এটা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে: “জন সঙ্ঘের সময় থেকে আমরা আমাদের অবস্থানকে স্পষ্ট করে আসছি যে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করা হবে”।
এই স্ট্যাটাস বাতিলের কারণে যেটা হবে, সেটা হলো ভারতের অন্যান্য অঞ্চল থেকে অ-কাশ্মীরী/অ-স্থানীয় জনগণ এত বিপুল সংখ্যায় কাশ্মীরে অভিবাসী হয়ে আসবে যেটা এখানকার জনসংখ্যার চেহারা বদলে দেবে এবং এখানকার মানুষ নিজেদের মুসলিম সংখ্যাগুরু হিসেবে যে দাবি করে আসছে, সেটা আর তারা করতে পারবে না এবং নিজেদের স্বাধিকারের দাবিও তুলতে পারবে না। হিন্দু জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেড়ে গেলে জম্মু ও কাশ্মীর আর মুসলিমদের জন্য সুনির্দিষ্ট থাকবে না এবং সেক্ষেত্রে গণভোটের মাধ্যমে তারা আর নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণের সুযোগ পাবে না।
এই পরিবর্তনের পর ভারতীয় বসতি স্থাপনকারীরা এখন কাশ্মীরে জমি ও সম্পদ কিনতে পারবে। পশ্চিম তীরে ইসরাইল ঠিক এই কাজটাই করছে। বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবার কাশ্মীরের মুসলিম সংখ্যাগুরু চেহারাটি চিরদিনের জন্য বদলে দিতে চায়। ৩৫এ অনুচ্ছেদ এখন হিন্দু সংখ্যাগুরুদের উপত্যকায় জোর করে প্রবেশ করাবে এবং আগামী বছরগুলোতে সেখানে আরও ব্যাপক মাত্রায় এর শাখা প্রশাখা বিস্তার করা হবে।
অন্যদিকে, কাশ্মীরকে ভারতীয় ইউনিয়নে ‘অন্তর্ভুক্ত’ করার মধ্য দিয়ে মোদি একই সাথে ভারতীয় রাজনীতিতে ঘৃণা ও বিভাজনের রাজনীতির পুনরাবৃত্তি করতে চান, যাতে সেটা তার জনপ্রিয়তাকে আরও শক্তিশালী করে এবং হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠিগুলোর মধ্যে তার সমর্থন আরও পোক্ত হয়। এর গুরুত্ব আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে যদি সেটাকে এই সরকারের ব্যর্থতাগুলোর আলোকে দেখা হয়। তাছাড়া এর আগে জনগণের হৃদয় জয় করতে এবং জনগণের মধ্যে বিচ্ছিন্নতার ধারণা দূর করতেও তারা ব্যর্থ হয়েছে।
যদিও সরকারীভাবে বলা হচ্ছে যে, কাশ্মীরকে ভারতীয় ইউনিয়নের সাথে যুক্ত করার মাধ্যমে সেখানে নয়াদিল্লী আরও ভালোভাবে ব্যবস্থাপনা করতে পারবে এবং সেখানকার উন্নয়নের জন্য আরও তহবিল দিতে পারবে, কিন্তু এটা মূলত একটা বিভ্রান্তি এবং সেটা বোঝা যায় ভারতের সবখানে বিভিন্ন স্টাইলে হিন্দুত্ববাদীদের সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক তৎপরতা দেখে। নতুন সাংবিধানিক স্ট্যাটাসের অধীনে জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতিও এর চেয়ে আলাদা কিছু হবে না।
‘বিশেষ মর্যাদাহীন’ যুগে কি পরিবর্তন আসতে পারে, সেটা বোঝার জন্য আমাদের মোদি সরকারের বিগত পাঁচ বছরের দিকে নজর দিতে হবে। দেখতে হবে যে, এই সময়টাতে ভারতের মূল ভূখণ্ডের জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সাথে কি আচরণ করা হয়েছে।
কোনরকম অতিরঞ্জন ছাড়াই বলা যায় মোটের উপর নিরপরাধ মুসলিমদের উপর বহু নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে মুসলিম আর দলিতরা মোদির ‘হিন্দুত্ব প্রকল্পের’ টার্গেটে পরিণত হয়েছে। এর ফলশ্রুতিতে সামাজিক-রাজনৈতিক অঙ্গনে সংখ্যালঘুদের যে অবনতি হয়েছে, সেটা তাদেরকে আরও অগুরুত্বপূর্ণ করে তুলবে। কারণ. যে বিষয়গুলোর সাথে তাদের জীবন জড়িত সেখানে প্রভাব বিস্তার করার মতো কোন সামর্থ তাদের থাকবে না। এ অবস্থায় হিন্দুত্বের আধিপত্য মেনে নেয়া ছাড়া তাদের আর কোন উপায় থাকবে না।
এই আদর্শ শুধু রাজনৈতিক আধিপত্যের কথাই বলে না, বরং এর মধ্যে একটা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক স্তরভেদের বিষয়ও রয়েছে, সেখানে হিন্দুরা থাকবে সবার উপরে। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের মাধ্যমে ঠিক সেই কাজটাই করা হলো। এর মাধ্যমে এই অঞ্চলকে মূলত ভারতীয় উপনিবেশে পরিণত করা হলো। ১৯৫৪ সাল থেকে এই অঞ্চলটি যে বিশেষ মর্যাদা ভোগ করে আসছিল, সেটা মূলত এ অঞ্চলের ব্যাপক মুসলিম সংখ্যাগুরু চারিত্রকে রক্ষা করার জন্যেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে, একটি রাজনৈতিক দল কর্তৃক এটার বিলুপ্তির নিশ্চিত উদ্দেশ্য হলো উপত্যকায় বিজেপি ও তাদের বর্তমান শত্রুসুভল আচরণের অধীনে হিন্দুদের আধিপত্য নিশ্চিত করা।
৩৫এ বাতিল ও প্রয়োগের বাস্তব অর্থ হলো উপত্যকার জনগণের উপর একটা দখলদারিত্বের আইন চাপিয়ে দেয়া, যারা সর্বপ্রকারে নয়াদিল্লীর আধিপত্যবাদী পদক্ষেপের প্রতিবাদ অব্যাহত রাখবে, যে নয়াদিল্লী এখানে নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্যের চেষ্টা করছে।
এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ১৯৭২ সালের শিমলা চুক্তি ভঙ্গ করা হয়েছে, যেখানে কাশ্মীরের পরিস্থিতিকে একতরফাভাবে বদলের ক্ষেত্রে পাকিস্তান ও ভারতের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের (ইউএনএসসি) প্রস্তাবনা লঙ্ঘন করা হয়েছে যেখানে কাশ্মীরের জনগণের গণভোটের কথা বলা হয়েছে। জেনেভা কনভেনশনও এখানে লঙ্ঘিত হয়েছে, যেখানে নিজেদের জনগণকে কোন দখলকৃত অঞ্চলে স্থানান্তরের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সব মিলিয়ে ৩৫-এ থেকে অনেক কিছু বোঝা সম্ভব যে মোদি সরকারের মধ্যে একগুঁয়েমি কোন মাত্রায় গিয়ে পৌঁছেছে।
এই সঙ্কটকে ঘিরে ষড়যন্ত্র তত্ত্বের কথা বাদ দিলেও কাশ্মীর সঙ্কটের কারণ মূলত বিজেপি যে হিন্দুত্ববাদী ধারণা পোষণ করে সেটা, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের (এবং ভারত) মধ্যে যে বোঝাপড়া হয়েছে, সেটা নয়। এই সঙ্কটের মূল রয়েছে বিজেপি যে ধরনের রাজনৈতিক সংস্কৃতি লালন করে, তার গভীরে, কাশ্মীরকে ঘিরে চলমান ভূ-রাজনীতির মধ্যে নয়। কারণ কাশ্মীরের সাংবিধানিক স্ট্যাটাস যদি বদলেও যায়, এ অঞ্চলে ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব দক্ষিণ এশিয়ায় একই থাকবে। সে কারণে এখানে গুরুত্বপূর্ণ হলো বিজেপির ‘হিন্দুত্ববাদী প্রকল্প’।
২০১৯ সালের নির্বাচনে যাওয়ার সময় বিজেপির ইশতেহারে এটা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে: “জন সঙ্ঘের সময় থেকে আমরা আমাদের অবস্থানকে স্পষ্ট করে আসছি যে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করা হবে”।
এই স্ট্যাটাস বাতিলের কারণে যেটা হবে, সেটা হলো ভারতের অন্যান্য অঞ্চল থেকে অ-কাশ্মীরী/অ-স্থানীয় জনগণ এত বিপুল সংখ্যায় কাশ্মীরে অভিবাসী হয়ে আসবে যেটা এখানকার জনসংখ্যার চেহারা বদলে দেবে এবং এখানকার মানুষ নিজেদের মুসলিম সংখ্যাগুরু হিসেবে যে দাবি করে আসছে, সেটা আর তারা করতে পারবে না এবং নিজেদের স্বাধিকারের দাবিও তুলতে পারবে না। হিন্দু জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেড়ে গেলে জম্মু ও কাশ্মীর আর মুসলিমদের জন্য সুনির্দিষ্ট থাকবে না এবং সেক্ষেত্রে গণভোটের মাধ্যমে তারা আর নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণের সুযোগ পাবে না।
এই পরিবর্তনের পর ভারতীয় বসতি স্থাপনকারীরা এখন কাশ্মীরে জমি ও সম্পদ কিনতে পারবে। পশ্চিম তীরে ইসরাইল ঠিক এই কাজটাই করছে। বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবার কাশ্মীরের মুসলিম সংখ্যাগুরু চেহারাটি চিরদিনের জন্য বদলে দিতে চায়। ৩৫এ অনুচ্ছেদ এখন হিন্দু সংখ্যাগুরুদের উপত্যকায় জোর করে প্রবেশ করাবে এবং আগামী বছরগুলোতে সেখানে আরও ব্যাপক মাত্রায় এর শাখা প্রশাখা বিস্তার করা হবে।
অন্যদিকে, কাশ্মীরকে ভারতীয় ইউনিয়নে ‘অন্তর্ভুক্ত’ করার মধ্য দিয়ে মোদি একই সাথে ভারতীয় রাজনীতিতে ঘৃণা ও বিভাজনের রাজনীতির পুনরাবৃত্তি করতে চান, যাতে সেটা তার জনপ্রিয়তাকে আরও শক্তিশালী করে এবং হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠিগুলোর মধ্যে তার সমর্থন আরও পোক্ত হয়। এর গুরুত্ব আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে যদি সেটাকে এই সরকারের ব্যর্থতাগুলোর আলোকে দেখা হয়। তাছাড়া এর আগে জনগণের হৃদয় জয় করতে এবং জনগণের মধ্যে বিচ্ছিন্নতার ধারণা দূর করতেও তারা ব্যর্থ হয়েছে।
যদিও সরকারীভাবে বলা হচ্ছে যে, কাশ্মীরকে ভারতীয় ইউনিয়নের সাথে যুক্ত করার মাধ্যমে সেখানে নয়াদিল্লী আরও ভালোভাবে ব্যবস্থাপনা করতে পারবে এবং সেখানকার উন্নয়নের জন্য আরও তহবিল দিতে পারবে, কিন্তু এটা মূলত একটা বিভ্রান্তি এবং সেটা বোঝা যায় ভারতের সবখানে বিভিন্ন স্টাইলে হিন্দুত্ববাদীদের সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক তৎপরতা দেখে। নতুন সাংবিধানিক স্ট্যাটাসের অধীনে জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতিও এর চেয়ে আলাদা কিছু হবে না।
‘বিশেষ মর্যাদাহীন’ যুগে কি পরিবর্তন আসতে পারে, সেটা বোঝার জন্য আমাদের মোদি সরকারের বিগত পাঁচ বছরের দিকে নজর দিতে হবে। দেখতে হবে যে, এই সময়টাতে ভারতের মূল ভূখণ্ডের জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সাথে কি আচরণ করা হয়েছে।
কোনরকম অতিরঞ্জন ছাড়াই বলা যায় মোটের উপর নিরপরাধ মুসলিমদের উপর বহু নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে মুসলিম আর দলিতরা মোদির ‘হিন্দুত্ব প্রকল্পের’ টার্গেটে পরিণত হয়েছে। এর ফলশ্রুতিতে সামাজিক-রাজনৈতিক অঙ্গনে সংখ্যালঘুদের যে অবনতি হয়েছে, সেটা তাদেরকে আরও অগুরুত্বপূর্ণ করে তুলবে। কারণ. যে বিষয়গুলোর সাথে তাদের জীবন জড়িত সেখানে প্রভাব বিস্তার করার মতো কোন সামর্থ তাদের থাকবে না। এ অবস্থায় হিন্দুত্বের আধিপত্য মেনে নেয়া ছাড়া তাদের আর কোন উপায় থাকবে না।
এই আদর্শ শুধু রাজনৈতিক আধিপত্যের কথাই বলে না, বরং এর মধ্যে একটা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক স্তরভেদের বিষয়ও রয়েছে, সেখানে হিন্দুরা থাকবে সবার উপরে। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের মাধ্যমে ঠিক সেই কাজটাই করা হলো। এর মাধ্যমে এই অঞ্চলকে মূলত ভারতীয় উপনিবেশে পরিণত করা হলো। ১৯৫৪ সাল থেকে এই অঞ্চলটি যে বিশেষ মর্যাদা ভোগ করে আসছিল, সেটা মূলত এ অঞ্চলের ব্যাপক মুসলিম সংখ্যাগুরু চারিত্রকে রক্ষা করার জন্যেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে, একটি রাজনৈতিক দল কর্তৃক এটার বিলুপ্তির নিশ্চিত উদ্দেশ্য হলো উপত্যকায় বিজেপি ও তাদের বর্তমান শত্রুসুভল আচরণের অধীনে হিন্দুদের আধিপত্য নিশ্চিত করা।
৩৫এ বাতিল ও প্রয়োগের বাস্তব অর্থ হলো উপত্যকার জনগণের উপর একটা দখলদারিত্বের আইন চাপিয়ে দেয়া, যারা সর্বপ্রকারে নয়াদিল্লীর আধিপত্যবাদী পদক্ষেপের প্রতিবাদ অব্যাহত রাখবে, যে নয়াদিল্লী এখানে নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্যের চেষ্টা করছে।
No comments