শতবর্ষী আয়েশার ভাগ্যে জুটেনি ভাতার কার্ড
সহায়
সম্বলহীন শতবর্ষী বৃদ্ধ আয়েশা খাতুন। নিজস্ব জমি নেই, ভিটে নেই। নেই কোনো
আয়ের উৎস্য। নেই বিধবা বা বয়স্ক ভাতার কার্ড। আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের
সাহায্য সহযোগিতায় কোনোদিন একবেলা ভাত জোটে তো অন্যবেলা নেই। প্রতিবন্ধী
দুই ছেলে আর স্বামী পরিত্যক্তা এক মেয়েকে নিয়ে বয়সে ন্যুব্জ আয়েশা খাতুন
থাকেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের বানিপাট্টা গ্রামে
ভাইপুত্র চান মিয়ার বাড়িতে। এত কষ্টের পরেও একটি ভিজিডি বা বিধবা বা বয়স্ক
ভাতার কার্ড না পাওয়ায় তার বড় মেয়ে জাহানারা আক্ষেপ করে বলেন, “আর কত বয়স
হলে বয়স্ক ভাতার কার্ড পাবেন আমার মা”।
কষ্টে ভরা আয়েশার জীবনের গল্প। জানা যায়, ১৯৪২ সালে ১২ বছর বয়সে আয়েশার বিয়ে হয় একই উপজেলার পার্শ্ববর্তী ডিক্রিরচর গ্রামের দরিদ্র পরিবারের সন্তান খুরশিদ উদ্দিনের সঙ্গে। বিয়ের পর আয়েশার ঘরে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। মেয়ে জাহানারা ও হেনা সুস্থ থাকলেও ছেলে মমিন ও আমিন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। ১৯৬০ সালে স্বামী খুরশিদ এক দুর্ঘটনায় মারা যান। ১৯৬২ সালে দেবর সুরুজ মিয়ার পরামর্শে উন্নত জীবন গড়ার আশায় স্বামীর রেখে যাওয়া সহায় সম্বলটুকু বিক্রি করে ডিক্রিরচর গ্রাম থেকে ছেলে মেয়েদের সঙ্গে নিয়ে দেবরের সঙ্গে রংপুরে পাড়ি জমান। সেখানে গিয়ে রংপুরে জাহানারা ও হেনার বিয়ে হয়। বছর দুয়েক পর ছোট মেয়ে হেনা দুরারোগ্য রোগে মারা যায় এবং জাহানারা খাতুনকে স্বামী ছেড়ে চলে যান। জাহানারা ফিরে আসেন মায়ের কাছে। রংপুরেও আয়েশার স্বপ্ন পূরণ হয়নি। সহায় সম্বলহীন হয়ে ১৯৬৮ সালে ছেলেমেয়েদের সঙ্গে নিয়ে ফের চলে আসেন পৈতৃক ভিটা বানিপাট্টা গ্রামে। সেখানে বর্তমান আশ্রয়দাতা ভাইপুত্র চান মিয়ার ভিটায় একচালা টিনের একটি ভাঙ্গাচুড়া জীর্ণ ঘরে বাস করেন। সে ঘরেই আয়েশা বর্তমানে বড় মেয়ে জাহানারাকে নিয়ে বাস করছেন। দুই ছেলে প্রতিবন্ধী হওয়ায় বাহাদিয়া গ্রামে ফুফুর বাড়িতে থাকেন। বয়সের ভারে ন্যুব্জ আয়েশা স্পষ্ট ভাষায় কোনো কথা বলতে পারেন না।
মেয়ে জাহানারা খাতুন জানান, মাকে নিয়ে জাহানারা খুবই কষ্টে আছেন। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী দুই ভাই ফুফুর বাড়িতে থেকে খাবারের বিনিময়ে কাজ করে। তাই ফুফুর বাড়িতে তারা থাকেন। নির্দিষ্ট আয় না থাকায় আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের সাহায্য সহযোগিতায় কোনোমতে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটে তাদের। শতবর্ষী মায়েরও কোনো বয়স্ক ভাতা বা বিধবা ভাতার কার্ড নেই। জাহানারারও কোনো বিধবা ভাতার কার্ড নেই। একটি ভাতার কার্ডের জন্য মেম্বার ও চেয়ারম্যানের পিছনে অনেক ঘুরেছেন জাহানারা। দেই দিচ্ছি করে এখনো কোনো কার্ডের ব্যবস্থা করে দেননি বলে জানান। সুখিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য উজ্জ্বল মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। সুখিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ হামিদ টিটুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বৃদ্ধ আয়েশা ও মেয়ে জাহানারার কাছে বিধবা বা বয়স্ক ভাতার কার্ড করার জন্য কয়েকবার গিয়েছি। তাদের কাছে জাতীয় পরিচয়পত্র চেয়েছি। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র না দেয়ায় আমি তাদের ভাতার কার্ড করে দিতে পারছি না।
কষ্টে ভরা আয়েশার জীবনের গল্প। জানা যায়, ১৯৪২ সালে ১২ বছর বয়সে আয়েশার বিয়ে হয় একই উপজেলার পার্শ্ববর্তী ডিক্রিরচর গ্রামের দরিদ্র পরিবারের সন্তান খুরশিদ উদ্দিনের সঙ্গে। বিয়ের পর আয়েশার ঘরে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। মেয়ে জাহানারা ও হেনা সুস্থ থাকলেও ছেলে মমিন ও আমিন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। ১৯৬০ সালে স্বামী খুরশিদ এক দুর্ঘটনায় মারা যান। ১৯৬২ সালে দেবর সুরুজ মিয়ার পরামর্শে উন্নত জীবন গড়ার আশায় স্বামীর রেখে যাওয়া সহায় সম্বলটুকু বিক্রি করে ডিক্রিরচর গ্রাম থেকে ছেলে মেয়েদের সঙ্গে নিয়ে দেবরের সঙ্গে রংপুরে পাড়ি জমান। সেখানে গিয়ে রংপুরে জাহানারা ও হেনার বিয়ে হয়। বছর দুয়েক পর ছোট মেয়ে হেনা দুরারোগ্য রোগে মারা যায় এবং জাহানারা খাতুনকে স্বামী ছেড়ে চলে যান। জাহানারা ফিরে আসেন মায়ের কাছে। রংপুরেও আয়েশার স্বপ্ন পূরণ হয়নি। সহায় সম্বলহীন হয়ে ১৯৬৮ সালে ছেলেমেয়েদের সঙ্গে নিয়ে ফের চলে আসেন পৈতৃক ভিটা বানিপাট্টা গ্রামে। সেখানে বর্তমান আশ্রয়দাতা ভাইপুত্র চান মিয়ার ভিটায় একচালা টিনের একটি ভাঙ্গাচুড়া জীর্ণ ঘরে বাস করেন। সে ঘরেই আয়েশা বর্তমানে বড় মেয়ে জাহানারাকে নিয়ে বাস করছেন। দুই ছেলে প্রতিবন্ধী হওয়ায় বাহাদিয়া গ্রামে ফুফুর বাড়িতে থাকেন। বয়সের ভারে ন্যুব্জ আয়েশা স্পষ্ট ভাষায় কোনো কথা বলতে পারেন না।
মেয়ে জাহানারা খাতুন জানান, মাকে নিয়ে জাহানারা খুবই কষ্টে আছেন। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী দুই ভাই ফুফুর বাড়িতে থেকে খাবারের বিনিময়ে কাজ করে। তাই ফুফুর বাড়িতে তারা থাকেন। নির্দিষ্ট আয় না থাকায় আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের সাহায্য সহযোগিতায় কোনোমতে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটে তাদের। শতবর্ষী মায়েরও কোনো বয়স্ক ভাতা বা বিধবা ভাতার কার্ড নেই। জাহানারারও কোনো বিধবা ভাতার কার্ড নেই। একটি ভাতার কার্ডের জন্য মেম্বার ও চেয়ারম্যানের পিছনে অনেক ঘুরেছেন জাহানারা। দেই দিচ্ছি করে এখনো কোনো কার্ডের ব্যবস্থা করে দেননি বলে জানান। সুখিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য উজ্জ্বল মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। সুখিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ হামিদ টিটুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বৃদ্ধ আয়েশা ও মেয়ে জাহানারার কাছে বিধবা বা বয়স্ক ভাতার কার্ড করার জন্য কয়েকবার গিয়েছি। তাদের কাছে জাতীয় পরিচয়পত্র চেয়েছি। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র না দেয়ায় আমি তাদের ভাতার কার্ড করে দিতে পারছি না।
No comments