নরেন্দ্র মোদির পররাষ্ট্রনীতির ব্যর্থতার নেপথ্যে by শিবশঙ্কর মেনন
ভরত
কার্নাডের অস্তিত্ব না থাকলে আমাদেরকে তাকে আমন্ত্রণ জানাতে হতো। তিনি
হলেন এমন একজন যিনি অব্যাহত ও বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে কৌশলগত ইস্যু নিয়ে প্রতিটি
সরকারকে চ্যালেঞ্জ করেন, তিনিই বলে দেন যে কী বলতে হবে। ভারতীয় কৌশলগত
সম্প্রদায়ের মধ্যে তিনি চাছাছোলা কথা বলেন, কারো ধার ধারেন না, যা দেখেন,
তাই পরিষ্কারভাবে বলে দেন। সবাই তার ধরনে খুশি নয়। তবে তিনি যে ক্লাসিক্যাল
ধারণা বা পাণ্ডিত্যে বিরাট শক্তিতে পরিণত হয়েছেন, তা নিয়ে বা ভারতের প্রতি
তার প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে কারো সন্দেহ নেই।
তার সর্বশেষ গ্রন্থ ‘স্ট্যাগেরিং ফরোয়ার্ড: নরেন্দ্র মোদি অ্যান্ড ইন্ডিয়াস গ্লোবাল অ্যাম্বিশন’ তার সেই ধারারই নতুন সংযোজন। বইটিতে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতির এবং সেইসাথে খোদ মোদিরও সমালোচনা করা হয়েছে। লেখক দেখিয়েছেন, এসব ঘাটতির কারণেই ভারতের লক্ষ্য অর্জন এবং পরাশক্তি হওয়া হচ্ছে না। গত পাঁচ বছর যেসব সুযোগ ভারত হারিয়েছে, তার যে তালিকা তিনি দিয়েছেন, সেগুলো নিয়ে তর্ক করার অবকাশ আছে খুবই কম।
আমি এখানে বইটির সংক্ষিপ্তসার দিতে বসিনি। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে তার সাথে একমত, আর কোন কোন ক্ষেত্রে মেলে না, তাই আলোচনা করব এখানে।
মোদি সরকারের কর্মসম্পাদন দক্ষতা
গত কয়েক বছরে মোদি সরকারের অবস্থান বিচার করার সময় তিনি মোদির মানসিক অবস্থাও সামনে এনেছেন।
তিনি খোলামেলাভাবেই ২০১৩-১৪ সময়কালে তিনি কতটা মোদির সমর্থক ছিলেন এবং মোদির গলাবাজি কতটুকু কাজে পরিণত করতে পারবেন, তা নিয়ে তার প্রত্যাশার কথাও প্রকাশ করেছেন।
কার্নাডের বইটি পড়ে আমাকে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগে ফেলেছে এই বিষয়টি যে মোদি যদি পরবর্তী পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় ফিরে আসেন, তবে তখনও দেশকে একই ধরনের পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে। গত চার বছরে তিনি যেভাবে কাজ করেছেন, তাতে করে আগামীতে তিনি ক্ষমতায় ফিরলে দেশ আরো অচল হয়ে পড়বে, একটি শক্তিশালী, সমৃদ্ধ ও আধুনিক দেশ হিসেবে গড়ে ওঠা বাধাগ্রস্ত হবে।
গত চার বছরে অভ্যন্তরীণ বিভক্তি আমাদের নিরাপত্তা এবং প্রতিবেশী দেশগুলোতে সফল পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনা করায় আমাদের সামর্থ্য উভয়টিকেই প্রভাবিত করেছে। কার্নাড দেখিয়েছেন, মোদি সরকারের কারণে দক্ষিণ এশিয়া ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের কৌশলগত অবস্থান সঙ্কুচিত হয়ে পড়ছে।
তিনি বলেন, মোদি সরকার যা পারছে তা হলো শক্তিশালী দেশের কাছে নতি স্বীকার এবং দুর্বলদের ওপর পীড়ন চালানো। তিনি দেখিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রতি মোদি তুলনামূলকভাবে নতজানু। এর ফলে রাশিয়া ও ইরানের মতো পুরনো বন্ধুদের অবহেলা করা হয়েছে।
তাছাড়া প্রতিবেশীদের সাথে কাজ করার ব্যাপারেও মোদি সরকার অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। তিনি বলেন, নেপাল, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, মিয়ানমার, বাংলাদেশ, ভুটান বা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া- সবখানে আমাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে, আমাদের বন্ধুর সংখ্যা কমে গেছে।
বর্তমান পরিস্থিতি
কার্নাড দেখিয়েছেন, দ্রুত বদলে যেতে থাকা বিশ্বে ভারতের কোনো প্রয়োজনের আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণের দর্শন দেখা যায়নি। এর ফলে নানা সমস্যায় পড়েছে ভারত। সব জায়গায় একই পদ্ধতি অনুসরণ করায় লেজে গোবরে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
কার্নাডের পরামর্শ
তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তাতে করে আমরা আর যুক্তরাষ্ট্র বা চীন- কোনো এক শক্তির ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে পারি না। এখন প্রয়োজন সত্যিকারের কৌশলগত স্বায়ত্ত্বশাসন নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া। মনে রাখতে হবে, কোনো প্রতিষ্ঠিত শক্তিই সম্ভাব্য প্রতিযোগীর উত্থানকে গ্রহণ করে না। এই প্রেক্ষাপটে অন্য শক্তিগুলোর কাছ থেকে আমাদের প্রত্যাশা সীমিত থাকা উচিত।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট আমলে যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগতভাবে পিছুটান দিয়েছে, তারা নিরাপত্তার যোগান দিয়ে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে চাইছে না। অন্যদিকে চীন শূন্যতা পূরণ করার দিকে ছুটছে।
তবে কার্নাড এ প্রসঙ্গে স্যামুয়েল হান্টিংটনের তত্ত্ব নিয়ে আসার সাথে আমি একমত পোষণ করতে পারছি না। তবে পাকিস্তান যে বিভ্রান্তিকর কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করেছে, সে ব্যাপারে আমি একমত।
কার্নাড দোকলাম সঙ্কটের দিকেও আলোকপাত করেছেন। তার মতে, এখানে ভারত পুরনো আমলের নীতি গ্রহণ করেছে। ফলে ফলাফল হয়েছে অনেক বেশি মিশ্র।
তার আরেকটি মন্তব্য গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেছেন, ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান প্রথমেই পরমাণু হামলা চালাতে পারবে বলে যে ধারণাটি রয়েছে, তা অর্থহীন ও ফাঁকা। এরপর তিনি বলেন, ভারতেরও উচিত চীনের বিরুদ্ধে প্রথমেই পরমাণু হামলা চালানোর হুমকি দেয়া। তার এই মন্তব্যের সাথে একমত হওয়া যায় না।
কার্নাড কিন্তু চীনের ব্যাপারে আচ্ছন্ন রয়েছেন। তিনি মনে করেছেন, চীনকে কেন্দ্র করেই ভারতের কৌশলগত অবস্থান পরিবর্তিত হচ্ছে। তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, ব্রিকস থেকে চীনকে বাদ দিয়ে এবং ‘কোয়াডে’ আসিয়ান দেশগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে চীনের বিরুদ্ধে অবস্থান উন্নত করতে পারে ভারত। তবে এ ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবে কার্যকর করা কতটা সম্ভব, তা নিয়ে সংশয় রয়েই গেছে।
তবে কার্নাড একেবারেই সত্য কথা বলেছেন যে ভারতকে আগে উপমহাদেশ ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ব্যাপারে নীতি প্রণয়ন করতে হবে।
জওহেরলাল নেহরুর পর থেকে আমাদের সব নীতিই ভুল ছিল বলে তিনি যে ঢালাও মন্তব্য করেছেন, তার সাথে একমত হওয়া সম্ভব নয়। তবে সম্প্রতিক অতীতে বিশ্বে আমাদের কৌশলগত অবস্থানের অবনতি হয়েছে বলে যে মন্তব্য করেছেন, তা একেবারেই যথাযথ হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, এর কারণ হলো, আমাদের চারপাশের পরিস্থিতি দ্রুত বদলাচ্ছে, কিন্তু এসব পরিবর্তনে ভারত যথাযথভাবে সাড়া দিতে পারছে না।
তিনি বলেন, এসব পরিবর্তনের ফলে আসলে ভারতের জন্য সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।কিন্তু সুযোগ আমরা নিতে পারছি না। এটিই আমাদের ব্যর্থতা।
আমরা কী করতে পারি এবং পরবর্তী সরকারের কী করা উচিত, তা নিয়ে যারা ভাবেন, তাদের জন্য বইটি অত্যন্ত দরকারি হতে পারে।
লেখক: ভারতীয় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন ২০১৪ সাল পর্যন্ত।
তার সর্বশেষ গ্রন্থ ‘স্ট্যাগেরিং ফরোয়ার্ড: নরেন্দ্র মোদি অ্যান্ড ইন্ডিয়াস গ্লোবাল অ্যাম্বিশন’ তার সেই ধারারই নতুন সংযোজন। বইটিতে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতির এবং সেইসাথে খোদ মোদিরও সমালোচনা করা হয়েছে। লেখক দেখিয়েছেন, এসব ঘাটতির কারণেই ভারতের লক্ষ্য অর্জন এবং পরাশক্তি হওয়া হচ্ছে না। গত পাঁচ বছর যেসব সুযোগ ভারত হারিয়েছে, তার যে তালিকা তিনি দিয়েছেন, সেগুলো নিয়ে তর্ক করার অবকাশ আছে খুবই কম।
আমি এখানে বইটির সংক্ষিপ্তসার দিতে বসিনি। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে তার সাথে একমত, আর কোন কোন ক্ষেত্রে মেলে না, তাই আলোচনা করব এখানে।
মোদি সরকারের কর্মসম্পাদন দক্ষতা
গত কয়েক বছরে মোদি সরকারের অবস্থান বিচার করার সময় তিনি মোদির মানসিক অবস্থাও সামনে এনেছেন।
তিনি খোলামেলাভাবেই ২০১৩-১৪ সময়কালে তিনি কতটা মোদির সমর্থক ছিলেন এবং মোদির গলাবাজি কতটুকু কাজে পরিণত করতে পারবেন, তা নিয়ে তার প্রত্যাশার কথাও প্রকাশ করেছেন।
কার্নাডের বইটি পড়ে আমাকে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগে ফেলেছে এই বিষয়টি যে মোদি যদি পরবর্তী পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় ফিরে আসেন, তবে তখনও দেশকে একই ধরনের পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে। গত চার বছরে তিনি যেভাবে কাজ করেছেন, তাতে করে আগামীতে তিনি ক্ষমতায় ফিরলে দেশ আরো অচল হয়ে পড়বে, একটি শক্তিশালী, সমৃদ্ধ ও আধুনিক দেশ হিসেবে গড়ে ওঠা বাধাগ্রস্ত হবে।
গত চার বছরে অভ্যন্তরীণ বিভক্তি আমাদের নিরাপত্তা এবং প্রতিবেশী দেশগুলোতে সফল পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনা করায় আমাদের সামর্থ্য উভয়টিকেই প্রভাবিত করেছে। কার্নাড দেখিয়েছেন, মোদি সরকারের কারণে দক্ষিণ এশিয়া ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের কৌশলগত অবস্থান সঙ্কুচিত হয়ে পড়ছে।
তিনি বলেন, মোদি সরকার যা পারছে তা হলো শক্তিশালী দেশের কাছে নতি স্বীকার এবং দুর্বলদের ওপর পীড়ন চালানো। তিনি দেখিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রতি মোদি তুলনামূলকভাবে নতজানু। এর ফলে রাশিয়া ও ইরানের মতো পুরনো বন্ধুদের অবহেলা করা হয়েছে।
তাছাড়া প্রতিবেশীদের সাথে কাজ করার ব্যাপারেও মোদি সরকার অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। তিনি বলেন, নেপাল, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, মিয়ানমার, বাংলাদেশ, ভুটান বা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া- সবখানে আমাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে, আমাদের বন্ধুর সংখ্যা কমে গেছে।
বর্তমান পরিস্থিতি
কার্নাড দেখিয়েছেন, দ্রুত বদলে যেতে থাকা বিশ্বে ভারতের কোনো প্রয়োজনের আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণের দর্শন দেখা যায়নি। এর ফলে নানা সমস্যায় পড়েছে ভারত। সব জায়গায় একই পদ্ধতি অনুসরণ করায় লেজে গোবরে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
কার্নাডের পরামর্শ
তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তাতে করে আমরা আর যুক্তরাষ্ট্র বা চীন- কোনো এক শক্তির ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে পারি না। এখন প্রয়োজন সত্যিকারের কৌশলগত স্বায়ত্ত্বশাসন নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া। মনে রাখতে হবে, কোনো প্রতিষ্ঠিত শক্তিই সম্ভাব্য প্রতিযোগীর উত্থানকে গ্রহণ করে না। এই প্রেক্ষাপটে অন্য শক্তিগুলোর কাছ থেকে আমাদের প্রত্যাশা সীমিত থাকা উচিত।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট আমলে যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগতভাবে পিছুটান দিয়েছে, তারা নিরাপত্তার যোগান দিয়ে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে চাইছে না। অন্যদিকে চীন শূন্যতা পূরণ করার দিকে ছুটছে।
তবে কার্নাড এ প্রসঙ্গে স্যামুয়েল হান্টিংটনের তত্ত্ব নিয়ে আসার সাথে আমি একমত পোষণ করতে পারছি না। তবে পাকিস্তান যে বিভ্রান্তিকর কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করেছে, সে ব্যাপারে আমি একমত।
কার্নাড দোকলাম সঙ্কটের দিকেও আলোকপাত করেছেন। তার মতে, এখানে ভারত পুরনো আমলের নীতি গ্রহণ করেছে। ফলে ফলাফল হয়েছে অনেক বেশি মিশ্র।
তার আরেকটি মন্তব্য গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেছেন, ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান প্রথমেই পরমাণু হামলা চালাতে পারবে বলে যে ধারণাটি রয়েছে, তা অর্থহীন ও ফাঁকা। এরপর তিনি বলেন, ভারতেরও উচিত চীনের বিরুদ্ধে প্রথমেই পরমাণু হামলা চালানোর হুমকি দেয়া। তার এই মন্তব্যের সাথে একমত হওয়া যায় না।
কার্নাড কিন্তু চীনের ব্যাপারে আচ্ছন্ন রয়েছেন। তিনি মনে করেছেন, চীনকে কেন্দ্র করেই ভারতের কৌশলগত অবস্থান পরিবর্তিত হচ্ছে। তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, ব্রিকস থেকে চীনকে বাদ দিয়ে এবং ‘কোয়াডে’ আসিয়ান দেশগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে চীনের বিরুদ্ধে অবস্থান উন্নত করতে পারে ভারত। তবে এ ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবে কার্যকর করা কতটা সম্ভব, তা নিয়ে সংশয় রয়েই গেছে।
তবে কার্নাড একেবারেই সত্য কথা বলেছেন যে ভারতকে আগে উপমহাদেশ ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ব্যাপারে নীতি প্রণয়ন করতে হবে।
জওহেরলাল নেহরুর পর থেকে আমাদের সব নীতিই ভুল ছিল বলে তিনি যে ঢালাও মন্তব্য করেছেন, তার সাথে একমত হওয়া সম্ভব নয়। তবে সম্প্রতিক অতীতে বিশ্বে আমাদের কৌশলগত অবস্থানের অবনতি হয়েছে বলে যে মন্তব্য করেছেন, তা একেবারেই যথাযথ হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, এর কারণ হলো, আমাদের চারপাশের পরিস্থিতি দ্রুত বদলাচ্ছে, কিন্তু এসব পরিবর্তনে ভারত যথাযথভাবে সাড়া দিতে পারছে না।
তিনি বলেন, এসব পরিবর্তনের ফলে আসলে ভারতের জন্য সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।কিন্তু সুযোগ আমরা নিতে পারছি না। এটিই আমাদের ব্যর্থতা।
আমরা কী করতে পারি এবং পরবর্তী সরকারের কী করা উচিত, তা নিয়ে যারা ভাবেন, তাদের জন্য বইটি অত্যন্ত দরকারি হতে পারে।
লেখক: ভারতীয় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন ২০১৪ সাল পর্যন্ত।
No comments