পদত্যাগ করলেন কনজারভেটিভ হুইপ ও মন্ত্রী অ্যাম্বার রাড
শনিবার
রাতে মন্ত্রিপরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বৃটিশ কর্ম ও পেনশন বিষয়ক মন্ত্রী
অ্যাম্বার রাড। একই সঙ্গে তিনি ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের হুইপ পদও ত্যাগ
করেছেন। অ্যাম্বার রাড বলেছেন- অনুগত, উদারমনা এমপিদের দল থেকে বহিষ্কার
করা হয়েছে। তিনি এর সঙ্গে একমত হতে পারেন না। তার এ সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সরকারের সামনে যেন এক ভয়ঙ্কর বিপদের বিস্ফোরণ
হয়েছে।
অ্যাম্বার রাড প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সমালোচনা করে কড়া এক পদত্যাগপত্র লিখেছেন। এর আগে চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের বিপক্ষে পার্লামেন্টে একটি বিল সমর্থন করায় কনজারভেটিভ পার্টির ২১ জন এমপিকে বরখাস্ত করেছেন জনসন। তার এ পদক্ষেপকে শিষ্টাচার ও গণতন্ত্রের প্রতি আঘাত, রাজনৈতিক ধ্বংসসাধন বলে অভিযুক্ত করেছেন অ্যাম্বার রাড। তিনি জনসনকে বলেছেন, চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট আলোচনায় উঠবে- এমন একটি বিশ্বাস নিয়ে তিনি তার মন্ত্রিপরিষদে যোগ দিয়েছিলেন। তার ভাষায়, আমি আর বিশ্বাস করতে পারছি না যে, চুক্তি করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করা সরকারের মূল উদ্দেশ্য।
অ্যাম্বার রাড দেখতে পেয়েছেন চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট সম্পাদনে সরকার প্রচুর পরিমাণে শক্তি খরচে প্রস্তুত। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনায় সমপরিমাণ তীব্রতা দেখাচ্ছে না সরকার। অ্যাম্বার রাড বলেছেন, আমি যে নিশ্চয়তা চেয়েছিলাম দুঃখজনক হলো প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে সে বিষয়ে আপডেট দেয়া হচ্ছে না।
বিদ্রোহী এমপিদের ভেতর থেকে হুইপ প্রত্যাহারে প্রধানমন্ত্রী জনসন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সে বিষয়ে অ্যাম্বার রাড বলেছেন, আমার সহকর্মীদের দল থেকে বহিষ্কারের এই অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত দলের বিস্তৃত মানসিকতা ও কনজারভেটিভ এমপিদের প্রতি যে উদারতা তার প্রতি আঘাত। রাজনৈতিক এই ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডকে আমি সমর্থন করতে পারি না।
গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন বরিস জনসনের নিজের ভাই জো জনসন। তারপরই এমন সিদ্ধান্ত নিলেন অ্যাম্বার রাড। এতে মন্ত্রিপরিষদে আরো যারা চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের বিরোধিতা করছেন তাদের ওপর তীব্র এক চাপ সৃষ্টি হবে। এমন মন্ত্রীর মধ্যে রয়েছেন নিকি মরগান।
লেবার দলের চেয়ারম্যান ইয়ান ল্যাভেরি বলেছেন, রেকর্ড সময় কর্তৃত্বের বাইরে চলে গেছেন প্রধানমন্ত্রী। ব্রেক্সিট নিয়ে তিনি যে পরিকল্পনা নিয়েছেন তা এক লজ্জায় পরিণত হয়েছে। বরিস জনসনের ওপর কারো আস্থা নেই। তার মন্ত্রিপরিষদের আস্থা নেই। তার এমপিদের আস্থা নেই। এমন কি তার নিজের ভাইয়েরই আস্থা নেই।
অ্যাম্বার রাডের পদত্যাগ করা নিয়ে টুইট করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গেই বৃটেনকে রাখার পক্ষে থাকা সাবেক আইনমন্ত্রী ও লর্ড চ্যান্সেলর ডেভিড গাউকে। তিনি অ্যাম্বার রাডের সিদ্ধান্ত নিয়ে টুইটে বলেছেন, আমি নিশ্চিত এমন সিদ্ধান্ত নেয়াটা অতো সহজ নয়। এটি একটি সাহসী ও নীতির বিষয়। এর মধ্য দিয়ে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
বহিষ্কার হওয়া সাবেক এমপিদের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলেছেন, ডমিনিক কামিনংস ডাউনিং স্ট্রিটের মেশিন থেকে চাকা খুলে আসছে। লজ্জাজনক সমঝোতা প্রকাশ পেয়েছে। তার (জনসন) কোনো বিকল্প পরিকল্পনা নেই। তিনি একক হাতে কনজারভেটিভ পার্টিকে একটি কট্টর ডানপন্থি দলে পরিণত করার চেষ্টা করছেন। এক্ষেত্রে উদার ব্যক্তিদের স্বাগত জানানো হচ্ছে না। নতুন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ঝঞ্ঝাময় একটি সপ্তাহ অতিক্রম করেছেন। তার মধ্যেই অ্যাম্বার রাডের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত হলো। ওই এক সপ্তাহে চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট বন্ধের পক্ষে আন্তঃদলীয় এমপিদের একটি গ্রুপ পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন এবং তারা চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট ঠেকানোর জন্য একটি বিল পাস করাতে সক্ষম হয়েছেন। এক্ষেত্রে বরিস জনসন বলেছেন তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে বৃটেনকে বের করে আনতে সর্বশেষ ৩১শে অক্টোবরের সময়সীমা বর্ধিত করবেন না।
শনিবার প্রধানমন্ত্রীকে সতর্ক করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, তিনি এমনটা করলে একটি আইনগত ও সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হবে। এর ফলে আন্তঃদলীয় এমপিদের ওই গ্রুপটির আনা প্রস্তাব অনুসরণে তিনি ব্যর্থ হলে তাকে পদত্যাগও করতে বাধ্য হতে হবে।
শীর্ষ স্থানীয় কিউসি’দের কাছ থেকে ফাঁস হওয়া আইনি পরামর্শ পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে ব্রেক্সিট বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমারের কাছে। তাতে বলা হয়েছে, ৩১শে অক্টোবরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী যদি চুক্তি ছাড়াই ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে বৃটেনকে বের করে আনার ক্ষেত্রে অটল থাকেন, তিনি যদি ওই সব এমপি’র প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এবং ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে থেকেই যান তাহলে তাকে আদালত অবমাননাকারী হিসেবে ঘোষণা করা হতে পারে। এ সংক্রান্ত নতুন আইনে এ সপ্তাহের শুরুর দিকে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ তার সম্মতি দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ম্যাট্রিক্স চেম্বারস-এর আইনজীবীদের দেয়া আইনি পরামর্শে বলা হয়েছে, যদি প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশ মানতে অস্বীকৃতি জানান তাহলে আমরা এক অসম্পূর্ণ রাজনৈতিক অবস্থার মধ্যে থাকবো। তখন আইনি অবস্থান হবে পরিষ্কার। তাহলো, প্রধানমন্ত্রী আদালত অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত হতে পারেন। তার বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।
শনিবার পার্লামেন্টের কাছে ব্রেক্সিটপন্থি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ব্রেক্সিট বিরোধীদের বিক্ষোভের সময় সহিংস সংঘর্ষ হয়েছে। এদিন ডাউনিং স্ট্রিট থেকে বলা হয়েছে, জনসন তার অবস্থানে অটল আছেন।
জনসন ও তার উপদেষ্টারা এই সপ্তাহান্তে আরো আইনগত সম্ভাব্যতা উদ্ভাবনের চেষ্টা করবেন। এর মধ্যে রয়েছে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশে ‘পারমাণবিক বিস্ফোরণের’ মতো অপশন এবং তখন কনজারভেটিভ এমপিদের নির্দেশ দেয়া হতে পারে এতে ভোট দেয়ার জন্য, যাতে একটি নির্বাচনের নির্দেশ আসে। এমন কোনো প্রস্তাব পাস হতে হলে এমপিদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন হবে। কিন্তু এমন প্রস্তাব স্পিকার জন বারকাউ অনুমোদন করবেন বলে মনে হয় না।
পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানিয়ে টুইটারে অ্যাম্বার রাড বলেছেন, আমি মন্ত্রীপরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছি এবং কনজারভেটিভ পার্টির হুইপ পদ সমর্পণ করেছি। চমৎকার, অনুগত ও উদার কনজারভেটিভদের বহিষ্কার করা হবে এমন অবস্থানের পক্ষে আমি থাকতে পারি না। আমার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এবং আমার এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যানের কাছে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছি। এক জাতির মূল্যবোধ আমাকে রাজনীতিতে নিয়ে এসেছে। আমি সেই নীতিতে অবিচল থাকবো।
নমনীয় ব্রেক্সিট পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ার পর গত এপ্রিলে দল থেকে পদত্যাগ করেন নিক বোলস। তিনি টুইটারে বলেছেন, প্রতিটি মানুষের একটি সীমা আছে, যা তিনি অতিক্রম করতে পারেন না। অ্যাম্বার রাড তার সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছেন। দ্বিতীয় একটি পরিকল্পনার আগে অথবা তার মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা তাকে থামিয়ে দেয়ার আগে, যে দলের হাল ধরে আছেন জনসন, তার আর কতটা ক্ষতি করবেন তিনি? কোন অবস্থানে গেলে ম্যাট হ্যানকক এবং নিকি মরগান আকস্মিকভাবে দেখতে পাবেন যে, তাদের মেরুদণ্ড নেই। স্টারমার টুইটে বলেছেন, জনসন সরকার ভেঙে পড়েছে।
অ্যাম্বার রাড প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সমালোচনা করে কড়া এক পদত্যাগপত্র লিখেছেন। এর আগে চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের বিপক্ষে পার্লামেন্টে একটি বিল সমর্থন করায় কনজারভেটিভ পার্টির ২১ জন এমপিকে বরখাস্ত করেছেন জনসন। তার এ পদক্ষেপকে শিষ্টাচার ও গণতন্ত্রের প্রতি আঘাত, রাজনৈতিক ধ্বংসসাধন বলে অভিযুক্ত করেছেন অ্যাম্বার রাড। তিনি জনসনকে বলেছেন, চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট আলোচনায় উঠবে- এমন একটি বিশ্বাস নিয়ে তিনি তার মন্ত্রিপরিষদে যোগ দিয়েছিলেন। তার ভাষায়, আমি আর বিশ্বাস করতে পারছি না যে, চুক্তি করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করা সরকারের মূল উদ্দেশ্য।
অ্যাম্বার রাড দেখতে পেয়েছেন চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট সম্পাদনে সরকার প্রচুর পরিমাণে শক্তি খরচে প্রস্তুত। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনায় সমপরিমাণ তীব্রতা দেখাচ্ছে না সরকার। অ্যাম্বার রাড বলেছেন, আমি যে নিশ্চয়তা চেয়েছিলাম দুঃখজনক হলো প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে সে বিষয়ে আপডেট দেয়া হচ্ছে না।
বিদ্রোহী এমপিদের ভেতর থেকে হুইপ প্রত্যাহারে প্রধানমন্ত্রী জনসন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সে বিষয়ে অ্যাম্বার রাড বলেছেন, আমার সহকর্মীদের দল থেকে বহিষ্কারের এই অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত দলের বিস্তৃত মানসিকতা ও কনজারভেটিভ এমপিদের প্রতি যে উদারতা তার প্রতি আঘাত। রাজনৈতিক এই ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডকে আমি সমর্থন করতে পারি না।
গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন বরিস জনসনের নিজের ভাই জো জনসন। তারপরই এমন সিদ্ধান্ত নিলেন অ্যাম্বার রাড। এতে মন্ত্রিপরিষদে আরো যারা চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের বিরোধিতা করছেন তাদের ওপর তীব্র এক চাপ সৃষ্টি হবে। এমন মন্ত্রীর মধ্যে রয়েছেন নিকি মরগান।
লেবার দলের চেয়ারম্যান ইয়ান ল্যাভেরি বলেছেন, রেকর্ড সময় কর্তৃত্বের বাইরে চলে গেছেন প্রধানমন্ত্রী। ব্রেক্সিট নিয়ে তিনি যে পরিকল্পনা নিয়েছেন তা এক লজ্জায় পরিণত হয়েছে। বরিস জনসনের ওপর কারো আস্থা নেই। তার মন্ত্রিপরিষদের আস্থা নেই। তার এমপিদের আস্থা নেই। এমন কি তার নিজের ভাইয়েরই আস্থা নেই।
অ্যাম্বার রাডের পদত্যাগ করা নিয়ে টুইট করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গেই বৃটেনকে রাখার পক্ষে থাকা সাবেক আইনমন্ত্রী ও লর্ড চ্যান্সেলর ডেভিড গাউকে। তিনি অ্যাম্বার রাডের সিদ্ধান্ত নিয়ে টুইটে বলেছেন, আমি নিশ্চিত এমন সিদ্ধান্ত নেয়াটা অতো সহজ নয়। এটি একটি সাহসী ও নীতির বিষয়। এর মধ্য দিয়ে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
বহিষ্কার হওয়া সাবেক এমপিদের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলেছেন, ডমিনিক কামিনংস ডাউনিং স্ট্রিটের মেশিন থেকে চাকা খুলে আসছে। লজ্জাজনক সমঝোতা প্রকাশ পেয়েছে। তার (জনসন) কোনো বিকল্প পরিকল্পনা নেই। তিনি একক হাতে কনজারভেটিভ পার্টিকে একটি কট্টর ডানপন্থি দলে পরিণত করার চেষ্টা করছেন। এক্ষেত্রে উদার ব্যক্তিদের স্বাগত জানানো হচ্ছে না। নতুন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ঝঞ্ঝাময় একটি সপ্তাহ অতিক্রম করেছেন। তার মধ্যেই অ্যাম্বার রাডের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত হলো। ওই এক সপ্তাহে চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট বন্ধের পক্ষে আন্তঃদলীয় এমপিদের একটি গ্রুপ পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন এবং তারা চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট ঠেকানোর জন্য একটি বিল পাস করাতে সক্ষম হয়েছেন। এক্ষেত্রে বরিস জনসন বলেছেন তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে বৃটেনকে বের করে আনতে সর্বশেষ ৩১শে অক্টোবরের সময়সীমা বর্ধিত করবেন না।
শনিবার প্রধানমন্ত্রীকে সতর্ক করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, তিনি এমনটা করলে একটি আইনগত ও সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হবে। এর ফলে আন্তঃদলীয় এমপিদের ওই গ্রুপটির আনা প্রস্তাব অনুসরণে তিনি ব্যর্থ হলে তাকে পদত্যাগও করতে বাধ্য হতে হবে।
শীর্ষ স্থানীয় কিউসি’দের কাছ থেকে ফাঁস হওয়া আইনি পরামর্শ পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে ব্রেক্সিট বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমারের কাছে। তাতে বলা হয়েছে, ৩১শে অক্টোবরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী যদি চুক্তি ছাড়াই ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে বৃটেনকে বের করে আনার ক্ষেত্রে অটল থাকেন, তিনি যদি ওই সব এমপি’র প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এবং ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে থেকেই যান তাহলে তাকে আদালত অবমাননাকারী হিসেবে ঘোষণা করা হতে পারে। এ সংক্রান্ত নতুন আইনে এ সপ্তাহের শুরুর দিকে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ তার সম্মতি দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ম্যাট্রিক্স চেম্বারস-এর আইনজীবীদের দেয়া আইনি পরামর্শে বলা হয়েছে, যদি প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশ মানতে অস্বীকৃতি জানান তাহলে আমরা এক অসম্পূর্ণ রাজনৈতিক অবস্থার মধ্যে থাকবো। তখন আইনি অবস্থান হবে পরিষ্কার। তাহলো, প্রধানমন্ত্রী আদালত অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত হতে পারেন। তার বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।
শনিবার পার্লামেন্টের কাছে ব্রেক্সিটপন্থি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ব্রেক্সিট বিরোধীদের বিক্ষোভের সময় সহিংস সংঘর্ষ হয়েছে। এদিন ডাউনিং স্ট্রিট থেকে বলা হয়েছে, জনসন তার অবস্থানে অটল আছেন।
জনসন ও তার উপদেষ্টারা এই সপ্তাহান্তে আরো আইনগত সম্ভাব্যতা উদ্ভাবনের চেষ্টা করবেন। এর মধ্যে রয়েছে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশে ‘পারমাণবিক বিস্ফোরণের’ মতো অপশন এবং তখন কনজারভেটিভ এমপিদের নির্দেশ দেয়া হতে পারে এতে ভোট দেয়ার জন্য, যাতে একটি নির্বাচনের নির্দেশ আসে। এমন কোনো প্রস্তাব পাস হতে হলে এমপিদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন হবে। কিন্তু এমন প্রস্তাব স্পিকার জন বারকাউ অনুমোদন করবেন বলে মনে হয় না।
পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানিয়ে টুইটারে অ্যাম্বার রাড বলেছেন, আমি মন্ত্রীপরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছি এবং কনজারভেটিভ পার্টির হুইপ পদ সমর্পণ করেছি। চমৎকার, অনুগত ও উদার কনজারভেটিভদের বহিষ্কার করা হবে এমন অবস্থানের পক্ষে আমি থাকতে পারি না। আমার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এবং আমার এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যানের কাছে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছি। এক জাতির মূল্যবোধ আমাকে রাজনীতিতে নিয়ে এসেছে। আমি সেই নীতিতে অবিচল থাকবো।
নমনীয় ব্রেক্সিট পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ার পর গত এপ্রিলে দল থেকে পদত্যাগ করেন নিক বোলস। তিনি টুইটারে বলেছেন, প্রতিটি মানুষের একটি সীমা আছে, যা তিনি অতিক্রম করতে পারেন না। অ্যাম্বার রাড তার সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছেন। দ্বিতীয় একটি পরিকল্পনার আগে অথবা তার মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা তাকে থামিয়ে দেয়ার আগে, যে দলের হাল ধরে আছেন জনসন, তার আর কতটা ক্ষতি করবেন তিনি? কোন অবস্থানে গেলে ম্যাট হ্যানকক এবং নিকি মরগান আকস্মিকভাবে দেখতে পাবেন যে, তাদের মেরুদণ্ড নেই। স্টারমার টুইটে বলেছেন, জনসন সরকার ভেঙে পড়েছে।
No comments