যানজটের দুর্ভোগে পড়েছে ‘সবুজ ও সুখী’ ভুটান by নিদুপ গায়েলশেন
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উপরে গ্রোস ন্যাশনাল হ্যাপিনেসকে স্থান দেয়ার কারণে বিখ্যাত ভুটান টেকসই উন্নয়নের একটা আদর্শ উদাহরণ।
কিন্তু কার্বন নেগেটিভ দেশ হিসেবে ভুটানের যে অবস্থান রয়েছে, গাড়ি বিক্রি বাড়তে থাকায় সেটা হুমকির মুখে পড়েছে। সেই সাথে রাস্তায় গাড়ির জ্যাম বাড়তে থাকায় ভুটানের নাগরিকদের মানসিকতাও একটা পরীক্ষার মধ্যে পড়ে গেছে।
গত দুই দশকে ভুটানে প্রাইভেট কার, বাস ও ট্রাকের সংখ্যা পাঁচগুণের বেশি বেড়েছে। পরিবহন কর্তৃপক্ষের ডিরেক্টর জেনারেল পেমবা ওয়াংচুক এ তথ্য জানিয়ে আরও বলেন, যানবাহনের এই বৃদ্ধির কারণে সবচেয়ে বড় সমস্যায় পড়েছে রাজধানী থিম্পু।
মিডিয়া কনসালটেন্ট ফুন্তশো ওয়াংদি বলেছেন, এই যানজট ও পার্কিংয়ের সমস্যার কারণে ক্ষুদে এই হিমালয় রাজ্যে গাড়ি চালানোটা যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে যেখানে কোন ট্রাফিক সিগন্যাল নেই।
তিনি আরও বলেন, “আরও কম গাড়ি হলে ভালো হতো, আগে এ রকম ছিল না”। দেশের অর্ধের গাড়িই চলাচল করছে এই রাজধানীতে।
বিশ্ব ব্যাংকের মতে, গত দশকে দেশের অর্থনীতি প্রতি বছর ৭.৫ শতাংশ হারে বেড়েছে। কর্মকর্তারা দেখেছেন, প্রতি সাতজন ভুটানিজের জন্য এখন একটি করে গাড়ি রয়েছে, যেখানে পুরো দেশের জনসংখ্যা হলো সাড়ে সাত লাখ।
কিন্তু দেশের সংকীর্ণ গ্রামিণ সড়ক এবং শহরের মেয়াদোত্তীর্ণ রাস্তাঘাটগুলো আর কুলিয়ে উঠতে পারছে না। অবকাঠামোর অভাবের পাশাপাশি দুর্বল ড্রাইভিং নিয়ম নীতির কারণে সমস্যা বহুগুণে বেড়ে গেছে। অনেকে এমনকি সড়কের প্রায় মাঝখানে গাড়ি পার্ক করে রাখেন।
ট্যাক্সি ড্রাইভার লেন্দুপ এএফপিকে বলেন, “প্রতি বছর গাড়ির সংখ্যা আর মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, কিন্তু রাস্তাঘাট আগের অবস্থাতেই রয়ে গেছে। এখন এটা একটা সমস্যা হয়ে গেছে”।
সকালের ব্যস্ত সময়ে যে দূরত্ব এক সময় পাঁচ মিনিটে যাওয়া যেতো, এখন সেখানে আধা ঘন্টার বেশি সময় লাগে।
ভুটান আর সুরিনামের ব্যাপক বনাঞ্চল রয়েছে এবং পৃথিবীর এই দুটি দেশই কেবল নিজেদের কার্বন নেগেটিভ দাবি করতে পারে। যতটুকু কার্বন তারা তৈরি করছে, তার থেকে বেশি শুষে নিচ্ছে।
গরুর মিথেন, শস্য পোড়ানো এবং অন্যান্য খামারভিত্তিক কর্মকাণ্ড ছিল মূলত ভুটানের গ্রিনহাউজ গ্যাসের প্রধান উৎস। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শিল্প ও গাড়ির বিকাশের কারণে সেই চিত্র বদলে গেছে।
ভুটানের সংবিধানে বলা হয়েছে যে, দেশের অন্তত ৬০ শতাংশ বনাঞ্চল থাকতে হবে। বর্তমানে এই বনাঞ্চল রয়েছে ৭০ শতাংশের উপরে।
কিন্তু ভুটান বর্তমানে ভারতের কাছে যতটুকু জলবিদ্যুৎ রফতানি করে, তার চেয়ে বেশি ফসিল জ্বালানি তারা আমদানি করছে।
সরকারী পরিবহন ব্যবস্থা এখনও দুর্বল, বিশেষ করে থিম্পুতে। প্রায় এক লাখ মানুষ বাস করছে থিম্পুতে কিন্তু সেখানে বাস রয়েছে মাত্র ৪০টি।
রাজধানীর মেয়র কিনলে দর্জি পরিকল্পনা নিয়েছেন নগরীতে শুধুমাত্র বাসের জন্য লেন চালু করা হবে এবং আরও বাস কিনবেন তিনি।
তিনি বলেন, “বড় ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় এসেছে এখন”।
তিনি আরও বলেন, “সরকারী পরিবহনকে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে আমাদের এবং গাড়ি কেনাকে নিরুৎসাহিত করতে হবে”। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন যে, থিম্পুতে যদি এই সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নেয়া না হয়, তাহলে অচল শহরে পরিণত হবে এটা।
এই জট সহজ করতে শহর কর্তৃপক্ষ প্রথমবারের মতো দুটো বহুতল কার পার্ক নির্মাণ করতে যাচ্ছে, যেগুলোর প্রত্যেকটিতে ৬০০টি গাড়ি রাখা যাবে।
ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্ট কমিশন জোর দিয়ে বলছে যে, ভুটান এখনও কার্বন নেগেটিভ রয়েছে যদিও ট্রাফিক জ্যাম ও যানবাহন বেড়েছে। তবে এই পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়া ঠেকাতে চান তারা।
কমিশন সেক্রেটারি দাশো সোনাম পি ওয়াংদি ব্যাখ্যা করে বলেছেন যে: “আমরা জনগণকে গাড়ি কেনা থেকে বিরত রাখতে পারি না, কিন্তু আমরা বিকল্প চালু করতে পারি, কম দূষণীয় গাড়ি যেমন হাইব্রিড বা ইলেকট্রিক কার, যাতে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনা যায়”।
কিন্তু কার্বন নেগেটিভ দেশ হিসেবে ভুটানের যে অবস্থান রয়েছে, গাড়ি বিক্রি বাড়তে থাকায় সেটা হুমকির মুখে পড়েছে। সেই সাথে রাস্তায় গাড়ির জ্যাম বাড়তে থাকায় ভুটানের নাগরিকদের মানসিকতাও একটা পরীক্ষার মধ্যে পড়ে গেছে।
গত দুই দশকে ভুটানে প্রাইভেট কার, বাস ও ট্রাকের সংখ্যা পাঁচগুণের বেশি বেড়েছে। পরিবহন কর্তৃপক্ষের ডিরেক্টর জেনারেল পেমবা ওয়াংচুক এ তথ্য জানিয়ে আরও বলেন, যানবাহনের এই বৃদ্ধির কারণে সবচেয়ে বড় সমস্যায় পড়েছে রাজধানী থিম্পু।
মিডিয়া কনসালটেন্ট ফুন্তশো ওয়াংদি বলেছেন, এই যানজট ও পার্কিংয়ের সমস্যার কারণে ক্ষুদে এই হিমালয় রাজ্যে গাড়ি চালানোটা যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে যেখানে কোন ট্রাফিক সিগন্যাল নেই।
তিনি আরও বলেন, “আরও কম গাড়ি হলে ভালো হতো, আগে এ রকম ছিল না”। দেশের অর্ধের গাড়িই চলাচল করছে এই রাজধানীতে।
বিশ্ব ব্যাংকের মতে, গত দশকে দেশের অর্থনীতি প্রতি বছর ৭.৫ শতাংশ হারে বেড়েছে। কর্মকর্তারা দেখেছেন, প্রতি সাতজন ভুটানিজের জন্য এখন একটি করে গাড়ি রয়েছে, যেখানে পুরো দেশের জনসংখ্যা হলো সাড়ে সাত লাখ।
কিন্তু দেশের সংকীর্ণ গ্রামিণ সড়ক এবং শহরের মেয়াদোত্তীর্ণ রাস্তাঘাটগুলো আর কুলিয়ে উঠতে পারছে না। অবকাঠামোর অভাবের পাশাপাশি দুর্বল ড্রাইভিং নিয়ম নীতির কারণে সমস্যা বহুগুণে বেড়ে গেছে। অনেকে এমনকি সড়কের প্রায় মাঝখানে গাড়ি পার্ক করে রাখেন।
ট্যাক্সি ড্রাইভার লেন্দুপ এএফপিকে বলেন, “প্রতি বছর গাড়ির সংখ্যা আর মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, কিন্তু রাস্তাঘাট আগের অবস্থাতেই রয়ে গেছে। এখন এটা একটা সমস্যা হয়ে গেছে”।
সকালের ব্যস্ত সময়ে যে দূরত্ব এক সময় পাঁচ মিনিটে যাওয়া যেতো, এখন সেখানে আধা ঘন্টার বেশি সময় লাগে।
ভুটান আর সুরিনামের ব্যাপক বনাঞ্চল রয়েছে এবং পৃথিবীর এই দুটি দেশই কেবল নিজেদের কার্বন নেগেটিভ দাবি করতে পারে। যতটুকু কার্বন তারা তৈরি করছে, তার থেকে বেশি শুষে নিচ্ছে।
গরুর মিথেন, শস্য পোড়ানো এবং অন্যান্য খামারভিত্তিক কর্মকাণ্ড ছিল মূলত ভুটানের গ্রিনহাউজ গ্যাসের প্রধান উৎস। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শিল্প ও গাড়ির বিকাশের কারণে সেই চিত্র বদলে গেছে।
ভুটানের সংবিধানে বলা হয়েছে যে, দেশের অন্তত ৬০ শতাংশ বনাঞ্চল থাকতে হবে। বর্তমানে এই বনাঞ্চল রয়েছে ৭০ শতাংশের উপরে।
কিন্তু ভুটান বর্তমানে ভারতের কাছে যতটুকু জলবিদ্যুৎ রফতানি করে, তার চেয়ে বেশি ফসিল জ্বালানি তারা আমদানি করছে।
সরকারী পরিবহন ব্যবস্থা এখনও দুর্বল, বিশেষ করে থিম্পুতে। প্রায় এক লাখ মানুষ বাস করছে থিম্পুতে কিন্তু সেখানে বাস রয়েছে মাত্র ৪০টি।
রাজধানীর মেয়র কিনলে দর্জি পরিকল্পনা নিয়েছেন নগরীতে শুধুমাত্র বাসের জন্য লেন চালু করা হবে এবং আরও বাস কিনবেন তিনি।
তিনি বলেন, “বড় ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় এসেছে এখন”।
তিনি আরও বলেন, “সরকারী পরিবহনকে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে আমাদের এবং গাড়ি কেনাকে নিরুৎসাহিত করতে হবে”। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন যে, থিম্পুতে যদি এই সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নেয়া না হয়, তাহলে অচল শহরে পরিণত হবে এটা।
এই জট সহজ করতে শহর কর্তৃপক্ষ প্রথমবারের মতো দুটো বহুতল কার পার্ক নির্মাণ করতে যাচ্ছে, যেগুলোর প্রত্যেকটিতে ৬০০টি গাড়ি রাখা যাবে।
ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্ট কমিশন জোর দিয়ে বলছে যে, ভুটান এখনও কার্বন নেগেটিভ রয়েছে যদিও ট্রাফিক জ্যাম ও যানবাহন বেড়েছে। তবে এই পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়া ঠেকাতে চান তারা।
কমিশন সেক্রেটারি দাশো সোনাম পি ওয়াংদি ব্যাখ্যা করে বলেছেন যে: “আমরা জনগণকে গাড়ি কেনা থেকে বিরত রাখতে পারি না, কিন্তু আমরা বিকল্প চালু করতে পারি, কম দূষণীয় গাড়ি যেমন হাইব্রিড বা ইলেকট্রিক কার, যাতে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনা যায়”।
No comments