তথ্য বিকৃতি করে এক ব্যক্তির নামে একাধিক পাসপোর্ট তৈরি হচ্ছে: -স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জিয়াউদ্দিনের চিঠি
গুরুত্বপূর্ণ
তথ্য বিকৃতি করে একই ব্যক্তির নামে একাধিক মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি)
তৈরি হচ্ছে। এসব পাসপোর্টে থাকছে ভিন্ন ভিন্ন জন্ম তারিখ ও জন্ম নিবন্ধন
নাম্বার। তথ্য বিকৃতির মাধ্যমে এসব অপকর্ম হচ্ছে। বিষয়টি আমাদের নজরে
এসেছে। তথ্য গোপনের মতো গুরুতর অপকর্মের কারণে বিদেশে বাংলাদেশের সুনাম
ক্ষুণ্ন হচ্ছে। বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস, নোয়াখালী থেকে ইস্যু করা পাসপোর্টে
তথ্য বিকৃতির ঘটনা ঘটেছে সবচেয়ে বেশি।
পাসপোর্ট নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে এমনটা জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন। চিঠিতে তিনি বলেছেন, আমাদের নজরে এসেছে যে, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিকৃতির মাধ্যমে, বিশেষ করে জন্ম তারিখ ও জন্ম নিবন্ধন সংখ্যা (বিআরএন) বিকৃত করে বহু পাসপোর্ট ইস্যু করা হচ্ছে। এমনটা বিশ্বাস করার কারণ রয়েছে যে, বিবেকবর্জিতভাবে ও সম্ভবত গোপন উদ্দেশ্য সাধনের জন্য এসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিকৃত করা হচ্ছে। জিয়াউদ্দিনের দুই পাতার চিঠি’র সঙ্গে পাসপোর্ট সংক্রান্ত কিছু অনিয়মের চিত্র সংযুক্ত করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও জন্ম নিবন্ধন সনদে (বিআরসি) পাওয়া কিছু অসঙ্গতি বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে তুলে ধরেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। এমআরপি প্রবর্তনের পরও বহু পাসপোর্টে বেশকিছু গর্হিত অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) চালু হওয়ার এক দশক পর এমন অভিযোগ উঠল। এমআরপি ইস্যু নিয়ে তিন ধরনের অসঙ্গতি’র কথা চিঠিতে উল্লেখ করে বলা হয়, এক ব্যক্তির নামে একাধিক পাসপোর্ট রয়েছে। যাতে জন্ম তারিখ ও জন্ম নিবন্ধন নাম্বার ভিন্ন। এছাড়া জন্ম নিবন্ধনের সঙ্গে জন্ম তারিখ মিলছে না। একই ব্যক্তি ভিন্ন নাম, ঠিকানা, পিতা ও মাতার নাম এবং জন্ম তারিখ দিয়ে আলাদা পাসপোর্ট নিচ্ছে। এক্ষেত্রে একই আবেদনকারী তার পরিচয় পুরোপুরিভাবে পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছে। জিয়াউদ্দিনের চিঠিতে বলা হয়েছে, আমাদের কাছে আসা অভিযোগ অনুসারে, বিআরএন ও জন্ম তারিখে অসঙ্গতি সংশ্লিষ্ট বেশিরভাগ পাসপোর্টই ইস্যু করা হয়েছে নোয়াখালির আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয় (আরপিও) থেকে। এ রকম দূতাবাসের কাছে জানানো ও চিহ্নিত করা অসঙ্গতিগুলোর মাত্র কয়েকটি ঘটনা সংযুক্ত নথিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। এই সমস্যা মূলত আরো বহুগুণ বড় মাত্রার। আপনি হয়তো আরো জেনে থাকবেন যে, পাসপোর্টে অসঙ্গতি থাকার কারণে কয়েকজন বাংলাদেশিকে বিদেশে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, কিছু ঘটনায় এমনটা প্রতীয়মান হয়েছে যে, কোনো ব্যক্তি নিজের পরিচয় পুরোপুরি পরিবর্তন করেও পাসপোর্ট ও বিআরসি সংগ্রহ করতে পারে। এটি মূলত, একটি অপরাধমূলক কার্যক্রম এবং গভীরভাবে উদ্বেগজনক। এ থেকে এটা সপষ্ট অপরাধীরা অন্য কারো পরিচয় ধারণ করে দেশ ছেড়ে পালাতে পারে। এতে বলা হয়, দূতাবাসের কাছে প্রায়ই জন্ম তারিখ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিকৃত করা পাসপোর্টের আবেদন আসে। কোনো ব্যক্তি পরিবর্তিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে নথিপত্র তৈরি করলে সেটা বৈধ হতে পারে না। এতে দূতাবাসকে লজ্জাজনক পরিস্থিতির শিকার হতে হয়, কেননা এই নথিপত্রগুলো একই ব্যক্তির এবং একই কর্তৃপক্ষ এগুলো ইস্যু করে। যেগুলো প্রকৃত নথিপত্রের মতোই দেখায়। পরিষ্কারভাবেই, গুরুতপূর্ণ তথ্যের ক্ষেত্রে এমন অনিয়ম বিদেশে বাংলাদেশি পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা ও অখণ্ডতার ক্ষতি করছে এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। ফলে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা প্রায়ই বিদেশি ইমিগ্রেশন পয়েন্টে অনাকাঙ্ক্ষিত যাচাই-বাছাইয়ের শিকার হচ্ছেন। এমন অনিয়মের কারণে গুটিকয়েক অপরাধী সুবিধা পাচ্ছে। কিন্তু এমন ক্ষতিকর চর্চার কারণে প্রবাসী বাংলাদেশিরা কোনো দোষ না করেই ক্ষতির মুখে পড়ছে।
সংযুক্ত নথিপত্রে উল্লেখিত অসঙ্গতিগুলো পরিষ্কার করতে বলেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। তাই আপনার মন্ত্রণালয়কে নথিপত্রে উল্লেখিত অসঙ্গতিগুলোর ইস্যু-ভিত্তিতে জবাব দেয়ার অনুরোধ করছি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠিতে বলা হয়, সরকারি কর্মকর্তারা ও বিবেকবর্জিত এজেন্টরা যদি বিআরসি ও পাসপোর্টে তথ্য বিকৃতির কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে তারা নিশ্চিতভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। ভুয়া পরিচয় ব্যবহারকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। এই বিষয়টি খতিয়ে না দেখলে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে ও সুদূরপ্রসারী পরিণতি হতে পারে।
পাসপোর্ট নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে এমনটা জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন। চিঠিতে তিনি বলেছেন, আমাদের নজরে এসেছে যে, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিকৃতির মাধ্যমে, বিশেষ করে জন্ম তারিখ ও জন্ম নিবন্ধন সংখ্যা (বিআরএন) বিকৃত করে বহু পাসপোর্ট ইস্যু করা হচ্ছে। এমনটা বিশ্বাস করার কারণ রয়েছে যে, বিবেকবর্জিতভাবে ও সম্ভবত গোপন উদ্দেশ্য সাধনের জন্য এসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিকৃত করা হচ্ছে। জিয়াউদ্দিনের দুই পাতার চিঠি’র সঙ্গে পাসপোর্ট সংক্রান্ত কিছু অনিয়মের চিত্র সংযুক্ত করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও জন্ম নিবন্ধন সনদে (বিআরসি) পাওয়া কিছু অসঙ্গতি বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে তুলে ধরেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। এমআরপি প্রবর্তনের পরও বহু পাসপোর্টে বেশকিছু গর্হিত অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) চালু হওয়ার এক দশক পর এমন অভিযোগ উঠল। এমআরপি ইস্যু নিয়ে তিন ধরনের অসঙ্গতি’র কথা চিঠিতে উল্লেখ করে বলা হয়, এক ব্যক্তির নামে একাধিক পাসপোর্ট রয়েছে। যাতে জন্ম তারিখ ও জন্ম নিবন্ধন নাম্বার ভিন্ন। এছাড়া জন্ম নিবন্ধনের সঙ্গে জন্ম তারিখ মিলছে না। একই ব্যক্তি ভিন্ন নাম, ঠিকানা, পিতা ও মাতার নাম এবং জন্ম তারিখ দিয়ে আলাদা পাসপোর্ট নিচ্ছে। এক্ষেত্রে একই আবেদনকারী তার পরিচয় পুরোপুরিভাবে পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছে। জিয়াউদ্দিনের চিঠিতে বলা হয়েছে, আমাদের কাছে আসা অভিযোগ অনুসারে, বিআরএন ও জন্ম তারিখে অসঙ্গতি সংশ্লিষ্ট বেশিরভাগ পাসপোর্টই ইস্যু করা হয়েছে নোয়াখালির আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয় (আরপিও) থেকে। এ রকম দূতাবাসের কাছে জানানো ও চিহ্নিত করা অসঙ্গতিগুলোর মাত্র কয়েকটি ঘটনা সংযুক্ত নথিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। এই সমস্যা মূলত আরো বহুগুণ বড় মাত্রার। আপনি হয়তো আরো জেনে থাকবেন যে, পাসপোর্টে অসঙ্গতি থাকার কারণে কয়েকজন বাংলাদেশিকে বিদেশে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, কিছু ঘটনায় এমনটা প্রতীয়মান হয়েছে যে, কোনো ব্যক্তি নিজের পরিচয় পুরোপুরি পরিবর্তন করেও পাসপোর্ট ও বিআরসি সংগ্রহ করতে পারে। এটি মূলত, একটি অপরাধমূলক কার্যক্রম এবং গভীরভাবে উদ্বেগজনক। এ থেকে এটা সপষ্ট অপরাধীরা অন্য কারো পরিচয় ধারণ করে দেশ ছেড়ে পালাতে পারে। এতে বলা হয়, দূতাবাসের কাছে প্রায়ই জন্ম তারিখ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিকৃত করা পাসপোর্টের আবেদন আসে। কোনো ব্যক্তি পরিবর্তিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে নথিপত্র তৈরি করলে সেটা বৈধ হতে পারে না। এতে দূতাবাসকে লজ্জাজনক পরিস্থিতির শিকার হতে হয়, কেননা এই নথিপত্রগুলো একই ব্যক্তির এবং একই কর্তৃপক্ষ এগুলো ইস্যু করে। যেগুলো প্রকৃত নথিপত্রের মতোই দেখায়। পরিষ্কারভাবেই, গুরুতপূর্ণ তথ্যের ক্ষেত্রে এমন অনিয়ম বিদেশে বাংলাদেশি পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা ও অখণ্ডতার ক্ষতি করছে এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। ফলে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা প্রায়ই বিদেশি ইমিগ্রেশন পয়েন্টে অনাকাঙ্ক্ষিত যাচাই-বাছাইয়ের শিকার হচ্ছেন। এমন অনিয়মের কারণে গুটিকয়েক অপরাধী সুবিধা পাচ্ছে। কিন্তু এমন ক্ষতিকর চর্চার কারণে প্রবাসী বাংলাদেশিরা কোনো দোষ না করেই ক্ষতির মুখে পড়ছে।
সংযুক্ত নথিপত্রে উল্লেখিত অসঙ্গতিগুলো পরিষ্কার করতে বলেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। তাই আপনার মন্ত্রণালয়কে নথিপত্রে উল্লেখিত অসঙ্গতিগুলোর ইস্যু-ভিত্তিতে জবাব দেয়ার অনুরোধ করছি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠিতে বলা হয়, সরকারি কর্মকর্তারা ও বিবেকবর্জিত এজেন্টরা যদি বিআরসি ও পাসপোর্টে তথ্য বিকৃতির কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে তারা নিশ্চিতভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। ভুয়া পরিচয় ব্যবহারকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। এই বিষয়টি খতিয়ে না দেখলে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে ও সুদূরপ্রসারী পরিণতি হতে পারে।
No comments