ব্যতিক্রম এক চিকিৎসক
ডাক্তার
মহসীন খান। ৩৫তম বিসিএস এ স্বাস্থ্য ক্যাডারে উত্তীর্ণ হন। এরপর ২০১৭
সালের মে মাসে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিক্যাল অফিসার
হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। বর্তমানে লালমোহন হাসপাতালে ইনডোর-আউটডোর মিলিয়ে
ডাক্তার রয়েছেন মাত্র সাতজন। এতে করে উপজেলার বিভিন্নস্থান থেকে হাসপাতালে
সেবা নিতে আসা রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে এখানে কর্মরত
ডাক্তারদের। তবে রাত-দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে
কাজ করে যাচ্ছেন ডা. মহসীন খান। নিজের কর্মদক্ষতার ফলে হাসপাতালের সাবেক
আরএমও ডা. রাকিব আহমেদ খান ২০১৮ সালের মার্চ মাসে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের
জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চলে যান। এরপর
প্রথমবারের মতো সবচেয়ে কম বয়সে লালমোহন হাসপাতালের আরএমও’র দায়িত্বভার
গ্রহণ করেন ডা. মহসীন খান। পরে ভালোভাবে হাসপাতালের কাজকর্ম পরিচালনা করার
কারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট হয়ে ২০১৯ সালের মে মাসে লালমোহন
হাসপাতালের আরএমও পদে তাকে নিয়মিত করেন। বর্তমানে লালমোহন হাসপাতালের জরুরি
বিভাগে ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন ও ডা. মানসুরা আক্তার মেডিক্যাল অফিসার
হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তবুও হাসপাতালে তীব্র ডাক্তার সংকটের কারণে
আরএমও-এর দায়িত্বের পাশাপাশি জরুরি বিভাগে মেডিক্যাল অফিসারের দায়িত্বও
পালন করতে হয় ডাক্তার মহসীন খানকে। এছাড়াও ডা. মহসীন খান প্রতিদিন সকালে
হাসপাতালে এসে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার তদারকি করেন। পাশাপাশি ডা. মহসীন
খানকে তদারকি করতে হয় হাসপাতালের স্টাফদের উপস্থিতিও। এরপর সকাল ৯টা থেকে
১১টা পর্যন্ত হাসপাতালের আন্তঃবিভাগে ভর্তিকৃত প্রায় ৭০-৮০ জন রোগীর অবস্থা
পর্যবেক্ষণ করেন। ১১টার পর তার নিজ কক্ষে বসে বহির্বিভাগে সেবা নিতে আসা
রোগীদের চিকিৎসা প্রদান করে থাকেন ডা. মহসীন খান। হাসপাতালে ভর্তিকৃত
রোগীদের মাঝে নিজে উপস্থিত থেকে খাবার পরিবেশন করেন। রাতে আবার ওয়ার্ডে
আসেন এবং সারাদিনে ভর্তিকৃত রোগীদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। অন্যদিকে
ইউএইচএফপিও এর অনুপস্থিতিতে বিভিন্ন সময় তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে
হয়। হাসপাতালে ডাক্তার সংকটের কারণে দেখা যায় যে কোনো জরুরি মুহূর্তে
রোগীরা চিকিৎসা সেবায় ডাক্তার মহসীনকে তাদের পাশে পান। যার জন্য লালমোহন
উপজেলার সচেতন মহলে ডাক্তার মহসীন খান অধিক প্রশংসিত।
No comments