কে এই লেডি হেইল
কয়েকদিন
আগে পার্লামেন্ট স্থগিত করেছিল বৃটিশ সরকার। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া ও
সিদ্ধান্তকে সর্বসম্মতিক্রমে বেআইনি ও কার্যকারিতাহীন বলে রায় দিয়েছে
দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এই আলোচিত রায় পড়ে শোনান দেশটির প্রধান বিচারপতি বা
সুপ্রিম কোর্টের প্রেসিডেন্ট লেডি হেইল। তাতেই বিশ্বজুড়ে আলোচনা শুরু হয়ে
যায় এই তাকে নিয়ে। বিবিসি তাকে নিয়ে ৫টি চমকপ্রদ তথ্য হাজির করেছে।
১. তিনি বৃটিশ সুপ্রিম কোর্টের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট
১০ বছর আগে সুপ্রিম কোর্টের প্রেসিডেন্ট পদ সৃষ্টি করা হয়। তিনিই এই পদে আসীন হওয়া প্রথম নারী। লেডি হেইল পড়াশোনা করেছেন ইয়র্কশায়ারের সরকারি স্কুলে। শিক্ষা ও কর্মজীবনের প্রায় প্রত্যেক অধ্যায়েই তিনি ছিলেন এক নম্বর। তিনি সুপ্রিম কোর্টে নারী প্রতিনিধিত্বের অভাব নিয়ে অনেকদিন ধরেই সরব ছিলেন। বর্তমানে বৃটিশ সুপ্রিম কোর্টের ১২ জন বিচারপতির মধ্যে মাত্র ৩ জন নারী। এর আগে তিনি জাতি ও লিঙ্গগত বৈচিত্র্যের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেছিলেন। তার যুক্তি, যে গণতন্ত্র সকলকে সমানভাবে মূল্য দিয়ে থাকে, শুধু সুবিধাভোগী বা ক্ষমতাশালীদের নয়, সেই গণতন্ত্রে মানুষের অধিকার ও দায়িত্ব নির্ধারণ করবে যে বিচার বিভাগ, সেখানে সমাজের সামগ্রিক প্রতিফলন থাকা উচিত; শুধু ছোট্ট একটি অংশের নয়। নিজের পুরো ক্যারিয়ারে সাম্য ও নায্যতা ছিল তার আইনি ধারণার মূল কেন্দ্রবিন্দু। ২০০৪ সালে তিনি যখন ল’ লর্ড বা আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন, তখন তার একটি লাতিন প্রিয় বাক্য ছিল, যার ইংরেজি অর্থ হলো, ‘নারীরা সব কিছুর সমান।’ লিঙ্গ সমতা নিয়ে লেডি হেইলের এই অগ্রগামী ভূমিকার কারণে ভৌগ ম্যাগাজিন ফেব্রুয়ারিতে নারীদের আইন চর্চা করার অধিকার প্রদানের ১০০ বছর উপলক্ষে তাকে নিয়ে দুই পাতার ফিচার প্রকাশ করে।
২. তিনি সব কিছুতেই নতুন
সুপ্রিম কোর্টই একমাত্র পুরুষ-আধিপত্যশীল প্রতিষ্ঠান নয় যেখানে লেডি হেইল নাড়া দিয়েছেন। ১৯৮৪ সালে তিনি প্রথম নারী হিসেবে ল’ কমিশনে নিয়োগ পান। এই কমিশন বিভিন্ন আইনের সংস্কার নিয়ে কাজ করে। সেখানে কর্মরত অবস্থায় বিভিন্ন যুগান্তকারী সংস্কার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি।
আইনি কাঠামোর আধুনিকায়ন নিয়েও তিনি কাজ করেছেন। তথাকথিত ঐতিহ্যকেও চ্যালেঞ্জ জানাতে তিনি দ্বিধা করেননি। যেমন, ব্যারিস্টার ও বিচারকরা আদালতে কাজ করার ক্ষেত্রে যে পরচুল পরিধান করেন, তা নিয়ে আপত্তি জানান তিনি। তার মতে, এগুলো খুব হাস্যকর পোশাক। একুশ শতকে এসে আঠার শতকের পোশাক মানানসই নয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন। ২০১৩ সালে তিনি বলেন, আমার আপত্তির মূল কারণ হলো, এগুলো পুরুষের পরচুলা।
৩. তিনি ব্রোচের বিশেষ ভক্ত
লেডি হেইল যখন ওই ঐতিহাসিক রায় পড়ে শোনাচ্ছিলেন, তখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা একটি বিষয় লক্ষ্য না করে পারেননি। তা হলো, বিচারপতি হেইল জামায় মণি-খচিত মাকড়শা আকৃতির একটি ব্রোচ পরে ছিলেন। তবে মজার বিষয় হলো, এ ধরণের ভিন্ন ডিজাইনের প্রচুর ব্রচ আছে হেইলের ভান্ডারে।
৪. মাস্টারশেফ-এও বিচারক হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন হেইল
বিবিসি ওয়ান-এর রান্না বিষয়ক বিশ্বখ্যাত অনুষ্ঠান মাস্টারশেফ-এও একবার তিনি উপস্থিত হয়েছিলেন। নিজের বিচারিক প্রজ্ঞা কাজে লাগিয়েছিলেন। ২০১৮ সালের সেমিফাইনালে বিচারক হিসেবে ছিলেন তিনি। ওই বছর নারীদের ভোটাধিকার প্রাপ্তির ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
৫. এ বছরের শেষেই অবসরে যাচ্ছেন তিনি
লেডি হেইলের নতুন ভক্তরা আশাহত হবেন জেনে যে, তিনি সুপ্রিম কোর্টের প্রেসিডেন্ট হিসেবে এ বছরের শেষ নাগাদ অবসরে যাবেন। জানুয়ারিতেই তিনি ৭৫ বছরে পা রাখবেন। ১৯৯৫ সালের পূর্বে নিয়োগকৃত বিচারপতিদের ক্ষেত্রে ৭৫ বছর বয়সে অবশ্যই অবসর নিতে হবে, যদিও হেইল এই পদে আছেন সবে ২ বছর হলো।
১. তিনি বৃটিশ সুপ্রিম কোর্টের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট
১০ বছর আগে সুপ্রিম কোর্টের প্রেসিডেন্ট পদ সৃষ্টি করা হয়। তিনিই এই পদে আসীন হওয়া প্রথম নারী। লেডি হেইল পড়াশোনা করেছেন ইয়র্কশায়ারের সরকারি স্কুলে। শিক্ষা ও কর্মজীবনের প্রায় প্রত্যেক অধ্যায়েই তিনি ছিলেন এক নম্বর। তিনি সুপ্রিম কোর্টে নারী প্রতিনিধিত্বের অভাব নিয়ে অনেকদিন ধরেই সরব ছিলেন। বর্তমানে বৃটিশ সুপ্রিম কোর্টের ১২ জন বিচারপতির মধ্যে মাত্র ৩ জন নারী। এর আগে তিনি জাতি ও লিঙ্গগত বৈচিত্র্যের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেছিলেন। তার যুক্তি, যে গণতন্ত্র সকলকে সমানভাবে মূল্য দিয়ে থাকে, শুধু সুবিধাভোগী বা ক্ষমতাশালীদের নয়, সেই গণতন্ত্রে মানুষের অধিকার ও দায়িত্ব নির্ধারণ করবে যে বিচার বিভাগ, সেখানে সমাজের সামগ্রিক প্রতিফলন থাকা উচিত; শুধু ছোট্ট একটি অংশের নয়। নিজের পুরো ক্যারিয়ারে সাম্য ও নায্যতা ছিল তার আইনি ধারণার মূল কেন্দ্রবিন্দু। ২০০৪ সালে তিনি যখন ল’ লর্ড বা আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন, তখন তার একটি লাতিন প্রিয় বাক্য ছিল, যার ইংরেজি অর্থ হলো, ‘নারীরা সব কিছুর সমান।’ লিঙ্গ সমতা নিয়ে লেডি হেইলের এই অগ্রগামী ভূমিকার কারণে ভৌগ ম্যাগাজিন ফেব্রুয়ারিতে নারীদের আইন চর্চা করার অধিকার প্রদানের ১০০ বছর উপলক্ষে তাকে নিয়ে দুই পাতার ফিচার প্রকাশ করে।
২. তিনি সব কিছুতেই নতুন
সুপ্রিম কোর্টই একমাত্র পুরুষ-আধিপত্যশীল প্রতিষ্ঠান নয় যেখানে লেডি হেইল নাড়া দিয়েছেন। ১৯৮৪ সালে তিনি প্রথম নারী হিসেবে ল’ কমিশনে নিয়োগ পান। এই কমিশন বিভিন্ন আইনের সংস্কার নিয়ে কাজ করে। সেখানে কর্মরত অবস্থায় বিভিন্ন যুগান্তকারী সংস্কার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি।
আইনি কাঠামোর আধুনিকায়ন নিয়েও তিনি কাজ করেছেন। তথাকথিত ঐতিহ্যকেও চ্যালেঞ্জ জানাতে তিনি দ্বিধা করেননি। যেমন, ব্যারিস্টার ও বিচারকরা আদালতে কাজ করার ক্ষেত্রে যে পরচুল পরিধান করেন, তা নিয়ে আপত্তি জানান তিনি। তার মতে, এগুলো খুব হাস্যকর পোশাক। একুশ শতকে এসে আঠার শতকের পোশাক মানানসই নয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন। ২০১৩ সালে তিনি বলেন, আমার আপত্তির মূল কারণ হলো, এগুলো পুরুষের পরচুলা।
৩. তিনি ব্রোচের বিশেষ ভক্ত
লেডি হেইল যখন ওই ঐতিহাসিক রায় পড়ে শোনাচ্ছিলেন, তখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা একটি বিষয় লক্ষ্য না করে পারেননি। তা হলো, বিচারপতি হেইল জামায় মণি-খচিত মাকড়শা আকৃতির একটি ব্রোচ পরে ছিলেন। তবে মজার বিষয় হলো, এ ধরণের ভিন্ন ডিজাইনের প্রচুর ব্রচ আছে হেইলের ভান্ডারে।
৪. মাস্টারশেফ-এও বিচারক হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন হেইল
বিবিসি ওয়ান-এর রান্না বিষয়ক বিশ্বখ্যাত অনুষ্ঠান মাস্টারশেফ-এও একবার তিনি উপস্থিত হয়েছিলেন। নিজের বিচারিক প্রজ্ঞা কাজে লাগিয়েছিলেন। ২০১৮ সালের সেমিফাইনালে বিচারক হিসেবে ছিলেন তিনি। ওই বছর নারীদের ভোটাধিকার প্রাপ্তির ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
৫. এ বছরের শেষেই অবসরে যাচ্ছেন তিনি
লেডি হেইলের নতুন ভক্তরা আশাহত হবেন জেনে যে, তিনি সুপ্রিম কোর্টের প্রেসিডেন্ট হিসেবে এ বছরের শেষ নাগাদ অবসরে যাবেন। জানুয়ারিতেই তিনি ৭৫ বছরে পা রাখবেন। ১৯৯৫ সালের পূর্বে নিয়োগকৃত বিচারপতিদের ক্ষেত্রে ৭৫ বছর বয়সে অবশ্যই অবসর নিতে হবে, যদিও হেইল এই পদে আছেন সবে ২ বছর হলো।
No comments