কৃষকের গুপ্তধন 'বইকচু' by তোফায়েল হোসেন জাকির
বইকচু চাষি |
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার সবজি
ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত ধাপেরহাট এলাকা। এই এলাকার ফসলি জমিতে বিভিন্ন সবজির
পাশাপাশি চাষ করা হয় 'বইকচু'। এবার বইকচুর অধিক ফলন ও আশানারূপ দাম পাওয়ায়
এ কচু যেন গুপ্তধনে পরিণত হয়েছে। কৃষকের মাঝে দেখা গেছে হাসির ঝিলিক।
গত ২৩ আগস্ট শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়,
উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের ইসলামপুরস্থ গাছতলায় বসে ছকিনা বেওয়া, আজিরণ
বিবি ও মরিয়ম বেগমসহ অনেকেই কচু পরিষ্কার করছেন।
তারা বলেন, আমরা সবাই শ্রমিক হিসেবে কাজ
করছি। এক মণ কচু পরিষ্কার করলে ১৫০ টাকা মজুরি পাওয়া যায়। প্রতিদিন দুই
থেকে আড়াই মণ কচু পরিষ্কার করে সন্তোষজনক হারে আয় করা যায়। তবে কচুর দাম কম
হলে মজুরির দামও কম হয় বলে জানান তারা।
ছত্রগাছা গ্রামের কৃষক আকবর আলী জানায়,
ধাপেরহাট এলাকায় আলু, পটল, করল্লা ও হলুদসহ বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে চাষ করা
হয়েছে বইকচু। গত বছরের তুলনা এবার কচুর চাষাবাদ অনেকটাই বেড়েছে। ফলনও হয়েছে
বাম্পার। বাজারে বেড়ে গেছে কচুর কদর। এর ফলে কচু আবাদ করে আর্থিকভাবে
লাভবান হওয়া সম্ভব হচ্ছে।
আলীনগর গ্রামের আরেক কচু চাষি ফরিদুল
ইসলাম জানান, একবিঘা (৩৩ শতক) জমিতে কচু আবাদে খরচ হয় প্রায় ১০-১২ হাজার
টাকা। যা থেকে প্রায় ৬০-৬৫ মণ কচু উৎপাদন করা যায়। এবারে উৎপাদিত কচু
পাইকারি বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১ হাজার টাকা মণ দামে। আশানারূপ দাম পাওয়ায়
অনেকটাই লাভবান হচ্ছি।
সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার খাজানুর
রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, কচুর মধ্যে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। তাই
কচু চাষ করার জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করা হয়। এবার কচুর দাম ভাল থাকায়
কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছেন।
No comments