লন্ডনে বাড়ছে ঘরহীনের সংখ্যা, ডাস্টবিন থেকে খাবার কুড়িয়ে খাচ্ছে মানুষ by মুনজের আহমদ চৌধুরী
যুক্তরাজ্যের
লন্ডনে ক্রমেই বাড়ছে ঘরহারা মানুষের সংখ্যা। হাজার হাজার মানুষ বাধ্য
হচ্ছে রাস্তায় ঘুমাতে। ভিক্ষাবৃত্তির পরিমাণও অতীতের তুলনায় বেড়ে গেছে।
এমনকী সেখানকার মানুষকে ডাস্টবিন থেকে পরিত্যক্ত খাবার সংগ্রহ করতেও দেখা
যাচ্ছে।
লন্ডনে প্রায় ৯ মিলিয়ন মানুষের বসবাস। সেই লন্ডনসহ যুক্তরাজ্যের প্রায় সব শহরেই রাস্তায় রাত কাটানো মানুষের সংখ্যা বিপুলভাবে বাড়ছে। ট্রেন আর বাস স্টেশন কিংবা সুপার মার্কেটের সামনে যতো রাত বাড়তে থাকে, ততোই বাড়তে থাকে ঘুমন্ত মানুষের সারি। রবিবার সকালে পূর্ব লন্ডনের হোয়াইট চ্যাপেল এলাকা থেকে উপরের ছবিটি তুলেছেন পূর্ব লন্ডনের বাঙালি কমিউনিটির প্রবীণ সাংবাদিক কে এম আবু তাহের চৌধুরী। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘১৯৮৪ সালে সাপ্তাহিক বাংলাদেশ পত্রিকার মাধ্যমে লন্ডনে আবারও সাংবাদিকতা শুরু করি। রাস্তায় মানুষ ঘুমাচ্ছে, ডাষ্টবিন থেকে খাবার তুলে খাচ্ছে, এমন দৃশ্য অতীতে দেখিনি।’
পরিসংখ্যান বলছে প্রায় চার হাজার মানুষ প্রতিদিন দেশটির বিভিন্ন রাস্তায় ঘুমান। তবে কেবল দারিদ্র্য নয়, হতাশাজনিত মানসিক বিপর্যয় থেকে সৃষ্ট কাজের প্রতি অনাগ্রহ আর মাদকাসক্তির কারণেও মানুষ রাস্তায় থাকে।
আবু তাহের চৌধুরী আরও বলেন, ‘আশির দশকের শুরুতে যখন এদেশে আসি, তখন দেখতাম মানুষজন দরজা খুলে রেখেও রাতে ঘুমাতে যেত। আর এখন রাস্তায় গাড়ি পর্যন্ত ছিনতাই হয়ে যাচ্ছে। হতাশাগ্রস্ত তরুণ প্রজন্ম মাদকের পথে পা বাড়িয়েছে’। সামগ্রিক পরিস্থিতির জন্য কনজারভেটিভ সরকারের অব্যবস্থাপনা ও ব্যর্থতাকে দায়ী করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ব্রিটেনের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দায়িত্ব নেবার পর কয়েক দফায় দেশটির আবাসন ও স্বাস্থ্যখাতের সংকটের কথা স্বীকার করেছেন। পরিস্থিতি উত্তোরণে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
লন্ডনে প্রায় ৯ মিলিয়ন মানুষের বসবাস। সেই লন্ডনসহ যুক্তরাজ্যের প্রায় সব শহরেই রাস্তায় রাত কাটানো মানুষের সংখ্যা বিপুলভাবে বাড়ছে। ট্রেন আর বাস স্টেশন কিংবা সুপার মার্কেটের সামনে যতো রাত বাড়তে থাকে, ততোই বাড়তে থাকে ঘুমন্ত মানুষের সারি। রবিবার সকালে পূর্ব লন্ডনের হোয়াইট চ্যাপেল এলাকা থেকে উপরের ছবিটি তুলেছেন পূর্ব লন্ডনের বাঙালি কমিউনিটির প্রবীণ সাংবাদিক কে এম আবু তাহের চৌধুরী। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘১৯৮৪ সালে সাপ্তাহিক বাংলাদেশ পত্রিকার মাধ্যমে লন্ডনে আবারও সাংবাদিকতা শুরু করি। রাস্তায় মানুষ ঘুমাচ্ছে, ডাষ্টবিন থেকে খাবার তুলে খাচ্ছে, এমন দৃশ্য অতীতে দেখিনি।’
পরিসংখ্যান বলছে প্রায় চার হাজার মানুষ প্রতিদিন দেশটির বিভিন্ন রাস্তায় ঘুমান। তবে কেবল দারিদ্র্য নয়, হতাশাজনিত মানসিক বিপর্যয় থেকে সৃষ্ট কাজের প্রতি অনাগ্রহ আর মাদকাসক্তির কারণেও মানুষ রাস্তায় থাকে।
আবু তাহের চৌধুরী আরও বলেন, ‘আশির দশকের শুরুতে যখন এদেশে আসি, তখন দেখতাম মানুষজন দরজা খুলে রেখেও রাতে ঘুমাতে যেত। আর এখন রাস্তায় গাড়ি পর্যন্ত ছিনতাই হয়ে যাচ্ছে। হতাশাগ্রস্ত তরুণ প্রজন্ম মাদকের পথে পা বাড়িয়েছে’। সামগ্রিক পরিস্থিতির জন্য কনজারভেটিভ সরকারের অব্যবস্থাপনা ও ব্যর্থতাকে দায়ী করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ব্রিটেনের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দায়িত্ব নেবার পর কয়েক দফায় দেশটির আবাসন ও স্বাস্থ্যখাতের সংকটের কথা স্বীকার করেছেন। পরিস্থিতি উত্তোরণে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
No comments