কাশ্মীর পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের
মিশেল ব্যাচেলেট |
জাতিসঙ্ঘের
মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রধান মিশেল ব্যাচেলেট কাশ্মীর পরিস্থিতিতে গভীর
উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সোমবার তিনি বলেন, গতমাসে জম্মু- কাশ্মীরের
বিশেষ মর্যাদাকে বাতিল করে দেয়ার পরে কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে সে রাজ্যে
কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে রেখেছে সেসম্পর্কে তিনি 'গভীরভাবে উদ্বিগ্ন'।
মানবাধিকারের পক্ষে জাতিসঙ্ঘের হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট মানবাধিকার কাউন্সিলের ৪২তম অধিবেশনের উদ্বোধনী ভাষণে ওই মন্তব্য করেন।
গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে কাশ্মীরে বিভিন্ন বিধিনিষেধ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার কঠোরতায় কার্যত রাজ্যটি অবরুদ্ধ হয়ে আছে। সেখানকার নাগরিকরাও ব্যাপক দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রধানের উদ্বেগ প্রকাশে বিষয়টি অন্যমাত্রা পেয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
মিশেল ব্যাচেলেট বলেন, আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বিধিনিষেধ আরোপ ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের আটকে রাখাসহ কাশ্মীরিদের মানবাধিকার নিয়ে ভারত সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের প্রভাব সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।
ব্যাচেলেট বলেন, ‘যদিও আমি ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশের সরকারকেই মানবাধিকারকে সম্মানিত ও সুরক্ষিত করার জন্য অনুরোধ করে চলেছি, তবুও আমি বিশেষ করে ভারতের কাছে বর্তমান অবরুদ্ধ পরিস্থিতি বা কারফিউকে সহজ করার জন্য, মৌলিক পরিসেবাগুলোতে মানুষের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য আবেদন করেছি এবং যেসকল নেতারা আটক রয়েছেন তাঁদের মানবাধিকারের প্রতিও যাতে শ্রদ্ধা জানানো হয় সেই অনুরোধ করছি। এসব বিষয়ে কাশ্মীরের জনগণের সঙ্গে পরামর্শ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা ওই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে তাঁদের ভবিষ্যতের উপরে প্রভাব পড়বে।’
কাশ্মীরের পাশাপাশি অসমের জাতীয় নাগরিক পঞ্জি বা এনআরসি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রধান মিশেল ব্যাচেলেট। তিনি বলেন, অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জিকরণ বা এনআরসির মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করার লক্ষ্যে যে চরম অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়েও চিন্তিত তিনি।
এব্যাপারে তিনি ভারত সরকারের কাছে আবেদন প্রক্রিয়া চলাকালীন যথাযথ কার্যাবলী নিশ্চিত করতে এবং নির্বাসন বা আটকে রাখা রোধ করতে ও মানুষকে রাষ্ট্রহীন হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা নিশ্চিত করার জন্য আবেদন করেছেন।
মানবাধিকারের পক্ষে জাতিসঙ্ঘের হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট মানবাধিকার কাউন্সিলের ৪২তম অধিবেশনের উদ্বোধনী ভাষণে ওই মন্তব্য করেন।
গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে কাশ্মীরে বিভিন্ন বিধিনিষেধ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার কঠোরতায় কার্যত রাজ্যটি অবরুদ্ধ হয়ে আছে। সেখানকার নাগরিকরাও ব্যাপক দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রধানের উদ্বেগ প্রকাশে বিষয়টি অন্যমাত্রা পেয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
মিশেল ব্যাচেলেট বলেন, আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বিধিনিষেধ আরোপ ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের আটকে রাখাসহ কাশ্মীরিদের মানবাধিকার নিয়ে ভারত সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের প্রভাব সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।
ব্যাচেলেট বলেন, ‘যদিও আমি ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশের সরকারকেই মানবাধিকারকে সম্মানিত ও সুরক্ষিত করার জন্য অনুরোধ করে চলেছি, তবুও আমি বিশেষ করে ভারতের কাছে বর্তমান অবরুদ্ধ পরিস্থিতি বা কারফিউকে সহজ করার জন্য, মৌলিক পরিসেবাগুলোতে মানুষের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য আবেদন করেছি এবং যেসকল নেতারা আটক রয়েছেন তাঁদের মানবাধিকারের প্রতিও যাতে শ্রদ্ধা জানানো হয় সেই অনুরোধ করছি। এসব বিষয়ে কাশ্মীরের জনগণের সঙ্গে পরামর্শ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা ওই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে তাঁদের ভবিষ্যতের উপরে প্রভাব পড়বে।’
কাশ্মীরের পাশাপাশি অসমের জাতীয় নাগরিক পঞ্জি বা এনআরসি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রধান মিশেল ব্যাচেলেট। তিনি বলেন, অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জিকরণ বা এনআরসির মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করার লক্ষ্যে যে চরম অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়েও চিন্তিত তিনি।
এব্যাপারে তিনি ভারত সরকারের কাছে আবেদন প্রক্রিয়া চলাকালীন যথাযথ কার্যাবলী নিশ্চিত করতে এবং নির্বাসন বা আটকে রাখা রোধ করতে ও মানুষকে রাষ্ট্রহীন হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা নিশ্চিত করার জন্য আবেদন করেছেন।
No comments